সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

Devil_Husband(part_15)

Written by Fatema
.
.
.
.
ধমক খেয়ে মাথা নিচু করে চুপ হয়ে আছি।
জানি এখন পুরাই হট টেম্পারেচার হয়ে আছে।
কিছু বললে ঝাটকা লাগতে পারে। 
কি জানি কি ভেবে নিজের হাত দেওয়ালে একটা ঘুসি দিয়ে দরজা খুলে বের হয়ে গেলো। 
ধুর ভাল্লাগে না। প্রতিদিন নতুন নতুন কাহিনী।
উফফফ কবে যে বের হবো এখান থেকে৷ 
ডিসিশন ফাইনাল বিয়ে শেষ হলেই আমি ফুড়ুৎ 
কোনরকম এ দিন কভার হয়ে গেলো।
গা এলিয়ে দিলাম বিছানায়।
.
.
.
কেটে গেলো অনেক মাস।
প্রেমে পড়ে গেছি ডেভিল এর।
দুজন দুজনা কে অনেক ভালবাসি।
কিভাবে কি হয়ে গেলো। ছাদে দাঁড়িয়ে ভাবছি আর অমনি আমার ডেভিল এর কল আসলো। 
রিসিভ করলাম,কথা বললাম, রেখে দিলাম 
আরে বলছি বলছি একটু সবুর করেন।
কথা হলো এই যে, আরিয়ান আর তার কিছু ফ্রেন্ড রা মিলে কক্সবাজার ট্যুর এ যাবে সাথে আমাকেও।
আমি না করলেও শুনবে না৷
একটু পরেই বের হবে। 
উফফ আমার যা ভাল লাগছেনা বলে বোঝাতে পারবো না৷ 
পৌছাতে পৌছাতে অনেক রাত হয়ে গেলো।
ম্যানেজার এর কাছ থেকে আরিয়ান দুটো রুমের চাবি নিলো।
একটা তে আমি একা আর ওরা সব ফ্রেন্ড একসাথে একটা। 
ফ্রেন্ড দের হাতে এক চাবি ধরিয়ে দিয়ে আরেক চাবি নিয়ে আমার রুমের দিকে যাচ্ছে।
আমি পিছু পিছু যাচ্ছি।
লক খুলে ভেতরে গিয়ে আমি রুমের মাঝ বরাবর দাঁড়িয়ে আছি। 
সে বকবক করছে কি করবো না করবো৷ 
-- কি হলো এভাবে মন খারাপের মতো মুখ করে দাঁড়িয়ে আছো কেনো
-- আমি এখানে একা শুবো না। 
-- এটা কি বলছো।
একা শুবে না তো কি করবে।
ছেলে হলে না হয় সব এক রুমেই থাকতাম কিন্তু......…
-- কোনো কিন্তু না তুমি আমার সাথে থাকবে। 
-- এটা তুমি কি বলছো সাবিয়া
এটা কিভাবে পসিবল। 
-- আমি এত কিছু জানতে চাইছি না......
-- শুনো না জান পাখি।
দেখো আমাদের এখনো বিয়ে হয়নি৷
এভাবে এক রুমে থাকলে সবাই কি ভাববে৷ 
সে আমার বুঝাচ্ছে আর আমিও নাছোড়বান্দা মানতে রাজি না৷ 
তারপর আমার হাতে একটা শাড়ি ধরিয়ে দিয়ে ফ্রেশ হয়ে পড়তে বললো।
সে চলে গেলো ফ্রেন্ড রা যে রুমে সেখানে। 
শেষ পর্যন্ত গিয়ে ফ্রেন্ড দের কাছে আমার সাথে থাকার কথা বলতেই ওরা কোনো প্রকার বাধা সাধলো না।
আরিয়ান একটু শকড ই খেলো যে, ওরা এত ভালো কবে হলো৷
এমন একটা কথা বললো তবুও তারা খুব ঠান্ডা মাথায় মেনে নিলো। 
আরিয়ান এসে শুয়ে পড়লো আমার রুমে৷ 
আমিও সাওয়ার সেড়ে বের হয়ে দেখি সে শুয়ে পড়েছে।
মাঝে একটা কোলবালিশ। 
কোলবালিশ দেখে তো মেজাজ টা সপ্তমে উঠে গেলো। 
গিয়ে বিছানা থেকে ছুড়ে ফেলে দিতেই সে বলে উঠলো, 
-- আরে আরে করছো কি এভাবে ফেলে দিয়ে কেনো। 
-- এটা মাঝে দিলে কেনো 
-- দেখো পাখি আমি চাইনা কোনো ভুল হয়ে যাক বিয়ের আগে........
এটা বলেই শুয়ে পড়লো। 
-- কে বলছে ভুল হবে। 
এই বলে আমি আরিয়ান এর বুকে মাথা রেখে শুয়ে পড়লাম। 
-- পাখি প্লিজ এমন করে না বাবু।
এমনিতেই ভেজা চুলের কিলার লুক তার উপর আবার বুকে এসে শুয়েছো।
কন্ট্রোল করতে পারবো না যে আর বেশিক্ষন। 
-- হুসসস......তুমি জানো আমার কতদিনের স্বপ্ন তোমার বুকে মাথা রেখে ঘুমাবো 
সে আর কপালে আলতো করে চুমু খেয়ে শক্ত করে জড়িয়ে নিলো। 
উফফফ মাথার নিচে এত শক্ত লাগে কেনো। 
তাকিয়ে দেখি আমি মেঝে তে শুয়ে আছি।
এমা আমি নিচে কেনো।
আমি তো খাটে ডেভিলের সাথে কক্সবাজারে............
Aaa...maaaaaaa........
আমি তো এই রুমেই আছি৷
তো এগুলো কিইইইই......
স্বপ্ন ছিল......হায় হায় কি সব দেখলাম এগুলো।
হায় আল্লাহ আর মানুষকে পেলে না।
একে নিয়েই স্বপ্ন দেখতে হলো আমার। 
উফফফফ সাধে কি ডেভিল বলি....
স্বপ্নেও শান্তি তে ঘুমাইতে দেয় না।
ছিঃ ছিঃ কি লজ্জার বিষয় আমি কিনা তার বুকে ঘুমাতে গেলাম।
আমার কি জায়গার অভাব পড়েছিল নাকি যতসব হুহহ.......
দরজায় টোকা পড়লো,✊
কিরে মহারানি আর কত ঘুমাবি। আজকে যে বিয়ে এটা কি মাথায় আছে হুম্ম।
একটু কি দর্শন দেওয়া যাবে আমাদের (কোহিনূর) 
-- হ্যা হ্যা অবশ্যই। 
-- দরজা টা একটু খোল। 
দরজা খুলে দিলে আমার হাতে একটা শপিং ব্যাগ ধরিয়ে দিয়ে চলে গেলো।
কি দিলো, কে দিলো কিছুই বলে গেলো না। 
ভেতরে গিয়ে ব্যাগ থেকে শাড়ি বের করলাম । 
দেখে তো আমি টাস্কি খেলাম।
এটা কিভাবে পসিবল। স্বপ্নে যে শাড়িটা ছিল হুবহু সেই রকম। গোলাপী জমিন, বর্ডার আর আচল টা সবুজ।
জাস্ট ওয়াওওও......
কিন্তু...
উহু স্বপ্ন কি সত্যি হতে চলেছে নাকি।
ইম্পসিবল আমি কিছুতেই এই শাড়ি পড়বো না৷ 
ফ্রেস হয়ে লাল রঙের একটা শাড়ি পড়ে বের হলাম।
হালকা গয়নায় সেজেছি। 
বিয়ে বাড়ি তো বুঝেন ই কত হৈচৈ আর মজা হইহুল্লোড়। 
আমি আমার মতো মজা করে ঘুরছি ফিরছি।
একটু পড়েই বর যাত্রি বের হবে কনের বাড়ির উদ্দেশ্যে।
উফফফ যা ভালো লাগে না 
ছাদের দিকে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ ই পেছনে হাত টেনে ধরলো। 
ঘুরেই দেখি আরিয়ান।
তিক্ষ্ম দৃষ্টি তে আমার দিকে তাকিয়ে একটা ঝাড়ি দিলো। 
-- এই শাড়ি পড়েছ কেনো।
যে টা দেওয়া হয়েছে সেটাই পড়বে। 
-- যা ভাবছিলাম।
আপনি ই দিয়েছেন তাহলে।
আপনার দেওয়া শাড়ি আমি পড়বো না। 
-- তা এতদিন কিভাবে পড়লে। 
কথা শুনে যেন কিছুটা শকড খেলাম
-- এতদিন পড়লাম মানে। 
-- ওকে I'll u explain......
তুমি এখানে আসার পর থেকে যে ড্রেস আপ গুলো ইউজ করেছো সেগুলো আমার ই দেওয়া।
তাই আমি যখন বলেছি তোমাকে পড়তে হবে সো পড়তেই হবে। 
-- 
-- কি হলো যাও পড়ে এসো
-- আমি পড়বো না 
-- ওকে ফাইন
বলেই আমাকে কোলে তুলে নিয়ে আমার রুমে চলে আসলো। 
কি করবো ভেবে পাচ্ছি না। 
সাধে কি ডেভিল বলি। নিজের যা ইচ্ছা করে। 
রুমে এসে আমাকে নামিয়েই দরজা লক করে দিলো......
কি করবো এখন আমি
To be continue........

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

নিষিদ্ধ ভালোবাসা(পর্ব ০৯)

RM ,,পূর্ববর্তী পার্ট গুলি পেতে অমার টাইমলাইন  ভিজিট করুন,, কতক্ষণ ঘুমিয়ে ছিলাম সেটা মনে নেই। চোখ খোলে যখন মাথার পেছনে সজোরে এক থাপ্পর খাই। ঘুম ঘুম চোখে চারদিকে তাকিয়ে দেখি যে কে আমাকে চড়টা মারল। আমি দেখলাম যে আমি উঠানের মাটিতে পড়ে আছি, পায়ের কাছে মাটিতে সুব্রত পড়ে আছে। আমি ওপর দিকে তাকিয়ে দেখতে চেষ্টা করি যে কে আমাকে চড়টা মারল, আমি অবাক হয়ে দেখি যে ইন্দ্রানি মাসি আমাদের দিকে কটমট করে তাকিয়ে আছে। আমার দিকে তাকিয়ে চেঁচিয়ে বলে ওঠেন “শুয়োর গুলো এখানে শুয়ে? আর আমারা তোদের দু’জনকে সারা বাড়িতে হন্যে হয়ে খুঁজছি। তোদের কি কোন বোধ বুদ্ধি নেই?” আমি সুব্রতর কাঁধ ঝাঁকিয়ে উঠিয়ে দিলাম, সুব্রত আর আমি দুজনেই উঠে পড়লাম মাটি থেকে। আমি কাতর চোখে ইন্দ্রানি মাসির দিকে চেয়ে বললাম “সরি মাসি। ভুল হয়ে গেছে, কাল রাতে একটু বেশি হয়ে গেছিল।” চেয়ারের ওপরে মদের বোতল আর গ্লাসের দিকে ইন্দ্রানি মাসির চোখ পড়ে যায়, তাড়াতাড়ি করে চেয়ারের ওপরে নিজের শাল ফেলে দিয়ে ঢেকে দেয় গ্লাস আর বোতল। ঠিক সেই সময়ে পেছন থেকে অনেক গুলো পায়ের আওয়াজ পাই। মাসি সবাই কে বলে “এই ছেলে দুটো সারা রাত...

নিষিদ্ধ ভালোবাসা(শেষ পর্ব)

RM কিছুদূর যেতেই  একটি জায়গায় গাড়ি দাঁড় করায় বল্বিন্দার, বলল যে গাড়িতে তেল ভরতে হবে। গাড়ি থামার সঙ্গে সঙ্গে পরীর ঘুম ভেঙে যায়, আমার দিকে তাকিয়ে বলে “কতক্ষণ ঘুমিয়েছি আমি?” আমি বললাম “বেশীক্ষণ ঘুময়নি তুমি” “আমরা থামলাম কেন?” “তেল ভরার জন্য।” “আর কত দেরি পৌঁছতে?” আমি পেট্রল পাম্পের লোকটাকে জিজ্ঞেস করলাম যে জিওরি থেকে চিতকুল কতক্ষণ লাগবে পৌঁছতে। লোকটা আমায় জানাল যে আরও ঘন্টা চারেকের রস্তা বাকি। লোকটা আরও জানাল যে কারছাম ব্রিজের পরে রাস্তা খুব খারাপ। বল্বিন্দার আমাকে বলল যে ও রাস্তা জানে, কোন চিন্তা করতে বারণ করল আমাকে। পরী হিন্দি বিশেষ ভালো করে বোঝেনা তাই আমাকে জিজ্ঞেস করে যে বল্বিন্দার কি বলল। আমি রাস্তার কথাটা চেপে গেলাম, জানালাম যে কোন কিছুর জন্য চিন্তা না করতে। ঘড়ির দিকে তাকালাম, আড়াইটে বাজে তখন, তারমানে চিতকুল পৌঁছতে সন্ধ্যে হয়ে যাবে। একে শীতকাল তায় আবার পাহাড়, এখানে রাত সমতলের চেয়ে একটু তাড়াতাড়ি নামে। জিওরি ছাড়ার কিছু পরেই পরী বলল যে ও আর ঘুমোতে চায় না, বাইরের দৃশ্য দেখবে। আমি বললাম ঠিক আছে। কিছু পরেই সূর্য পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়ে। যখন আ...

"এক অপরিচিতা"(পর্ব: ছয়)

লেখক:আসিফ ইকবাল! "আগের পর্ব গুলো আমার টাইমলাইনে বিদ্যমান" পঞ্চম পর্বের পর থেকে..... ___আরে বাহ, আপনি নিজের বউ কেই চিনতে পারছেন না!       এবার তো বলবেন গতকাল আপনি আমাকে বিয়েই করেন              নি। হম,সেটাও বলে ফেলেন না! দেরি কেনো? ওর এতগুলি কথার পর বুঝতে পারলাম,এটাই আমার অপরিচিতা,কিন্তু ও আজকে নিকাব পড়েনি। হিজাব পড়েছে। তাই চিনতে পারিনি। মুখ দিয়ে কিছু বের হচ্ছেনা। শুধু ওর দিকে তাকিয়ে আছি। আমার বউটা অনেক কিউট। সকাল বেলা যে আমার জন্য এরকম একটা সারপ্রাইজ আছে সেটা ভাবিনি!      ____কি!আপনি কি এভাবেই তাইকে থাকবেন? নাকি উঠেবেন। জলদি উঠে ফ্রেশ হোন।(তাফা) ____তুমি আজকে নিকাব পরোনি যে! ____আপনি তো আমার বর!আপনার সামনে নিকাব পড়তে হবে কেনো?(তাফা) বলে.....একটা হাসি দিয়ে চলে গেলো। এই প্রথম ওর হাসি দেখলাম। আর সেটা আমাকে রীতিমতো পাগল করে দিয়েছে। আর দেরি করলাম না। জলদি বিছানা ছেড়ে ফ্রেশ হতে চললাম। তাফা,,, তাফা! কই তুমি?........ "এইতো কিচেনে,কি হোয়েছে..... তাফা কিচ...