সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

Devil_Husband(part_16)

Written by Fatema
.
.
.
রুমের দরজা লক করে আমার দিকে তেড়ে আসলো।
-- কি বলছিলে জানি.....?
ও হ্যা আমার দেওয়া শাড়ি পড়বে না।
ওকে তোমায় পড়তে হবে না।
.
.
যখন বললো পড়তে হবে না তখন আমি খুশি ই হয়ে গেছিলাম।
তাকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ ই বলে উঠলো "তুমি পড়বে না তো কি হয়েছে, আমি পড়িয়ে দেবো। "
আমার মাথায় যেন টাং করে বারি লাগলো।
ইয়ে মানে কেও বারি দেয় নি তার কথা শুনে এমন লাগলো আর কি।
নাহ এখানে দাঁড়ালে হয়তো এমন ই করবে।
তখন ও উলটো দিকে ফিরে ছিল।
তাই চুপি চুপি বের হচ্ছিলাম।
অমনি ই হাত ধরে দিলো টান।
একদম তার কাছে।
এক হাত দিয়ে আমার হাত ধরেছে আরেক হাত কোমরে।
রোজ রোজ এত শকড কিভাবে সামলাই।
-- পালাচ্ছো কোথায়
-- ক..ক...কোথায় পালাবো।
সবাই রেডি হচ্ছে বের হবে কনের বাড়ি যাবে।
প্লিজ ছাড়ুন আমায়।
-- ছাড়ার জন্য ধরেছি নাকি।
-- ত..তো ধরেছেন কেনো
-- শাড়ি পড়াবো বলে
-- কিইইইই
ইম্পসিবল.....
it's never ever impossible........
-- তুমি বললেই তো হবে না মহারাণী।
আমি যা বলবো সেটাই হবে।
-- ছাড়ুন বলছি আমায়।
সবসময় এমন করেন কেনো বলুন তো।
এত কিসের অধিকার খাটান।
কেও কিছু বললেও তাকে ধোলাই করেন।
এমন করেন কেন।
আমাকে কি একটু শান্তিতেও থাকতে দিবেন না নাকি আপনি।
এত কিসের জোড় খাটান আমার উপর।
কে হই আমি আপনার বিয়ে করা বউ 
নিজে একটা বিয়ে করে সেই বউয়ের উপর জোড় খাটাবেন আমার উপর নয়।
একটা ধাক্কা দিয়ে বের হয়ে গেলাম রুম থেকে।
একবার ফিরে দেখেছিলাম যেভাবে দাঁড়িয়ে ছিল ঠিক সেভাবেই আছে।
না রাগ না জেদ না অভিমান কিছুই বুঝছিলাম না তার চেহারায়।
আর দাঁড়ালাম না।
.
.
.
এখন আমি এই রুমটাতেই বসে আছি।
সেই শাড়ি পড়েই। কিভাবে যে এভাবে আমার জীবনের মোড় ঘুরে গেলো ভাবতেই পাড়িনি। সব ই হতচ্ছাড়া বদমাইশ খবিশ লেজকাটা টিকটিকির জন্য হয়েছে 
কাচ্চা চিবিয়ে খেতে ইচ্ছে করছে।
আরে ভাবছেন কি হলো।
কি আর হবে আমার বিয়ে হয়ে গেছে 
ওই বজ্জাতটার জন্য।
ডেভিল কি সাধে বলি। 
এই যে আপনাদের বলছি,
চলুন ঘুরে আসুন কয়েক ঘন্টা আগে।
আমি রুম থেকে বের হয়ে চলে গিয়েছিলাম নিচে।
যেখানে সবাই বের হয়ে গেছে।
সবাই মিলে গিয়েছি কনের বাড়িতে।
এই বাড়িটাও সেই সুন্দর করে সাজিয়েছে।
নিজের ই বিয়ে করতে ইচ্ছে করছিল বাট আমি তো বিয়ে করবো না।
এই প্যারা নিজের ঘারে নিতে চাচ্ছিনা।
আরিয়ান এর কোনো খোজ ই নিলাম না।
আমি আমার মতো ঘুরছি ফিরছি।
সবশেষে বিয়ে পড়ানোর জন্য সবাই এক জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে।
আমিও যাচ্ছিলাম সে দিকে।
কোথা থেকে আবির এসে আমার মুখ চেপে পেছন থেকে নিয়ে যেতে লাগলো।
ভেবেই নিয়েছি আজকে আমার কপালে শনির দশা নাচছে। উফফফ কি যে করবো। ছাড়ানোর চেষ্টা করেও পারছিলাম না।
হঠাৎ ই আরিয়ান এসে হাজির।
মুখ দেখে কলিজার পানি সব শুকিয়ে গিয়েছিল।
এতটা রেগে ছিল।
আবির কে টান দিয়ে সরিয়ে ওর মুখ টা পকেট থেকে রুমাল বের করে বেধে আরেক রুমে টেনে নিয়ে দরজা লক করে দিয়েছে।
শুধু ধুপধাপ আওয়াজ শুনছিলাম।
আজকেই হয়তো একে শেষ করে দিবে।
কিন্তু এমন হলে অনেক কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে।
দরজা এত বার নক করেও খুলছে না।
অনেক পরে দরজা খুলে।
সজোরে নিশ্বাস নিচ্ছিলো আর ঘেমে একাকার।
দৌড় এ আবিরের কাছে গিয়ে দেখি খুব ই হাল খারাপ।
নড়চড় করছে না পড়ে আছে মেঝেতে।
দেখে তো আমার হাত পা বরফ হয়ে যাওয়ার অবস্থা হচ্ছিল।
আরিয়ান এর দিকে তাকিয়ে শুধু বলেছিলাম "এটা কি করলেন আপনি। সে আপনার ছোট ভাই হয়"
আরিয়ান দৌড়ে এসে আমার দু কাধে চেপে ধরে ঝাঁকিয়ে কথা বলছিল "খুব কষ্ট হচ্ছে তাইনা আবিরকে এমন দেখে। অন্যের জন্য খুব কষ্ট হয় তাইনা শুধু আমার জন্যই হয় না।
কে আমি তাইতো। তোমার উপর আমার কোনো অধিকার নেই। শকুনেরা এসে তোমার উপর নজর দিবে। ছিড়ে খাওয়ার জন্য জীভ লকলক করবে সেটাই খুব ভালো তাইনা। ওরা তোমাকে টেনে নিতে চাইলে খুব ভালো লাগে আর আমি আসলেই যত অসহ্য তাইনা।
তবে বেশ আজ থেকে আমাকেই সহ্য করতে হবে তোমায়। অধিকারের কথা বলছিলে না। অধিকার টা এখনি আমি করে নেবো। "
.
.
কোনো কথা বলার সুযোগ পাইনি আমি।
টেনে নিয়ে গেলো সেখানে যেখানে মাত্র রেহান ভাইয়ার বিয়ে সম্পন্ন হলো।
গিয়েই কাজির সামনে দাঁড়িয়ে বলার শুরু করলো "কাজী সাহেব আরেক টা বিয়ে হবে। "
-- কাদের বিয়ে (কাজি)
-- আমার আর সাবিয়ার
সবাই এই কথা শোনার পর অবাক হয়ে গেছিলো।
কি বলছে এইসব।
আমি আম্মু আব্বুর দিকে তাকাচ্ছিলাম।
তারা পাশে সোফায় গিয়ে ধুপ করে বসে পড়লো।
বুঝেছি অনেক শকড হয়েছে তারা।
আরিয়ান এর আব্বু আম্মু ও এগিয়ে আসলো আমাদের দিকে।
উৎসুক মেহমানরা সবাই বলাবলি শুরু করে দিয়েছে আর প্রখর দৃষ্টি ছুড়ছে আমাদের দিকে যে কি হতে চলেছে।আরিয়ান হাত তখনো ধরে ছিলো।
-- আরিয়ান বেটা তুমি ঠিক আছো তো এসব কি বলছো (আঙ্কেল)
-- বাবু কি করছো তুমি এগুলো।
যা করছো ভেবে করছো তো।
-- হ্যা মামনি সব ভেবেই করছি।
শুধু একটা কথা বলো যে সাবিয়াকে তোমার পছন্দ কিনা.....??
-- হ্যা, আম্মিজি কে তো আমি মেয়ের মতো ই দেখি।
কিন্তু বাবু হঠাৎ করেই এমন ডিসিশন নেওয়া কি ঠিক।
তোমার আন্টি আঙ্কেল কি ভাববেন।
ওনারা এখানে এত বছর পর বেড়াতে এসেছেন আর এমন হলে ওনারা কি ভাববে ভেবে দেখেছো।
.
.
আমার চোখ দিয়ে তখন অনর্গল পানি পড়ছিল যে কি হচ্ছে এইসব আমার সাথে।
আন্টির কথা শুনে আরিয়ান আমার হাত ছেড়ে আমার আব্বু - আম্মুর সামনে গিয়ে হাটু গেড়ে বসে দুজনের হাত ধরে বলছে,
"আন্টি আঙ্কেল আমি যদি আপনাদের মেয়ে কে বিয়ে করি আপনাদের কি সমস্যা হবে। আপনারা কি রাজি আছেন প্লিজ বলুন।
আমি কথা দিচ্ছি যে ওর কোনো সমস্যা হবে না। কষ্ট দেবোনা কখনো ওকে।
আন্টি আঙ্কেল আমি ওকে ভালবাসি।
প্লিজ আপনারা না করবেন না আমাকে। "
আম্মু আব্বু দুজনের দিকে দুইজন তাকিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলো।
হ্যা বলে দিলো আরিয়ান কে।
ব্যস কি আর বলবো বিয়ে হয়ে গেলো।
অসহায়ের মতো তাকিয়ে ছিলাম আব্বু আম্মুর দিকে।
আসস্ত করলেন আমাকে "তুমি ভালো থাকবে আমার প্রিন্সেস "
আমার কথা শুনলোই না।
.
.
.
নিজের বাসায় আর যাওয়া হলো না।
এখন থেকে আমার ঠাই শ্বশুর বাড়ি।
আমার রুমে যেতে দিলো না নিলো আরিয়ান ডেভলটার রুমে।
বুঝিয়ে সুঝিয়ে সবাই অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে গেলো।
হবেই বা না কেনো। বাড়িতে এখন দুই দুইটা নতুন বউ।
যেনো এক ঢিলে দুই পাখি মারা হলো।
এক বিয়ের অনুষ্ঠান এ দুই দিয়ে হয়ে গেলো।
বসে বসে ইচ্ছা মতো কাঁদছিলাম আর আরিয়ান কে বকে জ্বালা মিটাচ্ছিলাম।
এই হলো আমার বর্তমান।
সেই শাড়ি কিন্তু আমি পড়িনি।
সে ই পড়িয়ে দিয়েছে।
দিয়ে আবার বের হয়ে গেছে।
একটু আগের ঘটনা।
বসে বসে কাঁদছি আর তাকে বকছি।
হঠাৎ ই হাজির হয়ে।
এসে নিয়ের ওয়্যারড্রপ থেকে শাড়ি টা বের করে আমার কাছে এসে বলে,
সোনা পাখি একটু উঠে দাড়াও তো।
-- পারবো না।
বাদর কোথাকার। জোড় করে বিয়ে করে এখন অধিকার ফলাতে আসছেন।
একদম ১০০ হাত দূরে থাকবেন এই বলে দিলাম।
আমার বিন্দাস লাইফ টা কে হেল করে ছাড়ল।
-- ওকে ফাইন উঠবে না যখন আমি ই দাঁড় করাতে পাড়ি ।
এই বলেই টান দিয়ে দাঁড় করিয়ে দিলো।
-- হচ্ছে টা কি।
-- হচ্ছে না হবে। শাড়ি পড়নের টা খোলো তো
-- কিইইইইই লুচু কোথাকার, বজ্জাত ডেভিল।
আপনাকে তো আমিইইই......
-- হিসসস, কথা পরে হবে।
তুমি খুলবেনা বুঝেছি।
আমি ই খুলছি।
-- একদম হাত দেবে না শাড়িতে।
-- একেবারে চুপ হয়ে দাড়াও তো । এখন তো বলতে পারবেনা যে আমার অধিকার নেই।
এই বলে শাড়ির সেফটিপিন খুলে ফেললো।
আমি খুব নড়চড় করছিলাম।
উনি দেখি টেবিলের দিকে গেলেন।
এমা হাতে স্কেল নিয়ে এসেছে।
-- কি ব্যাপার আপনি স্কেল আনলেন কেনো
-- বাসর রাতে বউ পেটাবো তাই
-- কিইইইইইই
-- হ্যা, চুপ করে দাড়াও।
শাড়িটা পড়াতে দাও নয়তো এটাই হবে।
এমন এক মাইনকা চিপায় পড়লাম আমি কি আর করবো।
চুপ ই ছিলাম নয়তো সত্যিই পেটাতে পারে এই ভয়ে।
শাড়ি পড়িয়ে বিছানায় বসিয়ে "চুপ করে বসে থাকো এখানে। আমি কিছুন পর আসছি " এই বলে বের হয়ে গেলো।
হায় আল্লাহ শেষে কিনা এমন একটারে আমার কপালে দিলে।
এটা একদম ঠিক কাজ হলো না।
এই ডেভিল এর সংসার করতে গেলে আমার লাইফ তামা তামা হয়ে যাবে।
যে কিনা বিয়ের রাতেই স্কেল নেয় হাতে বউ পেটাবে বলে সে কি না কি করতে পারে।
.
.
কিছুখন পরেই Devil is entry in the bad of roses.........
To be continue.....

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

নিষিদ্ধ ভালোবাসা(পর্ব ০৯)

RM ,,পূর্ববর্তী পার্ট গুলি পেতে অমার টাইমলাইন  ভিজিট করুন,, কতক্ষণ ঘুমিয়ে ছিলাম সেটা মনে নেই। চোখ খোলে যখন মাথার পেছনে সজোরে এক থাপ্পর খাই। ঘুম ঘুম চোখে চারদিকে তাকিয়ে দেখি যে কে আমাকে চড়টা মারল। আমি দেখলাম যে আমি উঠানের মাটিতে পড়ে আছি, পায়ের কাছে মাটিতে সুব্রত পড়ে আছে। আমি ওপর দিকে তাকিয়ে দেখতে চেষ্টা করি যে কে আমাকে চড়টা মারল, আমি অবাক হয়ে দেখি যে ইন্দ্রানি মাসি আমাদের দিকে কটমট করে তাকিয়ে আছে। আমার দিকে তাকিয়ে চেঁচিয়ে বলে ওঠেন “শুয়োর গুলো এখানে শুয়ে? আর আমারা তোদের দু’জনকে সারা বাড়িতে হন্যে হয়ে খুঁজছি। তোদের কি কোন বোধ বুদ্ধি নেই?” আমি সুব্রতর কাঁধ ঝাঁকিয়ে উঠিয়ে দিলাম, সুব্রত আর আমি দুজনেই উঠে পড়লাম মাটি থেকে। আমি কাতর চোখে ইন্দ্রানি মাসির দিকে চেয়ে বললাম “সরি মাসি। ভুল হয়ে গেছে, কাল রাতে একটু বেশি হয়ে গেছিল।” চেয়ারের ওপরে মদের বোতল আর গ্লাসের দিকে ইন্দ্রানি মাসির চোখ পড়ে যায়, তাড়াতাড়ি করে চেয়ারের ওপরে নিজের শাল ফেলে দিয়ে ঢেকে দেয় গ্লাস আর বোতল। ঠিক সেই সময়ে পেছন থেকে অনেক গুলো পায়ের আওয়াজ পাই। মাসি সবাই কে বলে “এই ছেলে দুটো সারা রাত...

নিষিদ্ধ ভালোবাসা(শেষ পর্ব)

RM কিছুদূর যেতেই  একটি জায়গায় গাড়ি দাঁড় করায় বল্বিন্দার, বলল যে গাড়িতে তেল ভরতে হবে। গাড়ি থামার সঙ্গে সঙ্গে পরীর ঘুম ভেঙে যায়, আমার দিকে তাকিয়ে বলে “কতক্ষণ ঘুমিয়েছি আমি?” আমি বললাম “বেশীক্ষণ ঘুময়নি তুমি” “আমরা থামলাম কেন?” “তেল ভরার জন্য।” “আর কত দেরি পৌঁছতে?” আমি পেট্রল পাম্পের লোকটাকে জিজ্ঞেস করলাম যে জিওরি থেকে চিতকুল কতক্ষণ লাগবে পৌঁছতে। লোকটা আমায় জানাল যে আরও ঘন্টা চারেকের রস্তা বাকি। লোকটা আরও জানাল যে কারছাম ব্রিজের পরে রাস্তা খুব খারাপ। বল্বিন্দার আমাকে বলল যে ও রাস্তা জানে, কোন চিন্তা করতে বারণ করল আমাকে। পরী হিন্দি বিশেষ ভালো করে বোঝেনা তাই আমাকে জিজ্ঞেস করে যে বল্বিন্দার কি বলল। আমি রাস্তার কথাটা চেপে গেলাম, জানালাম যে কোন কিছুর জন্য চিন্তা না করতে। ঘড়ির দিকে তাকালাম, আড়াইটে বাজে তখন, তারমানে চিতকুল পৌঁছতে সন্ধ্যে হয়ে যাবে। একে শীতকাল তায় আবার পাহাড়, এখানে রাত সমতলের চেয়ে একটু তাড়াতাড়ি নামে। জিওরি ছাড়ার কিছু পরেই পরী বলল যে ও আর ঘুমোতে চায় না, বাইরের দৃশ্য দেখবে। আমি বললাম ঠিক আছে। কিছু পরেই সূর্য পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়ে। যখন আ...

"এক অপরিচিতা"(পর্ব: ছয়)

লেখক:আসিফ ইকবাল! "আগের পর্ব গুলো আমার টাইমলাইনে বিদ্যমান" পঞ্চম পর্বের পর থেকে..... ___আরে বাহ, আপনি নিজের বউ কেই চিনতে পারছেন না!       এবার তো বলবেন গতকাল আপনি আমাকে বিয়েই করেন              নি। হম,সেটাও বলে ফেলেন না! দেরি কেনো? ওর এতগুলি কথার পর বুঝতে পারলাম,এটাই আমার অপরিচিতা,কিন্তু ও আজকে নিকাব পড়েনি। হিজাব পড়েছে। তাই চিনতে পারিনি। মুখ দিয়ে কিছু বের হচ্ছেনা। শুধু ওর দিকে তাকিয়ে আছি। আমার বউটা অনেক কিউট। সকাল বেলা যে আমার জন্য এরকম একটা সারপ্রাইজ আছে সেটা ভাবিনি!      ____কি!আপনি কি এভাবেই তাইকে থাকবেন? নাকি উঠেবেন। জলদি উঠে ফ্রেশ হোন।(তাফা) ____তুমি আজকে নিকাব পরোনি যে! ____আপনি তো আমার বর!আপনার সামনে নিকাব পড়তে হবে কেনো?(তাফা) বলে.....একটা হাসি দিয়ে চলে গেলো। এই প্রথম ওর হাসি দেখলাম। আর সেটা আমাকে রীতিমতো পাগল করে দিয়েছে। আর দেরি করলাম না। জলদি বিছানা ছেড়ে ফ্রেশ হতে চললাম। তাফা,,, তাফা! কই তুমি?........ "এইতো কিচেনে,কি হোয়েছে..... তাফা কিচ...