সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

Devil_Husband(End)

Written by Fatema
.
.
.
-- পারবো না........
-- পড়তে হবে...
-- পারবো না....
-- কি বললে আরেকবার বলো....
-- পারবো.......
না বলার সুযোগ হয় নি তার আগেই 
হুম ডেভিল তার ওয়াইফ কে কিসি দিয়েছে।
খুব টনছিল যে ভেজা ঠোট জোড়া...........
সাবিয়ার চোখ চড়কগাছ হয়ে গেছে।
ভাবতেই পারেনি যে হঠাৎ এমন ঘটনা ঘটে যাবে।
কয়েকবার অনেক ধাক্কাধাক্কি ও করেছে।
কিন্তু লাভ হয় নি।
এমন বডি বিল্ডারের সাথে কি পারা যায়।
আস্ত জলহস্তী।
মিনিট খানেক পর এমনিতেই ছেড়ে দিল।
-- জান পাখি, বেশি ছটফট করবেনা কেমন।
যাও ফাস্ট ফাস্ট এখন থেকে বের হয়ে আসো, নয়তো ঠান্ডা লেগে যাবে।
-- ( হুহহ আদিখ্যেতা  গণ্ডার একটা। এমনভাবে কেও ইয়ে করে। ডেভিল, বান্দর, হনুমান, জলহস্তী, গণ্ডার সুই সুতা দিয়ে একেবারে তোর ঠোট দুইটা যদি সেলাই করে দিতে পারতাম তাহলে উচিৎ শিক্ষা হতো )
-- শোনো, মনে মনে আমাকে গালাগাল না দিয়ে ফাস্ট কাজ করো।
আমি গেলাম।
এই বলে আরিয়ান বাথরুম থেকে বের হয়ে গেলো।
সাবিয়ার শরীরে কাঁপন ধরে গেছে ঠান্ডায়।
তাড়াতাড়ি করে বাথরুম থেকে বের হলো।
-- উফফ এত ঠাণ্ডা ক্যারে।
সব এই ডেভিল টার জন্য।
আমাকে শায়েস্তা করার জন্য এখানে এসেছে।
একটুও শান্তিতে থাকতে দেয় না।
ইচ্ছা করে হাতুরি দিয়ে জাস্ট একটা বারি দেই এর মাথায়।
এত শয়তানি বুদ্ধি মাথা থেকে সব বের হয়ে যেতো। 
আর ভাল্লাগেনা এ কাহিনী।
বিছানার উপর দেখি ঠিকই শাড়ি, জুয়েলারি রাখা আছে।
কি আজব.....
লোকটা নিজের মতো করে থাকতে দিবে না নাকি 
কথা আর বাড়ালাম না।
জানি কথা বাড়ালে আবার এসে আরেক অশান্তি বেধে দিবে।
কোথায় গেছে কে জানে।
না দেখলেও অশান্তি লাগে।
এই বুঝি আবার কোন ঘটলা পাকাচ্ছে।
তৈরি হয়ে বসে আছি।
কেন সাজার হুকুম জাড়ি করলো সেটাও জানিনা.....
কিছুক্ষণ পর এসে হাজির।
হঠাৎ আমিও যেনো হা হয়ে আছি তার দিকে।
যতই ধুরছাই করি না কেনো, এই ডেভিল হ্যাজবেন্ট টা কিন্তু এক দেখায় তাক লাগানোর মতো ছেলে 
আমার শারীর সাথে ম্যাচিং করা পাঞ্জাবী।
আরে বাহ সেইই লাগছে।
কই বিয়ের দিন তো এমন
লাগে নি।
সে যাইহোক, নিজের বরের উপর ই বারবার ক্রাশ খাই। 
-- এভাবে তাকিয়ে থাকলে চোখ ট্যারা হয়ে যাবে। 
-- shut up...... একটুও কি সাদাসিধে কথা বলতে পারেন না আপনি।
-- না পাড়ি না আর পাড়বো ও না, ওকে।
চলো এখন আমার সাথে।
-- এই রাতের বেলা কোথায় যাবেন আমাকে নিয়ে....??
-- তোমাকে মেরে ফেলে দিয়ে আসবো 
-- কিইইইইইইইই
এ..এ..এইইইই কি বলেন এইসব।
আপনি আমাকে মেরে ফেলবেন কেনো।
কি করেছি আপনার।
-- আমার বাসা এবং আমায় ছেড়ে পালানোর শাস্তি এইটা।
-- কিহহহ.....
পা..পা..পালিয়েছিলাম কই হুহহহ.........
আ..আমি তো কলেজে যাওয়ার জন্য আসছিলাম। 
-- কেন আমাকে বললে কি আমি নিয়ে আসতাম না ?
-- না...আসলে...
-- থামো তো।
এসব কাহিনী এখন শুনতে চাচ্ছি না।
আর হ্যা, তুমি ভাবলে কিভাবে তোমাকে আমি মেরে ফেলবো।
আমি যা বলবো সেটাই বিলিভ করবে।
-- হুহহ
-- হুহহ কি হ্যাহহ।
একদম হু হা করবে না।
ক্লিয়ার কাট কথা বলবে।
এসব আমার একদম
পছন্দ না, মনে রাখবে।
-- হুহহহ
-- আবার হুহহ মাত্রই কি বললাম তোমাকে 
এই মেয়েকে তো আমিইইই........
Anyway, Let's go.....
-- কোথায় ?
.
.
.
আর কোনো কথা না বলে হাতে ধরে টেনে নিয়ে বের হয়ে গেলো।
গাড়িতে বসিয়ে নিজে গিয়ে বাসা লক করে ফিরে এসে ড্রাইভিং সিটে বসে গেলো।
-- সিট বেল্ট লাগিয়ে নাও।
-- পারিনা
-- পারোটা কি শুধু ঝগড়া করতে।
-- আপনি কি হ্যা।
আপনি মনে হয়.......
-- হিসসস...বছরের শেষ রাত আর কথা কাটাকাটি করতে চাইছিনা।
বাচ্চাকাচ্চা হবে কয়দিন পর আর এখনো এমন পিচ্চিদের মতো ঝগড়ুটে হলে হবে নাকি।
বাচ্চা সামলাবে কিভাবে।
-- Noooo.....chance
আমি নেবো বাচ্চা, তাও আপনার সাথে হুহ।
মাথা খারা.......
-- এই চুপ....আমার সাথে না মানে।
আরো কোনো ছেলের সাথে লাইন আছে নাকি 
-- ছিঃ কি বলছেন এইসব।
আপনার কি আমাকে এতটাই বাজে মেয়ে মনে হয় নাকি।
-- তাহলে এসব বলছো কোনো সাহসে।
বেশতো আরো বলো।
এমন ড্রাইভ করবো না।
না থাকবে আমি আর না থাকবে তুমি।
না থাকবে বাঁশ আর না বাজবে বাশি।
-- এটা কেমন ধরনের কথা
-- ভুলটা কি বললাম
-- একটা কথা বলছি এখন, ভালো করে শুনে নিবে।
হয় আজকে এই সম্পর্ক চিরদিন এর জন্য শেষ হবে আর নয়তো নতুন বছরের নতুন আলোর মতো সুন্দর হয়ে গড়ে উঠে।
এটাই আমার ফাইনাল ডিসিশন।
.
.
.
আর কোনো কথা না বলে নিজের সিট বেল্ট বেধে আমার টা ও এগিয়ে এসে বেধে দিলো।
কিছু আর বলিনি।
কিছু কথা মনে লেগেছে তাই।
কিন্তু কোথায় সাজিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সেটাই বুঝলাম না।
নরমাল ই ড্রাইভ করছে।
মাঝে মাঝে আর চোখে দেখছি। কিন্তু সে একবার ও তাকায় নি।
লং ড্রাইভ করছে নাকি কে জানে।
তন্দ্রা ভাব চলে এসেছে আমার।
হঠাৎ ব্রেক করায় খেয়াল হয় ।
আরিয়ান বের হয়ে এসে আমার পাশের ডোর টা খুলে দেয়।
বের হয়ে চারদিকে চোখ ঘুরিয়ে দেখছি।
অনেক আলো।
সেই প্রথম দিনের মতো।
বাড়ির সীমানায় যেমন পা রেখে থমকে গিয়েছিলাম ঠিক তেমন।
তেমন বললে ভুল হবে, তার থেকেও বেশি আলোকময়।
হাত বাড়িয়ে দিয়েছে আমার হাতটির অপেক্ষায়।
ধরবো কিনা ভাবনায় মগ্ন ছিলাম।
নিচের দিকে তাকিয়ে ছিলাম।
তার হাত টা ফিরিয়ে নিচ্ছিলো, অবাক করে দিয়েই হাত ধরে নিলাম আমার ডেভিল হ্যাজবেন্ট এর।
হাত ধরে ভেতরে নিয়ে গেলো।
গার্ডেন এর দিকে চোখ পড়েছিল,
দোলনা টা অনেক সুন্দর করে সাজানো।
ফুলের সাথে লাইটিং।
সত্যিই বলতে হবে চয়েজ আছে এদের।
বাসার ভেতরে ঢুকতে ঢুকতে
ফুলের গালিচা দিয়ে হেটে গিয়েছি।
ড্রইংরুম এ সবার উপস্থিতি বলে দিচ্ছি, বছর শেষে এরা আমার ই অপেক্ষায় ছিল।
কাউকে কিছু বলতে না দিয়ে সোজা আমাদের রুমে নিয়ে গেলো।
আমাকে বিছানায় বসিয়ে নিজে হাটু গেড়ে আমার সামনে বসে হাতে হাত রেখে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলা শুরু করলো →
হয়তো তুমি আমাকে এখনো তোমার হ্যাজবেন্ট হিসেবে মানতে পারো নি।
হয়তো কি সত্যিই পারোনি।
পারলে আমাকে নিয়ে একটু হলেও ভাবতে ।
আমার বলার কথা গুলোকে
তুমি মন থেকে মানো না।
তাই শুনতে ভালো লাগে না ।
এক ধরনের চাপিয়ে দেওয়ার মতো ই লাগে তোমার কাছে।
আমি চাইলে তোমার সাথে
জোড় করেই ফিজিক্যাল রিলেশন এ জড়াতে পারতাম।
কিন্তু আমি করিনি।
কেনো জানো,
আমি চেয়েছি ভালবেসে তোমার কাছে আসতে।
কিন্তু তুমি কখনো বিন্দু পরিমাণ ও ভাবো নি।
সারাক্ষণ আমার কথাগুলো
তোমার কাছে জোড় করে করানোর মতো মনে হয়েছে।
মন থেকে যদি একটু ও মানতে পারতে তাহলে আজকের দিনে আমাদের এমন পরিস্থিতি তে থাকতে হতো না।
দিন টা হয়তো আরো পূর্ণতা পেতো।
কতটা ভালবাসি এইটা হয়তো তোমাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হবে না আশা করি।
যথেষ্ট এডাল্ট তুমি।
আজকের পর এই বিষয়ে আমি আর কিছু বলবো না।
হয় এখান থেকে শুরু নয় এখানেই শেষ।
তোমার হাতে সব।
.
.
কিছুই বলতে পারিনি।
স্ট্যাচু হয়ে বসে ছিলাম।
উঠে গেলো আমার সামনে থেকে।
আমার হাতে দুইটা খাম ধরিয়ে দিল।
-- একটায় হানিমুনের টিকিট, আরেকটায় আমার ট্রান্সফার এর টিকেট।
বিয়ে তো হলো মাত্র কয়েকদিন তাই ডিভোর্স পেপার বানানো সম্ভব হয়নি।
যদি পুরনো দিনের সব কিছু ভুলে নতুন করে শুরু করতে চাও তাহলে হানিমুনের টিকিট টা বেছে নিবে।
আর যদি চাও জীবন থেকে চলে যাই তাহলে ট্রান্সফার এর টিকিট টা আমার হাতে তুলে দিও।
ছাদে অপেক্ষা করছি।
নতুন বছর শুরু হতে আর বেশি সময় নেই।
ডিসিশন তোমার কাছে।
এই বলে আরিয়ান রুম থেকে বের হয়ে গেলো।
দুই হাতে দুইটা খাম নিয়ে বসে আছি।
.
.
.
ডিসিশন ফাইনাল। ভেবেছি অনেকবার। আমার জন্য এটাই ঠিক।
এভাবে তো আর রোজ রোজ চলতে পারে না।
স্বাভাবিক লাইফে এসব রোজ রোজ ঝগড়া ঝাটি করা আর সম্ভব না।
হাতে একটা খাম নিয়ে এগিয়ে গেলাম ছাদে।
রেলিং এর সাথে হেলান দিয়ে পাশের ফুলের গাছটার ফুলে হাত বুলাচ্ছিল পরম যত্নে।
.
.
-- শুনছেন
-- হুম
-- এই যে
-- হুম
-- আজব তো, আমাকে হুহ, হুম
বলে নিষেধ করে এখন নিজেই বলছেন।
রাগ হচ্ছে কিন্তু।
-- শর্টকাট কথা বলো।
কি ডিসিশন নিলে।
হাতের খাম টা বাড়িয়ে দিলাম।
খাম টা খুলে আকাশের দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে ছিল।
তারপর........
.
.
.
আরে ধুর তারপর আর কি এক টানে তার বুকে।
ইয়ে মানে তার হাতে হানিমুনের টিকিট তুলে দিয়েছিলাম।
-- Sooo.....My Beautiful Devil Queen..... R u ready to Honeymoon 
-- Yeahhhh......
-- আচ্ছা সোনা পাখি তুমি কি জানো, তোমার এই #Devil_Husband কিসের কাজ করে
-- না বললে জানবো কিভাবে হু।
কখনো তো বলেন ও নি আমাকে।
-- তা ঠিক।
ওকে ফাইন বলছি এখন।
আমি একজন পাইলট 
যে কিনা মাটি থেকে অনেক উচুতে ডানা ঝাপ্টে দিন কাটাই।
কপাল ভালো তো পাখি ঘরে ফিরবে আর খারাপ হলে তো......
-- হিসসসস আর কোনো কথা হবে না।
কিছুর আওয়াজ কি শুনতে পাচ্ছেন?
-- কিসের
-- ডংডং ডংডং
-- আরে হ্যা 
Happy new year my sweet heart......
This time, I wish - you stay with me in my whole life.
you r my oxygen. pls stay.......
-- yes,I'm......
with u......
নতুন বছরের নতুন ভোরের আলোর সাথে সেজে উঠুক আরিয়ান আর সাবিয়ার দিনগুলো।
সাবিয়ার সময় কাটুক তার ডেভিল হ্যাজবেন্টের রোমান্টিক ডিভিলগিরিতে।
সমাপ্ত...

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

নিষিদ্ধ ভালোবাসা(পর্ব ০৯)

RM ,,পূর্ববর্তী পার্ট গুলি পেতে অমার টাইমলাইন  ভিজিট করুন,, কতক্ষণ ঘুমিয়ে ছিলাম সেটা মনে নেই। চোখ খোলে যখন মাথার পেছনে সজোরে এক থাপ্পর খাই। ঘুম ঘুম চোখে চারদিকে তাকিয়ে দেখি যে কে আমাকে চড়টা মারল। আমি দেখলাম যে আমি উঠানের মাটিতে পড়ে আছি, পায়ের কাছে মাটিতে সুব্রত পড়ে আছে। আমি ওপর দিকে তাকিয়ে দেখতে চেষ্টা করি যে কে আমাকে চড়টা মারল, আমি অবাক হয়ে দেখি যে ইন্দ্রানি মাসি আমাদের দিকে কটমট করে তাকিয়ে আছে। আমার দিকে তাকিয়ে চেঁচিয়ে বলে ওঠেন “শুয়োর গুলো এখানে শুয়ে? আর আমারা তোদের দু’জনকে সারা বাড়িতে হন্যে হয়ে খুঁজছি। তোদের কি কোন বোধ বুদ্ধি নেই?” আমি সুব্রতর কাঁধ ঝাঁকিয়ে উঠিয়ে দিলাম, সুব্রত আর আমি দুজনেই উঠে পড়লাম মাটি থেকে। আমি কাতর চোখে ইন্দ্রানি মাসির দিকে চেয়ে বললাম “সরি মাসি। ভুল হয়ে গেছে, কাল রাতে একটু বেশি হয়ে গেছিল।” চেয়ারের ওপরে মদের বোতল আর গ্লাসের দিকে ইন্দ্রানি মাসির চোখ পড়ে যায়, তাড়াতাড়ি করে চেয়ারের ওপরে নিজের শাল ফেলে দিয়ে ঢেকে দেয় গ্লাস আর বোতল। ঠিক সেই সময়ে পেছন থেকে অনেক গুলো পায়ের আওয়াজ পাই। মাসি সবাই কে বলে “এই ছেলে দুটো সারা রাত...

নিষিদ্ধ ভালোবাসা(শেষ পর্ব)

RM কিছুদূর যেতেই  একটি জায়গায় গাড়ি দাঁড় করায় বল্বিন্দার, বলল যে গাড়িতে তেল ভরতে হবে। গাড়ি থামার সঙ্গে সঙ্গে পরীর ঘুম ভেঙে যায়, আমার দিকে তাকিয়ে বলে “কতক্ষণ ঘুমিয়েছি আমি?” আমি বললাম “বেশীক্ষণ ঘুময়নি তুমি” “আমরা থামলাম কেন?” “তেল ভরার জন্য।” “আর কত দেরি পৌঁছতে?” আমি পেট্রল পাম্পের লোকটাকে জিজ্ঞেস করলাম যে জিওরি থেকে চিতকুল কতক্ষণ লাগবে পৌঁছতে। লোকটা আমায় জানাল যে আরও ঘন্টা চারেকের রস্তা বাকি। লোকটা আরও জানাল যে কারছাম ব্রিজের পরে রাস্তা খুব খারাপ। বল্বিন্দার আমাকে বলল যে ও রাস্তা জানে, কোন চিন্তা করতে বারণ করল আমাকে। পরী হিন্দি বিশেষ ভালো করে বোঝেনা তাই আমাকে জিজ্ঞেস করে যে বল্বিন্দার কি বলল। আমি রাস্তার কথাটা চেপে গেলাম, জানালাম যে কোন কিছুর জন্য চিন্তা না করতে। ঘড়ির দিকে তাকালাম, আড়াইটে বাজে তখন, তারমানে চিতকুল পৌঁছতে সন্ধ্যে হয়ে যাবে। একে শীতকাল তায় আবার পাহাড়, এখানে রাত সমতলের চেয়ে একটু তাড়াতাড়ি নামে। জিওরি ছাড়ার কিছু পরেই পরী বলল যে ও আর ঘুমোতে চায় না, বাইরের দৃশ্য দেখবে। আমি বললাম ঠিক আছে। কিছু পরেই সূর্য পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়ে। যখন আ...

"এক অপরিচিতা"(পর্ব: ছয়)

লেখক:আসিফ ইকবাল! "আগের পর্ব গুলো আমার টাইমলাইনে বিদ্যমান" পঞ্চম পর্বের পর থেকে..... ___আরে বাহ, আপনি নিজের বউ কেই চিনতে পারছেন না!       এবার তো বলবেন গতকাল আপনি আমাকে বিয়েই করেন              নি। হম,সেটাও বলে ফেলেন না! দেরি কেনো? ওর এতগুলি কথার পর বুঝতে পারলাম,এটাই আমার অপরিচিতা,কিন্তু ও আজকে নিকাব পড়েনি। হিজাব পড়েছে। তাই চিনতে পারিনি। মুখ দিয়ে কিছু বের হচ্ছেনা। শুধু ওর দিকে তাকিয়ে আছি। আমার বউটা অনেক কিউট। সকাল বেলা যে আমার জন্য এরকম একটা সারপ্রাইজ আছে সেটা ভাবিনি!      ____কি!আপনি কি এভাবেই তাইকে থাকবেন? নাকি উঠেবেন। জলদি উঠে ফ্রেশ হোন।(তাফা) ____তুমি আজকে নিকাব পরোনি যে! ____আপনি তো আমার বর!আপনার সামনে নিকাব পড়তে হবে কেনো?(তাফা) বলে.....একটা হাসি দিয়ে চলে গেলো। এই প্রথম ওর হাসি দেখলাম। আর সেটা আমাকে রীতিমতো পাগল করে দিয়েছে। আর দেরি করলাম না। জলদি বিছানা ছেড়ে ফ্রেশ হতে চললাম। তাফা,,, তাফা! কই তুমি?........ "এইতো কিচেনে,কি হোয়েছে..... তাফা কিচ...