"Bekhayali mein bhi tera hi khayaal aaye
Kyun bichhadna hai zaroori ye sawaal aaye
Teri nazdeekiyon ki khushi behisaab thi
Hisse mein faasle bhi tere bemisaal aaye
Main jo tumhse door hoon
Kyun door main rahoon
Tera guroor hoon
Aa tu faasla mita
Tu khwaab sa mila
Kyun khwaab tod doon oo...
Bekhayali mein bhi tera hi khayaal aaye
Kyun judai de gya tu ye sawal aaye
Thoda sa main khafa ho gaya apne aap se
Thoda sa tujhpe bhi bewajah hi malaal aaye
Hai ye tadpan, hai ye uljhan
Kaise jee loon bina tere
Meri ab sab se hai annban
Bante kyun ye Khuda mere hmm...
Ye jo log-baag hain
Jungle ki aag hain
Kyun aag mein jalun...
Ye nakaam pyaar meinKhush hain ye haar mein
Inn jaisa kyun banun oo...
Raatein dengi bata
Neendo me teri hi baat hain
Bhoolun kaise tujhe
Tu toh khayalo me saath hai
Bekhayali mein bhi tera hi khayaal aaye
Kyun bichhadna hai zaroori ye sawaal aaye
Nazron ke aage har ek manzar
Ret ki tarah bikhar raha hai
Dard tumhara badan me mere
Zeher ki tarah utar raha hai
Nazron ke aage har ek manzar
Ret ki tarah bikhar raha hai
Dard tumhara badan me mere
Zeher ki tarah utar raha hai
Aa zamane aazmaale rooth ta nahi
Faaslon se hausla ye toot'ta nahi
Naa hai woh bewafa aur naa main hoon bewafaa
Woh meri aadaton ki tarah chhoot ta nahi........."
রাহাত গানটা শেষ করে স্টেজ থেকে নেমে মায়ার সামনে এসে আলতো করে কপালে ঠোঁট ছুঁইয়ে দিলো। তারপর আলতো হাতে মায়ার চোখের পানি মুছে দিলো।
-আই লাভ ইউ মায়াবতী।
মায়া আলতো করে হেসে রাহাতকে নিয়ে মিহানের কাছে নিয়ে গেল। নতুন বউটার সাথেও পরিচয় করিয়ে দিলো। মেয়েটার নাম দিয়া। ভিষণ মিষ্টি লাগছে মিহান আর দিয়াকে একসাথে। রাহাত একে একে সবার সাথে কথা বলছে। আর এতোক্ষণ যারা মায়াকে নিয়ে আজেবাজে কথা বলছিল তাদেরকে দেখছে। মহিলাগুলো এক জায়গায় থতমত খেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। রাহাত এদেরকে আর পাত্তা না দিয়ে মায়াকে দেখায় মন দিলো।অযথা এসব বাজে চিন্তায় মন দিয়ে আজকের দিনটাকে সে নষ্ট করতে চাচ্ছে না। মায়ার চোখে মুখে আবার সেই আগের উজ্জ্বলতা আর চাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। সেটাই অবাক মুগ্ধতা নিয়ে দেখছে রাহাত। মায়াও একটু পর পর রাহাতের দিকে তাকাচ্ছে। তাই বারবার চোখাচোখি হচ্ছে দুজনের। আর চোখাচোখি হলেই রাহাতের ঠোঁটের কোণে তার বিখ্যাত বাঁকা হাসিটা ফুটে উঠে মায়ার আত্মা কাঁপিয়ে দিচ্ছে বারবার।
দশটার দিকে নতুন বউকে নিয়ে বাড়ি ফিরছে ওরা। মায়ার মা আর রহিমা খালা বাড়িতেই অপেক্ষা করছেন। রাহাত আসার সময় কমিউনিটি সেন্টারের পাশে ফুলের দোকান দেখে গাড়িটা সাজানোর জন্য দিয়ে এসেছিল। সেই ফুলে ফুলে সাজানো গাড়িটাতে করেই ওরা চারজন ফিরছে। মিহান আর দিয়া নতুন বর কনে পিছনে বসা। আর রাহাতের পাশে বসা মায়া। মায়া জানালার বাইরে মুখ ঘুরিয়ে বাইরের অন্ধকার দেখছে। রাহাতও সেটা বুঝতে পেরে মায়ার একটা হাত ধীরে টেনে নিয়ে ড্রাইভিং করছে। মায়া রাহাতের দিকে ফিরতেই রাহাত ভ্রু নাচিয়ে ইশারায় জিজ্ঞেস করলো কি হয়েছে। মায়া একটু হেসে মাথা নাড়লো।
বাসায় আসার পর মায়ার কাজিনরা নতুন বউকে বাসর ঘরে দিয়ে আসার জন্য নিয়ে যায়। মায়া একটু পিছনে ছিল। হঠাৎ কেউ কোমড় পেঁচিয়ে ধরে একেবারে একটা রুমের দেয়ালে হালকা করে চেপে ধরায় প্রথমে একটু ঘাবড়ে গেল মায়া। কিন্তু চেঁচিয়ে উঠতে গিয়েও কিছু বললো না। স্পর্শটা ওর চেনা। মায়ার সমস্ত সত্তা জুড়ে আছে মানুষটা। মায়া মুখ তুলে তাকাতেই দেখলো রাহাত মিটিমিটি হাসছে ওর দিকে তাকিয়ে। মায়া একটু সরে আসতে চেষ্টা করতেই রাহাত আরো গভীরভাবে মায়াকে চেপে ধরলো।
-ছাড়ো?? কি করছ?? কেউ চলে আসবে তো??
-কোথায় যাচ্ছিলে??
-ভাইয়ার রুমে। ভাবিকে রুমে......
-ভাবিকে রুমে দিয়ে আসতে এতো জন যেতে হয়?? আর আজকে ভাইয়ার রুমে ভিড় করে কাজ নেই। সবাই যে যার মতো ঘুমিয়ে যাবে। তুমি চলো??
-আরে??
-কি??
-এখন রুমে যাব না। কাজিনরা আছে না? ওরা কে কোথায় থাকবে.....
-ধুর, কথা কম। বললাম না? আর ওদের ব্যবস্থা মা আর রহিমা খালা করে দিয়েছে। তুমি এখন আমার সাথে যাবা!
-তবুও আমি একবার.....
-চুপ,
-আরে? কি করছো??
রাহাত হুট করে মায়াকে পাঁজাকোলা করে তুলে নিয়ে একেবারে রুমে নিয়ে গিয়ে খাটে বসিয়ে দিলো। মায়া ভ্রু কুঁচকে রাহাতকে দেখছে। রাহাত দরজা বন্ধ করে এগিয়ে এসে মায়ার সামনে ফ্লোরে বসে মায়ার কোলে মাথা রাখলো।।
-মায়া??
-হুম??
-আমার মায়াবতীটাকে নিজের করে চাই। একেবারে নিজের করে।
-মানে!?
-পরীটাকে একেবারে বুকের ভিতরে আঁকড়ে ধরতে চাই। আমার লাজুক পরীটা তো এতোদিনেও লজ্জায় আমার কাছে ধরা দিতে এলো না? হয়তো ওই ড্রেসটা পড়ে আসতে লজ্জা হবে ভিষণ। তাই পরীটা যেমন তেমনই চাই আমি। আর কিচ্ছু না। পরীটা কি ধরা দিবে আজ??
-(চুপ)
-না চাইলে জোর করবো না মায়াবতী। আই উইল ওয়েট ফর ইউ।
রাহাত উঠে চলে যাওয়ার আগেই মায়া রাহাতের হাতটা ধরে ফেললো। রাহাত মায়ার দিকে তাকিয়ে দেখলো মায়া মুখটা নিচু করে ওর হাতটা ধরে রেখেছে৷ রাহাত এগিয়ে গিয়ে মায়ার মুখটা তুলে দিতে চাইলেও মায়া মুখমুখ না তুলেই রাহাতের বুকে মুখ লুকালো।
-আমি তো ধরা দিতেই চাই......
-তাই? তাকাও তো তাহলে মায়াবতী?
-উহু.....
রাহাত মায়ার কপালে আলতো করে ঠোঁট ছুঁইয়ে দিয়ে সরে এসে একটা প্যাকেট এনে মায়াকে ধরিয়ে দিলো। মায়া মুখ তুলে তাকাতেই রাহাতের দিকে চোখাচোখি হলো।
-চেইঞ্জ করে এসো পাগলিটা?? যাও?
-এটা কি??!
-আমার মায়াবতীকে মানায় এমন কিছু-।
-হুম??
-আমার মায়াবতীর জন্য গিফট।
মায়ার লজ্জায় লাল মুখটা দেখে রাহাত আলতো করে মায়ার কানে ঠোঁট ছুঁইয়ে দিলো। মায়ার কানে কিছু বলার জন্য মুখ বাড়ালো।
-শাড়িটায় আমার মায়াবতীকে মায়াপরী লাগবে। কোন সাজ লাগবে না। প্যাকেটে কাজল আর টিপ আছে। জাস্ট ওগুলো দিয়েই শাড়িতে মায়াপরীকে দেখবো। ওকে??
মায়া লাজুক হেসে মাথা নাড়লো। প্যাকেটটা নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে একেবারে বুকে জাপটে ধরলো প্যাকেট। আর এদিকে মায়া ওয়াশরুমে চেইঞ্জ করতে যেতেই রাহাত নিজের কাজে লেগে গেল। পরীটার জন্য রুমটা সাজাতে হবে। সময় কম। পরীটার বের হওয়ার আগেই রুমটা সাজানোর কাজ শেষ করতে হবে। তাই ব্যস্ত হয়ে কাজে লেগে পড়লো রাহাত। মায়াও আস্তে আস্তে শাড়ি পড়ে বেরিয়েই জাস্ট হা হয়ে গেল। পুরো রুমটা এতোটা অন্ধকার। এই নিস্তব্ধতায় ভয় ভয় করছে মায়ার। কয়েকবার রাহাতকে ডাকলেও কোন জবাব নেই। মায়া ঢোক গিলে চিন্তা করতে লাগলো মানুষটা গেল কোথায় আর রুমটাই বা এতো অন্ধকার-রাহাত? কোথায় তুমি?? ভয় করছে আমার।
-মায়া?? এক মিনিট দাঁড়াও। প্লিজ?? আর একটু।
-হুম,
নিকষ কালো অন্ধকারে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতেই হাতে আলতো একটা হাতের স্পর্শ পেয়ে চমকে উঠলো মায়া। আলতো করে হাতটা মায়াকে নিজের কাছে টেনে নিয়ে বুকে জড়িয়ে নিলো। তারপর এগিয়ে এসে কানের কাছে মুখ নিলো।
-মায়াবতী? একটা জাদু দেখবে??
-হুম?? দেখবো....
-আমার হাত ধরে থাকো। বারান্দায় যাই একটু চলো।। কেমন?
-আচ্ছা।
বারান্দার দরজাটা খোলার পর মায়া একেবারে হা হয়ে গেল। এতোক্ষণও মায়া রাহাতের হাতটা ধরা ছিল। অবাক বিস্ময়ে রাহাতের হাতটা আরো একবার জাপটে ধরে সামনে দেখতে লাগলো মায়া। খোলা বারান্দাটার দেয়ালের কার্নিশ ঘেষে জ্বলছে ছোট্ট ছোট্ট অসংখ্য দীপ। মিটিমিটি দীপের আলোয় মায়ার শখের গাছগুলোয় ঝুলে থাকা ছোট্ট ছোট্ট কিছু নোট, কার্ড আর বেলুন ঝুলতে দেখা যাচ্ছে। মায়া একটু ছুটে এসে নোটে কি লিখা আছে পড়ার চেষ্টা করলো। আর কার্ডগুলো ধরে ধরে দেখতেলাগলো যেতে যেতে। কার্ড আর নোট সবগুলোতেই রঙ বেরঙের কালিতে লেখা শুধু একটা কথা।
" I Love You"
মায়া হেসে ফেললো লেখাগুলো পড়েই। পিছন ফিরে দেখলো রাহাত বারান্দার দরজায় হেলান দিয়ে মায়ার দিকেই তাকিয়ে আছে। মায়াকে দেখে রাহাতেরও ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে উঠেছে। মায়াকে লাল রঙের শাড়ি, লাল টিপ আর কালো কাজলে আরো বেশি মায়াবতী লাগছে। তার উপরে এই মৃদু প্রদীপের আলোয় আরো মোহনীয় লাগছে মেয়েটাকে। মনে হচ্ছে স্বর্গ থেকে কোন অপ্সরা নেমে রাহাতের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। মায়ার ঠোঁটে হাসি ফুটতে দেখে ভালো লাগছে রাহাতের। রাহাত একটু একটু করে এগিয়ে এলো মায়ার দিকে। মায়ার লাজুক লাল টুকটুকে মুখটা দেখে একেবারে নেশা ধরে যাচ্ছে রাহাতের। এগিয়ে এসে মায়াকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে মায়ার চুলের মধ্যে মুখ ডুবিয়ে দিয়ে একেবারে ঘাড়ে মুখ গুঁজলো রাহাত।
-মায়াবতী?? ও মায়াবতী?? আই লাভ ইউ।
-হুম। আই লাভ ইউ টু।
-মায়াপরী?? একটা গান শুনবা??
-হুম। শোনাও.....
মায়ার কানের ঠোঁট ছুঁইয়ে দিয়ে ফিসফিস করে গান ধরলো রাহাত। গানের প্রত্যেকটা শব্দের সাথে রাহাতের নিশ্বাসগুলো মায়ার কানে এসে লাগছে। আর মায়ার ভিতরটা কাঁপিয়ে দিচ্ছে বারবার।
-"Main toh bas teri chahat mein
Chahoon rehna sada
Main toh bas teri qurbat mein
Chahoon rehna sada
Saaya bhi tera main, hone na doon juda.
Maine tay kar liya
Tere ishq pe, tere waqt pe.
Bas haq hai ik meraTeri rooh pe, tere jism pe
Bas haq hai ik mera
Bas haq hai ik mera
Bas haq hai ik mera
Main toh bas teri chahat mein
Chahoon rehna sada
Main toh bas teri qurbat mein
Chahoon rehna sada
Yaadon mein tujhko rakhun
Baatein bhi teri karoon
Itna deewana hoon tera
Ho ho raaton mein jaaga karoon
Din bhar bhatakta rahoon
Main toh yahaan se bas wahaan
Tere ishq pe, tere waqt pe.
Bas haq hai ik mera
Teri rooh pe, tere jism pe
Bas haq hai ik mera
Bas haq hai ik mera
Bas haq hai ik mera
Main toh bas teri chahat mein
Chahoon rehna sada
Main toh bas teri qurbat mein
Chahoon rehna sada
Baahon mein tujhko rakhun
Dhadkan mein teri sunoon
Aa itna nazdeek aa zara
Hoo jisme duaayein rahe
Har dum wafaayein rahe
Doon tujhko aisa ik jahan
Tere ishq pe, tere waqt pe.
Bas haq hai ik meraTeri rooh pe, tere jism pe
Bas haq hai ik mera
Bas haq hai ik mera
Bas haq hai ik mera
Main toh bas teri chahat mein
Chahoon rehna sada
Main toh bas teri qurbat mein
Chahoon rehna sada
Saaya bhi tera main, hone na doon juda.
Maine tay kar liya......."
গানটা শেষ হতেই রাহাত মায়াকে পাঁজাকোলা করে তুলে নিলো। মায়া রাহাতের গলায় হাত ঝুলিয়ে রাহাতের চোখের দিকে তাকিয়ে লজ্জায় লাল হয়ে গেল। মানুষটার চোখে মুখে অনেক রকমের দুষ্টুমির জাদু খেলা করছে।
-রুমে চলো পরী??
-হুম।।
রাহাত মায়াকে নিয়ে রুমে আসতে মায়া আরেকবার অবাক হলো। রুমটা তো একেবারে ঘুটঘুটে অন্ধকারে ঢাকা ছিল তখন। এখন রুমে অনেক রঙের মোমবাতি জ্বলছে। খাটটার স্ট্যান্ড বেয়ে কাঠবেলি, বেলি আর গোলাপ দিয়ে বানানো ফুলের শিকল ঝুলছে। বিছানার মাঝামাঝিতে গোলাপের পাপড়ি দিয়ে লাভ শেইপ করা। একেবারে ওদের বাসর রাতের আদলে রুমটা সাজানো।। মায়া অবাক হয়ে কিছু বলতে রাহাতের দিকে তাকাতেই রাহাত একটা হাসি দিয়ে মায়াকে একেবারে বিছানায় নিয়ে গিয়ে নামালো। মায়ার পাশে বসে মায়ার একটা হাত টেনে নিলো রাহাত।
-এসব কখন করলে??
-তুমি যখন চেইঞ্জ করছিলে তখন রুমের ডেকোরেশন করেছি। কিন্তু মোমগুলো জ্বালানোর সময় পাই নি। তাই যখন বারান্দার ডেকোরেশন দেখছিলে তখন মোম সাজিয়ে জ্বালিয়েছি।।
-আর?? বাবারান্দার? ডেকোরেশন?
-উম। সেটা। তোমার কাজিনদেরকে বলে করিয়েছি। কার্ড আরনোট নিজেই নিয়ে এসেছিলাম চট্টগ্রাম থেকে আসার সময়। কিভাবে দিবো বুঝতে পারছিলাম না। তোমাকে লাল টুকটুকে বউয়ের সাজে স্টেজে দেখে প্ল্যানটা মাথায় এলো তখন।
-তুমি ওদেরকে বলে??
-হুম। তো কি হয়েছে?? একটু রোমান্স করা শিখে নিলে ওদেরই ভালো....
-অসভ্য লোক------
-জি,আমি অসভ্য। তবে সেটা শুধু আপনার কাছে ম্যাডাম!
-সরো...
-বাহ!! আজকে ছাড়ছি না। আজকে আমার মায়াবতীকে চাই মানে চাই। কোন আপত্তি শুনছি না আজকে। তবে ম্যাডাম আপনার কি কোন আপত্তি আছে? নিজেকে আমার রঙে রাঙাতে? আমার ভালোবাসার রাজ্যে হারিয়ে যেতে।
-উহু,
মায়া লজ্জা পেয়ে চোখ নামিয়ে নিলে রাহাত দু হাতে মায়ার মুখটা তুলে ধরে চোখে চোখ রাখলো।
-মায়াবতী?
-হুম......
-ভালোবাসি........
-তোমাকেও ভিষণ ভালোবাসি। তোমাকে ভিষণ করে চাই। তোমার রঙে নিজেকে রাঙাতে চাই। তোমার মতো করে নিজেকে সাজাতে চাই!
-আচ্ছা?? তাই নাকি?? তো কি করা যায়??
-জানি না, যাও!
-আহা!! লজ্জাবতী?? আসো আজকে লজ্জাবতীর লজ্জাটা ভাঙাই।
-ধ্যাত,
মায়া আরো লজ্জা পেয়ে রাহাতের বুকে মুখ ডুবিয়ে নিলো। ধীরে ধীরে রাহাতের ভালোবাসার উষ্ণতায় হারিয়ে যেতে লাগলো। মনের কোণের সমস্ত খচখচানিটা সরিয়ে রেখে রাহাতের মাতাল করা ভালোবাসায় গা এলিয়ে দিয়ে সেটা উপভোগ করার চেষ্টা করলো মায়া। আর রাহাতও নিজের সব ভালোবাসা উজাড় করে তার মায়াবতীকে ভরিয়ে দিতে লাগলো এক অজানা সুখে।।
চলবে............
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন