সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

"বাজির প্রেম"(পর্ব_ছয়)

- আরে বেটা দিবো দিবো। এখন ঘুমা।
কাল সকালে উঠতে হবে।(সাগর)
|
পঞ্চম পর্বের পর..............
|
পরের দিন সকাল ৪.৩০ টাই উঠে পরে সাগর! উঠে দীঘির পাড়ে রওনা দেয়, আর মনে মনে বলে___

"এই মেয়ের জন্য এত কিছু করলাম এত সকালে উঠতে হল যদি না আসে এই প্রিয়তি, তবে কিছু একটা করে ফেলবে মেয়েটাকে।"

৪.৫৫ টা__

ঘুম ঘুম চোখ নিয়ে উঠে বাইরে আসলো প্রিয়তি!সামনে  তাকাতেই দেখে সাগর দীঘির পাড়ে বসে আছে। প্রিয়তির টেন্ড  দীঘির অপর পড়ে বাঁধানো।

-" হাই!
হাত দেখিয়ে চেঁচিয়ে উঠলো প্রিয়তি,

-" হাই, চল যাই।
প্রিয়তি দেখে বেশ খুশি হয়ে বললো সাগর।

-" কিন্তু কোথায় যাবো আমরা!?😟

-" আমাকে বিশ্বাস করো?!

-" হুম করি করি তো।☺

-" আমরা বাইকে যাবো! আশাকরি গিয়ে আবার সময় মতো ঘুড়ে আসতে পারবো বলে আমার মনে হয়!

-" ওকে।
প্রিয়তি কিছুই বুঝতে পারছেনা সাগর তাকে কই নিয়ে যাচ্ছে। শুধু তার কথায় তাল মেলাচ্ছে!

প্রিয়তি বাইকের পিছনে  উঠে বসলো____

-" আমাকে ভালোভাবে ধরে বসো নইলে পরে যাবা,

-" নাহ, শুনো বেশি চিপকু হবে না, আর জোড়ে ব্রেক মারছ তো তোমার খবর আছে!
মুখটা একটু বাকা করে বললো প্রিয়তি!

-" ( মুচকি হেসে___ এত ফাপর যে কই থেকে পেল মেয়েটা!)

-" কিছু বললে তুমি?

-" না না কি বলবো। ওকে ভাল করে ধরে বসো আমি বাইক একটু জোড়ে চালাই!

-" আমি ভয় পাই নাকি!😒

রক্সি ফাকা রাস্তা পেয়ে বাইক ১৩০/ ১৫০ স্প্রিডে বাইক চালাচ্ছে।ওরে কে ধরে! ভোর বেলা রাস্তা আর কে থাকবে!!

-" আরে আস্তে আস্তে কি করছো! পড়ে যাবো তো।😨

-" তুমি বলে ভয় পাও না,এখন আবার এসব কি হচ্ছে হুম?

প্রিয়তি ভয়ে সাগরকে  পিছন থেকে চেপে ধরলো।এতে সাগর বেশ অসস্তি বোধ করছে! সে বাজি তো অনেক ধরছে কিন্তু কোনো দিন কোনো মেয়ে কে স্পর্শ করে নি কিছু করলে সবর্চ্চো হালকা ভাবে হাগ করছে এর বেশি কিছু না। সাগর জোড়ে বাইকটা ব্রেক করলো প্রিয়তি চোখ বন্ধ করে আরো জোরে আকরে ধরলো সাগর কে!😰

বাইক থেমে গেলে, প্রিয়তি সাগরকে  ছেড়ে দিয়ে ঠিক হয়ে বসে!সাগর একটা হাসি দিয়ে আবার জোড়ে বাইক চালাতে থাকে, আর প্রিয়তি আবার  জড়িয়ে ধরে......

এদিকে সাগর আনমনে  মুচকি হেসেই চলেছে! কিছুক্ষণ পর প্রিয়তি সাগরকে জিজ্ঞাসা করলো__

-" আর কত দূর?😣

-" চলে আসছি,আর একটু!
বলেই বাইক থামিয়ে ফেললো! আর একটা হাসি দিল। প্রিয়তি একটু অবাক হয়ে সাগরের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে।

বাইকটা সাইড করে রেখে সাগর বললো_____

-" তোমার হিল খুলো!

-" কেন খুলবো?😕

-" পরে যেতে পারো,তাই খুলতে বলছি।আর আকাশ মেঘলা দেখতে পাচ্ছি। যেকোনো সময় বৃষ্টি নামতে পারে!! তুমি আবার পড়ে গিয়ে ব্যাথা পেলে  তোমাকে টানতে পারবো না........😒

-" তুমি আমাকে মোটা বলছো।😭😭

-" আরে না আমি পাগল নাকি ?!তোমাকে মোটা বলে তোমার হাতে মাডার হতে চাইনা! আর এমন কথা তো আমি বলিনি!☹️

-" ইউউউউউউউ..........
-আস্তে করে একটা কিল মারলো সাগরের পিঠে!

-" আহহহহ লাগে তো.......
ওকে ওকে সরি এইবার হিল খুলে ফেলো আর  চোখ দুটো একটু বন্ধ করো দেখি!

-"চোখ কেন বন্ধ করবো।
চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে সাগরের দিকে!

-" উফফ, কত্ত প্রশ্ন করো!!😈

প্রিয়তি আর কিছু না বলে পা থেকে হিল গুলি খুলে চোখ বন্ধ করে ফেললো! সে বুঝতে পারছে না কি হচ্ছে এসব!
একটু পরেই হাত গুলি একটু ফাঁক করে দেখার বার্থ চেষ্টা করতেই সাগর ওর হাত প্রিয়তির চোখের উপর চেপে ধরলো!

-" চিটিং করা হচ্ছে বুঝি? এবার দেখি কিভাবে চিটিং করো!😁

-" আরে আরে আমি পরে গেলে।😭

-" আমি তোমাকে ধরে রাখছি তো। ভয় নেই!

-" সেটাই তো সবচে বড় ভয়!(প্রিয়তি)

-"হুম,আর কথা না বলে, হাটতে থাকো!

-" হুম চলছি তো!

একটু সামনে যেতেই  প্রিয়তির চোখ থেকে সাগর হাত সরিয়ে নিলো।প্রিয়তি এখনও চোখ বন্ধ করে আছে!

-" হুম,এবার চোখ খোল,আর সামনে তাকাও।

প্রিয়তি চোখ খুলে সামনে তাকাতেই থ হিয়ে যায়!
আকাশ জুড়ে কাল মেঘ!আর যদ দূর চোখ যাই শুধু সবুজ আর সবুজ। হৃদয় মাতানো ঘ্রাণ নিয়ে বাতাস বয়ে চলেছে! সামনে বসার মতো একটা ব্রেঞ্চ দেখেই দৌড়ে গিয়ে টুপ করে বসে পরলো প্রিয়তি!

সাগরের হাত ধরে হাসতে হাসতে বলছে____

-" ওয়াওওওওওওও! উফফফ, কি সুন্দর জায়গা! তোমাকে কি বলে যে ধন্যবাদ দিবো!ওয়াওওও, আমার দেখা সবচেয়ে সুন্দর প্লেসস😍। চার পাশটা কত সুন্দর।। আকাশের দিকে তাকাও, এমন মনে হচ্ছে হাত বাড়ালেই যেন মেঘ ছোয়া যাবে।😍😍
তুমি আগে অনোনি কেনো আমাকে এখানে?!

সাগর প্রিয়তির এমন বাচ্চামি হাসি মাখা মুখ দেখছে আর  হাসছে______

-" তোমাকে আমি কি বলে যে ধন্যবাদ দেই! থ্যাংক ইউ সাগর।

-" আরে পাগলী তোমাকে সূর্য দয় দেখানোর জন্য নিয়ে আসছিলাম বাট আকাশ মেঘলা হয়ে গেছে।😒
এখন থেকে বেশ ভালোভাবে দেখা যায়। আগেও এসেছিলাম আমি। ভাবলাম তোমাকেও দেখানো যেতে পারে!কিন্তু__

-" আরে তাতে কি এইটা কি দেখতে খারাপ নাকি দেখতো কত সুন্দর লাগছে,আমি অনেক খুশি!

-" তোমার ভাল লাগছে?

-" সেইটা আর বলতে!

হঠাৎ সাগর প্রিয়তির পাশে গিয়ে বসে ভাঙ্গা গলায় গান গাইতে শুরু করলো..........

তোমার পথে পা মিলিয়ে চলা,
তোমার হাতটি ধরে বসে থাকা,
আমার আকাশে তোমার নামটি লেখা,
সাদার আকাশে কালো আপছা বোনা।
________

তোমাই নিয়ে আমার লিখা গানে,
অযথা কত স্বপ্ন বোনা আছে।
আমার হাতের আঙ্গুলের ভাজে,
তোমাকে নিয়ে কত কব্য রটে হে,
ভুলি নি তো আমি তোমার মুখের হাসি।
আমার গাওয়া গানে তোমাকে ভালবাসি
আসো আবারো কাছে হাত টা ধরে পাশে
তোমাই নিয়ে যাবো আমার পৃথীবি তে।

প্রিয়তি নিচে তাকিয়ে চোখ বন্ধ করে গান শুনছিল. গান শেষ হবার পর প্রিয়তি সাগরের দিকে তাকিয়ে একটা মায়া ভরা হাসি দিল_____

-"গতকাল গানটা অর্ধক ছিল, আজ পুরোটা!

-" তাই নাকি? নাকি প্লেস খুজছিলা গানটা শেষ করার জন্য?
সাগর মাথা চুলকালো,
প্রিয়তি একটা হাসি দিয়ে বললো____

-" সুন্দরর ছিল।😍

-" থ্যাংকস!চল এবার উঠি বৃষ্টি আসলে ভিজে যাবে।

-" প্লিজ আরেকটু থাকি না! ভাল লাগছে তো।( হঠাৎ মেঘ গর্জন দিয়ে উঠলো প্রিয়তি সাগরের হাত চেপে ধরলো। যা সাগরের ভিতরে এক অনুভুতির কড়া নাড়লো! সাগর সেটাকে ইগনোর করলো। তারপর বললো__

-" এইবার তো যাবে!দেখ তুমি নিজেই ভয় পাচ্ছো।

-"  হুম চল।😒
হাত সরিয়ে নিয়ে বললো।

তারা পাহাড় থেকে নিচে নেমে আসলো!
সাগর বললো___

-" ওয়েট আমি সজল কে ফোন দেই!😰
বলে পকেটে হাত দিতেই দেখে ফোন নাই! উফফ শিট ফোনটা কোথাও পরে গেছে হইতো😫

-" ওয়েট, আমি ফোন দেই সুমি কে!
বলতেই প্রিয়তির মনে পড়ে সে ফোন আনেনি!

-" আচ্ছা লাগবেনা। বাইকে ওঠো।

তারা সেখান থেকে রওনা দিলো! কিছু দূর গিয়ে হঠাৎ বাইক থেমে গেলো!

-" কি হলো? থমকে কেনো আবার?
ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করলো প্রিয়তি!

সাগর মিটারের দিকে দেখিয়ে বললো__

-" তেল শেষ!

-" কিহ্!!  বাইকে তেল আছে নাকি চেক করে উঠতে পারো না? যত্তসব!
বেশ রেগে বললো প্রিয়তি।

-" এই যে হ্যালো মেডাম।  সবসময় অন্যকে দোষ দিবেন না বুঝলেন?

-" কি করবে তাড়াতাড়ি কর। আমাদের ক্যেম্পে ফিরতে হবে। এখনি!!!
রেগে ফুঁসতে ফুঁসতে বললো প্রিয়তি।

-" উম্মম্ম ঢং দেখ!!তোমার এত তাড়া আছে, আমার বুঝি  নাই?!  চুপ করে দাড়াও, দেখি কি করা যায়!

সাগর বেশ কিছু ক্ষণ দাড়িয়ে থেকে অন্যদের থেকে লিফট চাইলো কিন্তু কেউ তার দিকে ফিরেও দেখছে না! পরে এক সাইকেল চালক কে দেখে ডাক দেয়____

-" ওওও ভাই।। ভাই একটু শুনবেন?!

-" কি ভাই!
রুশ গলায় বলল লোকটা!

-" ভাই এইখান থেকে পেট্রোলপাম্প কতদূর বলতে পারেন?

-" ভাই এই রাস্তা দিয়ে দুই কিলমিটারের পথ গেলেই দেখতে পাবেন!

-" কিইইইইই!!কিন্তু আমরা তো এই দিকে যাবো।

-"  এইদিকে আছে, কিন্তু অনেক দূর হবে এদিক দিয়ে কাছে হবে!

-" ওকে ভাই ধন্যবাদ, তো চলেন মিস___
প্রিয়তির দিকে তাকিয়ে বলল সাগর।

-" ওরে বাব্বাহ,এত দূর আমি হাটতে পারবনা।
এত হাটলে আমার পা শেষ!😭😭

-" হ্যেএএ কে  বলছে, তুলার পা বানাতে?

-" কি আজব! আমার সাথে এমন করে কথা বলছো কেন।😤

-" তো কি ভাবে বলবো! চলো, এইভাবেই  হেঁটে যেতে হবে।😏

-" দোষ তো নিজের! আমাকে এইখানে নিয়ে আসছে।  আর উল্টা আমাকে ঝাড়ি দিচ্ছ! সাহস কত।😒

-" একটু আগেই তো লাফালাফি করছে কত্ত সুন্দর কত্ত সুন্দর! আর এখন সব দোষ আমার তাই না?!

-" সে জন্য থ্যাংকস দেওয়া হয়ছে, আর কত বার দিবো? থ্যাংকস, থ্যাংকস ,থ্যাংকস,  হয়ছে?😒
নাকি আরো দিবো?

-" উফফফ ওকে ওকে আমার মা!এখন চলো! তুমি খুব ঝগড়ুটে।😒

-" এই কি বললে? আমি ঝগড়ুটে😡

-" ওকে ওকে সরি🙏🙏

(মনে মনে বলছে__উহ, সাগর এ তুই কারে নিয়ে বাজি ধরছিস! এক নাম্বারের ঝগড়ুটে। উফফ এর সাথে কিছু ক্ষন থেকে মাথা শেষ এখনো কতটা পথ আল্লাহ  রক্ষা কর।)

বেশ কিছুখন হাঁটার পরেই প্রিয়তি রাস্তাই বসে পড়লো।

-" আমি আর হাটতে পারবো না। আমার খুদা লাগছে! পা ব্যথা করছে। আর খালি পায়ে তো আরোই পারবো না হাটতে।
সাগর ক্ষুধা লাগছে খুব😭😭

-" এই তো শুরু মেয়েদের ঢং( মনে মনে) এই বেড়াতে আসছো, না হাটলে  হবে?!আর ক্ষুধা আমারো লাগছে বুঝলে।😒

-"  উফফ ,আমি জানি না। আমি আর পারবো না হাটতে।

সাগর পাশে তাকাতেই একটা চায়ের দোকান দেখতে পেল!প্রিয়তি বললো___

-" এসো চায়ের দোকান বসে আরাম করা যাবে। তার পর নাহই___

প্রিয়তি কষ্ট করে উঠে যেতে লাগলো।হঠাৎ মুষল ধারে বৃষ্টি! প্রিয়তি  হাটতে পারছে না  একদম!
সাগর দ্রুত বাইক নিয়ে দৌরে টি স্টলের সামনের ঝাঁপিয়ে আশ্রই নিলো! সেইখানে দাড়িয়ে পিছনে দেখে প্রিয়তি নেই! মাথা টা একটু বাইরে বের করে দেখে___
প্রিয়তি হাটতে পারছে না। সাগর আবার বের হয়ে দৌড়ে গেল প্রিয়তির কাছে। আর তাকে কোলে উঠিয়ে নিল।প্রিয়তি সাগরের এমন কান্ড দেখে  অবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছে। তারপর সাগর প্রিয়তিকে চায়ের দোকানের ভিতর এনে বসালো। প্রায় ভিজে গেছে দুজনই!

ভিতর থেকে,এক বৃদ্ধা দেরিয়ে এলেন!

-" আরে বাবা তোমরা তো ভিজে গেছো দেখি!
খুব স্বাভাবিক ভাবেই বললেন বৃদ্ধা!

-" কি করবো দাদু! এমন ভাবে হঠাৎ বৃষ্টি নামলো!!

-"বাবা ভিতরে এসো,আমি এইখানেই থাকি!
বলে দোকানের ভেতরে সরু দরজা দেখিয়ে দিলেন।
ওনার বাড়ির সাথে লাগানো ছোট্ট একটা টি স্টল!

-" না না দাদু, আপনাকে কষ্ট দিতে চাই না! আমরা এখানেই ঠিক আছি। বৃষ্টি একটু কমলেই আমাদের যেতে হবে।
সাগরের এমন কথা শুনে প্রিয়তি সাগরকে পোক করলো____

-" বাবা নিজের কথা নাই ভাবলে__ বউটার তো অসুখ করবে! ওকে ভিতরে নিয়ে এসো। বৌমা ভিজে গেছে তো!

-" সেটা না  দা......
প্রিয়তি সাগরের কথা না শেষ করতে দিয়েই বললো___
-" হুম দাদু। আমার খুব ঠান্ডা করছে। তুমি কি গো নিজের বউটার যত্ন নিতে শিখ বুঝছো?
সাগর দিকে তাকিয়ে একটা রাজি লুক নিয়ে বললো প্রিয়তি!

এমন কথায় সাগর একটু ভেবাচেকা খেয়ে গেলো! প্রিয়তির দিকে ছাগলের মতো তাকিয়ে আছে!
একটু পর মাথা নাড়িয়ে হ্যা বলল......

-" বৃদ্ধা তার ওয়াইফ কে ডাকলো!
কই গো শুনছো একটু বাইরে এসো তো....

একটু পরেই একজন মহিলা বেরিয়ে এলেন। মনেই হচ্ছেনা,ইনি এই দাদুর ওয়াইফ! সাগর সেটাই ভাবছে।

ওনার পরিচ্ছেদ  একটু ভিন্ন টাইপ! ব্লাউজ ছাড়া শাড়ী পড়ছেন! একটু আজবো লাগছিল দেখতে।
আসলে পাহাড়ি এলাকার মানুষদের পোষাক টাই এমন।  তাই সাগর তাকালো না ওনার দিকে_____

ওনি সাগরের  দিকে একবার তাকিয়ে ওনার হাসব্যান্ড কে বললেন____

-" কি হয়ছে।☺

-" বউটারে ভিতরে নিয়ে যাও! বেশিক্ষণ এভাবে থাকলে ঠাণ্ডা লেগে যাবে!

-" ওমা😱 বউটা কত্ত সুন্দর!! তোমাদের দুই জনকে বেশ মানিয়েছে বাবা।

ওনার কথায় সাগর কি বলবে বুঝতে পারছে না। হা করে তাকিযে আছে!

উনি প্রিয়তিকে ভিতরে নিয়ে গেলেন! আর সাগর  দোকানে  বসে আছে।কিছুক্ষন পর মহিলা সাগরকে ডাকলেন! সাগর ভিতরে গেলে মহিলা ওকে একটা তোয়ালে দিয়ে বলল____

-" বাবা, এই সময় কখন বৃষ্টি আসে বোঝা যায় না।
আর কখন থামবে,সেটাও নাজানা! তোমরা বৃষ্টি না থামা পর্যন্ত এখানে থেকে যাও। আমি তোমাদের জন্য রান্না করছি।

চলবে........

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

নিষিদ্ধ ভালোবাসা(পর্ব ০৯)

RM ,,পূর্ববর্তী পার্ট গুলি পেতে অমার টাইমলাইন  ভিজিট করুন,, কতক্ষণ ঘুমিয়ে ছিলাম সেটা মনে নেই। চোখ খোলে যখন মাথার পেছনে সজোরে এক থাপ্পর খাই। ঘুম ঘুম চোখে চারদিকে তাকিয়ে দেখি যে কে আমাকে চড়টা মারল। আমি দেখলাম যে আমি উঠানের মাটিতে পড়ে আছি, পায়ের কাছে মাটিতে সুব্রত পড়ে আছে। আমি ওপর দিকে তাকিয়ে দেখতে চেষ্টা করি যে কে আমাকে চড়টা মারল, আমি অবাক হয়ে দেখি যে ইন্দ্রানি মাসি আমাদের দিকে কটমট করে তাকিয়ে আছে। আমার দিকে তাকিয়ে চেঁচিয়ে বলে ওঠেন “শুয়োর গুলো এখানে শুয়ে? আর আমারা তোদের দু’জনকে সারা বাড়িতে হন্যে হয়ে খুঁজছি। তোদের কি কোন বোধ বুদ্ধি নেই?” আমি সুব্রতর কাঁধ ঝাঁকিয়ে উঠিয়ে দিলাম, সুব্রত আর আমি দুজনেই উঠে পড়লাম মাটি থেকে। আমি কাতর চোখে ইন্দ্রানি মাসির দিকে চেয়ে বললাম “সরি মাসি। ভুল হয়ে গেছে, কাল রাতে একটু বেশি হয়ে গেছিল।” চেয়ারের ওপরে মদের বোতল আর গ্লাসের দিকে ইন্দ্রানি মাসির চোখ পড়ে যায়, তাড়াতাড়ি করে চেয়ারের ওপরে নিজের শাল ফেলে দিয়ে ঢেকে দেয় গ্লাস আর বোতল। ঠিক সেই সময়ে পেছন থেকে অনেক গুলো পায়ের আওয়াজ পাই। মাসি সবাই কে বলে “এই ছেলে দুটো সারা রাত...

নিষিদ্ধ ভালোবাসা(শেষ পর্ব)

RM কিছুদূর যেতেই  একটি জায়গায় গাড়ি দাঁড় করায় বল্বিন্দার, বলল যে গাড়িতে তেল ভরতে হবে। গাড়ি থামার সঙ্গে সঙ্গে পরীর ঘুম ভেঙে যায়, আমার দিকে তাকিয়ে বলে “কতক্ষণ ঘুমিয়েছি আমি?” আমি বললাম “বেশীক্ষণ ঘুময়নি তুমি” “আমরা থামলাম কেন?” “তেল ভরার জন্য।” “আর কত দেরি পৌঁছতে?” আমি পেট্রল পাম্পের লোকটাকে জিজ্ঞেস করলাম যে জিওরি থেকে চিতকুল কতক্ষণ লাগবে পৌঁছতে। লোকটা আমায় জানাল যে আরও ঘন্টা চারেকের রস্তা বাকি। লোকটা আরও জানাল যে কারছাম ব্রিজের পরে রাস্তা খুব খারাপ। বল্বিন্দার আমাকে বলল যে ও রাস্তা জানে, কোন চিন্তা করতে বারণ করল আমাকে। পরী হিন্দি বিশেষ ভালো করে বোঝেনা তাই আমাকে জিজ্ঞেস করে যে বল্বিন্দার কি বলল। আমি রাস্তার কথাটা চেপে গেলাম, জানালাম যে কোন কিছুর জন্য চিন্তা না করতে। ঘড়ির দিকে তাকালাম, আড়াইটে বাজে তখন, তারমানে চিতকুল পৌঁছতে সন্ধ্যে হয়ে যাবে। একে শীতকাল তায় আবার পাহাড়, এখানে রাত সমতলের চেয়ে একটু তাড়াতাড়ি নামে। জিওরি ছাড়ার কিছু পরেই পরী বলল যে ও আর ঘুমোতে চায় না, বাইরের দৃশ্য দেখবে। আমি বললাম ঠিক আছে। কিছু পরেই সূর্য পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়ে। যখন আ...

"এক অপরিচিতা"(পর্ব: ছয়)

লেখক:আসিফ ইকবাল! "আগের পর্ব গুলো আমার টাইমলাইনে বিদ্যমান" পঞ্চম পর্বের পর থেকে..... ___আরে বাহ, আপনি নিজের বউ কেই চিনতে পারছেন না!       এবার তো বলবেন গতকাল আপনি আমাকে বিয়েই করেন              নি। হম,সেটাও বলে ফেলেন না! দেরি কেনো? ওর এতগুলি কথার পর বুঝতে পারলাম,এটাই আমার অপরিচিতা,কিন্তু ও আজকে নিকাব পড়েনি। হিজাব পড়েছে। তাই চিনতে পারিনি। মুখ দিয়ে কিছু বের হচ্ছেনা। শুধু ওর দিকে তাকিয়ে আছি। আমার বউটা অনেক কিউট। সকাল বেলা যে আমার জন্য এরকম একটা সারপ্রাইজ আছে সেটা ভাবিনি!      ____কি!আপনি কি এভাবেই তাইকে থাকবেন? নাকি উঠেবেন। জলদি উঠে ফ্রেশ হোন।(তাফা) ____তুমি আজকে নিকাব পরোনি যে! ____আপনি তো আমার বর!আপনার সামনে নিকাব পড়তে হবে কেনো?(তাফা) বলে.....একটা হাসি দিয়ে চলে গেলো। এই প্রথম ওর হাসি দেখলাম। আর সেটা আমাকে রীতিমতো পাগল করে দিয়েছে। আর দেরি করলাম না। জলদি বিছানা ছেড়ে ফ্রেশ হতে চললাম। তাফা,,, তাফা! কই তুমি?........ "এইতো কিচেনে,কি হোয়েছে..... তাফা কিচ...