সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

Devil_Husband(part_21)

Written by Fatema
.
.
.
.
ফ্রেস হয়ে বের হয়ে দেখি টি টেবিলের উপর খাবার রেখে সে সোফায় হেলান দিয়ে বসে আছে।
চুল মুছতে মুছতে বের হলাম।
হঠাৎ ই............
আরে ধুর কিছু হয়নি, কি জানি একটা শয়তানি বুদ্ধি মনে পরেছিল আবার ভুলে খেয়ে ফেলেছি।
আড় চোখে দেখেছিলাম কিভাবে যেন তাকিয়ে দেখছে আর এক গালের সেই টেডি স্মাইল দিচ্ছে।
কি যে ভাবে কে জানে।
এগিয়ে গিয়ে টাওয়াল টা চেয়ারে মেলে দিচ্ছি আর পিছনে শুনলাম কার সাথে জানি ফোনে কথা বললো।
"হুম কাজ কি কমপ্লিট।
Ok fine. Stay here. "
কার সাথে কথা বললো।
কোনো মেয়ে নাতো।
থাকুক মেয়ে তাতে আমার কি। এমন চকলেট বয়ের তো এমন থাকতেই পারে।
ভাবতে ভাবতে গিয়ে বেডে বসে পড়লাম।
-- কিগো সোনা পাখি ওখানে বসলে কেনো।
খাবে এসো এখানে।
-- খাবো না আমি ঘুমাবো।
-- ভালো ভাবে বলছি খেতে চলে আসো।
-- হুহহ কে শুনছে আপনার কথা।
পারেন তো খালি চর - থাপ্পড় মারতে।
খাবো না আমি এটাই ফাইনাল।
আরিয়ান এগিয়ে এসে সাবিয়ার সামনে হাটু গেড়ে বসে সাবিয়ার দু হাত নিজের মুঠোই নিয়ে,
-- দেখো তখনকার পরিস্থিতি আলাদা ছিল।
আমি অনেক ভয় পেয়ে গেছিলাম।
আর জন্য সরি।
তুমি কি এখনো আমার উপর রাগ করে থাকবে।
প্লিজ রাগ করো না।
-- (হাত ছাড়িয়ে নিয়ে) উফফ যান তো। অনেক হয়েছে আর না। আমি এখন ঘুমাবো, এত কথা ভালো লাগছে না।
-- খাবে না তো।
-- না খাবো না।
-- are u sure.....
-- yes, I'm.....
-- ok fine
এই বলে খাবারের প্লেট টা হাতে নিয়ে আমার সামনে এসে দাঁড়ালো।
হাসবো না কাঁদব বুঝতে পারছিনা।
আমার সামনে এসে নিজেই খাওয়া শুরু করলো।
যেভাবে এসেছিল, আমিতো ভাবলাম আমাকে হয়তো জোড় করেই খাইয়ে দিবে।
বজ্জাত ডেভিল
খাবোই না হুহহ.......
মুখ ঘুরিয়ে উল্টো দিকে শুয়ে পড়লাম।
সে খাচ্ছে আর লোভ লাগানোর মতো কথা বলেই যাচ্ছে।
উফফফ কি যে করি, খুদাও লেগেছে। খাবারের যে সুঘ্রাণ বের হয়েছে।
উঠে বসে পড়লাম।
-- কি হলো, মহারাণীরর কি ঘুম উবে গেলো।
-- মোটেই না, আর আপনাকে বলতে যাবো কেনো।
-- তাহলে ওমন পেটে হাত দিয়ে বসে আছো কেন 
-- উফফফ থামবেন আপনি।
-- উফফফ চিংড়ি মাছের ভুনা টা না সেই হইছে উমমম.......
-- বেশি বেশি হচ্ছে কিন্তু 
-- ওকে বলবো না কিছু
খাবারটা এখানে রেখে গেলাম।
-- আমি কি আপনার এঁটো করা টা খাবো নাকি।
-- এমা আমি কি তোমাকে খেতে বলেছি নাকি।
তুমি তো বললে খাবে না।
আর এঁটো খেলে মহব্বত বাড়বে 
চাইলে খেতেই পারো।
এই বলে ওয়াশরুমে ঢুকে গেলো প্লেট টা রেখে।
হাত ধুয়ে বের হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে।
হাসবেই বা না কেনো আমি যে তার এঁটো টাই হালুম হালুম করে খেয়ে নিচ্ছি।
কি করবো এত খুদা লেগেছে।
এক প্লেটেই খাবার এনেছিল, না পেরে এখান থেকেই খেতে হলো।
ডেভিল কোথাকার। কি মজা পায় আমার সাথে এমন করে।
তাকে দেখে উলটো দিকে ফিরে গেলাম প্লেট নিয়ে।
"পাগলি একটা " এই বলে রুমে থেকে বের হয়ে গেলো।
মুখে খাবার নিয়ে থমকে বসে আছি।
কানে যেন কথা টা বারবার রিপিট হচ্ছে - "পাগলি একটা"
একটা অজানা অনুভূতি।
ধুর আগে খেয়ে নেই।
খেয়ে গিয়ে শুয়ে পড়েছি।
.
.
.
উফফফ বাবা এত রাতে ঘুম ভাঙায় কে বে
-- আরে উঠো না
-- আরে ধুরর বাবা রাত ১২ টা বাজে এখন কেন আমারে ঘুমের গুষ্টির পিন্ডি চটকাচ্ছেন।
-- এই আমি তোমার বাবা না। আর এসব কি ধরনের কথা হ্যাহহহ
উঠতে বলছি উঠো।
-- পারবো না সরেন তো
-- ওকে উঠতে হবে না
-- আরে নামান বলছি আমাকে।
এভাবে কোলে তোলে নিয়েছেন কেনো।
আল্লাহ দড়ি ফালাও আমিওই উপরে উঠে যাই।
-- হিসসস একদম চুপ
-- করবো না চুপ
-- তাহলে কিন্তু
-- কিন্তু কি হ্যাহহহ
-- কিসি করে দেবো 
-- 
-- গুড গার্ল। চুপ থাকো এমন।
ছাদে গিয়ে নামালো আমায়।
-- give ur hand my lady..... 
আমি কথা না বাড়িয়ে তার হাতে হাত রাখলাম। জানি বেশি কথা বললে খবর করে দিতে পারে।
ছাদের রেলিং এর কাছে নিয়ে দাড় করালো।
-- সাবিয়া একটা জিনিস দেখাবো দেখবে (শান্ত ভাবে)
-- (হ্যা,না কিছুই বললাম না)
-- নিরবতা সম্মতির লক্ষণ।
দেখছি কিন্তু তাকাচ্ছি না।
এমনিতেই চোখে হাজার কেজি ঘুম, তার উপর মাঝ রাতে টেনে নিয়ে এসে জিজ্ঞেস করে দেখবো কিনা 
সাধেই কি বলি ডেভিল।
পকেট থেকে ফোন বের করে কাকে যেন কল করলো।।
মাত্র কয়েক সেকেন্ড।
-- সাবিয়া নূর
এভাবে পুরো নাম ধরে আগে ডাকেনি তাই কিছু টা অবাক হয়েই তার দিকে তাকালাম।
-- উঁহু আমার দিকে না, সামনের দিকে তাকাও।
সামনে দিকে তাকিয়ে আমি আরো বেশি করে অবাক হলাম।
চোখে ঘুম হাওয়ায় উড়ে গেলো।
অনেক অনেক ফানুশ।
আস্তে করে সে কানের কাছে ফিসফিস করে বললো "এটা আমাদের বিয়ে উপলক্ষে ছোট্ট একটা উপহার। শুধু তোমার জন্য From ur so called #Devil_Husband 
To be continue........

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

নিষিদ্ধ ভালোবাসা(পর্ব ০৯)

RM ,,পূর্ববর্তী পার্ট গুলি পেতে অমার টাইমলাইন  ভিজিট করুন,, কতক্ষণ ঘুমিয়ে ছিলাম সেটা মনে নেই। চোখ খোলে যখন মাথার পেছনে সজোরে এক থাপ্পর খাই। ঘুম ঘুম চোখে চারদিকে তাকিয়ে দেখি যে কে আমাকে চড়টা মারল। আমি দেখলাম যে আমি উঠানের মাটিতে পড়ে আছি, পায়ের কাছে মাটিতে সুব্রত পড়ে আছে। আমি ওপর দিকে তাকিয়ে দেখতে চেষ্টা করি যে কে আমাকে চড়টা মারল, আমি অবাক হয়ে দেখি যে ইন্দ্রানি মাসি আমাদের দিকে কটমট করে তাকিয়ে আছে। আমার দিকে তাকিয়ে চেঁচিয়ে বলে ওঠেন “শুয়োর গুলো এখানে শুয়ে? আর আমারা তোদের দু’জনকে সারা বাড়িতে হন্যে হয়ে খুঁজছি। তোদের কি কোন বোধ বুদ্ধি নেই?” আমি সুব্রতর কাঁধ ঝাঁকিয়ে উঠিয়ে দিলাম, সুব্রত আর আমি দুজনেই উঠে পড়লাম মাটি থেকে। আমি কাতর চোখে ইন্দ্রানি মাসির দিকে চেয়ে বললাম “সরি মাসি। ভুল হয়ে গেছে, কাল রাতে একটু বেশি হয়ে গেছিল।” চেয়ারের ওপরে মদের বোতল আর গ্লাসের দিকে ইন্দ্রানি মাসির চোখ পড়ে যায়, তাড়াতাড়ি করে চেয়ারের ওপরে নিজের শাল ফেলে দিয়ে ঢেকে দেয় গ্লাস আর বোতল। ঠিক সেই সময়ে পেছন থেকে অনেক গুলো পায়ের আওয়াজ পাই। মাসি সবাই কে বলে “এই ছেলে দুটো সারা রাত...

নিষিদ্ধ ভালোবাসা(শেষ পর্ব)

RM কিছুদূর যেতেই  একটি জায়গায় গাড়ি দাঁড় করায় বল্বিন্দার, বলল যে গাড়িতে তেল ভরতে হবে। গাড়ি থামার সঙ্গে সঙ্গে পরীর ঘুম ভেঙে যায়, আমার দিকে তাকিয়ে বলে “কতক্ষণ ঘুমিয়েছি আমি?” আমি বললাম “বেশীক্ষণ ঘুময়নি তুমি” “আমরা থামলাম কেন?” “তেল ভরার জন্য।” “আর কত দেরি পৌঁছতে?” আমি পেট্রল পাম্পের লোকটাকে জিজ্ঞেস করলাম যে জিওরি থেকে চিতকুল কতক্ষণ লাগবে পৌঁছতে। লোকটা আমায় জানাল যে আরও ঘন্টা চারেকের রস্তা বাকি। লোকটা আরও জানাল যে কারছাম ব্রিজের পরে রাস্তা খুব খারাপ। বল্বিন্দার আমাকে বলল যে ও রাস্তা জানে, কোন চিন্তা করতে বারণ করল আমাকে। পরী হিন্দি বিশেষ ভালো করে বোঝেনা তাই আমাকে জিজ্ঞেস করে যে বল্বিন্দার কি বলল। আমি রাস্তার কথাটা চেপে গেলাম, জানালাম যে কোন কিছুর জন্য চিন্তা না করতে। ঘড়ির দিকে তাকালাম, আড়াইটে বাজে তখন, তারমানে চিতকুল পৌঁছতে সন্ধ্যে হয়ে যাবে। একে শীতকাল তায় আবার পাহাড়, এখানে রাত সমতলের চেয়ে একটু তাড়াতাড়ি নামে। জিওরি ছাড়ার কিছু পরেই পরী বলল যে ও আর ঘুমোতে চায় না, বাইরের দৃশ্য দেখবে। আমি বললাম ঠিক আছে। কিছু পরেই সূর্য পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়ে। যখন আ...

"এক অপরিচিতা"(পর্ব: ছয়)

লেখক:আসিফ ইকবাল! "আগের পর্ব গুলো আমার টাইমলাইনে বিদ্যমান" পঞ্চম পর্বের পর থেকে..... ___আরে বাহ, আপনি নিজের বউ কেই চিনতে পারছেন না!       এবার তো বলবেন গতকাল আপনি আমাকে বিয়েই করেন              নি। হম,সেটাও বলে ফেলেন না! দেরি কেনো? ওর এতগুলি কথার পর বুঝতে পারলাম,এটাই আমার অপরিচিতা,কিন্তু ও আজকে নিকাব পড়েনি। হিজাব পড়েছে। তাই চিনতে পারিনি। মুখ দিয়ে কিছু বের হচ্ছেনা। শুধু ওর দিকে তাকিয়ে আছি। আমার বউটা অনেক কিউট। সকাল বেলা যে আমার জন্য এরকম একটা সারপ্রাইজ আছে সেটা ভাবিনি!      ____কি!আপনি কি এভাবেই তাইকে থাকবেন? নাকি উঠেবেন। জলদি উঠে ফ্রেশ হোন।(তাফা) ____তুমি আজকে নিকাব পরোনি যে! ____আপনি তো আমার বর!আপনার সামনে নিকাব পড়তে হবে কেনো?(তাফা) বলে.....একটা হাসি দিয়ে চলে গেলো। এই প্রথম ওর হাসি দেখলাম। আর সেটা আমাকে রীতিমতো পাগল করে দিয়েছে। আর দেরি করলাম না। জলদি বিছানা ছেড়ে ফ্রেশ হতে চললাম। তাফা,,, তাফা! কই তুমি?........ "এইতো কিচেনে,কি হোয়েছে..... তাফা কিচ...