সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

Devil_Husband(part_22)

Written by Fatema
.
.
.
চোখে ঘুম হাওয়ায় উড়ে গেলো।
অনেক অনেক ফানুশ।
আস্তে করে সে কানের কাছে ফিসফিস করে বললো "এটা আমাদের বিয়ে উপলক্ষে ছোট্ট একটা উপহার। শুধু তোমার জন্য From ur so called #Devil_Husband 
কি বলবো খুঁজে পাচ্ছিলাম না। অনুভব করছি হাতের তালু প্রচুর ঘামছে।
বাট এটা কেন হচ্ছে বুঝে পাচ্ছি না।
এখনো আকাশ পানে তাকিয়ে আছি।
আরিয়ান সেই কখন থেকে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
আমি দেখছি কিন্তু তাকাচ্ছি না।
রেলিং এর উপর আমার দুহাত রেখে দাঁড়িয়ে আছি।
আরিয়ান আমার ডান হাত টেনে নিয়ে নিজের বাম হাতে নিয়ে নিল।
-- আচ্ছা সাবিয়া একটা কথা বলি
-- (কি বলবো ভেবে পাইনা। "সাবিয়া" নাম ধরে তখন ই ডাকে যখন সে কোনো সিরিয়াস কথা বলতে চায়।
কিন্তু এখন কি বলতে চাচ্ছে।শুধু তার দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছি)
-- আচ্ছা থাক বলতে হবে না।
আচ্ছা তুমি এইটা শুধু বলো, তোমার হাত এমন ঘামছে কেনো। তুমি কি কোনো কারনে নার্ভাস ফিল করছো।
-- তা হবে কেনো এমনিতেই।
আমার এমন হয় ই।
-- ওওও তাইইই
এই বলে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরলো।
ডান কাধের উপর তার থুতনি টা রেখে একটা জোড়ে নিঃশ্বাস ফেললো।
-- আমার বউটা কি সার্ভার ফিল করছে।
-- ধুর বাবা বললাম না “না”।
-- উঁহু আমি তো মানছিনা।
-- আমি ঘুমাবো ছাড়ুন আমায়। 
-- উফফফ তুমি কি যে, একটু ও চুপ করে থাকতে চাও না।
কেনো বাবুই তোমার কি এখানে ভালো লাগছে না।
-- আমার শীত করছে।
-- এই মিথ্যে টা একটু কম বলো ঠিক আছে।
আমি তোমাকে জড়িয়ে আছি আর তুমি বলছো শীত করছে।
এখন তো শীত ই পড়েনি।
--( ধুর বাবা কি বলে যে ছাড়া পাবো কে জানে)
ছেড়ে দিল আমায়।
হাত ধরে নিচে টেনে নিচ্ছে।
-- কি হলো এভাবে টেনে নিচ্ছেন কেনো।
-- এই একদম চুপ 
এখন চুপ থাকতে পারো না।
তোমার না ঘুম পেয়েছে, শীত করছে ? তাই রুমে নিয়ে যাচ্ছি।
-- তাই বলে এভাবে 
.
.
রুমে গিয়ে হাত ছেড়ে দরজা লক করে দিয়ে আমাকে বললো,
-- কি হলো দাঁড়িয়ে আছো কেনো । শুয়ে পড়ো।
শুয়ে পড়তেই ডেভিলের ডেভিল গিরি শুরু করে দিলো 
আরে আর বইলেন না blanket ৩,৪ টা সব এনে আমার উপরে দিলো।
এসি অফ করে দিলো। 
আমি কি বলবো বুঝে পাচ্ছি না ।
-- আরে আরে কি করছেন এগুলো।
-- হিসসস।
তোমার ঘুম পেয়েছে ঘুমাও।
আর হ্যা তুমিওই তো বললে তোমার শীত করছে তাই এগুলো দিলাম।
আর কয়টা লাগবে তোমার সেইটা বলো। 
-- উফফ আপনার মাথা কি গেছে নাকি, গরমে আমাকে মেরে ফেলবেন নাকি
-- খুন করে ফেলবো এখন না ঘুমালে 
-- ইয়া মাবুদ এই পাগলের গলায় আমায় কেনো ঝুলিয়ে দিলে।
-- হ্যা পাগল ই।
পাগলী কার জন্য।
শুধু তোমার জন্য।
পারলে ঠেকিয়ে দেখাও।
.
.
আমার তো দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।
আরিয়ান গিয়ে এসি ফুল পাওয়ার এ ছেড়ে দিয়ে এসে আমার পাশে বসে একটানে সব কয়টা ব্লাংকেট ফেলে দিলো। 
আমার কাধ ধরে টান দিয়ে উঠে বসালো।
কাধ ঝাঁকাচ্ছে আর বলছে,
-- আমি কাছে থাকলে তোমার কি প্রব্লেম হয় হ্যাহহহ।
তাহলে আরো বেশি করেই কাছে থাকতে হবে।
-- আমার শীত করছে এখন।
এসির এত পাওয়ার দিলেন কেনো।
মাথা আপনার সত্যিই গেছে।
-- এসি ফুল পাওয়ারেই থাকবে।
তুমি আমাকে জড়িয়ে ঘুমাবে।
-- ধুরর আমি কাউকে জড়িয়ে ঘুমাতে পারিনা । 
-- না পারলে নাই।
.
.
এই বলে টান দিয়ে নিজের বুকে টেনে নিয়ে শুয়ে পড়লো।
পাশে থাকা ল্যাম্প টা এক হাত দিয়ে অফ করে দিলো।
বুকের মাঝে চেপে ধরে আছে।
-- উফফ ছাড়ুন ।
এভাবে কেও ধরে নাকি, দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
আমি কি বাচ্চা নাকি। 
-- বাচ্চার থেকে কম নাকি।
এখন একদম চুপ। আমার ঘুম পাচ্ছে।
-- এসির পাওয়ার টা কমান না। ঠাণ্ডা লাগছে।
-- ওকে ব্ল্যাংকেট নিচ্ছি।
তবুও তোমার মুখ টা অফ করো।
.
.
ধুরর আর কিছু বলেও লাভ নেই। এমন করবেই।
অভাবেই ছিলাম।
অনুভব করছি কিছু একটা।
হুম ডেভিল এর হার্টবিট।
মনে হচ্ছে বেড়েই যাচ্ছে, থামার নাম ই নেই।
একই সুরে বেজে যাচ্ছে ।
উফফফ ঘুমানো যায় নাকি এমন হলে ধুর।
এক সময় ঘুমিয়েই গিয়েছি।
ভোরের দিকে ঘুম ভেঙে গেলো।
কেমন ভার ভার লাগছে।
লাগবেই তো ডেভিল আমার বুকের উপর ঘুমুচ্ছে।
নাহ এভাবে কি থাকা যায়।
আস্তে করে সরিয়ে দিয়ে আমি উঠে গেলাম।
ভোরের আজান পড়লো।
নামাজ পড়ে নিলাম ফ্রেস হয়ে।
গত কাল আম্মুর ব্যাগ থেকে আমাদের বাসার চাবিটা নিয়ে রেখেছি। আম্মু জানেই না।
.
.
এক কাপ কফি বানিয়ে খেয়ে রেডি হয়ে নিলাম কলেজে যাওয়ার জন্য।
গত দিনেই ছুটি শেষ হয়ে গিয়েছে।
চলে গেলাম কলেজে। উফফফ কত পড়া পিছিয়ে গেলাম।
হাতে গোনা কয়েক দিন পরেই ফাইনাল এক্সাম।
ভালোই ভালোই এক্সাম শেষ করে অন্য কোথাও চলে যাবো।
ডেভিল থেকে অনেক দূরে।
খুব জ্বালিয়েছে 
.
.
কি ভাবছেন কোথায় আছি তাইতো।
Actually ভোরে উঠে ব্যাগপত্র গুছিয়ে বের হয়ে গেলাম।
চাবি তো সাথে আছেই।
বাট বাসার এরিয়া থেকে তো আর বের হতে পারবো না এই ব্যাগ নিয়ে।
গার্ড রা জেগে আছে । বাসার পিছন দিক থেকে বাউন্ডারির উপর দিয়ে ব্যাগ টা ফেলে দিয়েছি।
মেইন গেইট দিয়ে বের হবো তাই বোরকা পড়ে নিয়েছি।
জিজ্ঞেস করলে বলেছি আমি ওদের আত্মীয়। জরুরী কাজ পড়ে গিয়েছে তাই বের হতে হবে।
ব্যস বেশি ঝামেলায় আর পড়তে হয়নি।
.
.
কলেজে এসে শান্তিতে ক্লাস করছি ।
ওইদিকে বাসায় হৈচৈ পড়ে গিয়েছে।
কোথাও ই খুজে পাইনি। পাবে কিভাবে আমি যে আমার জায়গায় 
আরিয়ান বাসা থেকে বের হয়ে গিয়েছে আমাকে খোজার জন্য।
ক্লাস শেষ হলে ক্যান্টিন এর দিকে গেলাম।
অনেক খুদা লেগেছে। বাসায় তো শুধু কফি খাওয়ার সময় টুকু পেলেম।
তবুও রেডি হচ্ছি আর ফাঁকেফাঁকে কফিতে চুমুক দিয়েছি। 
ক্যাটিনে ঢুকে আমার চোখ চড়কগাছ হয়ে গেলো।
যার কাছ থেকে পালিয়ে আসলাম সেই যম ই সামনে বসে চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছে।
যেই লুক নিয়ে আমার দিকে তাকিয়েছে বেশ বুঝতে পারছি আজকে আমার কপালে শনি নাচতেছে।
কাপ টা রেখে এগিয়ে আসলো আমার দিকে ।
পা যেন নাড়াতে পারছি না।
এসেই হাত এমন জোড়ে চাপ দিয়ে ধরলো মনে হচ্ছে হাত টা মচকেই গেলো বুঝি। 
কোনো কথাই বললো না টেনে হেচড়ে নিয়ে বসালো গাড়িতে।
আর আমি এক কথা বারবার বলেই যাচ্ছি, কেন এসেছেন আপনি।
আমি যাবোনা আপনার সাথে।
হাত ছাড়ুন আমার।
কে শোনে কার কথা। এভাবেই গাড়িয়ে বসালো।
বসানোর পরেই দিলো এক বিশাল ধমক।
আমি আর যাই কই অবস্থা বেগতিক 
To be continue........

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

নিষিদ্ধ ভালোবাসা(পর্ব ০৯)

RM ,,পূর্ববর্তী পার্ট গুলি পেতে অমার টাইমলাইন  ভিজিট করুন,, কতক্ষণ ঘুমিয়ে ছিলাম সেটা মনে নেই। চোখ খোলে যখন মাথার পেছনে সজোরে এক থাপ্পর খাই। ঘুম ঘুম চোখে চারদিকে তাকিয়ে দেখি যে কে আমাকে চড়টা মারল। আমি দেখলাম যে আমি উঠানের মাটিতে পড়ে আছি, পায়ের কাছে মাটিতে সুব্রত পড়ে আছে। আমি ওপর দিকে তাকিয়ে দেখতে চেষ্টা করি যে কে আমাকে চড়টা মারল, আমি অবাক হয়ে দেখি যে ইন্দ্রানি মাসি আমাদের দিকে কটমট করে তাকিয়ে আছে। আমার দিকে তাকিয়ে চেঁচিয়ে বলে ওঠেন “শুয়োর গুলো এখানে শুয়ে? আর আমারা তোদের দু’জনকে সারা বাড়িতে হন্যে হয়ে খুঁজছি। তোদের কি কোন বোধ বুদ্ধি নেই?” আমি সুব্রতর কাঁধ ঝাঁকিয়ে উঠিয়ে দিলাম, সুব্রত আর আমি দুজনেই উঠে পড়লাম মাটি থেকে। আমি কাতর চোখে ইন্দ্রানি মাসির দিকে চেয়ে বললাম “সরি মাসি। ভুল হয়ে গেছে, কাল রাতে একটু বেশি হয়ে গেছিল।” চেয়ারের ওপরে মদের বোতল আর গ্লাসের দিকে ইন্দ্রানি মাসির চোখ পড়ে যায়, তাড়াতাড়ি করে চেয়ারের ওপরে নিজের শাল ফেলে দিয়ে ঢেকে দেয় গ্লাস আর বোতল। ঠিক সেই সময়ে পেছন থেকে অনেক গুলো পায়ের আওয়াজ পাই। মাসি সবাই কে বলে “এই ছেলে দুটো সারা রাত...

নিষিদ্ধ ভালোবাসা(শেষ পর্ব)

RM কিছুদূর যেতেই  একটি জায়গায় গাড়ি দাঁড় করায় বল্বিন্দার, বলল যে গাড়িতে তেল ভরতে হবে। গাড়ি থামার সঙ্গে সঙ্গে পরীর ঘুম ভেঙে যায়, আমার দিকে তাকিয়ে বলে “কতক্ষণ ঘুমিয়েছি আমি?” আমি বললাম “বেশীক্ষণ ঘুময়নি তুমি” “আমরা থামলাম কেন?” “তেল ভরার জন্য।” “আর কত দেরি পৌঁছতে?” আমি পেট্রল পাম্পের লোকটাকে জিজ্ঞেস করলাম যে জিওরি থেকে চিতকুল কতক্ষণ লাগবে পৌঁছতে। লোকটা আমায় জানাল যে আরও ঘন্টা চারেকের রস্তা বাকি। লোকটা আরও জানাল যে কারছাম ব্রিজের পরে রাস্তা খুব খারাপ। বল্বিন্দার আমাকে বলল যে ও রাস্তা জানে, কোন চিন্তা করতে বারণ করল আমাকে। পরী হিন্দি বিশেষ ভালো করে বোঝেনা তাই আমাকে জিজ্ঞেস করে যে বল্বিন্দার কি বলল। আমি রাস্তার কথাটা চেপে গেলাম, জানালাম যে কোন কিছুর জন্য চিন্তা না করতে। ঘড়ির দিকে তাকালাম, আড়াইটে বাজে তখন, তারমানে চিতকুল পৌঁছতে সন্ধ্যে হয়ে যাবে। একে শীতকাল তায় আবার পাহাড়, এখানে রাত সমতলের চেয়ে একটু তাড়াতাড়ি নামে। জিওরি ছাড়ার কিছু পরেই পরী বলল যে ও আর ঘুমোতে চায় না, বাইরের দৃশ্য দেখবে। আমি বললাম ঠিক আছে। কিছু পরেই সূর্য পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়ে। যখন আ...

"এক অপরিচিতা"(পর্ব: ছয়)

লেখক:আসিফ ইকবাল! "আগের পর্ব গুলো আমার টাইমলাইনে বিদ্যমান" পঞ্চম পর্বের পর থেকে..... ___আরে বাহ, আপনি নিজের বউ কেই চিনতে পারছেন না!       এবার তো বলবেন গতকাল আপনি আমাকে বিয়েই করেন              নি। হম,সেটাও বলে ফেলেন না! দেরি কেনো? ওর এতগুলি কথার পর বুঝতে পারলাম,এটাই আমার অপরিচিতা,কিন্তু ও আজকে নিকাব পড়েনি। হিজাব পড়েছে। তাই চিনতে পারিনি। মুখ দিয়ে কিছু বের হচ্ছেনা। শুধু ওর দিকে তাকিয়ে আছি। আমার বউটা অনেক কিউট। সকাল বেলা যে আমার জন্য এরকম একটা সারপ্রাইজ আছে সেটা ভাবিনি!      ____কি!আপনি কি এভাবেই তাইকে থাকবেন? নাকি উঠেবেন। জলদি উঠে ফ্রেশ হোন।(তাফা) ____তুমি আজকে নিকাব পরোনি যে! ____আপনি তো আমার বর!আপনার সামনে নিকাব পড়তে হবে কেনো?(তাফা) বলে.....একটা হাসি দিয়ে চলে গেলো। এই প্রথম ওর হাসি দেখলাম। আর সেটা আমাকে রীতিমতো পাগল করে দিয়েছে। আর দেরি করলাম না। জলদি বিছানা ছেড়ে ফ্রেশ হতে চললাম। তাফা,,, তাফা! কই তুমি?........ "এইতো কিচেনে,কি হোয়েছে..... তাফা কিচ...