সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

Unknown girl(part_three)


∆∆সেইদিনটার পর একটা সপ্তাহ যা গেল অরুনাভোর উপর দিয়ে! উফ্! কোয়েনা,আন্টি,অরুনাভোর মা বাবা সবাই মিলে অরুনাভকেই দোষারোপ করে গেল এমনকি এখনও করে যাচ্ছে।
ব্যাপারটায় ভুল কিছুই নেই অরুনাভোরই দোষ।কারণ সে কেবল নিজের কথা ভেবেছে হয়ত।গত শুক্রবার দুপুরের দিকে কোয়েনা এসে হাজির।তারপর ওর কান্নাকাটি,দোষারোপ।অরুনাভোর  মা কোয়েনাকে সান্তনা আশ্বাস দিচ্ছিল আর তাকে কথা শুনিয়ে যাচ্ছিল।কোয়েনার অবস্থা দেখে কষ্টও হচ্ছিল খুব অরুনাভোর।
সে তো একটা সময় কথা দিয়েছিল মেয়েটাকে,কত স্বপ্ন তারা একসাথে দেখেছিল।এতদিন সে অরুনাভোর জন্যই অপেক্ষা করছিল।নিজেকে এতটা অপরাধী কখন মনে হয়নি অরুনাভোর যতটা এখন মনে হয়।সেদিনই সন্ধ্যেবেলায় কোয়েনার বাবা এসেছিল।ওর বাবা যা নয় তাই শোনাল অরুনাভোকে।অরুনাভো বদলে একটা কথা পর্যন্ত বলেনি কারণ সে সত্যিই কোয়েনাকে  ঠকিয়েছে।কোয়েনার বাবার একের পর এক কথা শুনে অরুনাভোর বাবা খোচেঁ যায়।বীভৎস ছিল সেইদিন।সেইদিনটার পর আর হয়তো আঙ্কেল এই পাড়ায় ঢুকবেননা।
চলে যাওয়ার সময় কোয়েনার চোখের করুণ দৃষ্টি অরুনাভোর ভীতরটা ছারখার করছিল। কিন্তু ও চাইলেই তখন কোয়েনার কাছে ক্ষমা চেয়ে আবার সব ঠিক করে নিতে পারত তবে ওর বাবা আদৌ তা হতে দিত কিনা একটু সন্দেহ ছিল অরুনাভোর।তবে এগুলি নিয়ে ভেবে আর লাভ নেই।
যা হওয়ার হয়ে গেছে।অরুনাভ আর ভালবাসতনা কোয়েনাকে আর একটা সম্পর্কে দুজনের মনের মিল আর ভালোবাসা থাকা বিশেষ প্রয়োজন বলে মনে করে অরুনাভো।একদিক থেকে সে দুজনেরই জীবনটাকে বাঁচিয়েছে।আজ সে আর বন্ধু নীলেশ ছুটি নিয়েছে।এত কিছুর পর একটু নিজেকে কাটিয়ে ওঠার সময় দেওয়াটা প্রয়োজন।তাই তারা আজ এই দিলশাদ রেস্তোঁয়াতে পৌঁছে গেছে।
এইখানে আসার বহুদিনের সখ ছিল অরুনাভোর।গোধূলি নামছে।দিন আর রাতের মিলনকাল এই সময়টা।দিনের আলোও যেমন উপস্থিত তেমনি সদ্যো জ্বলে ওঠা রেস্তোঁয়া আর রাস্তার আলোগুলো রাতের উপস্থিতিকে জানান দিচ্ছে।কফির সঙ্গে গল্পটাও জমে উঠেছে বেশ আর সেই ঘ্যানঘ্যানে জীবনের বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছেনা।আলোচনা সব বিষয় ছাড়িয়ে এখন গিয়ে ঠেকেছে জীবনের সেরা মুহূর্তগুলোতে মানে ছেলেবেলা ও স্কুলজীবন নিয়ে।এমন সময় হঠাৎ কী মনে হতে কফির কাপটায় চুমুক দিতে দিতে অরুনাভো একবার পিছন ফেরে চারিদিকটা দেখার চেষ্টা করে।
দুটো টেবিল পরেই চোখে পরে মেয়েটা।সেই লালচে আভা যুক্ত দুই গাল,সেই চোখ আর তার চাহনি।অরুনাভোর হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। লাল দুটো ঠোটঁ আর কাজলে সাজানো চোখ দুটো দেখে সে মন্ত্রমুগ্ধ হয়।সামনে তার একটি ছেলে বসে আছে। পিছন থেকে দেখে মনে হচ্ছে ওরই বয়সি।আর মেয়েটা আপনমনে হাত নাড়িয়ে,কখনও হেসে কখনও গম্ভীর হয়ে কত কিছু বলে চলেছে।অরুনাভোর মনে প্রশ্ন জাগে তার মানে ছেলেটা কি ওর প্রেমিক।হতেই পারে আজকালকার মেয়ে ও।আজকালকার প্রতিটা মেয়েই ইন্গেজড।ভাবতেই বুকটা ছ্যাঁৎ করে ওঠে ওর।সে তাড়াতাড়ি পেছন ফেরে আর নীলেশকে বলে সীট চেঞ্জ করতে
হঠাৎ কী হলোটা কী তোর?" বলে নীলেশ অরুনাভোর সিটে বসে।
"পিছনে দুটো টেবিল পরে যে মেয়েটা বসে আছে ওকেই দেখেছিলাম মেট্রোতে।"
নীলেশ একবার পিছন পিরে তাকায় আর উত্তর দেয়,"সত্যিই অসাধারণ দেখতে।তবে সামনেই বসে বয়ফ্রেন্ড তোর কোনো চান্স নেই ভুলে যা।"
"প্রথমেই এই কথাটা বলতে হল?" হয়তো খুব বেশিই তাকাচ্ছিল অরুনাভো মেয়েটার দিকে।মেয়েটা হঠাৎ কথা বলতে বলতে ভুঁড়ো কুঁচকে বিরক্তির দৃষ্টিতে তাকায়।সঙ্গে সঙ্গে অরুনাভো একটা হৃদস্পন্দন মিস করে আর মুখটা নামিয়ে নেয়।জীবনে এসব করেনি সে।বহু মেয়ে তার পেছনে পাগল ছিল তবে কোয়েনা ছাড়া আর কাউকে ঝাড়ি মারা বা তাকানো এইসব হয়নি।
"কি রে? কী হল? ওরকম বাংলা সিরিয়ালের নায়িকাদের মত লজ্জা পাচ্ছিস কেন?"
"মানে..যাতা একেবারে!রে মেয়েটা হঠাৎ এমন ভাবে তাকালো ভয়ে চোখ নামিয়ে নিলাম।"
"বাবা! নেওয়া যাচ্ছেনা আর।দেখতে তো পাচ্ছিস প্রেমিকের সাথে বসে আছে।আর যথেষ্ট ছোট বয়সে।শেষে চাইল্ড অ্যাবইউসের কেস ঠুকে দেবে মেয়েটা তোর উপর।"
"ভালো কোনো কথা তোর মুখ থেকে বেরোয়?"
অরুনাভো মন দিয়ে মেয়েটির সমস্ত ছোট ছোট বিষয় গভীর মনোযোগ সহকারে লক্ষ্য করতে লাগল,সকলের বিশেষ করে মেয়েটির নজরের আড়ালে।ইটস স্ট্রেন্ঞ্জ মেয়েটাকে পাওয়া সত্যি অসম্ভব।পাওয়া কি?
কথা বা আলাপ পরিচয় হওয়াও যে দুঃসাধ্য ব্যাপার।তবু অরুনাভো কেমন মেয়েটার প্রেমে খালি পড়েই যাচ্ছে।ওর হাত নাড়িয়ে কথা বলা,মাঝে মাঝে হেসে ওঠা,চোখ দুটো সরু করে সন্দেহের দৃষ্টি দেওয়া সবই অরুনাভোকে আরো বেশি মোহে ফেলছে।
মেয়েটা টেবিল ছেড়ে উঠে পড়ল, সাথে ছেলেটাও উঠল।গট গট শব্দে অরুনাভোর কাছে আসতে লাগল আর ততই অরুনাভোর জড়তা,লজ্জা অনুভূতিগুলি ওকে গ্রাস করতে লাগল।অরুনাভোর পাশ দিয়ে বেড়িয়ে যাওয়ার সময় কেবল অরুনাভোর জন্য তার পারফিউমের সুগন্ধি রেখে গেল অচেনা মেয়েটা।গন্ধটা চিনচিন ব্যাথার সাথে মিষ্টি অনুভূতি যোগ করে গেল।
  কোয়েনার গতকাল বিয়ে হয়ে গেল।সেই বিয়ের ফোটোগুলিই অরুনাভোর টাইমলাইমটাকে ভরিয়ে দিল সকালবেলায়।সক্কাল সক্কাল কোয়েনাকে বিয়ের সাজে অন্য কারুর সাথে দেখে খুব কষ্ট পেল সে।ওই তো কোয়েনাকে ফিরিয়ে দিয়েছে তাহলে ওর কষ্ট হওয়ার তো কথা না? আফসোস হতে লাগল অরুনাভোর।কোয়েনাকে হারানোর ব্যাথা জেগে উঠল বুকের মাঝে।তাহলে সে কি ভুল করল?
কোয়েনার সাথে সেই শেষ দেখাটা চোখের সামনে ভাসতে লাগল।কিছুক্ষণের মধ্যেই বুক ভারি ঠেকতে লাগল।না! আজ আর অফিস যেতে পারবেনা একা নিজেকে সময় দিতে হবে একটু।তাড়াতাড়ি স্নান খাওয়া সেরে বাড়িতে না জানিয়ে সে বেরিয়ে পড়ল।মনটা এত অস্থির আর তার লাগেনি কোনো দিন।একটা কষ্ট শুধু তীব্র থেকে তীব্রতর হতে লাগল।একটা পার্কে এসে একটা বেন্ঞে বসল সে।আর সারা শরীরটায় যেন মুহূর্তে মানসিক বেদনা ছড়িয়ে পড়ল।অনেক্ষণ নানান ভাবনা,স্মৃতি ইত্যাদি নিয়ে ভাবার পর যখন তার হৃদয় খানিক ক্লান্ত হয়ে এল।একটা সিগারেট ধরালো সে।উদাসীন ভাবে পার্কের আসা বা বসে থাকা অন্যান্য মানুষদের লক্ষ্য করতে লাগল।
।তাদের মধ্যে কেউ ছিল কাপল,তারা প্রেমে মত্ত,কেউ বা ঝোঁপে আড়ালে শরীরি সুখ চেখেঁ দেখছে,কিছু অল্প বয়সি ছেলে মেয়ের দল তারা ফোটো তুলতে হাসাহাসিতে ব্যস্ত।সিগারেটা ঝাকিঁয়ে ছাই ফেলল অরুনাভো এবং আবার মুখ লাগিয়ে একটা টান দিল।পাশ ফিরতেই চোখে পড়ল সেই মেয়েটিকে যার রূপ যেকোনো ছেলেকে মুহূর্তে মোহগ্রস্ত করে দিতে পারে।সে মাথা নীচু করে হাতে একটা বই  নিয়ে তার দিকেই এগিয়ে আসছে।তাকে এগিয়ে আসতে দেখেই অরুনাভো ভীষণ নার্ভাস হয়ে পরে,হৃদয় যেন ফেটে যাবে এত জোরে দপ দপ করতে থাকে,সারা শরীরে ঘাম দিতে শুরু করে।এমনটা সে আগে কখন অনুভব করেনি।মেয়েটি এসে মুখটি তুলল আর অরুনাভোর দিকে তাকালো।অরুনাভোর বুকের রক্ত হিম হয়ে গেল।কি তীক্ষ্ণ নজর মেয়েটার সোজা তার হৃদয়টাকে ছেদ করছে সে।ভ্যাবলার মত তাকিয়ে থাকল তার মুখটার দিকে।
"বসতে পারি এখানে?"অরুনাভোর কথা যেন আটকে গেল।মনে মনে সে চটাচট উত্তর দিল কিন্তু কিছুই বলতে পারলনা মুখ ফুটে।
"নিশ্চয়ই! নিশ্চয়ই " কথাতো নই যেন সে সিবিআই তদন্তের উত্তর দিচ্ছে।মেয়েটি বসে বইয়ের পাতা উল্টাতে লাগল।অরুনাভো কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছেনা যে মেয়েটা তার পাশে বসে আছে।মাথাটা নীচু করে সে কেবল নিজের লাল হওয়া গালদুটোর উষ্ণতা অনুভব করতে লাগল।মেয়েটা কেসেঁ উঠল।
"সিগারেট খাওয়াটা প্লিজ বন্ধ করবেন! ধোঁয়াটা জাস্ট আমি সহ্য করতে পারিনা।"অরুনাভো সঙ্গে সঙ্গে সিগারেটটা নীচে ফেলে পা দিয়ে আগুনটা নিভিয়ে দিল।মনে মনে সে নিজেকে ভীষণ কথা শোনালো তার এই বোকামোর জন্য।
"সরি,সরি!! আই অ্যাম এক্সট্রিমলি সরি...আসলে বুঝতে পারিনি"
"নানা...ইটস টোটালি ফাইন" বলে মেয়েটি তার বইয়ের পাতায় দৃষ্টি স্থির করল।
রবের অশেষ ক্রিপা এইরকম একটা সুবর্ণ সুযোগ সে অরুনাভোকে দিয়েছেন।কিন্তু এই সুযোগের সৎ ব্যবহার কীভাবে করবে সে?এর আগে সে কোনো অচেনা মেয়ের সাথে এভাবে কথা বলেনি।দম বন্ধ লাগল অরুনাভোর।এই সুবর্ণ সুযোগ সে আর হয়তো পাবেনা আজ মেয়েটার সাথে আলাপ করতেই হবে এত কাছে বসে সে মেয়েটার।মেয়েটা আবার রবীন্দ্রনাথ পড়ছে,সেই নিয়েই কি কিছু একটা বলে দেখবে অরুনাভো? নাকি তার নাম জিজ্ঞেস করবে সরাসরি? নাকি আজকের উষ্ণতা নিয়ে আলোচনা শুরু করবে।কোনোকিছুই অরুনাভোর মনের মত লাগছেনা যেটা সে মেয়েটিকে বলতে পারে।কিন্তু আজ কথা না হলে যদি আর কোনোদিন না হয়।
to be continued............

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

নিষিদ্ধ ভালোবাসা(পর্ব ০৯)

RM ,,পূর্ববর্তী পার্ট গুলি পেতে অমার টাইমলাইন  ভিজিট করুন,, কতক্ষণ ঘুমিয়ে ছিলাম সেটা মনে নেই। চোখ খোলে যখন মাথার পেছনে সজোরে এক থাপ্পর খাই। ঘুম ঘুম চোখে চারদিকে তাকিয়ে দেখি যে কে আমাকে চড়টা মারল। আমি দেখলাম যে আমি উঠানের মাটিতে পড়ে আছি, পায়ের কাছে মাটিতে সুব্রত পড়ে আছে। আমি ওপর দিকে তাকিয়ে দেখতে চেষ্টা করি যে কে আমাকে চড়টা মারল, আমি অবাক হয়ে দেখি যে ইন্দ্রানি মাসি আমাদের দিকে কটমট করে তাকিয়ে আছে। আমার দিকে তাকিয়ে চেঁচিয়ে বলে ওঠেন “শুয়োর গুলো এখানে শুয়ে? আর আমারা তোদের দু’জনকে সারা বাড়িতে হন্যে হয়ে খুঁজছি। তোদের কি কোন বোধ বুদ্ধি নেই?” আমি সুব্রতর কাঁধ ঝাঁকিয়ে উঠিয়ে দিলাম, সুব্রত আর আমি দুজনেই উঠে পড়লাম মাটি থেকে। আমি কাতর চোখে ইন্দ্রানি মাসির দিকে চেয়ে বললাম “সরি মাসি। ভুল হয়ে গেছে, কাল রাতে একটু বেশি হয়ে গেছিল।” চেয়ারের ওপরে মদের বোতল আর গ্লাসের দিকে ইন্দ্রানি মাসির চোখ পড়ে যায়, তাড়াতাড়ি করে চেয়ারের ওপরে নিজের শাল ফেলে দিয়ে ঢেকে দেয় গ্লাস আর বোতল। ঠিক সেই সময়ে পেছন থেকে অনেক গুলো পায়ের আওয়াজ পাই। মাসি সবাই কে বলে “এই ছেলে দুটো সারা রাত...

নিষিদ্ধ ভালোবাসা(শেষ পর্ব)

RM কিছুদূর যেতেই  একটি জায়গায় গাড়ি দাঁড় করায় বল্বিন্দার, বলল যে গাড়িতে তেল ভরতে হবে। গাড়ি থামার সঙ্গে সঙ্গে পরীর ঘুম ভেঙে যায়, আমার দিকে তাকিয়ে বলে “কতক্ষণ ঘুমিয়েছি আমি?” আমি বললাম “বেশীক্ষণ ঘুময়নি তুমি” “আমরা থামলাম কেন?” “তেল ভরার জন্য।” “আর কত দেরি পৌঁছতে?” আমি পেট্রল পাম্পের লোকটাকে জিজ্ঞেস করলাম যে জিওরি থেকে চিতকুল কতক্ষণ লাগবে পৌঁছতে। লোকটা আমায় জানাল যে আরও ঘন্টা চারেকের রস্তা বাকি। লোকটা আরও জানাল যে কারছাম ব্রিজের পরে রাস্তা খুব খারাপ। বল্বিন্দার আমাকে বলল যে ও রাস্তা জানে, কোন চিন্তা করতে বারণ করল আমাকে। পরী হিন্দি বিশেষ ভালো করে বোঝেনা তাই আমাকে জিজ্ঞেস করে যে বল্বিন্দার কি বলল। আমি রাস্তার কথাটা চেপে গেলাম, জানালাম যে কোন কিছুর জন্য চিন্তা না করতে। ঘড়ির দিকে তাকালাম, আড়াইটে বাজে তখন, তারমানে চিতকুল পৌঁছতে সন্ধ্যে হয়ে যাবে। একে শীতকাল তায় আবার পাহাড়, এখানে রাত সমতলের চেয়ে একটু তাড়াতাড়ি নামে। জিওরি ছাড়ার কিছু পরেই পরী বলল যে ও আর ঘুমোতে চায় না, বাইরের দৃশ্য দেখবে। আমি বললাম ঠিক আছে। কিছু পরেই সূর্য পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়ে। যখন আ...

"এক অপরিচিতা"(পর্ব: ছয়)

লেখক:আসিফ ইকবাল! "আগের পর্ব গুলো আমার টাইমলাইনে বিদ্যমান" পঞ্চম পর্বের পর থেকে..... ___আরে বাহ, আপনি নিজের বউ কেই চিনতে পারছেন না!       এবার তো বলবেন গতকাল আপনি আমাকে বিয়েই করেন              নি। হম,সেটাও বলে ফেলেন না! দেরি কেনো? ওর এতগুলি কথার পর বুঝতে পারলাম,এটাই আমার অপরিচিতা,কিন্তু ও আজকে নিকাব পড়েনি। হিজাব পড়েছে। তাই চিনতে পারিনি। মুখ দিয়ে কিছু বের হচ্ছেনা। শুধু ওর দিকে তাকিয়ে আছি। আমার বউটা অনেক কিউট। সকাল বেলা যে আমার জন্য এরকম একটা সারপ্রাইজ আছে সেটা ভাবিনি!      ____কি!আপনি কি এভাবেই তাইকে থাকবেন? নাকি উঠেবেন। জলদি উঠে ফ্রেশ হোন।(তাফা) ____তুমি আজকে নিকাব পরোনি যে! ____আপনি তো আমার বর!আপনার সামনে নিকাব পড়তে হবে কেনো?(তাফা) বলে.....একটা হাসি দিয়ে চলে গেলো। এই প্রথম ওর হাসি দেখলাম। আর সেটা আমাকে রীতিমতো পাগল করে দিয়েছে। আর দেরি করলাম না। জলদি বিছানা ছেড়ে ফ্রেশ হতে চললাম। তাফা,,, তাফা! কই তুমি?........ "এইতো কিচেনে,কি হোয়েছে..... তাফা কিচ...