সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

"এক অপরিচিতা"( পর্ব: আট)


লেখক:আসিফ ইকবাল!


সপ্তম পর্বের পর থেকে.........

মাথায় নানা ভাবনা ঘুরপাক খাচ্ছে।  ঘুম ও আসছে না।
 কিন্তু তাফা ঠিকই ঘুমিয়ে আছে। আর আমি শুধু ওর দিকে তাকিয়ে আছি।
 শেষ রাতে হইতো ঘুমিয়ে পড়েছি। সকালে তাফার ডাকে ঘুম ভাঙ্গলো।উঠে দেখি ও না! আমি ওর ঘাড়ে মাঠে দিয়ে আছি.....
ওর দিকে তাকিয়ে দেখি পুরাই রেগে আছে.....

___আপনি এটা কি করেছেন, আমার ভারী লাগছেছিল না বুঝি?
আর সেই কখন থেকে ডাকছি, উঠছেনো না। আর বলছিনা আপনাকে ,আমার কাছে না আসতে......(তাফা)
___দুঃখিত, এর পর থেকে হবে না....(সারারাত যে ও আমার কাঁধে শুয়ে ছিল, সেটা?!)
___হম,,আর না হলেই ভালো।
আর আপনি এমনভাবে চোখ বন্ধ করে আছেন কেনো। যান চোখে পানি দিয়ে আসুন(তাফা)
___হম..


কিছুক্ষনের মধ্যে ট্রেইন স্টেশনে থামলো।
আমরা নেমে পরলাম। এত সময়ের চাপায় সবকিছু বদলে গেছে। আমার চাচাত ভাই নিথিন আমাদের নিতে আসছে...
এখন হইতো এখানকার রাস্তা ঘাট ও ঠিক ভাবে চিনতে পারতাম না।   ও এসে ভালো হয়েছে। 
আমার সাথে তাফা কে দেখে ও একটু শঙ্কিত। শেষ পর্যন্ত জিজ্ঞেস করেই ফেললো..

"ভাইয়া তোমার সাথে উনি কে!"

"কেউ একজন!বাসায় গিয়ে বলবো। এখন চল। অনেক ক্ষুধা লাগছে।"

তারপর আমরা সিএনজি করে রওনা দিলাম।  স্টেশন থেকে বেশি দূর না। এই বিশ মিনিটের পথ।
 তাফা  এ পর্যন্ত কোনো কথা বলেনি। শুধু দেখছি মাঝে মাঝে একটু আমার দিকে তাকাচ্ছে....
মনে হয় ও ভয় পাচ্ছে। আর অন্য দিকে তাকিয়ে কি যেনো ভাবছে... ওকে সাহস দেবার জন্য  ওর হাত ধরলাম ।
কিন্তু সাথে সাথে ছাড়িয়ে নিল।  জানিনা আমার বউ এর কি রোগ হয়েছে আর এটা কবে ঠিক হবে।


কিছুক্ষনের মধ্যে আমরা বাড়িতে পৌঁছে গেলাম।
বাবা আর ফুফা  উঠানে বসে গল্প করছেন।  আমাকে দেখে ফুফা এসে জড়িয়ে ধরলেন।  আর কিছুক্ষনের মধ্যে  মা, চাচা ফুফু ,খালা বাকিরাও চলে আসলো।  তাফা হইতো একটু অসস্তি বোধ করছে।ব্যাপার টা বুঝতে পারে মা ওকে ভিতরে নিয়ে গেলেন। এখানে কেউ জানে না ,আমি বিয়ে করেছি আর তাফা আমার বউ।  এতক্ষন সবাই আমাকে নিয়ে ব্যাস্ত হাওয়ার তাফা কে খেয়াল করেনি। পরে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো।
 সবার সাথে কুশলবিনিময় শেষে।  আমার রুমের দিকে যাচ্ছি। জানিনা এতদিন পর এখনো ওটা আমার আছে কিনা।

হম,,আমার রুম টা ঠিক আগের মতোই আছে। কিন্তু ভেবেছিলাম তাফা কে এখানে দেখতে পাবো।  কিছু ক্ষণ পর মা আসলেন, ঘর গুছিয়ে দিতে। ভাবছি মাকে জিজ্ঞেস করব! তাফা কোথায়; কিন্তু পরক্ষণে ভাবলাম ,না!  যেহেতু এখানে কেউ ওর আর আমার সম্পর্ক জানেনা। ওর অন্য রুমে থাকায় ঠিক হবে। মা বললেন........

"রাফার বিয়ে টা হয়ে গেলে, আমার আর তাফার বিয়ের ব্যাপারটা বাবা সবাইকে জানাবেন। তাই কিছু দিন  তাফা আমার কাজিন দের সাথে অন্য রুমে থাকবে।"


 আমি মাথা নাড়ালাম।
 তার পর মা চলে গেলেন।
কিন্তু আমার যে খুব ক্ষুধা লাগছে!
আজকে দেখি ছেলের যে ক্ষুধা লাগছে সেটা মাও বুঝতে পারলনা।
বাড়িতে এত আত্মীয়! মা যে কোথায় হারিয়ে গেল বুঝতে পারছিনা। ক্ষুধায় পেতে চুহা লাফাচ্ছে..
তার উপর আবার রাত্রে ঘুম হইনি। মাথাটা কেমন জানি ঝিম ঝিম করছে। বিসানায় হেলান দিতেই কখন যে ঘুমিয়ে পরছি।
সেটা আমার জানার বাহিরে...


এটা বিকেল......

কারোর ডাকে ঘুম ভাঙ্গলো।
ঘুম ঘুম চোখে জওয়াব দিলাম।

___হম, তাফা। আর একটু ঘুমাই না......?
___নাহ, আর ঘুমোতে হবে না।সেই সকালে আসছো! একবারও আমার সাথে দেখা কর নি।আমাকেই আসতে হলো। আর তাফা কে হুম?
___নিজেকে আয়নায় দেখো। তাফাকে দেখতে পাবে!(ঘুম ঘুম চোখে জওয়াব দিচ্ছি। এখনো এতটা ঘুম পাচ্ছে যে চোখ খুলতে পারছিনা.)
___সাগর,এসব কি ভুলভাল বলছো। আমি মুহি! চোখ খোল, না.....
___মুহি!!! (এটা শোনার পর ঘুম যেনো পালিয়ে গেলো। এক লাফে উঠে পরলাম)
___কি হলো,কিছু বলছনা যে? (মুহি)
___..........(কি বলবো বুঝতে পারছিনা। যেটা ভেবেছিলাম,,আমি তো দেখি আবার ওর প্রেমে পড়ে যাবো।)
___ওকে,তুমি এভাবেই বসে থাকো।আমি যাচ্ছি।আমার অনেক কাজ আছে....(মুহি)
___মুহি,কিছু খাবার এনে দিবে! ক্ষুধা লাগছে খুব।(ক্ষুধা লাগল সরম করতে নেই 😀)
___হম,আনছি।(পিছন ফিরে আমার দিকে তাকিয়ে একটু  হাসলো...তারপর চলে গেলো।)



কিছুক্ষন পর,
 মুহি খিচুড়ি নিয়ে আসলো।
 আমি খাচ্ছি। একটু বেশিই ক্ষুধা লাগছে.....
 মুহিব দিকে তাকিয়ে দেখি হাসছে.....বুঝিনা ও এতে হাসে কেনো!
 ___এদিকে না তাকিয়ে খেতে থাকো,(মুহি)
 ___হম,
 ও,আবারও হাসছে। এখন নিজেকে রীতিমতো জোকার মনে হচ্ছে। এই মেয়ে আমাকে দেখে এতো হাসে কেনো!!!

খাওয়া শেষে.....
একটু বাহিরে বের হলাম।মুহিও আমার সাথে। হলুদ শাড়িতে মেয়েটাকে বেশ লাগছে!
ভাবছি,আমার বউ টা কই! সকালের পর থেকে আর ওর দেখা নেই। একবার খোজ নিতে ও আসলো না।

___আচ্ছা মুহি?
___হম,বলো।
___.......
(কিছু বলতে না বলতেই মা এসে হাজির। সাথে আমার বউটাও আছে! যাই হোক এতক্ষনে দেখা তো পেলাম।)
___সাগর,, তাফাকে নিয়ে একটু বাহিরেটা ঘুরে দেখা। সেই কখন থেকে ঘরে আছে।(মা)
___হম,মা! আমিও তাই ভাবছিলাম।(আমি)
___আর মুহি তুইও ওদের সাথে যাবি।(মা)


তারপর আমরা বের হলাম। সাথে নীথিন ও যোগ দিয়েছে।
মূলত আমরা নিথিনের অনুসরণ করছি।
সত্যিই এই কয়েক বছরে সব কিছু বদলে গেছে। অনেক চেনা মানুষ কে আর চিনতে পারছিনা।
আমি আর নিথীন সামনে, আর সব সময়ের জন্য ওরা পিছনে।
দুজন ঠিক ভাব জমিয়ে ফেলছে.....কি যেনো কথা বলেই চলেছে,সেই তখন থেকে।
আর আর নিতে না পেরে,
 মূহিকে আমার সাথে নিলাম।
 "মুহি তুমি আমার সাথে হাটতে থাকো! ওর সাথে পরেও কথা বলতে পারবে।"
 আমার কথায়, তাফা একটু বিস্মিত! তাতে আমার কি।
 হাহা,, পিচ্চি.......

আমি আর মুহি সামনে, আর তাফা নিথীনের সাথে একটু পিছনে। পিচ্ছি টা এতো ধীরে যে কেন চলে বুঝিনা।
মুহি আমার হাত ধরে আছে। এই প্রথম কোনো মেয়ের হাতে হাত রেখে হাঁটছি। আমি চাইলেই ওকে সরিয়ে দিতে পারতাম।কিন্তু সেটা করলাম না। বউ ই যখন হাত ধরতে দেই না। অন্য কেউ ধরলে কি প্রবলেম.......


___আপু, সাগর ভাইয়াকে আর মুহি আপুকে বেশ মানিয়েছে তাই না?
___হম(তাফা)
___চাচা কে বলতে শুনেছি। রাফা আপুর বিয়ের পর সাগর ভাইয়ার বিয়ে। অনেক মজা হবে। পর পর duita বিয়ে...(নীথিন)
___হম, আমি সেই জন্যই তো আসছি! তোমার সাগর ভাইয়ার বিয়ে দেখবো বলে....🐸🐸(তাফা)


সামনে থেকে ওদের কথা শুনছি আর হাসছি।আর পাশে মুহি দেখি লজ্জাই মাথা নিচু করে আছে...
কিন্তু ব্যাপার টা তাফা কে বুঝতে দিলাম না। ইতিমধ্যেই সন্ধে হয়ে আসছে।তাই সবাই বাসাই ফিরে আসলাম।


বিকেল টা বেশ ভালই কাটলো। তবে তাফার মনে হয় ভালো কাটেনি।বাড়িতে আসার পরপরই কোথায় যে হারিয়ে গেলো!
অনেক খুঁজেও পেলাম না।
 আর মুহি তো সবসময় আমার সাথে লেগেই আছে। একটুও একা ছাড়ছে না। সবসময় ফেল ফেল  করে ceye থাকে। আমার কেমন জানি অদ্ভুত লাগে। হাজার হলেও প্রথম প্রেম!!
 এখনো ওর প্রতি আমার দুর্বলতা রয়েই গেছে! আর বিকেল থেকে ও যেভাবে আপনার সাথে লেগে আছে,এতে এটা দৃশ্যমান যে ও আমাকে ভালোবাসে।

বাড়ির সব জায়গায় মেয়েরা। বুঝতে পারছিনা তাফা কে কোথায় খুজবো। ওকে খুঁজতে গিয়ে না,সবাই বলে এ বাড়ির বড়ো ছেলের নজর খারাপ। বিকেলের ঘটনায় তাফা হইতো খুব রেগে আছে.....
আমি কি বোকা! যে তাফাকে একটা ফোন ও কিনে দেই নি। নইলে ফোনে কথা বলা যেত।



কিছুক্ষন পর পরিবারে সবার সাথে খেতে বসছি!
ভেবেছিলাম, তাফা এখানে থাকবে। কিন্তু নেই! ওর না থাকাটা স্বাভাবিক।
খাওয়া দাওয়ার পর সবার সাথে কিছু কথা বলে যতো দ্রুত সম্ভব কেটে পরছি......

"মা,একটু এদিকে আসো তো!"

"হম,বল কি বলবি?"

"তাফা কোন কোথায় আছে বলো না,ওর কাছে আমার একটা জিনিস আছে। নিতে হবে।"

"হম, রাফা র রুমে দেখ্,ওখানে আছে হইতো"
বলে চলে গেলো.....

আরে বাহ, রাফা কই আছে আমি কি জানি নাকি!!!
যাই হোক এবার খুঁজে নিতে পারবো। যার বিয়ে হচ্ছে, তার কথা জিজ্ঞেস করলে যে কেউ বলে দিবে ।
বিষয়টা ভাবতে না ভাবতেই বড়ো ফুফী কে পেয়ে গেলাম। ওনাকে জিজ্ঞেস করায় আমাকে রাফার রুমটা দেখিয়ে দিলেন....

ফুফীর দেখানো পথে চললাম,আর বেশ পেয়েও গেলাম আমার লক্ষ্যস্থান।  ভিতর থেকে হাসা হাসির শব্দ আসছে।
একটা দিন পুরো চলে গেছে। আমার বউটার হাসি দেখিনি। মনটা কেমন জানি করছে....
দরজা ঠেলে মাথা ঢুকিয়ে দেখি......
বাড়ির কোনো নন্দিনীই বাদ পড়েনি যে এখানে নেই! আমাকে এভাবে দেখে সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে!
আর আমি আমার বউকে খুজতেছি.........

হম; ও সবার পিছনে দাড়িয়ে আছে,আর সবার থেকে আলাদা!!



to be continue...........

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

নিষিদ্ধ ভালোবাসা(পর্ব ০৯)

RM ,,পূর্ববর্তী পার্ট গুলি পেতে অমার টাইমলাইন  ভিজিট করুন,, কতক্ষণ ঘুমিয়ে ছিলাম সেটা মনে নেই। চোখ খোলে যখন মাথার পেছনে সজোরে এক থাপ্পর খাই। ঘুম ঘুম চোখে চারদিকে তাকিয়ে দেখি যে কে আমাকে চড়টা মারল। আমি দেখলাম যে আমি উঠানের মাটিতে পড়ে আছি, পায়ের কাছে মাটিতে সুব্রত পড়ে আছে। আমি ওপর দিকে তাকিয়ে দেখতে চেষ্টা করি যে কে আমাকে চড়টা মারল, আমি অবাক হয়ে দেখি যে ইন্দ্রানি মাসি আমাদের দিকে কটমট করে তাকিয়ে আছে। আমার দিকে তাকিয়ে চেঁচিয়ে বলে ওঠেন “শুয়োর গুলো এখানে শুয়ে? আর আমারা তোদের দু’জনকে সারা বাড়িতে হন্যে হয়ে খুঁজছি। তোদের কি কোন বোধ বুদ্ধি নেই?” আমি সুব্রতর কাঁধ ঝাঁকিয়ে উঠিয়ে দিলাম, সুব্রত আর আমি দুজনেই উঠে পড়লাম মাটি থেকে। আমি কাতর চোখে ইন্দ্রানি মাসির দিকে চেয়ে বললাম “সরি মাসি। ভুল হয়ে গেছে, কাল রাতে একটু বেশি হয়ে গেছিল।” চেয়ারের ওপরে মদের বোতল আর গ্লাসের দিকে ইন্দ্রানি মাসির চোখ পড়ে যায়, তাড়াতাড়ি করে চেয়ারের ওপরে নিজের শাল ফেলে দিয়ে ঢেকে দেয় গ্লাস আর বোতল। ঠিক সেই সময়ে পেছন থেকে অনেক গুলো পায়ের আওয়াজ পাই। মাসি সবাই কে বলে “এই ছেলে দুটো সারা রাত...

নিষিদ্ধ ভালোবাসা(শেষ পর্ব)

RM কিছুদূর যেতেই  একটি জায়গায় গাড়ি দাঁড় করায় বল্বিন্দার, বলল যে গাড়িতে তেল ভরতে হবে। গাড়ি থামার সঙ্গে সঙ্গে পরীর ঘুম ভেঙে যায়, আমার দিকে তাকিয়ে বলে “কতক্ষণ ঘুমিয়েছি আমি?” আমি বললাম “বেশীক্ষণ ঘুময়নি তুমি” “আমরা থামলাম কেন?” “তেল ভরার জন্য।” “আর কত দেরি পৌঁছতে?” আমি পেট্রল পাম্পের লোকটাকে জিজ্ঞেস করলাম যে জিওরি থেকে চিতকুল কতক্ষণ লাগবে পৌঁছতে। লোকটা আমায় জানাল যে আরও ঘন্টা চারেকের রস্তা বাকি। লোকটা আরও জানাল যে কারছাম ব্রিজের পরে রাস্তা খুব খারাপ। বল্বিন্দার আমাকে বলল যে ও রাস্তা জানে, কোন চিন্তা করতে বারণ করল আমাকে। পরী হিন্দি বিশেষ ভালো করে বোঝেনা তাই আমাকে জিজ্ঞেস করে যে বল্বিন্দার কি বলল। আমি রাস্তার কথাটা চেপে গেলাম, জানালাম যে কোন কিছুর জন্য চিন্তা না করতে। ঘড়ির দিকে তাকালাম, আড়াইটে বাজে তখন, তারমানে চিতকুল পৌঁছতে সন্ধ্যে হয়ে যাবে। একে শীতকাল তায় আবার পাহাড়, এখানে রাত সমতলের চেয়ে একটু তাড়াতাড়ি নামে। জিওরি ছাড়ার কিছু পরেই পরী বলল যে ও আর ঘুমোতে চায় না, বাইরের দৃশ্য দেখবে। আমি বললাম ঠিক আছে। কিছু পরেই সূর্য পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়ে। যখন আ...

"এক অপরিচিতা"(পর্ব: ছয়)

লেখক:আসিফ ইকবাল! "আগের পর্ব গুলো আমার টাইমলাইনে বিদ্যমান" পঞ্চম পর্বের পর থেকে..... ___আরে বাহ, আপনি নিজের বউ কেই চিনতে পারছেন না!       এবার তো বলবেন গতকাল আপনি আমাকে বিয়েই করেন              নি। হম,সেটাও বলে ফেলেন না! দেরি কেনো? ওর এতগুলি কথার পর বুঝতে পারলাম,এটাই আমার অপরিচিতা,কিন্তু ও আজকে নিকাব পড়েনি। হিজাব পড়েছে। তাই চিনতে পারিনি। মুখ দিয়ে কিছু বের হচ্ছেনা। শুধু ওর দিকে তাকিয়ে আছি। আমার বউটা অনেক কিউট। সকাল বেলা যে আমার জন্য এরকম একটা সারপ্রাইজ আছে সেটা ভাবিনি!      ____কি!আপনি কি এভাবেই তাইকে থাকবেন? নাকি উঠেবেন। জলদি উঠে ফ্রেশ হোন।(তাফা) ____তুমি আজকে নিকাব পরোনি যে! ____আপনি তো আমার বর!আপনার সামনে নিকাব পড়তে হবে কেনো?(তাফা) বলে.....একটা হাসি দিয়ে চলে গেলো। এই প্রথম ওর হাসি দেখলাম। আর সেটা আমাকে রীতিমতো পাগল করে দিয়েছে। আর দেরি করলাম না। জলদি বিছানা ছেড়ে ফ্রেশ হতে চললাম। তাফা,,, তাফা! কই তুমি?........ "এইতো কিচেনে,কি হোয়েছে..... তাফা কিচ...