Written by Asif.
প্রথম পর্বের পরে......
কিছুক্ষণ পর মিনহাজ আসলো। দুজন একই ফ্ল্যাটেই থাকি।
আমরা খুব ভালো বন্ধু সেই স্কুল লাইফ থেকে এখন পর্যন্তও।
ওকে একটু বিষন্ন দেখে জিজ্ঞাসা করলাম....
আমরা খুব ভালো বন্ধু সেই স্কুল লাইফ থেকে এখন পর্যন্তও।
ওকে একটু বিষন্ন দেখে জিজ্ঞাসা করলাম....
"কিরে, তোর আবার কি হয়েছে। মুখটা বাংলার পাঁচ এর মত করে আসলি যে।"
"আমার টা ছাড়, ভাবলাম তুই কয়েকদিন থাকবো গ্রামে। তো এত জলদি কেনো!"
"বলতে পারিস খুশির ঠেলাই, আমার অবর্তমানে কি নিধির সাথে কিছু হয়েছে?"
"কি হবে?"
"ইয়ে মানে, ঝগরা টগরা......."
"নাহ,আর নিধী কিডা? আমি ওরে চিনিনা।আমি ঘুমাবো,তুই ফ্রেশ হয়ে খেয়ে নে।"
বলে চলে গেলো, বুঝলাম নিধির সাথে নিশ্চয় কিছু হয়েছে। নিধি ওর গার্লফ্রেন্ড। আর আমার পাগলী টাইপ একটা বন্ধুবি।
ভাবলাম আজকে মিনহাজ যখন আমার জন্য একটা ফোন কল করতে পারছে,আমি তো অবশ্যই পারি....
সো,নিধি কে কল লাগালাম ....
দ্বিতীয় বারের বার কল টা রিসিভ হলো..
সো,নিধি কে কল লাগালাম ....
দ্বিতীয় বারের বার কল টা রিসিভ হলো..
"আসসালামু ওয়ালাকুম,"
"ওসব সালাম টালাম দূরে রাখ, আর শোন আমি তোকে কল করতেই যাচ্ছিলাম।"(নিধি)
"তো করলিনা কেনো! ওকে আমি ফোন রাখছি তুই ব্যাক কর,এমনিতেই ফোন বলেন্স নেই।"
বলে ফোন টা কেটে দিলাম। জানি ব্যাক করবে...
আর তাই হলো...
বলে ফোন টা কেটে দিলাম। জানি ব্যাক করবে...
আর তাই হলো...
"হুম বল"(আমি)
"কই তুই!"
"ঢাকায় এখন, একটু আগেই আসলাম!"
"হুম, ঠিক আছে। আর শোন আমাকে আর তুই তোকরি বলে ডাকবিনাl আজ থেকে আমি তোর গার্লফ্রেন্ড,আমি তোকে ভালবাসি। আর শোন তোর সাথে থাকে কি কেনো নাম,
হুম,ওই মিনহাজ কে বলবি ও যেনো আমার সামনে না আসে। এখন ঘুমো, সকালে এগারোটায় আমার সাথে দেখা করবি টিএসসি তে।"(নিধি)
হুম,ওই মিনহাজ কে বলবি ও যেনো আমার সামনে না আসে। এখন ঘুমো, সকালে এগারোটায় আমার সাথে দেখা করবি টিএসসি তে।"(নিধি)
"কেউ এভাবে প্রপোজ করে নাকি! ভালোভাবে বললেই তো পারতি!"
"আমি এভাবেই বলি। আর হুম, তর ওই মিনহাজ কেউ আনবি।"
"আমি এভাবেই বলি। আর হুম, তর ওই মিনহাজ কেউ আনবি।"
বলে ফোনটা কেটে দিলো। ও পুরায় রেগে আছে। ভেবেছিলাম মিংহাজকে কিছু হেল্প করতে পারব কিন্তু আমি নিজেই ফেঁসে গেলাম। নাজানি এই দুইটার মধ্যে এই একদিনেই কি হলো।
মিনহাজনকে টেক্সট করলাম,
"বেশি ভাবিশ না,জলদি ঘুমিয়ে পড়। সকালে আমার সাথে এক জায়গায় যেতে হবে।"
তার পর ঘুমিয়ে পরলাম। বেশ ক্লান্ত আজকে। লং জার্নি, তাও আবার বাসে! এটা আমার একদম পছন্দ না ।
"বেশি ভাবিশ না,জলদি ঘুমিয়ে পড়। সকালে আমার সাথে এক জায়গায় যেতে হবে।"
তার পর ঘুমিয়ে পরলাম। বেশ ক্লান্ত আজকে। লং জার্নি, তাও আবার বাসে! এটা আমার একদম পছন্দ না ।
সকালে দুজন ভার্সিটির দিকে হাঁটছি। এখান থেকে বেশি দূরে নয়। মিনহাজ অবস্থা বেশ বুঝতে পারছি। মনে হয় না রাতে ঘুমিয়েছে।
টিএসসি তে পৌঁছুতেই নিধি কে দেখতে পেলাম। আমাকে দেখে কাছে আসলো। মিনহাজ অন্য দিকে মুখ গুর আছে। ওদের দুইজন কে দেখে বেশ হাসি পাচ্ছে। মনে হয় কেউ কাউকে চেনে না।
টিএসসি তে পৌঁছুতেই নিধি কে দেখতে পেলাম। আমাকে দেখে কাছে আসলো। মিনহাজ অন্য দিকে মুখ গুর আছে। ওদের দুইজন কে দেখে বেশ হাসি পাচ্ছে। মনে হয় কেউ কাউকে চেনে না।
"হুম,কি বলবি বল"(আমি)
"তোমার সাথে ঐটা কে!"(নিধি))
নিজেই সাথে আনতে বললো এখন আবার ভনিতা করছে,কি আজব। আমিও সেরকম উত্তর দিলাম।
"একটা মেয়ে,যে সবসময় মিনহাজ নামের একটা ছেলের দেয়া হেয়ারক্লিপ মাথায় দেয়। আর এখনো দিয়ে আছে ,যদিও সেটা দেখতে ভালো না। তার বয়ফ্রেন্ড।"(আমি)
"তুই এখন আমাকে প্রপোজ করবি!"
"আমার মাথা গেছে নাকি,যে তোকে প্রপোজ করতে যাবো।"
"যা বলছি তাই করতে হবে,নইলে তোকে.....
(আমার দিকে তেড়ে আসছে......)
(আমার দিকে তেড়ে আসছে......)
"আরে দ্বারা দ্বারা..... (একবার ওর দিকে তাকাচ্ছি আরেকবার মিনহাজের দিকে। ও উল্টো দিকে মুখ ঘুরে আছে.....)
তার পর ভাবলাম, করেই ফেলি। পরে ওদের রাগ কমলে ব্যাপারটা মিটিয়ে ফেলবো,আর নিধী সাংঘাতিক রাগী। রেগে গিয়ে আবার কিনা কি করে বসে। শেষে আবার মান ইজ্জতের বারোটা বাজবে।
সো,আর কিছু না ভেবে হাঁটু গেরে পকেটে থাকা কলম টা নিধির দিকে বাড়িয়ে দিলাম।
"নিধি, এই একটা সুন্দর পাঁচ টাকার কলমের বিনিময়ে কি তোমার ঐ সিরাফাটা মনটা আমাকে দিবে?! যেটা আগে মিনহাজ ছিল।"
"নিধি, এই একটা সুন্দর পাঁচ টাকার কলমের বিনিময়ে কি তোমার ঐ সিরাফাটা মনটা আমাকে দিবে?! যেটা আগে মিনহাজ ছিল।"
"হুম, দিব মিস্টার।"(নিধি)
অতঃপর কিছুক্ষনের মধ্যেই একটা শব্দ হলো। কাউকে চড় মারার হবে হইতো। আরও কিছুক্ষণ পর বুঝতে পারলাম সেটা আমার গালেই পড়েছে।
সামনে তাকিয়ে দেখি সেই মেয়েটা! যাকে বাস স্ট্যান্ড এ দেখেছি,আর বাড়িতেও।
সামনে তাকিয়ে দেখি সেই মেয়েটা! যাকে বাস স্ট্যান্ড এ দেখেছি,আর বাড়িতেও।
"(গালে হাত দিয়ে)এটা কি হলো! আপনি আমাকে মারলেন কেনো?"
"আমার ইচ্ছে করেছে তাই!"
"মনে,আপনার কি মাথায় প্রবলেম আছে নাকি!"(আমি)
"আমার মাথায় নেই,কিন্তু আপনার চোখে অবশ্যই আছে,
আর কখনো যেনো আপনাকে কোন মেয়ের সাথে না দেখি।
নইলে চোখ তুলে নেবো!"
আর কখনো যেনো আপনাকে কোন মেয়ের সাথে না দেখি।
নইলে চোখ তুলে নেবো!"
তারপর নিধির দিকে চোখ রাঙিয়ে চলে গেলো।এই মেয়ের মাথাই অবশ্যই প্রবলেম আছে। আর হাতে শক্তিও বেশ।
ঘটনা সামলে নিয়ে সামনে দেখি মিনহাজ আর নিধি আমার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে।
ঘটনা সামলে নিয়ে সামনে দেখি মিনহাজ আর নিধি আমার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে।
"এটা কি ছিল?"(দুজনে একসাথে)
"ওই মেয়ে কে আমি চিনি না, ওর নাম পর্যন্ত জানিনা। আর এটাও জানিনা যে ও এখানে কি করছে!"
"তলে তলে এতো কিছু আর আমরা জানিনা!"(মিনহাজ)
"আরে তোরা যা ভাবছিস সেটা না।"
"তাহলে কি!?"(নিধি)
" এই দ্বারা দ্বারা, তোরা না কেউ কাউকে চিনিস না। এখন যে আবার এক শুরে কথা বলছিশ।"
"চিন্তামনা,কিন্তু কিছুক্ষণ আগে পরিচিত হয়েছি। এখন আমাদের সবটা বল?"
"বললাম তো আমি ওকে চিনি না!
"ওকে চিনাই দিচ্ছি, ও হলো নাহিদা। আমার ডিপার্টমেন্ট এই পড়ে। এখন বাকিটা বল।"
"দূর, বলছিনা আমি জানিনা কিছু।
বলেই দৌড় লাগালাম। মিনহার পিছু নিচ্ছিল কিন্তু নিধি আটকে দিল। জোর বাচা বেচে গেছি। জানিনা বাসায় এসে আবার মিনহাজ কি শুরু করে। চিনি না জানিনা একটা মেয়ে এসে আমাকে চর দিল। ওরা প্রতিবাদ করবে কিসের কি,উল্টো আমাকে কয়েদি বানিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে।
দুইটা আবার মিলেছে। আর আমি ফেঁসে গেলাম।
বলেই দৌড় লাগালাম। মিনহার পিছু নিচ্ছিল কিন্তু নিধি আটকে দিল। জোর বাচা বেচে গেছি। জানিনা বাসায় এসে আবার মিনহাজ কি শুরু করে। চিনি না জানিনা একটা মেয়ে এসে আমাকে চর দিল। ওরা প্রতিবাদ করবে কিসের কি,উল্টো আমাকে কয়েদি বানিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে।
দুইটা আবার মিলেছে। আর আমি ফেঁসে গেলাম।
সোজা বাসায় চলে আসলাম। আজকে আর বেরুবো না।
ওরা হইতো কোনো পার্কে বসে বাদাম চিবুচ্ছে। তাতে আমার কি! আমি তো এখনো সিংগেল।
কিন্তু মেয়েটার নামটা অনেক সুন্দর...."নাহিদা, নাহিদ্যা"। মাথায় রীতিমতো ঘুরপাক খাচ্ছে।
ওরা হইতো কোনো পার্কে বসে বাদাম চিবুচ্ছে। তাতে আমার কি! আমি তো এখনো সিংগেল।
কিন্তু মেয়েটার নামটা অনেক সুন্দর...."নাহিদা, নাহিদ্যা"। মাথায় রীতিমতো ঘুরপাক খাচ্ছে।
to be continued............
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন