সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

Devil_Husband(part_23)

Written by Fatema
কে শোনে কার কথা। এভাবেই গাড়িয়ে বসালো।
বসানোর পরেই দিলো এক বিশাল ধমক।
আমি আর যাই কই অবস্থা বেগতিক 
চুপ করে বসে আছি। আত্মা টা শুধু ধুকপুক করে যাচ্ছে।
আরেকটু জোড়ে ধমক দিলে হয়তো ভেতর থেকে বের ই হয়ে যেতো
-- একি আপনি এত জোড়ে গাড়ি চালাচ্ছেন কেনো 
-- (দাতে দাত চেপে) বেশি কথা বলবে তো একেবারে খাদে ফেলে দিয়ে আসবো
--  ( ইয়া মাবুদ আজকে আমায় তুমি বাঁচিয়ে নাও। এ তুমি কার গলায় আমায় ঝুলিয়ে দিলে যে কিনা ডিরেক্ট মার্ডার করার হুমকি দেয়)
মনে হচ্ছে হাওয়ায় উড়ছি।
আরে ধুর মরিনাই 
গাড়ির স্পীড অনেক তাই বললাম
হঠাৎ গাড়ি থামালো।
আরে এতটা তো ওর বাসা না তাহলে.......
একি এটাতো আমার বাসা।
এখানে নিয়ে আসলো কেনো।
খুন টুন করে রেখে যাবে নাকি 
ইয়া আল্লাহ বাচাও.....
আমি আর জীবনেও এমন করবো না 
গাড়ি থেকে টেনে বের করলো।
কিছুই বললাম না। যথা সম্ভব চুপ থাকার চেষ্টা করছি।
গেটের কাছে গিয়ে দাত কটমটিয়ে বলল,
-- ফাস্ট লক খুলো 
-- কিন্তু আপনি এখানে........
“ঠাসসসসসসসসস”✋
হাতের পাঁচ টা আঙুল বসে গেলো আমার বাম গালে। 
মাথা ঘুরছে।
আরে পড়িনাই, I'm strong....... 
এত জোড়ে একটা থাপ্পড় খাওয়ার পরেও দেখুন কিভাবে দাঁড়িয়ে আছি
বাট আমার দুনিয়া ঘুরছে।
তাতে কি ঘুরতে ঘুরতে গিয়েই লক খুললাম।
.
.
খুলে দিতেই টেনে নিয়ে গেলো ভেতরে।
গিয়েই কিচেনে ঠেলে দিলো।
কি ব্যাপার এখানে কেন ঠেলে দিলো আজব.......
-- যাও আমার জন্য চা করে নিয়ে আসো....
-- চা
-- অবাক হওয়ার কি আছে।
যাও চালু।
-- আসলে আমিতো.....
-- ফাস্ট ফাস্ট
ধুর বাবা কি ভেজালে পড়লাম। আমিতো ভালো করে কিছুই করতে পারিনা।
ডেভিল 
ব্যাপার টা কি...
লেজকাটা টিকটিকি, খবিস বান্দর... ডেভিল 
কি ফন্দি এটে আমাকে এখানে নিয়ে এসেছে ও বাড়িতে না নিয়ে।
করবে টা কি।
চা ব্যাগ টা সাইডে রেখে চা বসালাম।
বেসিন থেকে মুখে পানির ঝাপটা দিলাম।
উফফ শান্তি। কি যা চা নিয়ে গেলে কি অশান্তি হয়।
চা নিয়ে গেলাম।
ড্রয়িং রুমে পা রাখতেই দেখি
নবাব সাহেব শার্টের এক হাতা উপরে আরেক হাতা ফুল। এক পায়ের জুতা পায়ের কাছে আরেক কোন দুনিয়ায় কে জানে।
মোজা দুইটা সোফার উপর।
এক পায়ের প্যান্ট ভাজ করা আরেক পায়ের টা প্রায় হাটু পর্যন্ত।
চুল গুলো পুরাই পাখির বাসা।
মাথা টা সোফাতে হেলান দিয়ে মিডিয়াম স্পীড এ চলা ফ্যানের দিকে মুখ করে চোখ বন্ধ করে আছে।
হাত দুটোও সোফার উপর দুপাশে রাখা। 
আল্লাহ গোওওওও
মানুষ ও বলে এমন থাকে। 
এমন দেখে হাত কাপা শুরু হয়ে গেছে।
আল্লাহ বাচাইও।
-- এই যে শুনছেন
--.................
-- আপনার চা 
--...........
-- এই যে আপনার.....
উঠে দাঁড়িয়েই হাত থেকে থাবা দিয়ে চায়ের কাপ টা ফেলে দিয়ে চেঁচিয়ে উঠলো,
-- কানের কাছে এমন চেঁচাচ্ছ কেনো।
একবার বলেছ তাতে কি আমি শুনতে পাই নি নাকি।
আমার কানে কি কোন প্রব্লেম আছে বলে তোমার মনে হয়।
-- আ..আ..আপনি তো সাড়া দিচ্ছিলেন না তাই ভাবলাম......
-- কি ভাবলে হ্যাহহহ.....
এত ভাবতে কে বলেছে
একদম ভাবতে আসবে না।
-- আপনি এমন করছেন কেনো আমার সাথে
-- জবাব দিতে আমি বাধ্য নই।
যাও এগুলো ক্লিন করে খাবার রেডি করো।
আমি ফ্রেস হতে যাচ্ছি।
-- আমি রান্না করতে পারিনা,আর আমি কোথায় ফ্রেস হতে যাচ্ছেন......?? 
-- রান্না পারো না তো পারো টা কি ঘোড়ার ডিম।
একদম কথা বাড়াবে না।
তাহলে আর গালের অবস্থা ঠিক থাকবে না ।
আর হ্যা আমি আমার বাচাল, মাথায় বাজে ঘিলু ঠাসা, তারছিরা বউয়ের ঘরেই যাচ্ছি ফ্রেস হতে ok......
বেশি কথা না বলে নিজের কাজ করো গিয়ে।
ফ্রেস হয়ে যেন খাবার রেডি পাই। 
.
.
.
এই বলে শার্টের বোতাম খুলতে খুলতে হনহনিয়ে আমার রুমের দিকে যাচ্ছে।
হঠাৎ ই দাঁড়িয়ে আমাকে পিছন ফেরে বলে “আমার সুজ আর মোজা টা রুমে এসে রেখে যাও আর পড়ার জন্য অন্য জুতো দিয়ে যাও।
Come Fast.....”
.
.
এই বলে একটা শয়তান মার্কা হাসি দিয়ে চলে গেলো 
খবিশ মার্কা ডেভিল
তোকে তো কাচ্চা কিনা বানাই খাওয়া উচিৎ 
ধ্যাততেরেকি.....
রান্না তো জীবনেও করিনাই।
সব আম্মুর দোষ। কখনো করতে দেয় নাই।
একটু শেখালে কি হতো হুহহ।
এখন এমন আজাবে পড়তে হতো না।
ধুরর.....
আম্মুর আর কি দোষ।
যে ঘুম ঘুমাই আমি ঠেলতে ঠেলতেই তো আম্মু লাইফ হেল
ধুর যাই ট্রাই করি কিছু।
ঢ্যাং ঢ্যাং করে গেলাম কিচেনে।
মনে পড়তেই দৌড়ে আসলাম আবার ড্রয়িং রুমে।
তাড়াতাড়ি সুজ একটা হাতে নিয়ে আরেকটা খুজছি।
কোথায় গেলিরে বাপ সুজ....
ছিঃ ছিঃ আমি সুজকে বাপ ক্যান বলি
উফফফ আমি এবার পাগলা গারদে নিশ্চিত যাবো 
অবশেষ এ পাইলাম সোফার পিছনে একটু ফাকা যায়গায় সেখানে।
এমা সেখানে গেলো কিভাবে।
এই পাগলের সাথে থাকলে আমিও তার আগেই পাগল হয়ে যাবো
ইয়া মাবুদ তুলে নাও আমাকে।
আর ভাল্লাগেনা।
It's a #Devil_Husband.....
He don't Love me.....
Angry bird একটা
সুজ আর মোজা নিয়ে দৌড়ে গেলাম রুমে।
এমা সে কই...... 
আরে আব্বুর রুম থেকে আওয়াজ আসছে।
গেলাম সেখানে।
পা টিপেটিপে আস্তে করে দরজায় দাঁড়িয়ে উকি দিলাম।
সেকি ডেভিল জানলো কিভাবে এটাই আব্বুর আলমারি 
তারমানে সে সব কিছু প্ল্যান করেই এসেছে।
আর আমাকেও এখানে এসেছে যাতে ইচ্ছা মতো টর্চার করতে পারে
ওরেএএ মা......
ডেভিল টার এই মতলব 
দেখি আব্বুর একটা টাওজার আর একটা টিশার্ট নিয়ে আলমারি লক করে দিলো।
আমিও চলে গেলাম আমার রুমে।
জুতো রেখে বের হচ্ছি তখন তার পায়ের দিকে তাকিয়ে দেখি আব্বুর বাসার পড়ার জুতো টা পড়েছে ।
আরে বাহ বাহ !!
শ্বশুর এর সব দখল নিয়ে নিলো 
উফফফ এসব চিন্তা করে কি হবে। আমিতো রান্নাই করতে পারিনা ।
দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এগুলো ভাবছিলাম।
-- কি ব্যাপার এখানে মূর্তি হয়ে দাঁড়িয়ে আছো কেনো।
রান্না করা কি শেষ।
-- হুম, হ্যা - না মানে যাচ্ছি 
এই বলে চলে আসলাম কিচেনে।
একটু ড্রেস আপ ও চেঞ্জ করার চান্স পেলাম না ধুরর ভাল্লাগেনা 
.
.
.
আম্মুকে একবার দেখেছিলাম ডিম ভাজতে।
করলাম ডিম ভাজি।
হুহহহ আমিও পারি।
কেমন পারি আল্লায় জানে আর যে খাবে সে জানবে। 
মাগার কথা আছে এক খান....
ডিম ভাজা টা খাবো কিসের সাথে।
গেলাম ইউটিউব এ।
দেখছেন আমার কত্ত বুদ্ধি হুহহ 
রুটি বানানো দেখলাম।
বানাইলাম রুটি।
সেইই একেক টা মানচিত্র হইছে 
ডাইনিং এ বসে ডেভিল তা হাক ছাড়ছে......
-- কি ব্যাপার সাবিয়া খাবার টা কি এই জন্মে পাবো
-- জ্বি আসছি। 
তাড়াতাড়ি খাবার নিয়ে গেলাম ডাইনিং টেবিল এ.....
আরিয়ান একবার আমার দিকে তাকায় আরেকবার খাবারের দিকে।
বুঝতে পারছি কোনো একটা ঘাপলা করেছি
-- এটা কোন দেশের খাবার সাবিয়া
-- ইয়ে মানে....
এমন সময় কলিং বেল বাজলো।
উফফফ আব্বু আম্মু এসেছে মনে হয়।
তাহলে তো আজ বেচেই গেলাম এই ডেভিলের হাত থেকে।
দৌড়ে গিয়ে দরজা খুলি।
দেখি ডেলিভারি বয়।
-- কি ব্যাপার
-- ম্যাম এই ঠিকানা থেকে আরিয়ান চৌধুরী নামে একজন এই খাবার অর্ডার করেছেন।
প্লিজ টেক ইট। 
() বললাম, আচ্ছা দাঁড়ান বিল টা নিয়ে আসছি।
“লাগবে না ম্যাম। বিল পে হয়ে গিয়েছে আগেই” এই বলে চলে গেলো ।
আমি দরজা লক করে ভেতরে গেলাম।
টেবিলে রেখে বললাম,
আপনি অর্ডার দিয়েছিলেন কেনো 
-- কারন আমি জানি, তুমি যে ঘোড়ার ডিম, বকের ঠ্যাং আর হাতির মাথা রান্না করবা।
আচ্ছা জীবনেও কি খাও নি।
চোখে দেখো নি কিভাবে রান্না করে।
খাবার গুলো চেয়ে দেখো কেমন দেখায়, তবে এটা খেতে কেমন হবে।
টেস্ট করে কি দেখেছো...... 
-- ইয়ে মানে.....
-- চুপপপ......
তাড়াতাড়ি খাবার সার্ভ করো....
To be continue..........

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

নিষিদ্ধ ভালোবাসা(পর্ব ০৯)

RM ,,পূর্ববর্তী পার্ট গুলি পেতে অমার টাইমলাইন  ভিজিট করুন,, কতক্ষণ ঘুমিয়ে ছিলাম সেটা মনে নেই। চোখ খোলে যখন মাথার পেছনে সজোরে এক থাপ্পর খাই। ঘুম ঘুম চোখে চারদিকে তাকিয়ে দেখি যে কে আমাকে চড়টা মারল। আমি দেখলাম যে আমি উঠানের মাটিতে পড়ে আছি, পায়ের কাছে মাটিতে সুব্রত পড়ে আছে। আমি ওপর দিকে তাকিয়ে দেখতে চেষ্টা করি যে কে আমাকে চড়টা মারল, আমি অবাক হয়ে দেখি যে ইন্দ্রানি মাসি আমাদের দিকে কটমট করে তাকিয়ে আছে। আমার দিকে তাকিয়ে চেঁচিয়ে বলে ওঠেন “শুয়োর গুলো এখানে শুয়ে? আর আমারা তোদের দু’জনকে সারা বাড়িতে হন্যে হয়ে খুঁজছি। তোদের কি কোন বোধ বুদ্ধি নেই?” আমি সুব্রতর কাঁধ ঝাঁকিয়ে উঠিয়ে দিলাম, সুব্রত আর আমি দুজনেই উঠে পড়লাম মাটি থেকে। আমি কাতর চোখে ইন্দ্রানি মাসির দিকে চেয়ে বললাম “সরি মাসি। ভুল হয়ে গেছে, কাল রাতে একটু বেশি হয়ে গেছিল।” চেয়ারের ওপরে মদের বোতল আর গ্লাসের দিকে ইন্দ্রানি মাসির চোখ পড়ে যায়, তাড়াতাড়ি করে চেয়ারের ওপরে নিজের শাল ফেলে দিয়ে ঢেকে দেয় গ্লাস আর বোতল। ঠিক সেই সময়ে পেছন থেকে অনেক গুলো পায়ের আওয়াজ পাই। মাসি সবাই কে বলে “এই ছেলে দুটো সারা রাত...

নিষিদ্ধ ভালোবাসা(শেষ পর্ব)

RM কিছুদূর যেতেই  একটি জায়গায় গাড়ি দাঁড় করায় বল্বিন্দার, বলল যে গাড়িতে তেল ভরতে হবে। গাড়ি থামার সঙ্গে সঙ্গে পরীর ঘুম ভেঙে যায়, আমার দিকে তাকিয়ে বলে “কতক্ষণ ঘুমিয়েছি আমি?” আমি বললাম “বেশীক্ষণ ঘুময়নি তুমি” “আমরা থামলাম কেন?” “তেল ভরার জন্য।” “আর কত দেরি পৌঁছতে?” আমি পেট্রল পাম্পের লোকটাকে জিজ্ঞেস করলাম যে জিওরি থেকে চিতকুল কতক্ষণ লাগবে পৌঁছতে। লোকটা আমায় জানাল যে আরও ঘন্টা চারেকের রস্তা বাকি। লোকটা আরও জানাল যে কারছাম ব্রিজের পরে রাস্তা খুব খারাপ। বল্বিন্দার আমাকে বলল যে ও রাস্তা জানে, কোন চিন্তা করতে বারণ করল আমাকে। পরী হিন্দি বিশেষ ভালো করে বোঝেনা তাই আমাকে জিজ্ঞেস করে যে বল্বিন্দার কি বলল। আমি রাস্তার কথাটা চেপে গেলাম, জানালাম যে কোন কিছুর জন্য চিন্তা না করতে। ঘড়ির দিকে তাকালাম, আড়াইটে বাজে তখন, তারমানে চিতকুল পৌঁছতে সন্ধ্যে হয়ে যাবে। একে শীতকাল তায় আবার পাহাড়, এখানে রাত সমতলের চেয়ে একটু তাড়াতাড়ি নামে। জিওরি ছাড়ার কিছু পরেই পরী বলল যে ও আর ঘুমোতে চায় না, বাইরের দৃশ্য দেখবে। আমি বললাম ঠিক আছে। কিছু পরেই সূর্য পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়ে। যখন আ...

"এক অপরিচিতা"(পর্ব: ছয়)

লেখক:আসিফ ইকবাল! "আগের পর্ব গুলো আমার টাইমলাইনে বিদ্যমান" পঞ্চম পর্বের পর থেকে..... ___আরে বাহ, আপনি নিজের বউ কেই চিনতে পারছেন না!       এবার তো বলবেন গতকাল আপনি আমাকে বিয়েই করেন              নি। হম,সেটাও বলে ফেলেন না! দেরি কেনো? ওর এতগুলি কথার পর বুঝতে পারলাম,এটাই আমার অপরিচিতা,কিন্তু ও আজকে নিকাব পড়েনি। হিজাব পড়েছে। তাই চিনতে পারিনি। মুখ দিয়ে কিছু বের হচ্ছেনা। শুধু ওর দিকে তাকিয়ে আছি। আমার বউটা অনেক কিউট। সকাল বেলা যে আমার জন্য এরকম একটা সারপ্রাইজ আছে সেটা ভাবিনি!      ____কি!আপনি কি এভাবেই তাইকে থাকবেন? নাকি উঠেবেন। জলদি উঠে ফ্রেশ হোন।(তাফা) ____তুমি আজকে নিকাব পরোনি যে! ____আপনি তো আমার বর!আপনার সামনে নিকাব পড়তে হবে কেনো?(তাফা) বলে.....একটা হাসি দিয়ে চলে গেলো। এই প্রথম ওর হাসি দেখলাম। আর সেটা আমাকে রীতিমতো পাগল করে দিয়েছে। আর দেরি করলাম না। জলদি বিছানা ছেড়ে ফ্রেশ হতে চললাম। তাফা,,, তাফা! কই তুমি?........ "এইতো কিচেনে,কি হোয়েছে..... তাফা কিচ...