সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

Devil_Husband(part_24)

Written by Fatema
.
.
.
টেস্ট করে কি দেখেছো...... 
-- ইয়ে মানে.....
-- চুপপপ......
তাড়াতাড়ি খাবার সার্ভ করো....
.
.
কাপা কাপা হাতে খাবার বেড়ে দিচ্ছিলাম আর মনে মনে ডেভিল কে বকার সাগরে ভাসাচ্ছিলাম।
শালার কপাল আমার, লাইফ টা হেল করে দিলো এই বিল্লু টা 
নিজের খাবার কোনদিন নিয়ে খাইনি আর সে কিনা আমাকে দিয়ে কামলা খাটাইতেছে হুহহহ 
ইচ্ছে করছে গলা টা টিপে দেই 
.
.
-- কি হয়েছে, গ্লাসে পানি দাও নি কেনো।
ভাবছিলে কি হুম
গলায় খাবার আটকিয়ে মারবে নাকি।
-- আপনি এভাবে কেনো দিচ্ছেন।
আগে আমি এইসব করেছি নাকি যে কিভাবে কি করতে হয় জানবো । 
-- এটা তো একটা দুধের শিশুও জানে।
যাইহোক আজকের পর যেন আর বলতে না হয়।
খাবার দেয়ার আগে পানি সামনে রেডি রাখবে।
-- হুহহ
-- হুহহ কি হ্যা.....
আরো দু চারটা থাপ্পড় কি খাইতে হবে তোমার।
-- (মেজাজ টা এত খারাপ হচ্ছে কি আর বলবো। আমার বাসায় বসে আমাকেই হুকুম জাড়ি করে। বদমাইশ ডেভিল আরিয়ান ভাগে পাই একবার তোমাকে,তখন বুঝবে এই সাবিয়া কি জিনিস। বাই দ্যা রাস্তা ডেভিল করে টা কি আজ পর্যন্ত সেটাই জানতে পারলাম না। ভাববার বিষয়........)
-- ভাবা ভাবি পরে করবে আগে খেয়ে নাও।
( আরে বুঝলো কিভাবে ও খোদা এই ডেভিল টাকে কি মনের কথা পড়ার ও ক্ষমতা দিছো নাকি। দিলে তোমার সাথে আড়ি। ধুরর ভাল্লাগেনা )
........................................
খাবার টেবিলে আর কোনো কথা হলো না।
আমি একদম ই চুপ ছিলাম।
একটু অবাক ও হলাম, সে ও কিছু বললো না। আরেহ বাহ খুব ভালো।
খাওয়া শেষ করে সোফায় গিয়ে বসেছে টিভি অন করে।
কি সব ইংলিশ মুভি দেখে ।
আমার তো দেখলেই গা জ্বলে। খালি ভাঙচুর ধুরর,এসব দেখে পাগলেরা ।
তার তো ভেজাল শেষ, আর শুরু তো আমার।
প্লেট বাটি সব ই তো আমাকেই ক্লিন করতে হবে।
এত রাগ হচ্ছে না।
দিন দিন এই ডেভিল টার জন্য আমার রাগ চরম রাগে পরিণত হচ্ছে।
মনে হচ্ছে আমি ব্রেন স্ট্রোক করবো।
হুহহ হলে ভালো ই হবে। ডেভিলের হাত থেকে বাঁচবো।
খুব জ্বালাচ্ছে।
কবে জানি একেই জ্বালিয়ে দেই। 
.
.
মিনিট দু এক পরেই আরিয়ান কিচেনে দৌড়ে আসলো।
আসবেই বা না কেনো। প্লেট দুটোই ভেঙে ফেলেছি।
-- কি হলো কি করেছ এইটা 
-- ইয়ে মানে হাত থেকে পিছলে পড়ে ভেঙে গেছে 
-- আসলেই তুমি একটা অকর্মার ঢেকি.....
-- এই যে অকারণ এ আমার উপর সবসময় রাগ দেখাবেন না।
যেমন বললেন আপনি মনে হয় খুব এক্সপার্ট এইসব কাজে।
-- তুমি কি আমাকে লুজার মনে করো....... 
-- কই, আমি কখন মনে করলাম।
আমিতো আপনাকে কিছুই বললাম না। (আপনি আসলেই লুজার, লেজকাটা টিকটিকি। আবার বেশি কথা বলে। পিন দিয়া গুতাইয়া মারতে ইচ্ছা করে হুহহহ)
আপনি এতই যখন পারেন তো এই ধরেন আপনিওই করেন আমি গেলাম।
এই বলে সব রেখে চলে আসছি।
দৌড় দিয়েই আসছি যাতে পিছন থেকে দ্বিতীয় বার আটকাতে না পারে.........
হুহহ করো করো টের পাবা, মেয়েদের কাজ এত সোজা না 
যাব্বাবা দুপুর পার হয়ে গেলো আমি এখনো ঘুমাইতেই গেলাম না।
কবে থেকে দিনের বেলায় ঘুমানো হয় না।
ভালো হয়েছে ডেভিল টা এখানে বসে খাটুক আমি গিয়ে একটু ঘুমাই।
আল্লাহ মালুম কখন আবার কি করে বসে। 
আমি আমার রুমে গিয়ে তাড়াতাড়ি ফ্রেস হয়ে নিলাম।
এই ডেভিলের জন্য তো আগে ফ্রেস ই হতে পারলাম না।
এত্ত জ্বালায় কেরে আমারে 
ইয়েসসস.....পালানো ছাড়া কোনো উপায় নেই।
ফাইনাল এক্সাম টা শেষ হোক তখন পালাবো।
নয়তো ভার্সিটি থেকে ঠিক তুলে নিয়ে আসবে।
After all he is my #Devil_Husband 
রুমে গিয়ে ফ্রেস হয়ে শুয়ে পড়লাম।
আবার উঠে এক দৌড়ে দরজার কাছে।
হুহহ কি ভাবছেন শুধু দৌড়াই কেনো।
আরেহহ....দরজা তো লক করি নাই।
ডেভিল এসে যদি ঘুম ভাঙায় তো কি করবো।
যাতে রুমে ঢুকতে না পারে সে জন্য লক করতে দৌড় দিয়েছিলাম।
বিছানায় এসে ফোনে ইয়ারফোন কানেক্ট করে কানে গুজে দিয়ে শুয়ে পড়লাম।
এই টাইম টায় গান শুনতে শুনতে ঘুমানোর অভ্যাস।
(আমি ঘুমাইলাম কেও ডাইকেন না, গুডনাইট  আরে দুপুর তো কি হইছে ঘুমাইলেই আমার কাছে নাইট। )
.
.
মাগরিব এর আজান শুনে আড়মোড়া দিয়ে উঠে বসলাম।
আহহহ কত দিন পর এমন শান্তিতে ঘুমাইলাম।
একেবারে সন্ধ্যা হয়ে গেছে।
যাক তাহলে নামাজ টা পড়েই বের হই।
নামাজ শেষে মনে পড়লো
কি ব্যাপার সব এমন নিশ্চুপ কেনো।
ডেভিল কই.......
তাড়াতাড়ি করে বের হলাম রুম থেকে।
দেখে তো আমার মাথা ঘুরে যাওয়ার মতো অবস্থা।
পুরো ড্রয়িংরুম এলোমেলো করা 
আল্লায় জানে অন্যরুম গুলোর কি নাজেহাল অবস্থা করছে 
আরেকটু এগিয়ে দেখি তারও সেই একি অবস্থা ।
দেখতে এত উস্কোখুস্কো আর চেহারায় কেমন রাগি ভাব মিক্সড ছিল 
সোফায় এভাবে শুয়ে আছে।
কি করবো ভেবে পাচ্ছি না।
গুছানো শুরু করে দিয়েছি যেমন পারি আর কি।
তার চোখ বন্ধ থাকায় ভাবলাম ঘুমাচ্ছে হয়তো।
এখন দেখি নাহ শব্দ হওয়াতে সে তাকিয়ে দেখলো।
ভাবলাম এই বুঝি ধমক দিবে নয়তো গালে এসে থাপ্পড় বসেইয়ে দিবে।
নাহ সেখানেই বসে আছে ।
নো নরিং চরিং........
এক কাজ একাধিক বার করতে হচ্ছে। হবেই বা না কেনো আমিতো পারিনা।
অনেক কষ্টে ড্রয়িংরুম গুছিয়ে গেলাম আব্বু আম্মুর রুমে ।
হায় হায় এগুলা কি......
বদমাইশ ডেভিল টা আলমারির সব কাপড় বিছানায়, নিচে এলোমেলো করে ফেলে রাখছে।
এবার তো ভয় না হেব্বি রাগ হচ্ছে।
একে তো কথা না শুনালেই না ।
বেশি বাড় বেড়েছে 
.
.
-- Ariyaaaaaaaaaaaannn.........
আরিয়ান, আরিয়ান, আরিয়ান.............. 
.
.
কানে কি তালা লাগালো নাকি।
এত জোড়ে চেঁচালাম আর সাড়াই দিচ্ছে না। 
দাড়াও দেখাচ্ছি মজা।
উড়না টা গলা থেকে টান দিয়ে নামিয়ে কোমরে বেধে নিলাম।
আজকে ওর একদিন কি আমার যতদিন লাগে......
সেকিইইইইই..........
আপনি আবার এগুলো নষ্ট করলেন কেনো 
কিসের চিপ্স এগুলোর র‍্যাপার এখানে ফেলছেন কেনো। একটু আগে এত কষ্ট করে গুছিয়ে গেলাম আর আপনি...............
আব্বু আম্মুর রুম টা ও এলোমেলো করে ফেলে রেখেছেন।
পেয়েছেন টা কি হ্যা.........
এই যে আমি আপনাকে কিছু বলছি এদিকে তাকান।
.
.
কাকে কি বলছি আমি বলছি আর সে টিভির দিকে তাকিয়ে চিপ্স খাচ্ছে।
দাড়াও খাওয়াচ্ছি। আমার ফেভারিট চিপ্স গুলা খাইয়া শেষ করে দিলো
গেলাম কিচেনে। নিলাম হাতে বোতল।
ড্রইংরুম এ আসলাম আর ঝপাং করে মাথায় ঢেলে দিলাম ঠান্ডা পানি।
--- সাবিয়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়া...........
--
বেশ হয়েছে আমাকে খাটানোর ধান্দা।
এত করে কথা বলছি আর আপনি বসে বসে আমার ফেভারিট চিপ্স খেয়ে শেষ করে দিলেন।
আর এসব কি হ্যাহহহহহ।
সব রুম এভাবে নোংরা করছেন কেনো।
-- আমাকে এই ঠান্ডার মাঝে ফ্রিজের পানি দিয়ে ভিজিয়ে এখন হেসে হেসে জবাবদিহিতা করছো।
তা তো আর আমি হতে দেবো না সো পাখি।
-- (সোনা পাখি ডালমে কুচ কালা হ্যায়)
.
.
ভাবতে না ভাবতেই টেনে নিয়ে যাচ্ছে।
-- আরে আমাকে এভাবে টানছেন কেনো।
আপনার কি এইটা জিন গত প্রব্লেম নাকি টানাটানি করা।
ছাড়ুন আমায়।
.
.
কোনো কথা উত্তর দিচ্ছে না।
বাথরুম এ নিয়েই দিলো দরজা লক করে।
-- এইইইইইইই আপনি আমাকে পাইছেন টা কি হ্যাহহহ।
এত অত্যাচার করেন কেনো আমার উপর।
-- আমি তোমার উপর কি অত্যাচার করতে পারি পাখি
আগে আগে দেখো ক্যায়া হোতাহে......
.
.
এই বলেই বলেই দিলো ঝর্নার পানি ছেড়ে।
-- Aaaaaaaaa.........
করলেন টা কি এইটা 
-- বেশি কথা বইলো না।
এই রাতের বেলায় যদি আমাকে ফ্রিজের পানিতে ভেজাতে পারো তো আমি তোমাকে এখানে কেন পারবো না হুম।
যাও গোসল টা সেড়েই ফেলো।
রুমে গিয়ে দেখবে তোমার জন্য ড্রেস আর জুয়েলারি রাখা আছে।
সুন্দর করে সেজে বের হবে কেমন।
-- পারবো না........
-- পড়তে হবে...
-- পারবো না....
-- কি বললে আরেকবার বলো....
-- পারবো.......
না বলার সুযোগ হয় নি তার আগেই 
হুম ডেভিল তার ওয়াইফ কে কিসি দিয়েছে।
খুব টনছিল যে ভেজা ঠোট জোড়া...........
To be continue ..........
সবাইকে দুঃখিত সকালে ধোকা দেওয়ার জন্য
তাই এখন দিয়ে দিলাম। 
সবাই কি খুশি..................???

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

নিষিদ্ধ ভালোবাসা(পর্ব ০৯)

RM ,,পূর্ববর্তী পার্ট গুলি পেতে অমার টাইমলাইন  ভিজিট করুন,, কতক্ষণ ঘুমিয়ে ছিলাম সেটা মনে নেই। চোখ খোলে যখন মাথার পেছনে সজোরে এক থাপ্পর খাই। ঘুম ঘুম চোখে চারদিকে তাকিয়ে দেখি যে কে আমাকে চড়টা মারল। আমি দেখলাম যে আমি উঠানের মাটিতে পড়ে আছি, পায়ের কাছে মাটিতে সুব্রত পড়ে আছে। আমি ওপর দিকে তাকিয়ে দেখতে চেষ্টা করি যে কে আমাকে চড়টা মারল, আমি অবাক হয়ে দেখি যে ইন্দ্রানি মাসি আমাদের দিকে কটমট করে তাকিয়ে আছে। আমার দিকে তাকিয়ে চেঁচিয়ে বলে ওঠেন “শুয়োর গুলো এখানে শুয়ে? আর আমারা তোদের দু’জনকে সারা বাড়িতে হন্যে হয়ে খুঁজছি। তোদের কি কোন বোধ বুদ্ধি নেই?” আমি সুব্রতর কাঁধ ঝাঁকিয়ে উঠিয়ে দিলাম, সুব্রত আর আমি দুজনেই উঠে পড়লাম মাটি থেকে। আমি কাতর চোখে ইন্দ্রানি মাসির দিকে চেয়ে বললাম “সরি মাসি। ভুল হয়ে গেছে, কাল রাতে একটু বেশি হয়ে গেছিল।” চেয়ারের ওপরে মদের বোতল আর গ্লাসের দিকে ইন্দ্রানি মাসির চোখ পড়ে যায়, তাড়াতাড়ি করে চেয়ারের ওপরে নিজের শাল ফেলে দিয়ে ঢেকে দেয় গ্লাস আর বোতল। ঠিক সেই সময়ে পেছন থেকে অনেক গুলো পায়ের আওয়াজ পাই। মাসি সবাই কে বলে “এই ছেলে দুটো সারা রাত...

নিষিদ্ধ ভালোবাসা(শেষ পর্ব)

RM কিছুদূর যেতেই  একটি জায়গায় গাড়ি দাঁড় করায় বল্বিন্দার, বলল যে গাড়িতে তেল ভরতে হবে। গাড়ি থামার সঙ্গে সঙ্গে পরীর ঘুম ভেঙে যায়, আমার দিকে তাকিয়ে বলে “কতক্ষণ ঘুমিয়েছি আমি?” আমি বললাম “বেশীক্ষণ ঘুময়নি তুমি” “আমরা থামলাম কেন?” “তেল ভরার জন্য।” “আর কত দেরি পৌঁছতে?” আমি পেট্রল পাম্পের লোকটাকে জিজ্ঞেস করলাম যে জিওরি থেকে চিতকুল কতক্ষণ লাগবে পৌঁছতে। লোকটা আমায় জানাল যে আরও ঘন্টা চারেকের রস্তা বাকি। লোকটা আরও জানাল যে কারছাম ব্রিজের পরে রাস্তা খুব খারাপ। বল্বিন্দার আমাকে বলল যে ও রাস্তা জানে, কোন চিন্তা করতে বারণ করল আমাকে। পরী হিন্দি বিশেষ ভালো করে বোঝেনা তাই আমাকে জিজ্ঞেস করে যে বল্বিন্দার কি বলল। আমি রাস্তার কথাটা চেপে গেলাম, জানালাম যে কোন কিছুর জন্য চিন্তা না করতে। ঘড়ির দিকে তাকালাম, আড়াইটে বাজে তখন, তারমানে চিতকুল পৌঁছতে সন্ধ্যে হয়ে যাবে। একে শীতকাল তায় আবার পাহাড়, এখানে রাত সমতলের চেয়ে একটু তাড়াতাড়ি নামে। জিওরি ছাড়ার কিছু পরেই পরী বলল যে ও আর ঘুমোতে চায় না, বাইরের দৃশ্য দেখবে। আমি বললাম ঠিক আছে। কিছু পরেই সূর্য পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়ে। যখন আ...

"এক অপরিচিতা"(পর্ব: ছয়)

লেখক:আসিফ ইকবাল! "আগের পর্ব গুলো আমার টাইমলাইনে বিদ্যমান" পঞ্চম পর্বের পর থেকে..... ___আরে বাহ, আপনি নিজের বউ কেই চিনতে পারছেন না!       এবার তো বলবেন গতকাল আপনি আমাকে বিয়েই করেন              নি। হম,সেটাও বলে ফেলেন না! দেরি কেনো? ওর এতগুলি কথার পর বুঝতে পারলাম,এটাই আমার অপরিচিতা,কিন্তু ও আজকে নিকাব পড়েনি। হিজাব পড়েছে। তাই চিনতে পারিনি। মুখ দিয়ে কিছু বের হচ্ছেনা। শুধু ওর দিকে তাকিয়ে আছি। আমার বউটা অনেক কিউট। সকাল বেলা যে আমার জন্য এরকম একটা সারপ্রাইজ আছে সেটা ভাবিনি!      ____কি!আপনি কি এভাবেই তাইকে থাকবেন? নাকি উঠেবেন। জলদি উঠে ফ্রেশ হোন।(তাফা) ____তুমি আজকে নিকাব পরোনি যে! ____আপনি তো আমার বর!আপনার সামনে নিকাব পড়তে হবে কেনো?(তাফা) বলে.....একটা হাসি দিয়ে চলে গেলো। এই প্রথম ওর হাসি দেখলাম। আর সেটা আমাকে রীতিমতো পাগল করে দিয়েছে। আর দেরি করলাম না। জলদি বিছানা ছেড়ে ফ্রেশ হতে চললাম। তাফা,,, তাফা! কই তুমি?........ "এইতো কিচেনে,কি হোয়েছে..... তাফা কিচ...