লেখক:আসিফ ইকবাল।
সব ঠিকঠাকই চলছে। সারাদিন অফিসে থাকি।
রাত্রে এসে খাওয়ার পর শুয়ে পড়ি।। ওর সাথে তেমন কথা হয় না। আর ও আমার সামনে তেমন আসেনা। আমি বলেছিল যে, না আসতে আমার সামনে। তাই হইত। এখন আর বাহিরে খেতে হইনা। অপরিচিতা রান্না করে। ওহ বেশ ভালো রান্না করতে পারে,,,,,
রাত্রে এসে খাওয়ার পর শুয়ে পড়ি।। ওর সাথে তেমন কথা হয় না। আর ও আমার সামনে তেমন আসেনা। আমি বলেছিল যে, না আসতে আমার সামনে। তাই হইত। এখন আর বাহিরে খেতে হইনা। অপরিচিতা রান্না করে। ওহ বেশ ভালো রান্না করতে পারে,,,,,
বিকেলে,অফিসে ছিলাম। আজ কাজের চাপ টা একটি বেশী। মাথাটা কেমন জানি কাজ করছে না।
আমি যেনো চাঁদে পৌঁছে গেছি যখন মা ফোন করে জানাল তারা আজকে শহরে আসছে। কিছু বলার আগেই .....
"পৌঁছে কথা হবে" বলে কেটে দিল।
আমি কি করবো বুঝতে পারছিনা। বস কে ছুটির জন্য বললাম। কিন্তু তিনি না করে দিলেন।
বাসায় যেতে পারছিনা। ওর কাছে ফোন ও নেই যে ফোন করে বলবো ব্যাপার টা। এখন কি করি....
মা বাবা যদি অপরিচিতা কে দেখে,কিনা কি ভেবে বসবেন আল্লাহ জানে। যা হবার হবে,,,,,,,আমি বাবাকে সত্যিটা বলে দিবো।
আমি যেনো চাঁদে পৌঁছে গেছি যখন মা ফোন করে জানাল তারা আজকে শহরে আসছে। কিছু বলার আগেই .....
"পৌঁছে কথা হবে" বলে কেটে দিল।
আমি কি করবো বুঝতে পারছিনা। বস কে ছুটির জন্য বললাম। কিন্তু তিনি না করে দিলেন।
বাসায় যেতে পারছিনা। ওর কাছে ফোন ও নেই যে ফোন করে বলবো ব্যাপার টা। এখন কি করি....
মা বাবা যদি অপরিচিতা কে দেখে,কিনা কি ভেবে বসবেন আল্লাহ জানে। যা হবার হবে,,,,,,,আমি বাবাকে সত্যিটা বলে দিবো।
সারাটা বিকেল, অনেক অসস্তিতে কেটেছে। এখন আমি আমার বাড়ির দরজার সামনে। আজ নিজের বাড়ির কলিং বেল চাপতেই কেনো জানি ভয় করছে।
অনেক্ষন ধরে থাকার পর বেলটা চেপেই দিলাম। মা দরজা খুললেন। তাতে কেমন জানি দেখাচ্ছে,অন্য সময় হলে জড়িয়ে ধরতেন, আজ কেনো ধরলেন না। সেটা বোঝাই যাচ্ছে...
বাবা ড্রয়িং রুমে বসে আছে....
অনেক্ষন ধরে থাকার পর বেলটা চেপেই দিলাম। মা দরজা খুললেন। তাতে কেমন জানি দেখাচ্ছে,অন্য সময় হলে জড়িয়ে ধরতেন, আজ কেনো ধরলেন না। সেটা বোঝাই যাচ্ছে...
বাবা ড্রয়িং রুমে বসে আছে....
___বাবা কেমন আছো?(আমি, একটু ভয়ে কথাটা বললাম।)
___হম, ফ্রেশ হয়ে নে তার পর কথা বলি(বাবা)
মা পাশে দাড়িয়ে আছে, কিছু বলছে না। বুঝতে পারলাম, অনেকদিন পর আজকে কিছুর জন্য জবাবদিহি করতে হবে।
চটজলদি বাবার সামনে উপস্থিত হলাম। ভেবে পাচ্ছিনা শেষ পর্যন্ত এই অপরিচিতার জন্য আমার সাথে কি হতে যাচ্ছে।
মা,বাবার পিছনে দাড়িয়ে আছে । অপরিচিতা কে কোথাও দেখছিনা।
মা,বাবার পিছনে দাড়িয়ে আছে । অপরিচিতা কে কোথাও দেখছিনা।
___তুই বিয়ে করছিস আমাদের জানাস নি কেনো?(রাগান্বিত ভাবে কথাটা বললেন)
___কিহ্, আমি কবে বিয়ে করলাম। আর বিয়ে করলে তোমাদের জনবোনা এটা কিভাবে হতে পারে(আমি)
___তাহলে তাফা কে শুনি!
___কিহ্, আমি কবে বিয়ে করলাম। আর বিয়ে করলে তোমাদের জনবোনা এটা কিভাবে হতে পারে(আমি)
___তাহলে তাফা কে শুনি!
___ তাফা! আমি চিনিনা, তাফা কে!
(আমি বুঝতে পারছি মা মুখে হাত দিয়ে একটু হাসছেন,কিন্তু কেনো সেটা টা বুঝিনা।)
___দেখো, রহিমা! দেখো! তোমার ছেলে নিজের বউকে চিনতে পারছে না।(বাবা)
(আমি বুঝতে পারছি মা মুখে হাত দিয়ে একটু হাসছেন,কিন্তু কেনো সেটা টা বুঝিনা।)
___দেখো, রহিমা! দেখো! তোমার ছেলে নিজের বউকে চিনতে পারছে না।(বাবা)
বাবা মা উভয়েই হাসলেন। আমি চুপ চাপ আছি।কিন্তু আমার আর ভোয় করছে না। আর তাফা নামের কাওকে তো আমি চিনিনা তাহলে বাবা বলছেন কেনো!
___কিন্তু বাবা সত্যিই আমি তাফা নামের কাওকে চিনিনা। বিশ্বাস করো।(আমি)
___ওহ,তাই! (বাবা তাফা বলে ডাকলেন)
জি, আসছি........
বলে অপরিচিতা বেরিয়ে আসলো। তার মানে ওর নাম তাফা!
বাবা মা আসতেই নাম বলে ফেলেছে। আর যে এতদিন থাকতে দিল খেতে দিল। সে জানে না....
বলে অপরিচিতা বেরিয়ে আসলো। তার মানে ওর নাম তাফা!
বাবা মা আসতেই নাম বলে ফেলেছে। আর যে এতদিন থাকতে দিল খেতে দিল। সে জানে না....
__ওকে চেনো?(বাবা)
__ হম,কিন্তু ওকে আমি বিয়ে করিনি । ও শুধু আমার কাছে আশ্রয় চেয়েছে তাই এখানে কিছুদিনের জন্য থাকতে দিয়েছি।ওর থেকেই শুনে নাও।(আমি)
__ হম,কিন্তু ওকে আমি বিয়ে করিনি । ও শুধু আমার কাছে আশ্রয় চেয়েছে তাই এখানে কিছুদিনের জন্য থাকতে দিয়েছি।ওর থেকেই শুনে নাও।(আমি)
__অনেক মিথ্যে হয়েছে, আমি সব শুনেছি।এবার খেতে যা।
শরীর টা ভালোলাগছে না। কালকে কথা হবে।
শরীর টা ভালোলাগছে না। কালকে কথা হবে।
তারপর বাবা চলে গেলেন।
আমি এত করে বললাম যে আমি বিয়ে করিনি,কিন্তু বিশ্বাস করছেন না,আর অপরিচিতা কিছু বলছে না। মনে হই ঠিকই ওকে আমি বিয়ে করেছি।
"বৌমা সাগর কে খেতে দাও"বলে মাও চলে গেলেন। অন্য সময় হলে কতকিছু বলতেন,আর আজ!
আমি এত করে বললাম যে আমি বিয়ে করিনি,কিন্তু বিশ্বাস করছেন না,আর অপরিচিতা কিছু বলছে না। মনে হই ঠিকই ওকে আমি বিয়ে করেছি।
"বৌমা সাগর কে খেতে দাও"বলে মাও চলে গেলেন। অন্য সময় হলে কতকিছু বলতেন,আর আজ!
তাফা আর আমি!
প্রতিদিনের মতোই আমার জন্য খাবার বেড়ে চলে গেলো। কিছু বলেও না,এ কেমন মেয়েরে বাবা,আল্লাহ জানে।
ওর উপর খুব রাগ উঠছে। বাবা মাকে উল্টা শিধা বুঝিয়েছে। আর কথা বলার সুযোগ না দিয়েই চলে গেলো।
প্রতিদিনের মতোই আমার জন্য খাবার বেড়ে চলে গেলো। কিছু বলেও না,এ কেমন মেয়েরে বাবা,আল্লাহ জানে।
ওর উপর খুব রাগ উঠছে। বাবা মাকে উল্টা শিধা বুঝিয়েছে। আর কথা বলার সুযোগ না দিয়েই চলে গেলো।
"দুই তিন লোকমা মুখে দিয়ে আর খেতে পারলাম না। মনটা ভালো নেই। এই অপরিচিতা আশ্রই দেওয়াই ঠিক হইনি।
আমার,নিজের রুমে প্রবেশ,অতঃপর........
তাফা আমার রুমে। কি যেনো বই পড়ছে!
___তুমি এখানে কেনো? আর সবসমই নিনজা দের মত থাকো গরম লাগে না।
___হম,লাগে তো।
___তাহলে ওসব খুলে ফেলো। আর আমার রুম থেকে চলে যাও।
___হম,লাগে তো।
___তাহলে ওসব খুলে ফেলো। আর আমার রুম থেকে চলে যাও।
___কীহ! তার মানে আপনি আমাকে দেখতে চান!
___huh,,(আমি)
___তাহলে আমায় বিয়ে করবেন করবেন করবেন করবেন?বলেন বলেন?(কেমন জানি চোখ পাকাচ্ছে)
___দুর,, এখান থেকে যাও,
___নাহ, আমার রুমে আপনার বাবা মা আছেন। তাই আমি আপনার রুমে। আর আপনি ড্রোইং রুমের সোফাতে শুতে যাচ্ছেন....বুঝলেন? এখন যান।
___huh,,(আমি)
___তাহলে আমায় বিয়ে করবেন করবেন করবেন করবেন?বলেন বলেন?(কেমন জানি চোখ পাকাচ্ছে)
___দুর,, এখান থেকে যাও,
___নাহ, আমার রুমে আপনার বাবা মা আছেন। তাই আমি আপনার রুমে। আর আপনি ড্রোইং রুমের সোফাতে শুতে যাচ্ছেন....বুঝলেন? এখন যান।
___দুরর,,,বাবা মা চলে গেলে আমি যেনো তোমাকে এখানে না দেখি। তোমাকে কিছুদিনের জন্য থাকতে বলেছি, থেকেছ। এখন যেতে পারো।
___আচ্ছা,সেটা কালকে দেখা যাবে।।(অপরিচিতা)
অতঃপর আমি নিজের রুম থেকে বহিষ্কৃত হলাম। এবং ড্রয়িং রুমে অশ্রই নিলাম।
________________
ভোরবেলা তাফার ডাকে ঘুম ভাঙ্গলো।
___আপনি রুমে আসেন। বাবা মা আপনাকে এখানে দেখলে কি ভাববে!!
___হম,যাচ্ছি....
ওর চোখ দুটোর দিকে তাকালেই কেমন জানি আমি হারিয়ে যাই। আর ও খুব সুন্দর ভাবে কথা বলে.... যেটা আমার অনেক ভালো লাগে...
আজকে অফিস ছুটি নিয়েছি। অনেকদিন পর মা বাবা আসছে।
তাদেরকে একটু সময় দিতে হবে।
দিনটা বেশ কাটছে,কিন্তু আজ তাফা আমার সামনে বেশি আসছে না। সবসময় মার সাথে থাকে।
ভোরবেলা তাফার ডাকে ঘুম ভাঙ্গলো।
___আপনি রুমে আসেন। বাবা মা আপনাকে এখানে দেখলে কি ভাববে!!
___হম,যাচ্ছি....
ওর চোখ দুটোর দিকে তাকালেই কেমন জানি আমি হারিয়ে যাই। আর ও খুব সুন্দর ভাবে কথা বলে.... যেটা আমার অনেক ভালো লাগে...
আজকে অফিস ছুটি নিয়েছি। অনেকদিন পর মা বাবা আসছে।
তাদেরকে একটু সময় দিতে হবে।
দিনটা বেশ কাটছে,কিন্তু আজ তাফা আমার সামনে বেশি আসছে না। সবসময় মার সাথে থাকে।
সন্ধ্যে হতে চলেছে। বাবা মা আজকেই যাবেন।
আর আমিও জোর করলাম না। যতো তাড়াতাড়ি যায় ,আমার জন্য ভালো।
আর আমিও জোর করলাম না। যতো তাড়াতাড়ি যায় ,আমার জন্য ভালো।
___বৌমার খেয়াল রাখিস,(বাবা)
___হম,
___আর কিছুদিন পর গ্রামে আয়। বৌমাকে নিয়ে আসবি। (বাবা)
___হম,বাবা।
___আমার বৌমাটা অনেক মিষ্টি ওকে দেখে রাখবি। নইলে তোর কপালে দুঃখ আছে,(মা)
__আচ্ছা আচ্ছা আর বলতে হবেনা। চলো তোমাদের এগিয়ে দিয়ে আসি।(আমি)
___হম,
___আর কিছুদিন পর গ্রামে আয়। বৌমাকে নিয়ে আসবি। (বাবা)
___হম,বাবা।
___আমার বৌমাটা অনেক মিষ্টি ওকে দেখে রাখবি। নইলে তোর কপালে দুঃখ আছে,(মা)
__আচ্ছা আচ্ছা আর বলতে হবেনা। চলো তোমাদের এগিয়ে দিয়ে আসি।(আমি)
মা,যাবার সময় তাফার কপালে একটা চুমু দিলেন। এটাও আমার ছিলো যেটা ওর হয়েগেছে। আমারই কপাল!!
আমার এসব একদম সহ্য হচ্ছিলো না। আদিক্ষেটা।
আমার এসব একদম সহ্য হচ্ছিলো না। আদিক্ষেটা।
___হম,এবার চলো,,,,,৯ টাই ট্রেইন।(আমি)
তারপর আমি মা বাবাকে নি স্টেশনে চলে গেলাম। টিকিট আগেই কেটে রাখছি। তাই তেমন ঝামেলা হইনি।
মা বাবাকে ট্রেনে উঠিয়ে দিয়ে রওনা দিলাম......
মা বাবাকে ট্রেনে উঠিয়ে দিয়ে রওনা দিলাম......
বাসায় এসে দেখি ,দরজা তে একটা চিরকুট ঝুলছে........
"আমি চলে গেলাম, জানিনা কোথাও যাবো। আল্লাহ অবশ্যই আমার জন্য কিছু একটা করবেন। আপনি ভালো থাকবেন। আর এতদিন আপনাকে কষ্ট দেবার জন্য পারলে আমাকে ক্ষমা করে দিবেন। বিদায়"
to be continued...........

মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন