Written by Fatema
সাবিয়া অনেক আগেই তৈরি হয়ে গেছে।
কারন আজ পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আজকে সব ফ্রেন্ড রা এক হচ্ছে। যদিও ক্লাস নেই। খুব এক্সাইটেড আজকের দিন নিয়ে। কত প্ল্যানিং করে রেখেছে।
ফাস্ট প্ল্যানিং হচ্ছে মেয়েরা লাল শাড়ী আর ছেলেরা পাঞ্জাবী।
শাড়ী পড়া শেষ হিজাব টা পরে হিজাবের উপর ছোট একটা টিকলি পড়ে নিলো।
ড্রেসিংটেবিল এর সামনে দাঁড়িয়ে আরেকবার নিজেকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখে নিলো।
“হুম পারফেক্ট” মনে মনে বলে একটা মুচকি হাসি দিয়ে পা বাড়ালো ঘরের বাইরে।
কারন আজ পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আজকে সব ফ্রেন্ড রা এক হচ্ছে। যদিও ক্লাস নেই। খুব এক্সাইটেড আজকের দিন নিয়ে। কত প্ল্যানিং করে রেখেছে।
ফাস্ট প্ল্যানিং হচ্ছে মেয়েরা লাল শাড়ী আর ছেলেরা পাঞ্জাবী।
শাড়ী পড়া শেষ হিজাব টা পরে হিজাবের উপর ছোট একটা টিকলি পড়ে নিলো।
ড্রেসিংটেবিল এর সামনে দাঁড়িয়ে আরেকবার নিজেকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখে নিলো।
“হুম পারফেক্ট” মনে মনে বলে একটা মুচকি হাসি দিয়ে পা বাড়ালো ঘরের বাইরে।
ঘর থেকে বের হওয়ার পর পর ই সাবিয়ার মা সাবিনা বেগম সামনে এসে দাঁড়ায়।
সাবিয়া কে বলে,
আজকে আর কলেজ যেতে হবে না।
রাস্তায় এমনিতেই অনেক জ্যাম।
সাবিয়া কে বলে,
আজকে আর কলেজ যেতে হবে না।
রাস্তায় এমনিতেই অনেক জ্যাম।
সাবিয়া বলল,
মা তুমি এখন এ কথা কেন বলছো।
আমি তোমাকে গতকাল ই জানিয়েছি যে আজ কলেজে যাব।
এমন বের হওয়ার সময় তুমি এসে বাধা দিচ্ছো।
মা তুমি এখন এ কথা কেন বলছো।
আমি তোমাকে গতকাল ই জানিয়েছি যে আজ কলেজে যাব।
এমন বের হওয়ার সময় তুমি এসে বাধা দিচ্ছো।
সাবিনা বেগম বলল,
এত হিসেব নিকেশ করে কথা বলতে পারবো না।
যেতে না করেছি যাবি না।
আর এমনিতেও তোর ফুফুরা স্বপরিবারে আসবে।
কত বছর যাবত ওরা আসে না।
তাই বলছি যেতে হবে না আজ।
শাড়ী খোলার দরকার নেই, শুধু হিজাব টা খুলে রাখিস।
বাসায় তো আর হিজাবের দরকার নেই।
যা রুমে যা।
এত হিসেব নিকেশ করে কথা বলতে পারবো না।
যেতে না করেছি যাবি না।
আর এমনিতেও তোর ফুফুরা স্বপরিবারে আসবে।
কত বছর যাবত ওরা আসে না।
তাই বলছি যেতে হবে না আজ।
শাড়ী খোলার দরকার নেই, শুধু হিজাব টা খুলে রাখিস।
বাসায় তো আর হিজাবের দরকার নেই।
যা রুমে যা।
সাবিয়া মাথা নিচু করে কথাগুলো শুনে বাধ্য মেয়ের মতো নিজের ঘরের দিকে পা বাড়ালো।
একদিক দিয়ে খারাপ লাগলেও অন্য দিক দিয়ে ভালো ই লাগছে যে অনেক দিন পর ফুপি রা আসবে।
ফাস্ট ইয়ার এ ফ্রেন্ডস দের সাথে সেলিব্রেট করা আর হলো না।
সেকেন্ড ইয়ারে তো এপ্রিল এ পেলে ও পেতে পারে।
.
.
সাবিনা বেগম তোড়জোড় করে রান্না সামলাচ্ছেন।
আছিয়া (সাবিয়ার ফুপি) রা প্রায় এসে গেছে হয়তো।
.
.
সাবিয়া নিজের ঘরে তার সবচেয়ে প্রিয় জায়গায় বসে আছে।
প্রিয় বলার ও কারন আছে।
ঘরের উত্তর দিকে একটা বিরাট জানলা।
এই পাশটায় বাগান আছে।
সাবিয়ার যখন মন খারাপ হয় বা কোনো প্রিয় অনুভূতি ছোট্ট করে ঝগড়া করে তখন এখানে এসে বসে।
মৃদু বাতাসে বাগানের হরেক সুভাষ নাকের ডগায় সুড়সুড়ি দেয় এতে তার মন আন্দোলিত হয়, পুলুক জন্মে হৃদয়ে।
.
.
বেশ কয়েকবার কলিং বেলের আওয়াজ পেয়ে ধ্যান ভাংগে সাবিয়ার।
ভাগ্যিস বাবাকে বলে কলিং বেল লাগিয়ে ছিল, নয়তো দরজার হায়াত হাফ কমে যেতে দরজা নক করার চোটে।
সাবিয়া ঘরের বাইরে পা বাড়াতেই চোখ পড়ে ফুপির দিকে।
অর্ধা বয়সী মহিলা তবুও দেখতে সদ্য বিবাহিতা দের মতো।
এক ঝলক ভেবে নেয় সাবিয়া “কিভাবে রাখে এত ফিটনেস”
আছিয়া এতক্ষণ সাবিনা বেগমের সাথে কথা বলছিল।
সাবিয়া গুটিগুটি পায়ে এগিয়ে যায় ফুপির দিকে।
তাড়াহুড়ার কোন প্রয়োজন মনে করেনি বলে, তাই হয়তো।
সাবিয়া পিছন থেকে সালাম দিতেই আছিয়া ঘার ঘুরিয়ে তালায়।
-- এটা কে রে সাবিনা (আছিয়া)
একদিক দিয়ে খারাপ লাগলেও অন্য দিক দিয়ে ভালো ই লাগছে যে অনেক দিন পর ফুপি রা আসবে।
ফাস্ট ইয়ার এ ফ্রেন্ডস দের সাথে সেলিব্রেট করা আর হলো না।
সেকেন্ড ইয়ারে তো এপ্রিল এ পেলে ও পেতে পারে।
.
.
সাবিনা বেগম তোড়জোড় করে রান্না সামলাচ্ছেন।
আছিয়া (সাবিয়ার ফুপি) রা প্রায় এসে গেছে হয়তো।
.
.
সাবিয়া নিজের ঘরে তার সবচেয়ে প্রিয় জায়গায় বসে আছে।
প্রিয় বলার ও কারন আছে।
ঘরের উত্তর দিকে একটা বিরাট জানলা।
এই পাশটায় বাগান আছে।
সাবিয়ার যখন মন খারাপ হয় বা কোনো প্রিয় অনুভূতি ছোট্ট করে ঝগড়া করে তখন এখানে এসে বসে।
মৃদু বাতাসে বাগানের হরেক সুভাষ নাকের ডগায় সুড়সুড়ি দেয় এতে তার মন আন্দোলিত হয়, পুলুক জন্মে হৃদয়ে।
.
.
বেশ কয়েকবার কলিং বেলের আওয়াজ পেয়ে ধ্যান ভাংগে সাবিয়ার।
ভাগ্যিস বাবাকে বলে কলিং বেল লাগিয়ে ছিল, নয়তো দরজার হায়াত হাফ কমে যেতে দরজা নক করার চোটে।
সাবিয়া ঘরের বাইরে পা বাড়াতেই চোখ পড়ে ফুপির দিকে।
অর্ধা বয়সী মহিলা তবুও দেখতে সদ্য বিবাহিতা দের মতো।
এক ঝলক ভেবে নেয় সাবিয়া “কিভাবে রাখে এত ফিটনেস”
আছিয়া এতক্ষণ সাবিনা বেগমের সাথে কথা বলছিল।
সাবিয়া গুটিগুটি পায়ে এগিয়ে যায় ফুপির দিকে।
তাড়াহুড়ার কোন প্রয়োজন মনে করেনি বলে, তাই হয়তো।
সাবিয়া পিছন থেকে সালাম দিতেই আছিয়া ঘার ঘুরিয়ে তালায়।
-- এটা কে রে সাবিনা (আছিয়া)
-- তোমার ছোট্ট বুলবুলি বুবু(সাবিনা)
-- মাশাল্লা, বুলবুলি টা তো ফুটন্ত গোলাপ হয়ে গেছে দেখি(আছিয়া)
সাবিয়া ফুপিকে জড়িয়ে ধরে বললো,
গোলাপের গায়ে কাটা আছে কিন্তু ফুপ্পি, সাবধান।
গোলাপের গায়ে কাটা আছে কিন্তু ফুপ্পি, সাবধান।
এমন কথা শুনে ফুপু, ফুপা, সাবিনা বেগম ও হেসে উঠলো।
.
.
সবাই বসে হালকা নাস্তা করে নিয়ে আড্ডায় মেতে উঠেছে।
সাবিয়া গেছে রান্নাঘর এ, কারন সে আজ নিজে চা বানাবে।
বৈশাখ মাস বলে কথা ঝড় তুফান তো হবেই, তা হচ্ছেও।
হঠাৎ তার মনে হলো ফুপিকে তো সৌরভ ভাইয়ের কথা জিজ্ঞেস করা হয়নি।তাদের সাথে আসলো না যে।
তবে কি আসবে না।
আচ্ছা সে কি ছোট সময়ের মতো বদের হাড্ডি ই আছে নাকি পালটে গেছে।
যা ইচ্ছা হোক তাতে আমার কি।
এই বলে চার টা কাপে চা ঢেলে নিয়ে গেলো ফুপিদের সামনে।
.
.
চায়ে চুমুক দিতে না দিতেই কলিং বেল বেজে উঠলো।
কেন জানি সাবিয়ার মনের কোনেও একবার ধকধক করে উঠলো।
.
.
সবাই বসে হালকা নাস্তা করে নিয়ে আড্ডায় মেতে উঠেছে।
সাবিয়া গেছে রান্নাঘর এ, কারন সে আজ নিজে চা বানাবে।
বৈশাখ মাস বলে কথা ঝড় তুফান তো হবেই, তা হচ্ছেও।
হঠাৎ তার মনে হলো ফুপিকে তো সৌরভ ভাইয়ের কথা জিজ্ঞেস করা হয়নি।তাদের সাথে আসলো না যে।
তবে কি আসবে না।
আচ্ছা সে কি ছোট সময়ের মতো বদের হাড্ডি ই আছে নাকি পালটে গেছে।
যা ইচ্ছা হোক তাতে আমার কি।
এই বলে চার টা কাপে চা ঢেলে নিয়ে গেলো ফুপিদের সামনে।
.
.
চায়ে চুমুক দিতে না দিতেই কলিং বেল বেজে উঠলো।
কেন জানি সাবিয়ার মনের কোনেও একবার ধকধক করে উঠলো।
সাবিনা বেগম বলল,
এত ঝড় বৃষ্টির মাঝে আবার কে আসলো।
এত ঝড় বৃষ্টির মাঝে আবার কে আসলো।
পাশ থেকে আছিয়া এক গাল হেসে বলে উঠলো,
দেখ গিয়ে ঝাঁকরা বাবরি ওয়ালা কোন পাগল এসেছে হয়তো।
দেখ গিয়ে ঝাঁকরা বাবরি ওয়ালা কোন পাগল এসেছে হয়তো।
সাবিয়া উঠে এগিয়ে যায় সদর দরজায়।
দরজা খুলতেই বাতাসের ঝাপ্টা এসে ছুয়ে যায় সাবিয়াকে।
সামনে দাঁড়ানো কাক ভেজা হয়ে মূর্তিমান এক ঝাকরা চুল ওয়ালা যুবক।
সাবিয়া অবাক হয়ে তাকিয়েছে সেদিকে।
এই মুহুর্তে সেই ছেলে “এই পাগলি সরো সামনে থেকে” এই বলে সাবিয়াকে ঠেলে ভেতরে চলে আসে।
এবার তো সাবিয়া আরো বেশি অবাক হয়, এটা কেমন ব্যাবহার।
ছেলেটির হাতে এক গাধা শপিং ব্যাগ গুলো সেন্টার টেবিলের উপর রেখে দু হাত দিয়ে চুলে ঝাপটা দিচ্ছে।
সাবিয়া দরজা বন্ধ করতে করতে ভাবছে ছোট বেলার পাজি ছেলে গুলো কি বড় হলে এমন ই সুদর্শন যুবক হয়।
হ্যা এ ই তো সেই সৌরভ।
সাবিয়া এক গাল হেসে আরেকবার ভেবে নিলো,
যাক আজকে কলেজে না যাওয়া সার্থক।
সাবিনা বেগমের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে সাবিয়া।
অপরদিক এ ফুপি সৌরভ কে ছোট খাটো বকা দিচ্ছে ভিজে আসার জন্য।
ভিজে এখন হাচি শুরু করে দিয়েছে।
নাক দিয়ে সর্দি ঝরছে পানির মতো।
সাবিয়ার এসব দেখে মনের ভেতর কেমন পৈশাচিক আনন্দ লাগছে।
তার ও একটা ছোট কারন আছে।
ছোট বেলায় সাবিয়ার অনেক সর্দি লেগে থাকতো যে কারনে সৌরভ তাকে সর্দি রানী বলে ডাকতো।
খুব বোকা সোকা হওয়া সাবিয়া ফুঁপিয়ে কেঁদে ওর সামনে থেকে চলে যেতো।
আর সৌরভ ছিঁচকাঁদুনী বলে দাত কেলিয়ে হাসতো।
এখন সুযোগ পেয়েছে সাবিয়া সৌরভ কে সর্দির রাজা বলার।
দরজা খুলতেই বাতাসের ঝাপ্টা এসে ছুয়ে যায় সাবিয়াকে।
সামনে দাঁড়ানো কাক ভেজা হয়ে মূর্তিমান এক ঝাকরা চুল ওয়ালা যুবক।
সাবিয়া অবাক হয়ে তাকিয়েছে সেদিকে।
এই মুহুর্তে সেই ছেলে “এই পাগলি সরো সামনে থেকে” এই বলে সাবিয়াকে ঠেলে ভেতরে চলে আসে।
এবার তো সাবিয়া আরো বেশি অবাক হয়, এটা কেমন ব্যাবহার।
ছেলেটির হাতে এক গাধা শপিং ব্যাগ গুলো সেন্টার টেবিলের উপর রেখে দু হাত দিয়ে চুলে ঝাপটা দিচ্ছে।
সাবিয়া দরজা বন্ধ করতে করতে ভাবছে ছোট বেলার পাজি ছেলে গুলো কি বড় হলে এমন ই সুদর্শন যুবক হয়।
হ্যা এ ই তো সেই সৌরভ।
সাবিয়া এক গাল হেসে আরেকবার ভেবে নিলো,
যাক আজকে কলেজে না যাওয়া সার্থক।
সাবিনা বেগমের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে সাবিয়া।
অপরদিক এ ফুপি সৌরভ কে ছোট খাটো বকা দিচ্ছে ভিজে আসার জন্য।
ভিজে এখন হাচি শুরু করে দিয়েছে।
নাক দিয়ে সর্দি ঝরছে পানির মতো।
সাবিয়ার এসব দেখে মনের ভেতর কেমন পৈশাচিক আনন্দ লাগছে।
তার ও একটা ছোট কারন আছে।
ছোট বেলায় সাবিয়ার অনেক সর্দি লেগে থাকতো যে কারনে সৌরভ তাকে সর্দি রানী বলে ডাকতো।
খুব বোকা সোকা হওয়া সাবিয়া ফুঁপিয়ে কেঁদে ওর সামনে থেকে চলে যেতো।
আর সৌরভ ছিঁচকাঁদুনী বলে দাত কেলিয়ে হাসতো।
এখন সুযোগ পেয়েছে সাবিয়া সৌরভ কে সর্দির রাজা বলার।
সাবিনা বেগম সাবিয়া কে নির্দেশ দিলেন যাতে সাবিয়া সৌরভ কে তার ঘরে নিয়ে গিয়ে ওকে ফ্রেস হওয়ার জন্য সাহায্য করে।
সাবিয়ার পিছু পিছু সৌরভ যাচ্ছে আর হাচি দিচ্ছে।
সাবিয়া ভেবেছিল যে জব্দ করবে কিন্তু কেন যেন ইচ্ছে হলো না।
সাবিয়া ভেবেছিল যে জব্দ করবে কিন্তু কেন যেন ইচ্ছে হলো না।
রুমে গিয়ে সাবিয়া সৌরভ কে বলল,
জামা কাপড় কিছু এনেছেন নাকি আব্বুর জামা এনে দেবো।
জামা কাপড় কিছু এনেছেন নাকি আব্বুর জামা এনে দেবো।
সৌরভ এর সাথে সাথে উত্তর,
তোর আব্বুর টা আমি পড়তে যাবো কেন রে।
আমি কি ফকির নাকি যে অন্যের টা পড়তে হবে।
তোর আব্বুর টা আমি পড়তে যাবো কেন রে।
আমি কি ফকির নাকি যে অন্যের টা পড়তে হবে।
এবার সাবিয়ার রাগ উঠে গেলো।
চোখ রাঙিয়ে সৌরভের দিকে তাকিয়ে বলে,
কুকুরের লেজ নাকি ১২ বছর তেল দিয়ে মালিস করলেও সোজা হয় না।
আপনারো তাই।
ঝগড়া করার স্বভাব সবসময়।
আপনাকে কি বলেছি আপনি ফকির আর আমার আব্বুর টাই পড়তে হবে।
এমন জোড় কি করেছি আমি।
কথায় আছে না,
কয়লার ময়লা যায় না ধুলে
মানুষের স্বভাবী যায় না মরলে।
আপনি মরলেও এমন ত্যাড়া মানুষ ই থাকবেন।
সোজা কথার সোজা উত্তর নেই যতসব আজাইরা কথা।
চোখ রাঙিয়ে সৌরভের দিকে তাকিয়ে বলে,
কুকুরের লেজ নাকি ১২ বছর তেল দিয়ে মালিস করলেও সোজা হয় না।
আপনারো তাই।
ঝগড়া করার স্বভাব সবসময়।
আপনাকে কি বলেছি আপনি ফকির আর আমার আব্বুর টাই পড়তে হবে।
এমন জোড় কি করেছি আমি।
কথায় আছে না,
কয়লার ময়লা যায় না ধুলে
মানুষের স্বভাবী যায় না মরলে।
আপনি মরলেও এমন ত্যাড়া মানুষ ই থাকবেন।
সোজা কথার সোজা উত্তর নেই যতসব আজাইরা কথা।
এই বলে সাবিয়া থামলো। ইচ্ছে করছে আরো বলতে।
সৌরভ এতক্ষণ হা করে তাকিয়ে ছিল সাবিয়ার দিকে। মেয়েটা কত কথা শিখেছে। আগের সেই হলে ফুঁপিয়ে কেঁদে দিতো।
আর এখন দুইটা কথা বলে দশ টা কথা শুনিয়ে দিল। বড় হওয়ার সাথে সাথে মানুষের স্বভাব ও পালটায়।
সৌরভ এসব ভেবেই যাচ্ছে। নিজের বৃষ্টি স্নাত দেহের কথা বেমালুম ভুলে গেছে এই মুহুর্তে।
সৌরভ এতক্ষণ হা করে তাকিয়ে ছিল সাবিয়ার দিকে। মেয়েটা কত কথা শিখেছে। আগের সেই হলে ফুঁপিয়ে কেঁদে দিতো।
আর এখন দুইটা কথা বলে দশ টা কথা শুনিয়ে দিল। বড় হওয়ার সাথে সাথে মানুষের স্বভাব ও পালটায়।
সৌরভ এসব ভেবেই যাচ্ছে। নিজের বৃষ্টি স্নাত দেহের কথা বেমালুম ভুলে গেছে এই মুহুর্তে।
সাবিয়া এবার ঠাণ্ডা মেজাজেই বলল,
কাপড় এনেছেন কি আনেন নি।
কাপড় এনেছেন কি আনেন নি।
সৌরভ নিজের ভাবনা থেকে বের হয়ে এসে জবাব দিল,
বসার ঘরে গিয়ে দেখ নীল রংগের দুইটা শপিং ব্যাগ আছে।
দুইটাই নিয়ে আসবি।
বসার ঘরে গিয়ে দেখ নীল রংগের দুইটা শপিং ব্যাগ আছে।
দুইটাই নিয়ে আসবি।
সাবিয়ার শাড়ির কুচি সামলে ধরে বের হয়ে গেলো।
কথা অনুযায়ী ব্যাগ নিয়ে রুমে আসে।
সৌরভ এর হাতে দিয়ে আবার বের হয়ে যায়।
সৌরভের সামনে বেশিক্ষণ থাকতে চাইছে না।
তার সামনে কেমন যেন নিজের ভেতরের শক্তি নিঃশেষ হয়ে যায়। হাতুরি পেটায় বুকের বাম পাশটায়।
সৌরভ এর গভীর চোখ, প্রস্তর বাহু, সুঠাম দেহ, যথেষ্ট উচ্চতা এসব দেখে হয়তো যে কারো দিলে ঘন্টা বাজবে।
.
.
দুপুরের খাবার সাজাচ্ছেন সাবিনা বেগম। সাথে আছিয়া বেগম ও সাহায্য করছেন এ কাজে।
সাবিয়াকে করতে দেই নি তাই চুপ করে বসে ফোন এর সাথে যুদ্ধ করছে। মানে গেইমস খেলছে আর কি।
পাশে বসে আড্ডা দিচ্ছেন সেলিম (সাবিয়ার আব্বু) আর রায়হান (সৌরভের আব্বু)।
সৌরভ এখনো রুমে থেকে বের হয় নি।
হয়তো ঠাণ্ডা লেগেছে বেশি ।
বাহিরের অবস্থা এখন প্রায় ঠিক হয়ে গেছে।
সাবিয়া বেগম হাক ছাড়ছেন, সবাইকে খাবার টেবিল এ আসতে।
সবাই গিয়ে বসে।সৌরভ না আসায় সাবিয়াকে পাঠায় তাকে নিয়ে আসতে।
সাবিয়া ঘরে যেয়ে দেখে বিছানায় আধো শোয়া অবস্থায় বসে আছে সৌরভ।
কথা অনুযায়ী ব্যাগ নিয়ে রুমে আসে।
সৌরভ এর হাতে দিয়ে আবার বের হয়ে যায়।
সৌরভের সামনে বেশিক্ষণ থাকতে চাইছে না।
তার সামনে কেমন যেন নিজের ভেতরের শক্তি নিঃশেষ হয়ে যায়। হাতুরি পেটায় বুকের বাম পাশটায়।
সৌরভ এর গভীর চোখ, প্রস্তর বাহু, সুঠাম দেহ, যথেষ্ট উচ্চতা এসব দেখে হয়তো যে কারো দিলে ঘন্টা বাজবে।
.
.
দুপুরের খাবার সাজাচ্ছেন সাবিনা বেগম। সাথে আছিয়া বেগম ও সাহায্য করছেন এ কাজে।
সাবিয়াকে করতে দেই নি তাই চুপ করে বসে ফোন এর সাথে যুদ্ধ করছে। মানে গেইমস খেলছে আর কি।
পাশে বসে আড্ডা দিচ্ছেন সেলিম (সাবিয়ার আব্বু) আর রায়হান (সৌরভের আব্বু)।
সৌরভ এখনো রুমে থেকে বের হয় নি।
হয়তো ঠাণ্ডা লেগেছে বেশি ।
বাহিরের অবস্থা এখন প্রায় ঠিক হয়ে গেছে।
সাবিয়া বেগম হাক ছাড়ছেন, সবাইকে খাবার টেবিল এ আসতে।
সবাই গিয়ে বসে।সৌরভ না আসায় সাবিয়াকে পাঠায় তাকে নিয়ে আসতে।
সাবিয়া ঘরে যেয়ে দেখে বিছানায় আধো শোয়া অবস্থায় বসে আছে সৌরভ।
সাবিয়া গিয়ে বলে,
সৌরভ ভাই দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য ডাকছে। চলেন, খেয়ে এসে শুয়ে থাকবেন।
সৌরভ ভাই দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য ডাকছে। চলেন, খেয়ে এসে শুয়ে থাকবেন।
সৌরভ হাতে ইশারা করে সাবিয়াকে কাছে আসতে বলে। সাবিয়া ও এগিয়ে যায় সৌরভ এর কাছে।
কাছে যাওয়ার পর সৌরভ যে এই কাজ করবে তা সাবিয়া ভাবতেই পারেনি । কি করবে বুঝে উঠতে পারছে না।
ফ্লাশ ব্যাকঃ
সৌরভ ডাক দেওয়ায় সাবিয়া কাছে গেলে সৌরভ জিজ্ঞেস করে,
তোর এইটা কি সুতি শাড়ি।
সাবিয়া উত্তর দেয় “হ্যা”।
বলতে না বলতেই সৌরভ শাড়ীর আচল টেনে নিয়ে নাকের ঠাণ্ডা মুছে দিয়েছে।
নাক মুছার পর আঙুল দিয়ে শপিং ব্যাগ দেখিয়ে বলে, এইটা ভালো না তাই নাক ঝেড়েছি। ওই ব্যাগে যে শাড়িটা আছে ওইটা পড়বি।
ফ্লাশ ব্যাকঃ
সৌরভ ডাক দেওয়ায় সাবিয়া কাছে গেলে সৌরভ জিজ্ঞেস করে,
তোর এইটা কি সুতি শাড়ি।
সাবিয়া উত্তর দেয় “হ্যা”।
বলতে না বলতেই সৌরভ শাড়ীর আচল টেনে নিয়ে নাকের ঠাণ্ডা মুছে দিয়েছে।
নাক মুছার পর আঙুল দিয়ে শপিং ব্যাগ দেখিয়ে বলে, এইটা ভালো না তাই নাক ঝেড়েছি। ওই ব্যাগে যে শাড়িটা আছে ওইটা পড়বি।
প্রেজেন্ট টাইম ঃ
সৌরভ এখন বুঝার আগেই সাবিয়া করে ফেলেছে আরেক কাজ।
সৌরভ এর চুল মুঠি করে ধরে ইচ্ছা মতো ঝাকি দিচ্ছে।
সৌরভ চেঁচাচ্ছে,
ওমা গোওওও। দেখো ডাইনী আমার চুল ছিরে দিলো আহহহ।
বছরের প্রথম দিন আমার এই হাল করছে আল্লাহ মালুম সারা বছর কিভাবে কাটবে।
ছাড় বলছি রাক্ষসী।
সৌরভ এখন বুঝার আগেই সাবিয়া করে ফেলেছে আরেক কাজ।
সৌরভ এর চুল মুঠি করে ধরে ইচ্ছা মতো ঝাকি দিচ্ছে।
সৌরভ চেঁচাচ্ছে,
ওমা গোওওও। দেখো ডাইনী আমার চুল ছিরে দিলো আহহহ।
বছরের প্রথম দিন আমার এই হাল করছে আল্লাহ মালুম সারা বছর কিভাবে কাটবে।
ছাড় বলছি রাক্ষসী।
সাবিয়া মিনিট খানেক পর চুল ছেড়ে বের হয়ে যায় ঘর থেকে।
রাগ লাগছে খুব সাবিয়ার।
ছিঃ এমন কাজ কেও করে। হা ঘিনঘিন করছে।
এখন এই শাড়ি না পালটে খেতে বসতেও পারবে না।
আবার ঘরে ব্যাক করলো।
গাল ফুলিয়ে সৌরভের দিকে তাকিয়ে চলে গেলো আলমারির দিকে।
সেখান থেকে আরো একটা শাড়ী বের করলো।
এবার জর্জেট শাড়ী নিলো। তার কাছে সুতি শাড়ি সামলানো মহা মুশকিল। তারউপর সৌরভ যদি আবার নাক মুছে দেয় তো।
ইয়াক, কি বাজে ব্যাপার।
এই ছেলে কখনওই শুধরাবার নয়। কখন কি করে বসে আল্লাহ মালুম।
ছিঃ এমন কাজ কেও করে। হা ঘিনঘিন করছে।
এখন এই শাড়ি না পালটে খেতে বসতেও পারবে না।
আবার ঘরে ব্যাক করলো।
গাল ফুলিয়ে সৌরভের দিকে তাকিয়ে চলে গেলো আলমারির দিকে।
সেখান থেকে আরো একটা শাড়ী বের করলো।
এবার জর্জেট শাড়ী নিলো। তার কাছে সুতি শাড়ি সামলানো মহা মুশকিল। তারউপর সৌরভ যদি আবার নাক মুছে দেয় তো।
ইয়াক, কি বাজে ব্যাপার।
এই ছেলে কখনওই শুধরাবার নয়। কখন কি করে বসে আল্লাহ মালুম।
সাবিয়ার হাতে শাড়ী দেখে ব্রু কুঁচকে সৌরভ কয়েক সেকেন্ড দেখে বিছানা থেকে উঠে বের হয়ে যায়।
সাবিয়া ভাবছে,
যাক ভালো ই হয়েছে। বদের হাড্ডিটার সুবুদ্ধি হয়েছে তাই বের হয়ে গেলো।
যাক ভালো ই হয়েছে। বদের হাড্ডিটার সুবুদ্ধি হয়েছে তাই বের হয়ে গেলো।
সাবিয়া এগিয়ে গিয়ে দরজা চাপিয়ে দিয়ে গায়ের শাড়ী খুলে বের করা টা পড়ছিল। এমন সময় আবার দরজা খোলার আওয়াজ পেলো।
পিছনে সৌরভ কে দেখে ব্যান্ডেজ এর মতো পুরো শরীরে শাড়ী পেঁচিয়ে ফেলে সৌরভের দিকে করা চোখে তাকাতেই সৌরভ বলে উঠে,
পিছনে সৌরভ কে দেখে ব্যান্ডেজ এর মতো পুরো শরীরে শাড়ী পেঁচিয়ে ফেলে সৌরভের দিকে করা চোখে তাকাতেই সৌরভ বলে উঠে,
জানিস না কাপড় পাল্টানোর সময় দরজা লক করতে হয়। শুধু গায়ে গতরেই বড় হলি বুদ্ধিতে না।
এই বলে তড়িৎবেগে দরজা লাগিয়ে সৌরভ চলে গেলো।
সাবিয়া দাত কটমটিয়ে বলছে,
বদ তো বদ ই,মরলেও ভালো হবে না। ইবলিস ছেলে কোথাকার।
.
.
.
সাবিয়াদের বাসায় তিন টা শোবার ঘর, একটা রান্না ঘর আর একটা বসার ঘর। উপরে ছাদ আছে যেটাতে সাবিয়া ফুলের বাগান করেছে। বাসার চারপাশ এ মোটামুটি যে যায়গা আছে সেগুলোতে বাপ-মেয়ে মিলে বাগান করেছে। বাসাটা একেবারে সেন্টার এ করা
।
মধ্যবিত্ত পড়িবার। তবে সুখের অভাব নেই এই কুটিরে।
৩ শোবার ঘর থেকে একটা হচ্ছে মেহমান দের জন্য। ফুপি আর ফুপা সেই রুমে আছে, আব্বু আম্মু নিজেদের রুমে আর সাবিয়ার ঘরে সৌরভ দখল বসিয়েছে।
দুপুরে খাওয়ার পর সাবিয়ার ক্লান্তি চলে আসছে। একটু শোবার ও চান্স নেই। তাই বসার ঘরের সোফায় বসে হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে আছে।
হঠাৎ লাফিয়ে উঠে সাবিয়া।
-- আল্লাহ গো.....
কি করলেন এইটা আপনি।
আমার সাথে না লাগলে কি আপনার ভালো লাগে না। শান্তিতে থাকতে দেবেন না আমার এই শপথ করেছেন তাই না।
এই বলে তড়িৎবেগে দরজা লাগিয়ে সৌরভ চলে গেলো।
সাবিয়া দাত কটমটিয়ে বলছে,
বদ তো বদ ই,মরলেও ভালো হবে না। ইবলিস ছেলে কোথাকার।
.
.
.
সাবিয়াদের বাসায় তিন টা শোবার ঘর, একটা রান্না ঘর আর একটা বসার ঘর। উপরে ছাদ আছে যেটাতে সাবিয়া ফুলের বাগান করেছে। বাসার চারপাশ এ মোটামুটি যে যায়গা আছে সেগুলোতে বাপ-মেয়ে মিলে বাগান করেছে। বাসাটা একেবারে সেন্টার এ করা
।
মধ্যবিত্ত পড়িবার। তবে সুখের অভাব নেই এই কুটিরে।
৩ শোবার ঘর থেকে একটা হচ্ছে মেহমান দের জন্য। ফুপি আর ফুপা সেই রুমে আছে, আব্বু আম্মু নিজেদের রুমে আর সাবিয়ার ঘরে সৌরভ দখল বসিয়েছে।
দুপুরে খাওয়ার পর সাবিয়ার ক্লান্তি চলে আসছে। একটু শোবার ও চান্স নেই। তাই বসার ঘরের সোফায় বসে হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে আছে।
হঠাৎ লাফিয়ে উঠে সাবিয়া।
-- আল্লাহ গো.....
কি করলেন এইটা আপনি।
আমার সাথে না লাগলে কি আপনার ভালো লাগে না। শান্তিতে থাকতে দেবেন না আমার এই শপথ করেছেন তাই না।
এবার চেঁচিয়ে এই বলল,
ভিজিয়ে দিলেন কেন আমায়।
ভিজিয়ে দিলেন কেন আমায়।
সৌরভ দাত কপাটি দেখিয়ে হেসেই যাচ্ছে। এবার সোফায় বসতে বসতেই সৌরভ উত্তর দেয়,
ভিজিয়ে দেওয়াই উচিৎ। এত পাতলা ফিনফিনে শাড়ী পড়েছিস কেন। দেখাই যাচ্ছে সব। এটা পড়ে আর কাকে কাকে দেখিয়েছিস বলতো।
সাবিয়া বলল,
এবার কিন্তু বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে।
আজকেই আপনি বাসা থেকে চলে যাবেন।
জ্বালানোর উদ্দেশ্যতেই এখানে এসেছেন বেশ বুঝতে পারছি।
এবার কিন্তু বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে।
আজকেই আপনি বাসা থেকে চলে যাবেন।
জ্বালানোর উদ্দেশ্যতেই এখানে এসেছেন বেশ বুঝতে পারছি।
সৌরভ বললো,
প্রথমত তোকে জ্বালানো আমার জন্মগত অধিকার। দ্বিতীয়ত বাড়াবাড়ি তুই করছিস আমার কথা না শুনে। আমার দেওয়া শাড়ি টা পড়তে বলেছিলাম কিন্তু তুই পড়িস নি। তৃতীয়ত এটা আমার শ্বশুরবাড়ি তাই আমার ইচ্ছা মতো ই আসবো যাবো। তোর মতো পটলরানীর কথা শুনে না বুঝলি।
প্রথমত তোকে জ্বালানো আমার জন্মগত অধিকার। দ্বিতীয়ত বাড়াবাড়ি তুই করছিস আমার কথা না শুনে। আমার দেওয়া শাড়ি টা পড়তে বলেছিলাম কিন্তু তুই পড়িস নি। তৃতীয়ত এটা আমার শ্বশুরবাড়ি তাই আমার ইচ্ছা মতো ই আসবো যাবো। তোর মতো পটলরানীর কথা শুনে না বুঝলি।
সাবিয়া অবাক হয়ে যাচ্ছে সৌরভের কথা শুনে। সাবিয়া সৌরভকে জিজ্ঞেস করে,
কিসের শ্বশুর বাড়ি হ্যাহহ ? আমার কোনো বোন নেই যে আপনার সাথে বিয়ে হয়েছে বলে এটাকে শ্বশুরবাড়ি বলবেন।
সৌরভ ঘরের দিকে পা বাড়াতে বাড়াতেই বলল,
বিকেল তিন টায় বুঝবি কেন বলেছি। নয়তো আমার এত ছিল নাকি কতগুলা গার্ল ফ্রেন্ড ছেড়ে নববর্ষ এখানে কাটাবার।
এই কথা বলে আর দেড়ি করল না সৌরভ।
চলে গেলো এখান থেকে।
চলে গেলো এখান থেকে।
সাবিয়া ধপ করে বসে পড়ে। কি হচ্ছে এসব। কি উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছে ফুপিরা।
.
.
.
বিকেল ৪টা।
সাবিয়া বিছানায় মূর্তির মতো বসে আছে পা দুটো নিচে ঝুলিয়ে।
কি হয়ে গেলো এসব।
.
.
.
বিকেল ৪টা।
সাবিয়া বিছানায় মূর্তির মতো বসে আছে পা দুটো নিচে ঝুলিয়ে।
কি হয়ে গেলো এসব।
ফ্ল্যাশ ব্যাকঃ
দুপুর দুটোই সাবিয়ার বাবা সাবিকে ডেকে কাছে নিয়ে বসায়। সাবিয়ার মাথায় হাত রাখে। সাবিয়া বুঝতে পারছিল বাবা তখনি মাথায় হাত রেখে কথা বলে যখন সিরিয়াস কিছু বলবে। কিন্তু এখন কি বলতে চাইছে। তবে যা ই বলুক সাবিয়া সেটা মানবে। তার কাছে বাবা সবচেয়ে ভালবাসার, শ্রদ্ধার, বন্ধুসুলভ।
দুপুর দুটোই সাবিয়ার বাবা সাবিকে ডেকে কাছে নিয়ে বসায়। সাবিয়ার মাথায় হাত রাখে। সাবিয়া বুঝতে পারছিল বাবা তখনি মাথায় হাত রেখে কথা বলে যখন সিরিয়াস কিছু বলবে। কিন্তু এখন কি বলতে চাইছে। তবে যা ই বলুক সাবিয়া সেটা মানবে। তার কাছে বাবা সবচেয়ে ভালবাসার, শ্রদ্ধার, বন্ধুসুলভ।
সেলিম সাহেব বলা শুরু করে,
দেখো আম্মু আমি জানি আমি যা বলবো তুমি সেটাই মানবে। কারন তুমি বিশ্বাস করো আমি যা করি বা করব সবি তোমার ভালোর জন্য। সেজন্য তোমার জন্য আমি আরেকটি ভালো কাজ করতে চাচ্ছি সৌরভের সাথে তোমার বিয়ে দিয়ে।
দেখো আম্মু আমি জানি আমি যা বলবো তুমি সেটাই মানবে। কারন তুমি বিশ্বাস করো আমি যা করি বা করব সবি তোমার ভালোর জন্য। সেজন্য তোমার জন্য আমি আরেকটি ভালো কাজ করতে চাচ্ছি সৌরভের সাথে তোমার বিয়ে দিয়ে।
সাবিয়া বলল,
কিন্তু বাবা....
কিন্তু বাবা....
সেলিম সাহেব থামিয়ে দিয়ে,
আমার কথা শেষ হয়নি আম্মু।
আমি এটা জানি যে সৌরভ তোমাকে অনেক জ্বালায়। তুমি তো এটা জানো তোমার আম্মু আমার মামাতো বোন ছিলাম। খুব জ্বালাতাম বিয়ের আগে। তাই বলে কি আমি তাকে ভালবাসি নি বা এখনো কি বাসি না। তুমি তো দেখেছোই।
ভালবাসার মাঝে খুনশুটি থাকবেই। আর আমরাও চাই বংশের মেয়ে বংশেই থাকুক। আর জানি জানতে চাইবে বিয়ে কবে ঠিক করলাম। বিয়ে এক সপ্তাহ আগে ঠিক করেছি। সৌরভ ই আগে এসে তোমাকে চেয়েছিল। যাকগে বাদ এসব কথা।
৩ টায় কাজি আসবে। সৌরভ সব শপিং করেই এসেছে। যে শাড়িটা পড়তে দিয়েছে সেটা পড়ে রেডি হয়ে নাও। বিয়েটা ঘরোয়া ভাবেই আপাতত হবে,পরে অনুষ্ঠান করবো। যাও এখন।
আমার কথা শেষ হয়নি আম্মু।
আমি এটা জানি যে সৌরভ তোমাকে অনেক জ্বালায়। তুমি তো এটা জানো তোমার আম্মু আমার মামাতো বোন ছিলাম। খুব জ্বালাতাম বিয়ের আগে। তাই বলে কি আমি তাকে ভালবাসি নি বা এখনো কি বাসি না। তুমি তো দেখেছোই।
ভালবাসার মাঝে খুনশুটি থাকবেই। আর আমরাও চাই বংশের মেয়ে বংশেই থাকুক। আর জানি জানতে চাইবে বিয়ে কবে ঠিক করলাম। বিয়ে এক সপ্তাহ আগে ঠিক করেছি। সৌরভ ই আগে এসে তোমাকে চেয়েছিল। যাকগে বাদ এসব কথা।
৩ টায় কাজি আসবে। সৌরভ সব শপিং করেই এসেছে। যে শাড়িটা পড়তে দিয়েছে সেটা পড়ে রেডি হয়ে নাও। বিয়েটা ঘরোয়া ভাবেই আপাতত হবে,পরে অনুষ্ঠান করবো। যাও এখন।
সাবিয়া ওখান থেকে চলে আসে। অতঃপর ৩ টেয় বিয়ে কমপ্লিট। সাবিয়া চেয়ে চেয়ে পরিবার এর আত্মহারা খুশি টা কে দেখছে।
.
.
প্রেজেন্ট টাইম ঃ
.
.
প্রেজেন্ট টাইম ঃ
সাবিয়ার এক দিকে খুব ভালো লাগছে। এমন একজন স্বপ্ন পুরুষ ই তো চেয়েছিল। জীবনের একটা লক্ষ পূরণ হয়ে গেলো। ভাবতেই পারেনি যে এমন কিছু এই নববর্ষ এ অপেক্ষা করছে তার জন্য।
ভাবনায় বিচ্ছেদ ঘটিয়ে ঘটিয়ে হাজির হয় সৌরভ।
-- আমার বউ টা কি করছে হুম।
(সাবিয়ার পাশে বসে)
আমায় কি খুব মিস করছিলে গো বউ।
ভাবনায় বিচ্ছেদ ঘটিয়ে ঘটিয়ে হাজির হয় সৌরভ।
-- আমার বউ টা কি করছে হুম।
(সাবিয়ার পাশে বসে)
আমায় কি খুব মিস করছিলে গো বউ।
-- মিস করতে যাব কেন।
সৌরভ নিচে বসে সাবিয়ার হাটুর উপর নিজের দুহাত রেখে সাবিয়ার দিকে তাকিয়ে বলছে,
মিস করোনি তো এখন থেকে করবে।
-- বিয়ে করেছেন কেন আমায় ?
-- বলবো না। যাওতো এই শাড়িটা পালটে ওখানে আরেকটা শাড়ি আছে ওইটা পড়ো।
-- যদি না পাল্টাই তো ?
(এই বলে উঠে দাঁড়ায় সাথে সৌরভ ও)
(এই বলে উঠে দাঁড়ায় সাথে সৌরভ ও)
সৌরভ সাবিয়াকে হঠাৎ ই কোমরে টান দিয়ে নিজের কাছে নিয়ে যায়। সাবিয়া বেশ শক খায়। এত কাছে যে মনে হচ্ছে সৌরভের হার্টবিট টা গুনে নিতে পারবে অনায়াসে। সাথে পাংগা দিয়ে বাড়ছে সাবিয়ার হার্টবিট।
সৌরভ বলল,
-- কি বললে তুমি ?
সৌরভ বলল,
-- কি বললে তুমি ?
-- বলছি যে শাড়ি পাল্টাবো না আর। ৩ বার হয়ে গেছে শাড়ী পাল্টানো।
-- তাতে কি আবার পাল্টাবে। নয়তো...
-- নয়তো কি ?
-- শাড়ী তে আগুন লাগিয়ে দেবো দেখি কিভাবে পড়ে থাকো।
-- সবসময় মাথায় শুধু এগুলো ঘুরে আপনার।।
-- হুম আরো অনেক কিছু ঘুরে। আর শোনো আমি যেমন তুই বলা থেকে এখন তুমি করে বলছি তুমিও এমন আপনি ছেড়ে তুমি করে বলবা ঠিক আছে।
-- যদি না বলি।
-- উমমম...
যদি না বল তো তোমার ওই কমলার মতো ঠোট টা আছে না, ওইটা কমলার পিসের মতন রস নিংড়ে নেবো। (শয়তান মার্কা হাসি)
এই বলে সাবিয়াকে শাড়ি পড়তে বলে ঠোটে হাসির রেখা ঝুলিয়ে বের হয়ে যায় সৌরভ।
যদি না বল তো তোমার ওই কমলার মতো ঠোট টা আছে না, ওইটা কমলার পিসের মতন রস নিংড়ে নেবো। (শয়তান মার্কা হাসি)
এই বলে সাবিয়াকে শাড়ি পড়তে বলে ঠোটে হাসির রেখা ঝুলিয়ে বের হয়ে যায় সৌরভ।
সাবিয়া তৈরি হতে যায়। নয়তো মুখে যেসব বলে গেছে তার চেয়ে বেশি ই নাজেহাল করে ছাড়বে। এই কয় ঘন্টায় কি যে অবস্থা করে ফেললো।
.
.
সাবিয়া প্রায় তৈরি হয়ে গেছে।
ড্রেসিংটেবিল থেকে মাত্র সরেছে আর সৌরভ পিছনে হাজির।
.
.
সাবিয়া প্রায় তৈরি হয়ে গেছে।
ড্রেসিংটেবিল থেকে মাত্র সরেছে আর সৌরভ পিছনে হাজির।
বৈশাখী সাজে বেশ লাগছে সাবিয়াকে।
সৌরভ পিছন থেকে এসে সাবিয়াকে জড়িয়ে ধরে।
কাধের উপর চুমু খেয়ে সাবিয়াকে বলছে,
আমার বউটা এত সুন্দর কেন। ইসস সুন্দর না সুন্দরী। কারো যাতে নজর না লাগে।
সৌরভ পিছন থেকে এসে সাবিয়াকে জড়িয়ে ধরে।
কাধের উপর চুমু খেয়ে সাবিয়াকে বলছে,
আমার বউটা এত সুন্দর কেন। ইসস সুন্দর না সুন্দরী। কারো যাতে নজর না লাগে।
সাবিয়া চোখ বন্ধ করে রেখেছে। হঠাৎ এমন শিহরিত হবে ভাবতেই পারেনি।
সৌরভ বলল,
ঠিক সেই ৫ বছর আগের সেই পিচ্চি পরীটার মতো লাগছে। আমার প্রতিটা বৈশাখ তোমাকে ঘিরেই কাটুক এই ইচ্ছাই পোষণ করি ।
“শুভ নববর্ষ” বউটা।
ঠিক সেই ৫ বছর আগের সেই পিচ্চি পরীটার মতো লাগছে। আমার প্রতিটা বৈশাখ তোমাকে ঘিরেই কাটুক এই ইচ্ছাই পোষণ করি ।
“শুভ নববর্ষ” বউটা।
-- সারাদিন শেষে এখন শুভ নববর্ষ ?
-- হ্যা, কারন এখন শুভ কাজ সম্পন্ন তাই।
-- অন্য মেয়েকে বিয়ে করলে কি শুভ হতো না ?
-- এত প্রশ্ন করিস কেন তুই।(বিরক্তি নিয়ে)
শোন মেয়ে তুই শুধু আমার সম্পত্তি, বুঝলি।
-- মানুষ আবার সম্পত্তি হয় নাকি।
-- তুই হোস। চল এখন বের হবো।
রাতের ব্যস্ত শহরে আলোর মেলা দেখবো।
রাতের ব্যস্ত শহরে আলোর মেলা দেখবো।
-- যাবো টা কোথায় ?
-- হাতিরঝিল
এই বলে সৌরভ সাবিয়াকে ছেড়ে দেয়।
সাবিয়া ঘুরতেই সৌরভ ঠোঁটে চুমু দিয়ে বসে।
-- “কম লিপস্টিক দিবে বুঝলে, ওখানে যেন অন্য কেও নজর না দেয় ওটা আমার অধিকার”
সাবিয়া ঘুরতেই সৌরভ ঠোঁটে চুমু দিয়ে বসে।
-- “কম লিপস্টিক দিবে বুঝলে, ওখানে যেন অন্য কেও নজর না দেয় ওটা আমার অধিকার”
সাবিয়া কি করবে বুঝতে পারছে না। হাত পা যেন এগোতে চাচ্ছে না।
-- চল বের হই। নতুন করে শুরু হবে আজ থেকে। অনেক বড় #প্রাপ্তি পেলাম আজ।
শোন মেয়ে, তুই আমার আর তোর সব ই আমার জন্মগত অধিকার
Ending.......

মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন