কানে মায়ার চুলের সুড়সুড়িতে ঘুমটা ভেঙে গেছে রাহাতের। চোখ না খুলে, আর মায়াকে না দেখেও রাহাত মায়ার দুষ্ট হাসিমাখা মুখটা অনুভব করছে। কল্পনা করতে পারছে রাহাত ব্যাপারটা। সকাল সকাল গোসল সেরে চুলে টাওয়াল পেঁচিয়ে রুমে এসে প্রতিদিন এই কাজটা যেন মায়ার করা চাই ই চাই। ভেজা চুলের টাওয়াল ফেলে সেই ভেজা চুলের ডগা রাহাতের কানের কাছে নিয়ে সুড়সুড়ি দিয়ে কি মজাটা পায় মেয়েটা কে জানে! রাহাতও মায়ার এই দুষ্টুমিগুলো হাসি মুখে মেনে নেয়। মায়া না হয়ে অন্য কেউ এতো সকালে ঘুম ভাঙাতে আসলেই হয়তো দু-চার ডজন ঝাড়ি খেয়ে ফেলতো এতোক্ষণে। কিন্তু মায়াকে রাহাত কিছুই বলে না। মেয়েটার পাগলামিগুলো উপভোগ করে।
চোখ না খুলেই মায়ার হাত ধরে টেনে একেবারে বুকে জাপটে ধরলো রাহাত। মায়া ছোটার জন্য যত ছটফট করছে রাহাতও তত নিবিড় করে আঁকড়ে ধরছে।
-মায়াবতী??
-হুম??
-এভাবে পালানোর জন্য ছটফট করছ কেন? আমি কি অন্যায় কিছু করছি??
-উহু।
-তাহলে আমার মায়াবতীটা আমার থেকে এতো পালাতে চায় কেন?
-না তো।
-না??? সত্যি??
-না মানে। নাস্তা বানাতে হবে, ছাড়ো।
-প্রতিদিন এই সেই ভাজি-ভুজি তেলে পোড়া খেতে ভালো লাগে না। আজ অন্য কিছু খাবো।
-কি খাবে বলো? বানিয়ে দিব এক্ষুনি। বলো না??
-বানাতে হবে না।
-না না। আমি পারব। বলো না??
-মিষ্টি খাবো পরী।
-কি মিষ্টি খাবে?? নাম বলো। আমি এক্ষুনি......
-তোমার মিষ্টি ঠোঁটের মিষ্টি,
-কি!!!!
মায়াকে ঘুরিয়ে বিছানার সাথে চেপে ধরে মায়ার মুখের দিকে তাকালো রাহাত।
-বুঝো নি? বুঝিয়ে দেই দাঁড়াও,
রাহাতের মুখের দিকে তাকিয়েই মায়া কেঁপে উঠে চোখ বুজে নেয়। রাহাতও মায়ার মুখের রঙ বদলানো দেখছে অপলকে। লজ্জায় লাল টুকটুকে মুখটা দেখতে রাহাতের বেশ লাগছে। আজও শাওয়ার নিয়ে শাড়ি পড়েছে মায়া। কালো পাড়ের কমলা রঙের শাড়িটায় কালো সুতোর কাজ করা। দেখতে কমলা পরী লাগছে মায়াকে। রাহাত সব ভুলে মায়ার লাজুক মুখটা দেখায় ব্যস্ত। বেশ অনেকটা সময় পর মায়া একটু একটু করে চোখ খুলে তাকাতেই দেখলো রাহাত এক মনে ওকেই দেখছে। মায়া রাহাতকে কিছু বলার আগেই রাহাত মায়ার হাত দুটো চেপে ধরে ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিলো। কিছুক্ষণ পর মুখটা তুলে আবার মায়াকে দেখায় ব্যস্ত হলো রাহাত। লাল মুখটায় গোলাপী আভা খেলা করছে মায়ার। শুয়েমায়াকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে মায়ার চুলে মুখ গুঁজল রাহাত।
-মায়াবতী??
-হুম???
-মিষ্টি তো খাওয়া হলো। আজকে আরেকটা জিনিস খেতে ইচ্ছে হচ্ছে।
-কি??
-খিচুড়ি।
-মানে!!
-হা হা। খিচুড়ি বুঝো নি?? বৃষ্টি পড়ছে না রাত থেকে?? দুপুরে খিচুড়ি খেতে মন্দ লাগবে না।
-আচ্ছা ,এখনই করছি!
-এখনই না গো মায়াবতী। এখন তুমি চুপ করে আমার বুকে শুয়ে থাকো।
-নাস্তা বানাতে হবে।
-লাগবে না। কাজের লোকেরা করে নিবে। আর আমার মিষ্টি খাওয়া তো হয়েই গেল।
-ধ্যাত। ছাড়ো। আর চুলের পানিতে পুরো বিছানা ভিজছে।
-ভিজুক। তোমার সমস্ত চুলের পানিতে আমাকে একেবারে ভিজিয়ে দাও। ভালো লাগছে।
-সরো, কি করছো??
-তোমার চুলের ঘ্রাণ নিচ্ছি, এতো মাদকতা ভরা কেন এই গন্ধটা? কি মাখো হ্যাঁ??
-শ্যাম্পু। সরো।
-বাহ!!! শ্যাম্পুর গন্ধ এতো... আরে তুমি এতো লাফালাফি করো কেন বাবা সারাদিন?? আমি না ছাড়লে ছুটতে পারবে!!? নাকি তোমাকে কোথাও পালাতে দিব আমি??
-আমি পালাতে চাইলে ধরে রাখতে পারবে??
-মিসেস রাহাত মাহবুব চৌধুরী! আপনি জানেন না যে, আপনার স্বামী হয়তো আপনার পালানো আটকাতে পারবে না। তবে যতবার যেখানেই পালান না কেন ঠিক ততবারই নিজের বুকে এনে জাপটে ধরতে পারবে। সো পালান আর যাই করুন। দিন শেষে আমার বুকেই ফিরতে হবে-আর ফিরেও আসবেন। সেটা যেন মাথায় থাকে।
-বারে!! এতোই সোজা!! কেউ যদি নিজে থেকে হারিয়ে যেতে চায়- তুমি তাকে কি করে খুঁজে পাবে!!
রাহাত হুট করে মায়ার কোমড় পেঁচিয়ে ধরে ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিলো। বেশ অনেকক্ষণ পর মায়ার মুখটা দু হাতে তুলে ধরলো রাহাত। একেবারে মায়ার চোখে চোখ রাখলো।।
-মায়া!!! এতো পালানোর কথা বলো কেন?? তুমি হারিয়ে যাবে, চলে যাবে! এসব শুনে বুকটা কেঁপে ওঠে আমার। প্লিজ এসব বলো না কখনো। তোমাকে এক মিনিটের জন্য হারাতে হলেও আমি পাগল হয়ে যাব। বুঝো না কেন তুমি সেটা??
-রাহাত!! আমি আসলে.....
-চুপ। কথা না কোন। চুপ করে আমার বুকে শুয়ে থাকো। বাজে কথা বললে সত্যি সত্যি হাত পা ভেঙে বাসায় বসিয়ে রাখবো। হুহ।
-আরে???
-কথা বললেই শাস্তি এখন ...
মায়াকে শক্ত করে এক হাতে বুকে জড়িয়ে আরেক হাত দিয়ে আলতো করে চুলে বিলি কেটে দিচ্ছে রাহাত। যেন ছাড়লেই কোথাও হারিয়ে যাবে ওর মায়াবতীটা।মোবাইলটা খুব জোরেই শব্দ করে বেজে চলেছে। কোনমতে চোখ খুলে কলটার সাউন্ড ওফ করে দিলো রাহাত। মায়াবতীটা সবে একটু চোখ বুজেছে। কলের সাউন্ডে ঘুমটা ছুটে গেলেই মেয়েটা পড়ি মরি করে ছুটবে। ভাবতেই ঠোঁটের কোণে একটা হাসি ফুটতে ফুটতেই আবার মিলিয়ে গেল রাহাতের। মায়া নেই রুমে। কয়েকবার মায়ার নাম ধরে ডাকলো রাহাত। কেউ এলো না। অন্য সময় হলে মায়া ছুটে রুমে আসতো। সে রান্নাঘরে যত কাজই পড়ে থাকুক না কেন। রাহাতের ডাকে মায়া ছুটে আসে নি-এমন কখনো হয় নি আগে। মায়াকে ডাকতে রান্নাঘরে যাবে এমন সময় মায়ার লেখা চিঠিটায় নজর পড়লো রাহাতের। বিছানার পাশেই রাখা। রাহাতও বুঝতে পারলো। মায়া প্রতিদিনের মতো দুষ্টুমি করে ওর ঘুম ভাঙায় নি। সে স্বপ্ন দেখেছে।
নিজের মাথা চেপে ধরে ফ্লোরে বসে পড়লো রাহাত। মেয়েটার স্মৃতিগুলো বড্ড বেশি করে চেপে ধরছে রাহাতকে। ভালো থাকতে হলে মায়াকে তার চাই। কিন্তু পাবে কোথায়!! রাহাত ঠিক করলো মায়ার ফ্ল্যাটে গিয়েই মায়ার কাছে সরি বলবে। প্রয়োজনে হাতে পায়ে ধরবে। তবু মেয়েটা ওর বুকে একবার ফিরে আসুক। আর জ্বালাবে না একদম। একটুও কষ্ট পেতে দিবে না তার মায়াবতীকে। আর কোন ভুল করবে না। একেবারে বুকের ভিতরে জাপটে আগলে রাখবে।। এসব ভাবতে ভাবতেই আবার মোবাইলটা সশব্দে বেজে উঠলো রাহাতের। মোবাইলটা হাতে নিয়েই ভ্রু কুঁচকে গেল রাহাতের। স্ক্রিনে ভেসে উঠেছে লিজার নাম।। এই মেয়েটা এখন আবার কেন কল করছে!!!
-হ্যাঁ লিজা? বলো??
-স্যার?? আপনি অফিসে আসবেন না?? ১১ টা বাজে এলরেডি।
-না আজ আসবো না। তোমার টাকাটা ম্যানেজার থেকে বলে নিয়ে নাও। আমি বলে দিচ্ছি।
-না স্যার। টা-টাকা-টাকার জন্য কল করি নি স্যার।
-আচ্ছা বুঝতে পারছি। টাকার জন্য কল করো নি। বাট টাকাটা তো আর্জেন্ট লাগছে তাই না?? তাই নিয়ে নাও। আর শোনো?? আজকে অফিসে আসবো না। একটু মিটিংগুলো ক্যানসেল করো।
-স্যার???
-ইয়েস লিজা। বলো??
-স্যার?? জাস্ট ১০ মিনিটের জন্যও আসতে পারবেন না??
-এনিথিং আর্জেন্ট??
-স্যার। আপনি যে সিকিউরিটি ইনচার্জ নিয়োগ করবেন বলেছিলেন তার কেন্ডিডেটদের ভাইভা আজকে......
-ওহ শিট। তোমরা একটু ম্যানেজ করে নাও প্লিজ??
-স্যার?? আসলে একটু সমস্যা আছে...
-হুম?? কি সমস্যা বলো??
-আসলে আমি জানতাম না যে দিহানও ওই পোস্টে এ্যাপ্লাই করেছে। প্রাইমারি ভাইভাতে ম্যানেজার স্যার ওকে সিলেক্টও করেছে।
-ওয়াও!! কংগ্রাচুলেশনস। এতে সমস্যা কি!!
-না মানে স্যার। এখন ফাইনাল সিলেকশনে যদি আমি ওকে সিলেক্ট করি আর পরে সবাই যখন জানতে পারে ও আমার ফিয়োনসে আর আমিই ওকে সিলেক্ট করেছি। তাহলে সবাই ওর ইফেসেন্সি-কোয়ালিফিকেশন নিয়ে প্রশ্ন তুলবে স্যার। তাই বলছিলাম যে!!??
-তোমরা মেয়েরা এতো বেশি বুঝো কেন বলো তো??!! আজব!! ম্যানেজার সাহেব তো সিলেক্ট করলো।
-বাট ফাইনাল সিলেকশন তো আপনাকে বা আমাকে করতে হবে স্যার। আর আমি তো...
-ওফফফফ।
-সরি স্যার।
-ওকে ফাইন। আমি হাফ এন আওয়ার পরে আসছি। সবাইকে ওয়েট করতে বলো। আর হ্যাঁ সবার একসাথে ভাইভা নেয়া হবে। তাতে যে সিলেক্ট হবে সেই ফাইনাল। দিহান সিলেক্ট হলে তো ভালোই। না হলে আর কিছু করার থাকবে না। আর সিলেকশনের সময় তুমিও থাকবে না। ওকে?? গেট ইট??
-ইয়েস স্যার...
-ওকে।। আম কামিং....
রাহাত শাওয়ার নিয়েই গাড়ি ছুটিয়ে মায়ার ফ্ল্যাটে এলো। বেশ অনেকক্ষণ ধরেই ফ্ল্যাটের কলিংবেল বাজিয়ে চলেছে রাহাত৷ দরজা খোলার নাম গন্ধও নেই। লকিং সিস্টেমটা এমন যে বোঝাই যায় না ভিতরে কেউ আছেকি নেই। তাই রাহাতও সিউর হতে পারছে না মায়া বা অন্য কেউ বাসায় আছে কিনা। বেশ অনেকটা সময় বাসার বাইরে দাঁড়িয়ে থেকে গেইটের কাছে ফিরে এলো রাহাত। এক তলা এক ফ্ল্যাটের বিল্ডিং বাসাটা। কাউকে যে জিজ্ঞেস করবে এমনও নেই আশেপাশে। ভাবতে ভাবতেই কেউ এসে সালাম ঠুকলো। লোকটাকে দেখে মনে হচ্ছে সিকিউরিটি গার্ড।
-তুমি??
-স্যার আমি এই সোসাইটির গার্ড। আপনাকে এই বন্ধ ফ্ল্যাটের সামনে দেখে কথা বলতো এলাম। কাউকে কি খুঁজছেন স্যার??
-ফ্ল্যাটটা বন্ধ কবে থেকে?? আর মায়া কোথায়!! ওর ফ্যামেলি!!??
-ফ্ল্যাটটা তো স্যার দু বছর আগে থেকেই খালি পড়ে আছে।
-মানে!!!
-মায়া ম্যাডামের বিয়ে হয়ে যাওয়ার পরই ম্যাডামের মা আর মিহান স্যার উনাদের আগের বাসায় ফিরে গেছে। সবাই বলেছিল থেকে যেতে। উনারা রাজি হয় নি। ম্যাডাম তো চাকরির খাতিরে ফ্ল্যাটটা পেয়েছিল। বিয়ের পর তাই চাকরিটাও নেই তাই উনারা আর থাকে নি। আর মিহান স্যারও নাকি একটা ভালো জব পেয়েছেন। উনাদের নিজের বাড়ি থেকে উনার যাতায়াত করতে সুবিধা হবে।
-শিট!!!! এতো কিছু হয়ে গেছে আমি জানিও না!!! ড্যাম ইট!! তুমি জানো মায়াদের আগের বাসাটা মানে নিজেদের বাসাটা কোথায়!!
-নাহ স্যার!
-আহ।। শিট!!!
-স্যার?? আপনি মায়া ম্যাডামের কে হন??
-আমি ওর কেয়ারলেস হাসবেন্ড।
রাহাত রাগের চোটে রাস্তায় পড়ে থাকা ছোট্ট একটা পাথরে জোরে লাথি বসিয়ে কথাটা বললো। গার্ড বেচারা ফ্যালফ্যাল করে রাহাতের দিকে তাকিয়ে আছে। আর রাহাতও কোনমতে গাড়িতে গিয়ে বসেছে। রাগসামলাতে না পেরে আবার স্টিয়ারিংয়ে জোরে একটা ঘুষি বসালো রাহাত। কাজের চাপের কারণে হোক বা অনিহার কারণে বিয়ের দুদিন পরে একদিনের জন্যই শুধু রাহাত মায়ার সাথে ওর মায়ের বাসায় বেড়াতে গেছে। তাও সেটা এই বন্ধ ফ্ল্যাটটায়। মায়ার মা আর ভাই যে এখান থেকে শিফ্ট করেছে এটা সে জানেই না। এরকম মায়ার জীবনের আর কত ঘটনা সে জানে না রাহাত ভাবছে। মায়াকে ফিরে পাওয়ার যে ছোট্ট একটা আশা ছিল সেটাও শেষ। ওর আগের বাসাটা কোথায় ছিল তার শুধু গলিটা চিনে রাহাত। এই ব্যস্ত শহরের ব্যস্ত গলির হাজারো মানুষের ভিড়ে কি করে খুঁজে পাবে তার মায়বতীকে!!
কিছু একটা মনে পড়তেই রাহাত অফিসে ফিরলো। রাহাত না জানলেও মায়ার পুরোনো বাসার ঠিকানা আরেকজন জানে অফিসের। তার কাছ থেকে নাকে খত দিয়ে হলেও ঠিকানাটা ভিক্ষে চাইবে রাহাত। যে কোন ভাবে মায়বতীর খোঁজ রাহাতের চাই। স্পিড বাড়িয়ে গাড়ি ছুটিয়ে অফিসে এলো রাহাত। সিলেকশনের কথাটা ভুলেই গিয়েছিল সে। রুমে ঢুকে পিয়নকে ডেকে পাঠানোর দু মিনিট পর ক্যান্ডিডেটরা রুমে ঢুকলো।
রাহাত মুখ তুলে সবাইকে দেখলো। পাঁচজন ক্যান্ডিডেট। সবাই ফরমাল গেটআপে। সবাইকে বসতে বলে একে একে প্রশ্ন করলো রাহাত। কোন সিচুয়েশনে কি করতে হবে এসব নিয়ে সবার সাথে কথা হলো। কে কোন বিষয়ে দক্ষ সেটাও জেনে নিল। পাঁচজনের মধ্যে একজনকে পোস্টটার জন্য দারুণ পছন্দ হলো রাহাতের। ফিট বডি, লম্বাচওড়া দেহ, অমায়িক মুখভঙ্গি-সব মিলিয়ে বেশ ছেলেটা। তার চেয়ে বড় কথা সে ক্যারাটে চ্যাম্পিয়ন-রেড বেল্ট উইনার। সিকিউরিটির ইনচার্জের দায়িত্বটা সে ভালোই পালন করতে পারবে বলে ধারণা রাহাতের।
বাকি চারজনকে বিদায় জানিয়ে ছেলেটার সাথে হ্যান্ডশেক করলো রাহাত।
-কংগ্রাচুলেশনস ব্রো। বাই দা ওয়ে- আপনার নামটাই জানা হয় নি।
-স্যার আমি দিহান আহমেদ।
-ওয়াও!! নাইস নেইম মিস্টার দিহান। বাই দা ওয়ে। এগেইন কংগ্রাচুলেশনস।
-থ্যাংক ইউ স্যার।
-ওয়ান পারসোনাল কোশ্চেন। আর ইউ মেরেড??
-আম....এখনো বিয়েটা হয় নি। চাকরিটা পেয়ে গেছি। শীঘ্রি বিয়েটা করে ফেলবো।
-তা ফিয়োনসে কি করে আপনার??
-একচুয়েলি। ও একটা কোম্পানিতে এম.ডি র পি.এ।
-কোন কোম্পানি??
-কোম্পানির নামটা আমি জানি না স্যার।
-হা হা হা। আচ্ছা।৷ আপনি দু মিনিট বসুন।
-জি স্যার??
-আরে বসুন মিস্টার দিহান।
দিহানকে বসতে বলে রাহাত হেসে ফেলে টেলিফোনে ১ প্রেস করে কল করলো। কল রিসিভ হতেই কিছু না শুনে ছোট্ট কয়েকটা কথা বলে লাইন কেটে দিল। কথাগুলো ছিল।
-রুমে এসো এক্ষুণি।
চলবে...........
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন