সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

Devil_Husband(part_14)

Written by Fatema.
.
.
.
.
রেহান ভাইয়ার গায়ে হলুদ দেওয়া শুরু হয়ে গেছে।
হঠাৎ ই দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়ে গেলো।
আরে বুঝলেন না আমাকে দৌড়াচ্ছে ৫,৬ জন মিলে হলুদ লাগাবে বলে।
ইসসসস......আমি এত কষ্ট করে এত সাজুগুজু করলাম তার ১৪ টা বাজানোর ধান্ধা। 
পারবে না হুহহ....
এখন আমার পুরো মুখে হলুদ গড়াগড়ি খাচ্ছে। 
সব্বাই মিলে ইচ্ছামতন লাগিয়েছে।
আরে আর বলবেন না, কিভাবে আমাকে ধরলো সেটাই তো ভাবছেন। 
দৌড়ে গিয়ে খেলাম ধাক্কা আরিয়ান এর সাথে।
খপ করে হাত ধরেই বলছে →
নাচার জন্য স্টেজ আছে।
এভাবে দৌড়াদৌড়ি করছো কেনো হুম।
-- আরেএএএএ আগে আপনি আমার হাত টা ছাড়ুন পরে বলছি
নয়তো আমার ১৪ টা বাজিয়ে দেবে প্লিজ ছাড়ুন।
-- আরে এমন করছো কেনো।
কে কি করবে।
হাত ছোটানোর ট্রাই করছি কিন্তু পারছিনা।
এতক্ষনে সব এসে জড়ো হয়েছে আমার চারপাশ এ।
-- কি ব্যাপার তোমরা সবাই এভাবে হাতে হলুদ নিয়ে দৌড়াচ্ছো কেনো 
“আরে ভাইয়া আর বলবেন না সেই কখন থেকে সাবিয়াকে হলুদ দেওয়ার ট্রাই করছি দিতেই পারছিনা। শুধু দৌড়াচ্ছে। একটু বকে দিন তো”(কোহিনূর)
-- কুহুউউউউ..........হারামি, কাল কেওটে, লেজ কাটা বান্দরনী তোকে আমি কাবাব বানাই খাবো। 
আমার নামে নালিশ করা হচ্ছে।
“ভাইয়া ওকে আমাদের হাতে ছেড়ে দিন তো আজকে ওকে পুরাই লালে লাল থুক্কু হলুদে হলুদ বানাই দিবো। ”(আদ্রিয়া)
-- ছাড়তে পাড়ি তবে একটা শর্ত আছে।
“কি শর্ত আমরা রাজি আছি। তবুও ওকে হলুদ মাখাবো ”(সবাই)
-- প্লিজ প্লিজ প্লিজ আমার হাত টা ছাড়েন।
নয়তো এরা আমার এত সুন্দর সাজুগুজু নষ্ট করে দিবে।
এমনতেই কত কষ্ট করে সেজেছি
-- কিইইইই......তুমি সাজ নষ্ট হওয়ার জন্য হালুদ লাগাবে না 
দাড়াও তোমার হচ্ছে......
guysss.......শর্ত টা হলো এই যে, আমাদের দুইজনকেই এক সাথে হলুদ লাগাতে হবে । 
বলো রাজি 
“আরেএএ ভাইয়া জো হুকুম কারেগা হামলোক ওভি কারেগা......রাজি মানে.... একেবারে এক পায়ে খারা”(সবাই)
-- নাও স্টার্ট
সবাই একেবারে খুশিতে গদগদ 
তাকে আগে লাগাচ্ছে।
এই যে হাত ছাড়ানোর ট্রাই করছি পারছিনা।
খামছি দিয়েছি কয়েকবার।
“আহহ” শব্দটাও করলো না ।
লাগবে কিভাবে আমি যে ভালো মেয়ে, নখ নাই
হঠাৎ দিলো ধমক, “একদম স্ট্যাচু হয়ে থাকো নয়তো সবার সামনে তোমাকে.........."
-- না না না থাক আমি কিছু করবো না 
বললাম না কিছু। যদি কিছু করে বসে তাহলে কেল্লা ফতে। আমার হাল নাজেহাল হয়ে যাবে ।
কুহু ওরফে কোহিনূর ডেভিল কে কত্ত যত্ন করে দু গালে হলুদ মাখাচ্ছে।
ইসসস আমি ভাবছি এখন একটু মরিচ আর লবন পেলেও তো।
মাখিয়ে একেবারে মাছের মতো ফুটন্ত গরম তেলে ফিস ফ্রাই না থুড়ি #ডেভিল_ফ্রাইকরে ফেলতাম
কুহু কে ইচ্ছে করছে বলেই দেই একটু মরিচ গুড়ো আর লবন ও লাগিয়ে দে আরো ভালো হবে
সবার আহ্লাদ দেখে শরীর জ্বলে যাচ্ছে হুহহ।
এবার আমাকেও দিলো।
কেও হলুদ লাগায় আর পাশে থেকে কেও কাতুকুতু দেয় আমায় হাসানোর জন্য।
মেজাজ টা কেমন লাগে। 
ততক্ষণ এ মুঠোর বাঁধন ঢিলে হয়ে গেছে।
মুচকি মুচকি হাসছে সে আমার দিকে তাকিয়ে।
এইতো সুযোগ পালানোর।
তার দিকে তাকিয়ে আমিও দিলাম ক্রেজি স্মাইল।
অবাক হয়ে হাত দিলো একদম ছেড়ে।
আমিও দিলাম দৌড়।
হিহিহি ভাবতেই পারেনাই হয়তো।
এক দৌড়ে রেহান ভাইয়া কে যে স্টেজে হলুদ দিচ্ছে সেখানে চলে গেলাম।
ভাইয়া তো দেখে হেসে কুটিকুটি হয়ে যাচ্ছে।
-- ভাইয়া এভাবে হাসছেন কেনো
-- হাহহাহাহা হাসবো না তো কি করবো।
তোমার গায়ে মুখে এত হলুদ কে দিলো। 
তাইতো বলি আমার কেনো হলুদ কম পড়লো
-- ভাইয়াহহহহ........
ধুর ভাল্লাগেনা থাকবোই না।
চলে গেলাম এক দৌড় এ নিজের রুমের বাথরুম এ।
ওখান থেকেই শাওয়ার সেরে বের হলাম।
রেডি হয়ে চুল টা ভালো করে হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে আরামছে বসে বসে শুকাচ্ছি।
উফফফ উড়াধুরা গান বাচ্ছে নিচে।
আর তর সইছে না।
তাড়াতাড়ি করে হালকা সাজ দিয়ে এক দৌড় দিয়ে নিচে ।
হায় আল্লাহ আমি এত্ত দৌড়াই কেন
পাবলিক বলবে না। এটা মেয়ে নাকি ঘোড়া
বাহ সবাই এক সাথে।
কেও হালকা খাবার খাচ্ছে কেও নাচছে।
উফফফ আমি না নাচলে কি হয় নাকি।
কাভি নেহিইইই........
এবার আমি স্টেজে।
সামনে থাকা বুড়ো আর যুবক সবার ফোকাস এখন ডান্স ফ্লোর এ 
উড়াধুরা ডান্স আর সব ছেলের বুকের বা পাশে হাত
ইয়ো বেপ্পি কেও হার্ট এট্টাক করেনি সেটাই কপাল
ডান্স ফ্লোর থেকে বাসার ভেতরের দিকে যাচ্ছিলাম পানি খেতে।
বড্ড হাঁপিয়ে উঠেছি।
ভেতরে হেলেদুলে যাচ্ছিলাম।
হঠাৎ ই হাতে টান দিয়ে আড়ালে নিয়ে গেলো।
অবাক হচ্ছি এত সাহস দেখে।
হাত দেয়ালে চেপে ধরেছে।
হ্যা সে হচ্ছে লুচু মার্কা আবির 
-- কি হচ্ছে টা কি।
এভাবে টেনে এনে আবার এভাবে হাত চেপে ধরেছেন।
সাহস কত আপনার।
হাত ছাড়ুন বলছি আমার।
-- কেনো সোনা পাখি (লুচু লুক)
এত ছটফট করছো কেনো বলতো।
-- হাত ছাড়ুন বলছি।
নয়তো খুব খারাপ হয়ে যাবে বলে দিচ্ছি।
-- কি খারাপ হবে সোনা পাখি।
তুমি চেঁচালেও কেও শুনবে না।
সো......নো চেঁচামেচি বেবি 
-- ডোন্ট কল মি বেবি
-- উফফফ পাখি রাগ করে না।
বলছি শোন না, যখন ডান্স করছি তখন যা লাগছিল না.....
উফফফফ কি আর বলবো ইচ্ছে করছিল তখন ই তোমাকে
কেও একজন সব দেখে নিয়েছিল।
যখন আবির খুব কাছে চলে এসেছিল তখন এসেই আবিরের কলার ধরে হেচকা টান দিয়ে ফেলে দেয়।
হ্যা এটা আরিয়ান ই ছিল।
রাগে ফুঁসছিল 
আবিরকে টেনে তুলে এলোপাথাড়ি কয়েক টা ঘুসি লাগিয়ে দিলো। 
আমি অবাক হবো নাকি ভয়ে দৌড়ে পালাবো বুঝে উঠতে পারছিনা।
আরিয়ান কিসব বলছে আর মারছে।
নাহহহ এবার না থামালেই নয়।
নয়তো বড় কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে।
-- আরিয়ান প্লিজ ছাড়ুন ওকে।
এভাবে মারলে একটা অঘটন ঘটে যাবে যে।
মরে যাবে ও ছাড়ুন।
ও আপনার ছোট ভাই হয় ।
-- মরুক 
ওর মরে যাওয়াই উচিৎ।
একটা মেয়ের সাথে কিভাবে বিহেভ করতে হয় এটা ওর জানার দরকার আছে।
আবিরের কলার ধরে ঝাঁকাচ্ছে আর বলছে,
না করেছিলাম না তোকে ওর আশেপাশেও যাতে না দেখি।
কোন রকম ও আবির কে ছাড়িয়ে আরিয়ান কে টেনে রুমে নিয়ে যাই।
রাগে লাল হয়ে গেছে।
ঘেমে একাকার হয়ে গেছে।
তাড়াতাড়ি এসি আর ফ্যান সব কিছু একেবারে ফুল পাওয়ার এ ছেড়ে দিয়েছি।
আস্তে আস্তে বকবক করেই যাচ্ছে।
উফফফ বাবা আমার তো শীতে ধরে গেছে।
কিন্তু এর মেজাজ তো মনে হয় এখনো বিগড়ে আছে।
কি যে করি।
নাহহহ চুপ থাকলে তো হবে না।
-- ইয়ে মানে বলছিলাম যে.....
বিছানা থেকে উঠে আমাকে ধাক্কা দিয়ে দরজার সাথে বাজিয়ে দেয়।
একদম আমার সামনে এসে দরজা লক করে আমার ঠোঁটে আঙুল রেখে দাতে দাত চেপে বলে.....
-- হিসসস একদম চুপপপপ.......
একদম চুপ মানে একেবারেই চুপ।
একটা টু শব্দও করবে না 
বেশি বেড়ে গেছো তাইনা।
আকাশে উড়া শিখে গিয়েছে।
পাখনা টা একেবারে কেটে দেবো, উড়া অফ হয়ে যাবে।
এমন শকড আমি আগে কখনওই হইনি।
ভয়ে হাত পা কাপা শুরু হয়ে গিয়েছে এর বিহেভিয়ার এ।
হে আল্লাহ এখন আমি কি করবো।
-- ব..ব...বল..বলছি যে আ..আ..আমি..........
-- চুপপপ.....একদম চুপপপ.....
তোমাকে কি বলেছি কথা বলতে।
তোমাকে কে বলেছিল এভাবে নাচানাচি করতে
-- কিন্তু আমিতো.....
-- চুপপপ........(জোড়ছে ধমক দিলো এবার)
To be continue...........

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

নিষিদ্ধ ভালোবাসা(পর্ব ০৯)

RM ,,পূর্ববর্তী পার্ট গুলি পেতে অমার টাইমলাইন  ভিজিট করুন,, কতক্ষণ ঘুমিয়ে ছিলাম সেটা মনে নেই। চোখ খোলে যখন মাথার পেছনে সজোরে এক থাপ্পর খাই। ঘুম ঘুম চোখে চারদিকে তাকিয়ে দেখি যে কে আমাকে চড়টা মারল। আমি দেখলাম যে আমি উঠানের মাটিতে পড়ে আছি, পায়ের কাছে মাটিতে সুব্রত পড়ে আছে। আমি ওপর দিকে তাকিয়ে দেখতে চেষ্টা করি যে কে আমাকে চড়টা মারল, আমি অবাক হয়ে দেখি যে ইন্দ্রানি মাসি আমাদের দিকে কটমট করে তাকিয়ে আছে। আমার দিকে তাকিয়ে চেঁচিয়ে বলে ওঠেন “শুয়োর গুলো এখানে শুয়ে? আর আমারা তোদের দু’জনকে সারা বাড়িতে হন্যে হয়ে খুঁজছি। তোদের কি কোন বোধ বুদ্ধি নেই?” আমি সুব্রতর কাঁধ ঝাঁকিয়ে উঠিয়ে দিলাম, সুব্রত আর আমি দুজনেই উঠে পড়লাম মাটি থেকে। আমি কাতর চোখে ইন্দ্রানি মাসির দিকে চেয়ে বললাম “সরি মাসি। ভুল হয়ে গেছে, কাল রাতে একটু বেশি হয়ে গেছিল।” চেয়ারের ওপরে মদের বোতল আর গ্লাসের দিকে ইন্দ্রানি মাসির চোখ পড়ে যায়, তাড়াতাড়ি করে চেয়ারের ওপরে নিজের শাল ফেলে দিয়ে ঢেকে দেয় গ্লাস আর বোতল। ঠিক সেই সময়ে পেছন থেকে অনেক গুলো পায়ের আওয়াজ পাই। মাসি সবাই কে বলে “এই ছেলে দুটো সারা রাত...

নিষিদ্ধ ভালোবাসা(শেষ পর্ব)

RM কিছুদূর যেতেই  একটি জায়গায় গাড়ি দাঁড় করায় বল্বিন্দার, বলল যে গাড়িতে তেল ভরতে হবে। গাড়ি থামার সঙ্গে সঙ্গে পরীর ঘুম ভেঙে যায়, আমার দিকে তাকিয়ে বলে “কতক্ষণ ঘুমিয়েছি আমি?” আমি বললাম “বেশীক্ষণ ঘুময়নি তুমি” “আমরা থামলাম কেন?” “তেল ভরার জন্য।” “আর কত দেরি পৌঁছতে?” আমি পেট্রল পাম্পের লোকটাকে জিজ্ঞেস করলাম যে জিওরি থেকে চিতকুল কতক্ষণ লাগবে পৌঁছতে। লোকটা আমায় জানাল যে আরও ঘন্টা চারেকের রস্তা বাকি। লোকটা আরও জানাল যে কারছাম ব্রিজের পরে রাস্তা খুব খারাপ। বল্বিন্দার আমাকে বলল যে ও রাস্তা জানে, কোন চিন্তা করতে বারণ করল আমাকে। পরী হিন্দি বিশেষ ভালো করে বোঝেনা তাই আমাকে জিজ্ঞেস করে যে বল্বিন্দার কি বলল। আমি রাস্তার কথাটা চেপে গেলাম, জানালাম যে কোন কিছুর জন্য চিন্তা না করতে। ঘড়ির দিকে তাকালাম, আড়াইটে বাজে তখন, তারমানে চিতকুল পৌঁছতে সন্ধ্যে হয়ে যাবে। একে শীতকাল তায় আবার পাহাড়, এখানে রাত সমতলের চেয়ে একটু তাড়াতাড়ি নামে। জিওরি ছাড়ার কিছু পরেই পরী বলল যে ও আর ঘুমোতে চায় না, বাইরের দৃশ্য দেখবে। আমি বললাম ঠিক আছে। কিছু পরেই সূর্য পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়ে। যখন আ...

"এক অপরিচিতা"(পর্ব: ছয়)

লেখক:আসিফ ইকবাল! "আগের পর্ব গুলো আমার টাইমলাইনে বিদ্যমান" পঞ্চম পর্বের পর থেকে..... ___আরে বাহ, আপনি নিজের বউ কেই চিনতে পারছেন না!       এবার তো বলবেন গতকাল আপনি আমাকে বিয়েই করেন              নি। হম,সেটাও বলে ফেলেন না! দেরি কেনো? ওর এতগুলি কথার পর বুঝতে পারলাম,এটাই আমার অপরিচিতা,কিন্তু ও আজকে নিকাব পড়েনি। হিজাব পড়েছে। তাই চিনতে পারিনি। মুখ দিয়ে কিছু বের হচ্ছেনা। শুধু ওর দিকে তাকিয়ে আছি। আমার বউটা অনেক কিউট। সকাল বেলা যে আমার জন্য এরকম একটা সারপ্রাইজ আছে সেটা ভাবিনি!      ____কি!আপনি কি এভাবেই তাইকে থাকবেন? নাকি উঠেবেন। জলদি উঠে ফ্রেশ হোন।(তাফা) ____তুমি আজকে নিকাব পরোনি যে! ____আপনি তো আমার বর!আপনার সামনে নিকাব পড়তে হবে কেনো?(তাফা) বলে.....একটা হাসি দিয়ে চলে গেলো। এই প্রথম ওর হাসি দেখলাম। আর সেটা আমাকে রীতিমতো পাগল করে দিয়েছে। আর দেরি করলাম না। জলদি বিছানা ছেড়ে ফ্রেশ হতে চললাম। তাফা,,, তাফা! কই তুমি?........ "এইতো কিচেনে,কি হোয়েছে..... তাফা কিচ...