সাগর স্যার কে বলে বাজারে গেল তারা,সাথে সজল ও আছে! একটা গিটার কিনেলো!! তার গিটার টা ফেলে আসছে।
প্রথম দিন সবাই অনেক ক্লান্ত তাই আর ঘুড়াঘুড়ি হলো না।সবাই বিশ্রাম করছে! পরের দিন সবাই ঘুড়তে গেল।
- হাই প্রিয়তি! উফফ শুধু ভুলে যাই,আসসালামু ওয়ালাইকুম।।(সাগর)
- ওয়ালাইকুম সালাম।
- heyy প্রিয়তি আমরা কি ফ্রেন্ড হতে পারি।😄😄
- না, রাস্তা মাপেন😒
- আজোব মেয়ে তো তুমি এমন আচারন কেন কর।(সাগর)
- আমি এমনি সমস্যা??আমি আপনার হাতে পায়ে ধরি নি যে আমার সাথে কথা বলুন! আমার সাথে মিশতে আসবেন না খবরদার।😠
- হাই সুমি,,, তুমি কই ছিলে এতক্ষন?(সাগর)
- সজলের সাথে গল্প করছিলাম।(সুমি)
- হুম,She is so cute!!(সজল)
- ঠিক বলছিস সুমি আসলেই কিউট! এই সব ঘার তেড়া মেয়ের ফ্রেন্ড কি করে যে এত্ত ভালো হয় বুঝি না।😁😁😁
- ( প্রিয়তি রাগী একটা লুক নিয়ে তাকিয়ে আছে সাগরের দিকে!)
- opss বেশি বলে ফেলছি! সরি, সজল চল জান নিয়ে কেটে পরি এইখানে থাকলে মাডার হতে পারি।😁
(তারা দুই বাদর হাসতে হাসতে চলে গেল।)
- তরে না আমি বলছি ওদের সাথে মিশবি না।😣(প্রিয়তি)
- ওকে ভাল লাগে যে, তাই কথা না বলে থাকতে পারি না।😟(সুমি)
- ওদের সাথেই থাক আমি তোর কেউ না যা।😏
- তুই আমার সব কিছু প্রিয়তি, ওকে তুই যখন চাচ্ছিস না আমি ওর সাথে না মিশি! তো মিশবো না। খুশি???
-( সুমির হাত ধরে) অনেক খুশি।
সাগর দূর থেকে প্রিয়তি কে খেয়াল করছে প্রিয়তি মাঝে মাঝে সাগরের দিকে তাকাচ্ছে কিন্তু স্বাভাবিক ভাবে না। তাকালে মনে হচ্ছে তাকে খেয়ে ফেলবে। সাগর নিজের চোখ সরিয়ে নিচ্ছে_____
ঘুড়তে ঘুড়তে দুপুর হয়ে এল ,তারা একটা চায়ের দোকানে বসে আছে।। কিছুক্ষন বসে সবাই জিরিয়ে নিয়ে আবার হাটতে শুরু করে। তারা একটা উচু জাইগাতে যাচ্ছে। প্রিয়তি সামনে সুমি পিছনে তার পর সাগর তারপর সজল। হঠাৎ সজল একটা কথা বলল যা শুনে সাগর হাসতে লাগলো। আর বলল_____
- করতে কেমন জানি না, দেখতে কিন্তু জোস কি বলিস!
- হু ব্রো জিনিস টা দেখতেই ভাল লাগছে ,মনে হচ্ছে তাকিয়েই থাকি।
ওদের কথা শুনে প্রিয়তি উপরে উঠা থামিয়ে দিল__
- সুমি থাম(প্রিয়তি)
- কি হল আবার ?(সুমি)
প্রিয়তি ঘুড়ে এসে সাগরের সামনে দাঁড়িয়ে বলল___
- এক থাপ্পড় দিবো মেয়েদের পিছনে এসে আজেবাজে কথা বলছেন আর ভাবছেন কেউ বুঝবে না।
আকাশ সজলের পিছনে ছিল প্রিয়তির এমন কথা শুনে ফিক ফিক করে হেসে দিল__
ব্যবহার টা সাগরের সন্মানে লাগছে রীতিমতো!
-যান আপনি আগে যান ওই সুমি তুই পিছনে আই।( সাগর কিছু না বলে উঠে গেল!)
এইবার সজল আগে গেল তারপর সাগর তারপর সুমি আর পরে প্রিয়তি।৩০ মিনিট হাটার পর একটা খাদ পড়লো! সবাই সাবধানে পেরিয়ে গেলো! ছেলেদের জন্য উঠা সহজ কিন্তু মেয়েদের জন্য ব্যাপারটা মুস্কিল! সাগর উপরে উঠেই পিছনে তাকিয়ে দেখে সুমি উঠার চেষ্টা করছে!সাগর হাত বারিয়ে দিল____
- আমাকে ধরে উঠে এসো!
- ( উপরে উঠে গেল) থ্যাংকস সাগর!(সুমি)
সুমি কে উঠনোর পর প্রিয়তি তার হাত বাড়িয়ে দিল!কিন্তু সাগর হাত বাড়িয়ে দিয়ে আবার সরে গেল! সজল হাত বাড়িয়ে দিল____
- উঠে এসো___(সজল)
- দরকার নাই আমি নিজেই উঠতে পারবো।😒
সজল আর কিছু না বলে চলে গেল। প্রিয়তি সাগরের দিকে তাকাচ্ছে মাঝে মাঝে! সাগর একবারও প্রিয়তির দিকে তাকালো না। সবাই সেখানে বসে প্রকৃতির সুন্দর্য দেখেল আর দুপুরের খাবার খেয়ে যে যার মতো আনন্দ নিচ্ছে। সন্ধ্যাই তারা হোটেলে ফিরে গেল।
সবাই ফ্রেস হয়ে রেস্ট নিচ্ছে। হঠাৎ সাগরের রুমের দড়জাই নক শুতে পেল!!দড়জা খুলতেই দেখে আকাশ!!!!
- হাই ব্রো।(সাগর)
- হাই,,(আকাশ)
- ব্রো বিয়ার কই।😀
- সেইটা দেবার জন্যই আসছি।
- থ্যাংকস ডুড,, আসলে কি বলতো বাজির জিনিস বাকি রাখতে হয় না।😂
- হুম ঠিক বলছো তাই নগদে পরিশোধ করছি তুমিও করে দিয়।😁
- আমি,, কি পরিশোধ করবো।
- প্রিয়তি তোমার সাথে যেমন যে ব্যবহার করলো না!! তাতে মনে হয় না সে___
- আরে ব্রো টেনশান নিও না. আল ইজ ওয়েল।
- ওকে গুড নাইট।
আকাশ চলে গেল। সজল ওয়াশ রুম থেকে বের হয়ে___
- আরে বাসসসস বিয়ার!! তাইলে সালা তার হারা বাজি পরিশোধ করছে।
- ইয়াআআ ব্রো (কেচ ইট,,)
- রাতে জমবে ভাল, কি বলিস।
-ওই মেয়ে আমারে চর মারার জন্য হাত তুলছে না। ওর এমন অবস্থা করবো যখনি সে ওর হাত দেখবে আমার কথা পড়বে। আমার দিকে হাত তুলার স্বাদ আমি মিটিয়ে দিবো।
- ভাই আমার ভয় লাগছে কি করবি তুই?কি বলছিস এসব?
- রিলাক্স ডুড! এই টা ভালবাসারি একটা অংশ!হাহাহা___
পরের দিন সকাল থেকে বৃষ্টি তাই কেউ বের হতে পারছে না। ১১ টাই বৃষ্টি থামে তাই সব স্যার রা ঠিক করল আজ তারা বাইরে থাকবে সবাই। এই জন্য প্রয়োজনীয় সব নিয়ে ঘুড়তে বের হল।
দূরে একটা ঝর্না আছে!ওটাই দেখতে এসেছে সবাই!
- এত সুন্দর জিনিস দেখতে কার না খারাপ লাগবে,(সুমি)
- ঠিক বলছিস আসলেই সুন্দর।(প্রিয়তি)
তারা দুই জন একটা পাথরের উপর উঠলো উপর থেকে এই মনোমুগ্ধকর প্রকৃতি দেখার জন্য। হঠাৎ সুমি পিছন থেকে ডাকে প্রিয়তি সুমির দিকে ঘুড়তেই পা স্লিপ করে!!!
প্রিয়তি পরে যেতে লাগে এমন সময় সাগর এসে প্রিয়তির হাত ধরে এবং হাত ধরে টান দেই প্রিয়তি এসে সাগরের বুকের উপর এসে পরে!
সাগর কিছু না বলে চলে যেতে লাগে এমন সময়__
- থ্যাংকস সাগর(সুমি)
- আজ বৃষ্টি হয়ছে সব জাইগা পিচ্ছিল এত উচু হিল পরার কি দরকার। বৃষ্টি পূর্ণ এলাকাই আসছো সে ভাবেই চলো। উচু হিল পরে সোঅফফ করা দরকার নাই।(সাগর প্রিয়তির দিকে তাকিয়ে বলছে) এইবার আমি ছিলাম পরের বার যে থাকবো এর কোনো গেরেন্টি নাই। হিল খুলে হাতে নিয়ে চল!!
বলে সাগর চলে গেল প্রিয়তি সাগরের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে।
- তুই ওরে যতটা খারাপ বলছিস সে ততটা খারাপ না বুঝলি? গাধা কোথাকার!!(সুমি)
প্রিয়তি কিছুই বলল না। প্রিয়তি খালি পায়ে হাটতে কষ্ট হয় তাই সে সবার পিছনে পরে গেছে। সাগরও ধিরে হাটতে যাতে সে প্রিয়তিকে একটু একা পায়। অবশেষে সবাই আগে গেল সজল সাগর আর প্রিয়তি পিছনে। হঠাৎ প্রিয়তি একটা চিৎকার আহহহহ, বলে বসে পরল, সাগর দৌড়ে গেল___
- কি হয়ছে।
- আমার পা।
সাগর পা উঠিয়ে দেখে পায়ের ভিতর একটা ইটের টুকরা ঢুকে গেছে,বেশ রজত ঝরছে!!
- আরে আরে তুমি নড়ো না! এটাকে বের করতে হবে!
প্রিয়তির খুব কষ্ট হচ্ছিল ! পরে সাগর ইটের টুকরা উঠিয়ে সজল কে বললো ফাস্ট এইড বক্স আনতে। অতঃপর ক্ষতস্থান ড্রেসিং করে দিল। প্রিয়তি সাগরের দিকে তাকাই আছে!!
-(সাগর নিজের জুতা খুলে দিল) এইটা পর আরাম পাবা।
প্রিয়তি কিছুই বলল না চুপচাপ জুতাটা পরে খোঁড়াই খোঁড়াই হাটছিল।
- তোমার কি হেল্প লাগবে।(সাগর)
- না,(প্রিয়তি)
সাগর আর সজল আগে চলে গেল পছনে একবার ঘুড়েও তাকালো না ! প্রিয়তি আস্তে আস্তে হেটে যাচ্ছে,! বিকাল বেলা ঠিক হল কোথায় ক্যেম্প বানানো হবে!একটা বড় দিঘী সামনে ক্যেম্প করলো সবাই! ক্যেম্প বানাতে সন্ধ্যা! এদিকে প্রিয়তি নিজের পায়ে ক্ষত ঠিক মত পরিস্কার করে নিল। এখন সে একটু হাটতে পারছে।
একটু একটু ঠান্ডা আবহাওয়া কারন সেখানে অনেক সুন্দর বাতাস। প্রিয়তি আর সুমি বসে গল্প করছে।
তার কিছু দূর সাগর আর সজল বসলো
সাগর সুমি কে টেক্সট করল____
- সুমি প্রিয়তিকে পানিতে ফেলে দিতে পারবা?
-( টেষ্ট দেখে চোখ কপালে উঠে গেল সুমির!! লিখলো__) তুমি পাগল হয়ছো দিঘি কত গভির তুমি জানো? ও ডুবে যাবে!এমনিতেই কত্ত ঠাণ্ডা!
- আরে না,ডুববে না আমি আছি না।তুমি ফেলে দাও।😁
- না না আমি পারবো না।😰
- ঠীক আছে আর কথা বলবা না আমার সাথে!😡
- এই না ওকে ওকে দেখছি কি করা যায়!
- ঐ ঘুড়তে এসে কিসের ফোন একদম ফেলে দিবো কিন্তু।😠😠
- না না দোস্ত সরি। আচ্ছা প্রিয়তি এই পানি কত গভির হবে??
- হবে হয় তো অনেক।।😊
- হুম আমারো মনে হয় তাই। চল উঠি।😅
- হুম চল,ঠান্ডা লাগছে।😒
প্রিয়তি উঠে দাড়ালো! সুমি ভাবছে কিভাবে প্রিয়তি কে ধাক্কা দিবে,ফ্রেন্ড তো!! এর ভিতর হঠাৎ পানিতে কিছু পরার শব্দ! সুৃমি তাকিয়ে দেখে প্রিয়তি!
পানির ভিতর পরে পানি খাচ্ছে আর ডুবে যাচ্ছে।
সুমি পাশে তাকাই দেখে সজল_____
- আরে প্রিয়তি😰😰 এইটা তুমি কি করলে? হাদরাম!😤
- কি আবার করলাম!তাকে ধাক্কা দিলাম সে পরে গেল।এতে আমার কি দোষ!!(সজল)
- আরে ওরে কেউ বাচাও।😭
-( সাগর হাসতে হাসতে নিজের শার্ট খুললো😁) আরে এত টেনশান করো না। টেনশান লে না নাহি দেনেকা হে,😂
বলে সাগর পানি তে ঝাপ দিল। কিছুক্ষন পর প্রিয়তি কে পানি থেকে উঠিয়ে পাড়ে আনলো___
প্রিয়তি অজ্ঞান হয়ে গেছে পানি খেয়ে পেট ভরে গেছে!সাগর নাকের কাছে হাত দিয়ে দেখলো মরে গেছে নাকি দেখে না শ্বাস নিচ্ছ! ভাবছে এইটা মরলে তো আমার বাজি শেষ😰 সুমি প্রিয়তি বলে চিল্লাতে চিল্লাতে আসলো___
- উফফ এত চিল্লাচ্ছো কেন। ঢোল পিটাচ্ছো।😡
- না আসোলে😭😭(সুমি)
- চুপ করো মরে নি। ( প্রিয়তিকে ঠাসস ঠাসসস করে থাপ্পর দিল গালে____)
- আরে তুমি মারছো কেন।😟
- আরে থাপ্পাড় দিবো কেন! এখানে এসো! পেটে হাত দাও আর সামান্য চাপ দিতে থাকো( সুমি কথা মত কাজ করলো প্রিয়তির কিছুক্ষণ পর জ্ঞান ফিরল প্রিয়তির) তুমি যাও যাও।😜😜
- কেন।😟
- চুপ করতো তুমি সজলের কাছে দাড়াও😒( সুমি উঠে গেল)
প্রিয়তির জ্ঞান ফিরে সাগরকে দেখলো ভিজা শরীরে! বুঝলো তাকে সাগরেই বাঁচিয়েছে!!
- তুমি ঠিক আছো?😊(সাগর)
- ( মাথা ধরে উঠে বসলো) হুম ঠিক আছি। সাগর খালি শরীরে ছিল!! তাই তার দিকে তাকাতে প্রিয়তির একটু সংকোচ হচ্ছিল!!
প্রিয়তি উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে কিন্তু তার পায়ে ক্ষতটার জন্য। পারছিল না___
সাগর নিজের শার্টটা প্রিয়তির শরীরে জড়িয়ে দিয়ে, ওকে কোলে তুলে নিলো! তারপর ক্যম্পের দিকে যেতে লাগলো সজল আর সুমি মুচকি মুচকি হাসছে।সাগর তাকে নিয়ে যাওয়া! ব্যাপারটা আকাশের চোখে পড়লো! আকাশ জ্বলেপুরে শেষ😣। সাগর ক্যম্পের ভিতর প্রিয়তি কে সুয়ে দিয়ে কিছু না বলে চলে আসলো__
বাইরে এসে সবাই প্রশ্ন করলো কি হয়ছে।
সজল বলল - পানিতে পরে গেছে পা পিছলে।
সুমি সজলের দিকে তাকিয়ে হাসছে। তারপর সবাই বসে বসে গল্প করছে রাত ১০ টাই বের হয়ে আসলো প্রিয়তি।
- প্রিয়তি আই এইখানে বস আগুনের সামনে তাইলে আর ঠান্ডা লাগবে না।😊(সুমি)
-( বসলো) আচ্ছা শুন না সুমি আমার গালে কি হয়ছে দেখতো ব্যাথা লাগছে।😟😟
- কই দেখি( সুমি দেখে রক্সি থাপ্পড়ের দাগ উঠে গেছে সে এখন কি বলবে!) ওই মশা মশা কামড় দিছে সমস্যা নাই সকাল হতে হতে ঠিক হয়ে যাবে।😐😐
- (সজল হেসে দিল)
- ওই হাসেন কেন।😒
- গালে মশা কামড় দিলে তোমাকে দেখতে বেশি ভাল লাগে!😍😂😂
-( প্রিয়তি মুখ ভেংচি দিল)😏
সবাই রাতের খাবার খেয়ে ক্যম্পের সামনে মজা করছে,,সাগরকে কে সজল বলল- ভাই তুই এ কেমন প্রতিশোধ নিলি!? বেচারির গাল লাল হয়ে গেছে।😂
- আমি এমনি ভাই মেয়ের ফাপর যতদিন না যায়!😂(আকাশ সামনে দিয়ে যাচ্ছিল) আরে ব্রো কই যাও??
- ঘুম পাচ্ছে আমার,ঘুমুতে যাচ্ছি😊
- আরে ব্রো ঘুমানোর কি দরকার এসো গল্প করি! ঘুমানোর জন্য আসছি না কি।😂
- ওয়েট আসছি( আকাশ বিয়ারের বোতল হাতে নিয়ে আসলো) ব্রো এই যে নাও😊
- থ্যাংকস ডুড,, 😁 আজকে কখন জানি তুমি একটু জ্বলছিলে তাই না?? কেমন পোড়া পোড়া গন্ধ পাচ্ছিলাম।😂😂😅😂
- না ব্রো জ্বলবো কেন!? 😟😟ওকে তোমরা থাকো আমি যাই।😣( আকাশ উঠে চলে গেল)
-বেচারা😂(সাগর)
- চল দিঘীর পাড়ে যাই।সেখানে বসে বিয়ার খাবো।
- চল।😘
দুই জন বসে বসে হাসা হাসি করছে আর বিয়ার ইনজয় করছে। 😁এমন সময় সাগর খেয়াল করলো প্রিয়তি তার দিকে আসলো।
- সজল উ।😜(সাগর)
- কেন ভাই বিয়ার তো শেষ হয় নি।😟
- প্রিয়তি আসছে যা।😂
- (তাকিয়ে দেখে বলল) সালা মেয়ে দেখে ফ্রেন্ডদের ভুলে যাস,😠
- যাতো😏😏 ( সজল উঠে চলে গেল প্রিয়তি সাগরের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি দিয়ে ওর পাশে বসল)
- হাই।😇
- আসসালামু ওয়ালাইকুম,,😀(সাগর)
- ( প্রিয়তি হেসে দিল😀) ওয়ালাইকুম সালাম। কি করেন?😇
- দেখছি তো বসে আছি! মৃদু এই বাতাস ! আকাশের চাঁদ, তারা! এগুলুই দেখছি। পরিবেশটা কত শান্ত তাই না।😍
- হুম তা ঠিক।☺
- কিছু বলতে আসছেন?😊
- হুম আসছিতো!! আজ আপনি আমার অনেক হেল্প করছেন! আমার সেই ব্যবহার টা করা ঠিক হয়নি আসলে আমি মনে করছি আপনারা আমাদের দেখে বলছেন, কিন্তু আপনি যে পাহারের কথা বলছিলেন সেইটা সুমি বলল নিজেকে খুব ছোট মনে হচ্ছিল তাই ক্ষমা চাইতে আসছি।😞😞
- it's ok আমি মাইন্ড করি নি।😁
- তবে কি বুঝবো আপনি আমাকে ক্ষমা করছেন।😀
- জি,, 😄
- শুনছি আপনি ভাল গিটার বাজান।একটা গান শুনাবেন না??😊
- গান!? এখন না পরে!😄😁
- তার মানে ক্ষমা করেন নি।😕😕
- না করছি,, তো।😜
- তবে শুনাবেন বলেন?😀
- ওকে শুনাবো।😁
-( প্রিয়তি হাত বাড়িয়ে দিল)ওকে ফ্রেন্ডস।😇
-(মনে তো লাড্ডু ফুটছে😁) ওকে ফ্রেন্ডস তবে একটা কথা!?
- কি কথা?😟
-কাল ভোরে আমার সাথে এক জাগাই যেতে হবে যাবে??😉
- হারিয়ে যাবো! আমি কিছুই চিনি না।😟😟😟
- আমি চিনি, কাল ভোরে আমি এই খানে অপেক্ষা করবো যদি আসো তবে বুঝবো আমকে ফ্রেন্ড ভাবছো না আসলে নাই😒
-( মুচকি হেসে বলল, ওকে আসবো☺☺)
এর ভিতর সজল সাগরকে কে ডাকলো____
- ডাক পরছে তুমি যাও আমি আসছে।😁(সাগর)
- ওকে( প্রিয়তি উঠে চলে গেল)☺
সাগর বিয়ার শেষ করে আসলো সবাই আগুনের পাশে বসে বসে গল্প করছে।সাগর আসাতে সজল বলে উঠলো____
- আমাদের ব্রো আজকে আমাদের গান শুনাবেন! তালি হুপে!😁👏👏👏👏
- আরে না না🙀🙀(সাগর প্রিয়তির দিকে তাকালো প্রিয়তি ইসারাই বলল প্লিজ একটু। ☺সাগর রাজি হয়ে গেল! সুমি জিনিস টা নটিশ করলো) ওকেওকে আমি গাইবো সজল গিটার টা নিয়ে আয়☺
সবাই হুররেএএএ বলে চিল্লিয়ে উঠলো!সাগর গিটার নিয়ে বসলো, প্রিয়তির দিকে তাকাতেই প্রিয়তি মুচকি হাসি দিল যে সাগরের ভালো লাগলো!! সে প্রিয়তির দিকে তাকিয়ে গান শুরু করলো____
আমার সকল অভিযোগে তুমি
তোমার মিষ্টি হাসিটাকি আমি,,,
আমার না বলা কথার ভাজে
তোমার গানের কত সুর ভাসে,,
তোমাই নিয়ে আমার লেখা গানে
অযথা কত স্বপ্ন বোনা আছে,,,
আমার হাতের আঙ্গুলের ভাজে
তোমাকে নিয়ে কত কাব্য রটে হে,,
ভুলি নি তো আমি তোমার মুখের হাসি,
আমার গাওয়া গানে তোমাকে ভালবাসি
আসো আবারো কাছে হাত টা ধরে পাশে
তোমাই নিয়ে যাবো আমার পৃথীবিতে.......
গান শুনে প্রিয়তি নিচে তাকিয়ে একটা লাজুক হাসি দিলো___
- ব্যাস ব্যাস আমি এই টুকুই😁(সাগর)
সবাই হাত তালি দিল 👏👏👏 সুমি তো পুরাই ফিদাহ!!উঠে সাগরের কাছে গিয়ে বলল____
- ওয়াও তুমি কত সুন্দর গাও।😱😍
-থ্যাংকস☺
স্যার বলে,
ওকে অনেক রাত হয়ছে যার যার টেন্ড এ গিয়ে ঘুমিয়ে পরো যাও। সবাই চলে গেল সাগর আর প্রিয়তি সবার পরে____
- থ্যাংকস।☺
- কেন??
- আমাকে ক্ষমা করার জন্য(প্রিয়তি)
- আরে এমন কিছু না।
- অনেক ভাল গান করেন।😍☺
- গানটা তোমার জন্যই ছিল! আর আপনি না তুমি বলবা ঠিক আছে।☺
- থ্যাংকস, আমার জন্য গানটা গাওয়ার জন্য। গানটা আসলেই ভালই লাগছে।😍😊
- থ্যাংকস, ওকে গুড নাইট।(সাগর)
- গুড নাইট,,☺☺
সাগর রুমে গিয়ে সজল কে জড়িয়ে ধরলো!
- ব্রো বাজি আমার হাতে!! আর একটা দিন,তারপর প্রিয়তি নিজেই আমাকে ভালবাসি বলবে,😁
- কি বলিস সত্যি।😱😱(সজল)
- yessss ব্রো বলেছিলাম না আমি হারতে শিখিনি। এর ক্রেডিট তোরও আছে। থ্যাংকস😁😁
- রাখ তোর থ্যাংকস! সময় হলে প্রিয়তিকে আমার হাতে তুলে দিবি বুঝিছস।😒
- আরে বেটা দিবো দিবো। এখন ঘুমা।
কাল সকালে উঠতে হবে।😁(সাগর)
চলবে........
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন