সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

নিষিদ্ধ ভালোবাসা(পর্ব ০৬)


,,,,নিষিদ্ধ ভালোবাসা,,,,(#part_six)
#নিষিদ্ধ ভালোবাসা
RM
5 পর্বের পর থেকে,,,,,,,,,,
ঠিক সেই সময়ে দুষ্টু, সুমন্ত মামার ছেলে, দৌড়ে এসে, হাঁপাতে হাঁপাতে বলে, বাড়িতে আমাদের ডাক পড়েছে, খাবার ঘরে কিছু একটা মিটিং বসেছে। কথা শুনে আমি আর সুব্রত মুখ চাওয়াচাওয়ি করি, দু’জনার নেশার ঘোর এক ধাক্কায় উড়ে গেছে। দৌড়াতে দৌড়াতে বাড়ি গিয়ে ঢুকি।
খাবার ঘরে ঢোকা মাত্র দেখতে পেলাম যে বড়ির সবাই একত্রিত হয়ে বসে, বাবা, মা, তার পাশে দিদা (পরীর মা), তার পাশে ইন্দ্রানি মাসি, ইন্দ্রানি মাসির স্বামী, তার পাশে চন্দ্রানি মাসি, চন্দ্রানি মাসির স্বামী, শশাঙ্খ মামা, মেঘনা মামি, এবং সুমন্ত মামা। পরী মায়ের পেছনে মায়ের গলা জড়িয়ে ধরে দাঁড়িয়ে আছে। সুব্রত আমার দিকে তাকিয়ে ইশারা করে যে সব কিছু ঠিক হবে। ইন্দ্রানি মাসি বললেন “দেখো উলুপিদি, আমাদের বাড়ির কোন মেয়েরা গ্রাজুয়েট নয়, তা সত্তেও আমরা পরীকে পড়িয়েছি। এখন ওর বিয়ের বয়স হয়ে গেছে, ওর বিয়ে করা উচিৎ। আমরা ওর ভালো চাই, একটা ভালো ছেলে দেখেই ওর বিয়ে দেওয়া হবে। আমাদের দুই বোন কে দেখো, আমরা বিয়ে করে ঘর সংসার নিয়ে ভালো আছি।” মা বললেন যে “পরী যদি পড়াশুনা করতে চায় তাহলে ক্ষতি কি?”
ইন্দ্রানি মাসি তার কথায় অনড় “অত পড়াশুনা করে কি হবে? ওর বয়সে আমার বিয়ে হয়ে গেছিল।”
সুব্রত এতক্ষণ ধরে চুপ করে সব শুনছিল, ইন্দ্রানি মাসি কথা শুনে বলল “পরী পড়াশুনা করবে। উলুপিদি যা বলেছেন সেটা আমাদের মেনে নেওয়া উচিৎ।”
সবাই ওর দিকে হাঁ করে তাকিয়ে থাকে। ইন্দ্রানি মাসি আর চন্দ্রানি মাসি হয়ত ভাবতে পারেনি যে সুব্রত এর মাঝে কথা বলবে।
শশাঙ্খ মামা সুব্রত কে বললেন যে “তুই চুপ কর, তোকে এখানে কেউ কথা বলতে বলেনি।”
চন্দ্রানি মাসি বলে উঠলো “তোর মতামত কি কেউ জিজ্ঞেস করেছে এখানে?”
সুব্রত “আমি এই পরিবারের একজন আমার বক্তব্য রাখার অধিকার আছে।”
ব্যাপারটা বেশ পেঁচিয়ে উঠেছে। আমি আড় চোখে পরীর দিকে তাকিয়ে দেখি, ওর চোখে জল। দিদা পরীর দিকে তাকিয়ে আছে, পরী মাকে জড়িয়ে ধরে দাঁড়িয়ে, যেন মা ওর শেষ আশা ভরসা। দিদা সুমন্ত মামার দিকে তাকিয়ে মামার অভিমত জানতে চাইলেন।
সুমন্ত মামা বললেন “আমার মনে হয়, পরী পড়াশুনা চালিয়ে যাক। ইতিমধ্যে আমরা পরীর জন্য ভালো একটা ছেলে দেখে বিয়ে দেব যে কিনা ওকে পড়াশুনা করতে দেবে।”
পরী ধরা গলায় চেঁচিয়ে ওঠে “না আমি এখন বিয়ে করবো না। তোমরা সবাই চাও যে আমি এ বাড়ি থেকে চলে যাই?” মা পরীর হাতে হাত বুলিয়ে আসস্থ করে, শান্ত করতে চেষ্টা করে।
ইতিমধ্যে ইন্দ্রানি মাসি মাকে জিজ্ঞেস করেন “তুমি এতদিন পড়ে কেন এসেছ এখানে?”
দিদা ইন্দ্রানি মাসির কথা শুনে একটু রেগে গিয়ে বললেন “আমি শশাঙ্খ কে বলেছিলাম উলুপিকে নিমন্ত্রন করতে। উলুপির সাথে একদম উঁচু গলায় কথা বলবি না।”
ইন্দ্রানি মাসি দিদার কথা অমান্য করে মায়ের দিকে তাকিয়ে বলে “আমরা দু’বোনে আমাদের পরিবারের জন্য অনেক কিছু করেছি। তুমি কি করেছ? কোথায় ছিলে সতের বছর?”
কথাটা বলার পরে মনে হল যেন কেউ অ্যাটম বম্ব ফেলেছে ঘরে। কারুর মুখে কোন কথা নেই, সবাই চুপ করে বসে আছে, শুধু পরীর ফুঁপিয়ে কান্নার আওয়াজ ছাড়া আড় কোন আওয়াজ শোনা যাচ্ছেনা।
আমি মায়ের দিকে তাকিয়ে দেখি, রাগে লাল হয়ে গেছে মায়ের দু’চোখ, জলে ভরে এসেছে। ধরা গলা অথচ বেশ গম্ভির স্বরে মা বললেন “ভুলেও আমাকে জিজ্ঞেস করতে যাস না আমি কি করেছি। আমি এখানে শুধুমাত্র পরীর জন্য এসেছি। আমি ওর জন্যে যা করব সেটা তোদের সবাই কে মেনে নিতে হবে। জানতে চাস আমি কি করেছি?” সবাই মায়ের দিকে তাকিয়ে, দিদা মাকে চুপ করতে অনুরোধ করেন।
দিদা “আমি বলছি পরী পড়াশুনা করবে, তুমি চুপ কর উলুপি দোহাই।”
মা থামার পাত্রি নন “না, আজকে আমাকে বলতে দাও। ওরা কারন জানতে চেয়েছে, ভুলে গেছে ওরা” তারপরে ইন্দ্রানি মাসি আড় চন্দ্রানি মাসির দিকে তাকিয়ে বললেন “তোরা সবাই অনেক ছোটো যখন তোদের বাবা মারা যান। পরী শুধু দেড় বছরের, আমার ছেলে তখন আমার পেটে। তোরা সবাই তখন অনেক ছোটো ছিলিস, তোদের দেখার কেউ ছিলনা। মাসিমা শুধু কাঁদতেন, এই শশাঙ্খ পড়াশুনা ছেড়ে ধানকলে কাজ করে, যাতে তোদের পেটে দুটো ভাত জোটে। সেই পাঁচ বছর আমি দিয়েছি এই সংসারে, আমার আয় আমার সব কিছু। তোদের খাওয়া দাওয়া, তোদের জামা কাপড় সব কিছু, যার জন্যে তোরা সবাই আজ আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছিস। এরপরে তুই আমাকে জিজ্ঞেস করিস আমি কি করেছি?”
দিদা মাকে শান্ত করার প্রবল চেষ্টা করেন। পরী জলভরা চোখে মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে। গাল বেয়ে টপটপ করে জল গড়িয়ে চলেছে। কারুর মুখে কোন কথা নেই, সবাই চুপ। আমি আর সুব্রত মুখ চাওয়াচায়ি করি।
মা থামেন না বলে চলেন “বুকের দুধ খাইয়ে বড় করেছি পরীকে। ওকে তো তোরা ফেলনা করে দিয়েছিলিস, ওর জন্ম হবার পরে যে মেসো মারা গেছিলেন তাই পরী কে তোরা অলুক্ষুনে বলতিস। ওর কি দোষ ছিল? আমি এই বুক কেটে আমার ছেলের সাথে ওকে দেখেছি।”
সুব্রত মায়ের পায়ের কাছে গিয়ে বসে পরে। সবার চোখে জল। এর মধ্যে দেখলাম যে বাবা উঠে চলে গেলেন নিজের চোখের জল লুকানোর জন্য। মা আবার বলতে শুরু করেন “এই বুক চিরে যদি দেখাতে পারতাম তাহলে দেখিয়ে দিতাম, ও আমার কে। আমার মেয়ে নেই। পরী আমার মেয়ে নয় তবে আমার মেয়ের মতন। আমি এখানে তোদের কারুর জন্য আসিনি, তোদের অনেক বড় বড় বাড়িতে বিয়ে হয়েছে, দুজনেই ব্যাবসা করে, অনেক টাকা পয়সা তোদের। দেমাকে এখন তোদের মাটিতে পা পড়েনা।”
দিদা আর পরী দু’জনে কেঁদে চলেছে, সব কিছু জানার পরে আর দেখার পরে আমার চোখে জল এসে যায়।
“কাল, বউভাত শেষ হয়ে যাওয়ার পরে, আমি পরীকে নিয়ে কোলকাতা চলে যাবো। ক্যাল্ক্যাটা উনিভারসিটি তে আমি পড়াব ওকে, যা টাকা লাগে আমি দেব। তোরা কি ভাবিস কি করিস আমি কোনদিন দেখতে যাবনা।”
মায়ের বুক থেকে একটি দীর্ঘশ্বাস বের হয়, পরী মায়ের পায়ের কাছে বসে মায়ের কোলে মুখ গুঁজে কাঁদতে শুরু করে দেয়। পুরো ঘরের পরিবেশটা বদলে যায় এক উত্তেজনাপূর্বক ঘটনা বলিতে, সবাই চুপ করে বসে আছে, কারুর মুখে টুঁ শব্দটি পর্যন্ত নেই।
অবশেষ সুমন্ত মামা বলে ওঠেন “আমি উলুপিদি কে সমর্থন করি। দিদির ন্যায্য অধিকার আছে পরী কে আমাদের কাছ থেকে নিয়ে যাবার। আমরা সবাই ভুলে গেছিলাম যে উলুপিদি এক সময় আমাদের জন্য কি করেছেন।”
তারপরে যা বললেন সেটা শুনে সবাই হতভম্ব হয়ে গেল “কাল বাদে পরশু, বিয়ের সব কিছু মিটে যাবার পরে, আমি এই সম্পতির সাত ভাগ করবো।”
ইন্দ্রানি মাসি প্রশ্ন করেন “সাত ভাগ কেন? আমরা তো ছয় ভাই বোন।”
গর্জে ওঠেন সুমন্ত মামা “তুই চুপ করে বসে থাক। এক ভাগ মায়ের আড় বাকি ছয় ভাগ আমাদের। মায়ের ভাগ মা যাকে চাইবেন তাকে দিয়ে যাবেন।” শশাঙ্খ মামা সেই কথায় সায় দিলেন।
“এই বিষয় নিয়ে অনেক আলোচনা, তর্ক বিতর্ক হল। এই কথা যেন এই চার দেওয়ালের মধ্যে থাকে। আমি চাইনা সুব্রতর বিয়ের আনন্দ মাঠে মারা যাক। আজ এখানেই কথা শেষ, সবাই নিজের কাজে চলে যাও।”
আমি ঘড়ির দিকে দেখি, রাত প্রায় ন’টা বাজে।

সুব্রত আর আমি উঠে দাঁড়ালাম। দুই মাসি তাদের স্বামীদের নিয়ে ঘর থেকে বেড়িয়ে গেল। ঘরের মধ্যে শুধু তিন জন বসে। পরী, দিদা আর মা। পরীর চোখে জল, মুখে আবার হাসি ফুটে উঠেছে। মাকে জড়িয়ে ধরে কোলের ওপরে মাথা রেখে আদর খাচ্ছে চুপ করে। আমি ওর মুখে হাসি দেখে বেশ খুশী হলাম, সেই সাথে এটা জেনে আনন্দিত হলাম যে পরী এবার থেকে আমাদের বাড়িতে থাকবে, আমার কাছে আমার পাশে।
আমার দিকে তাকিয়ে সুব্রত বলল “এই সব দেখে আমার খুব গলায় ঢালতে ইচ্ছে করছে।” ঘর থেকে আমি আর সুব্রত বেড়িয়ে ছাদে চলে এলাম। আগে থেকে ছাদে সমীর আর মৃগাঙ্ক আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিল। দুজনেই আমাদের দেখে জিজ্ঞেস করল যে কি হয়েছে।
সুব্রত আমার পিঠ চাপড়ে বলল “উলুপিদি সত্যি ভগবান।” ছাদে বসে গ্লাসে ভদকা নিয়ে সুব্রত পুরো ঘটনাটা ওদের শুনাল। আমি এত সব আগে জানতাম না।
কিছুক্ষণের মধ্যে আমাদের ডাক পরে খেতে যাওয়ার জন্য। নিচে নেমে দেখি সবার মুখে কেমন একটা থমথমে ভাব। সবাই এত বড় একটি ঘটনার পরে কেমন যেন হয়ে গেছে। সবাই নিজেদের মনভাব লুকিয়ে রেখে হেসে সব কিছু ঠিক করে নেওয়ার চেষ্টা করছে। সারা বাড়ির আবহাওয়া ক্রমে রঙ বদলাতে লাগলো, সবকিছু পুনরায় স্বাভাবিক হতে লাগলো।
পরী বা মায়ের কোথাও দেখা পাইনা, আমি মেঘনা মামি কে জিজ্ঞেস করাতে উত্তর দিলেন যে মা আর পরী দু’তলায় নতুন বউ, মৈথিলীর ঘরে গল্প করছে। কথা শুনে আমি সুব্রতর দিকে তাকালাম।
সুব্রত আমার দিকে তাকিয়ে হেসে বলল “ধুর ও সব মেয়েলি ব্যাপার স্যাপার, নাক গলিয়ে কি হবে। খেয়ে দেয়ে চল শুয়ে পরি।”
এমন সময়ে দেখলাম যে ইন্দ্রানি মাসি আমার দিকে এসে আমার পিঠ চাপড়ে বললেন “অভিমন্যু আজ সন্ধ্যেবেলায় যা কিছু ঘটে গেছে তার জন্য আমি অতন্ত দুঃখিত। আমি যা যা বলেছি তার জন্য আমি অতন্ত দুঃখিত। তোমার মাকে বল পারলে যেন আমাকে ক্ষমা করে দেয়।”
সুব্রত হেসে বলল “দিদি আমার মনে হয় তুই নিজে গিয়ে একবার কথা বল। উলুপিদি এত ভালো মানুষ, নিশ্চয় তোর কথা শুনে মাফ করে দেবেন।”
আমি মাসি কে বাবার কথা জিজ্ঞেস করাতে, জানালেন যে, বাবা যে হেতু বয়স্ক এবং বাড়ির সন্মানিয় ব্যাক্তি তাই বাবা খেয়ে দেয়ে ওপরের এক ঘরে শুয়ে পড়েছেন।
আমার পিঠে হাত দিয়ে বললেন যে ওনার সাথে খেতে বসেত। তার কথা আর অমান্য করি কি করে। ডাইনিং টেবিলে খেতে বসতে যাবো, এমন সময়ে সবার চোখ সিঁড়ির দিকে গেল। চেয়ে দেখলাম, পরী আর মা, নব বধু, মৈথিলী কে সাথে করে সিঁড়ি দিয়ে নামছে।
লাল সাড়ীতে নববধু, মৈথিলী কে বেশ সুন্দর দেখাচ্ছে। আমি তুলনা করার প্রচেষ্টা করলাম, কে বেশি সুন্দরী, মৈথিলী না পরী। পরী অবশ্যই বেশি সুন্দরী দেখাচ্ছে, গাড় নীল রঙের একটা সালোয়ার কামিজ পড়েছে, ফর্সা গায়ের রঙে বেশ মানিয়েছে কামিজের রঙটা। মনে মনে ভাবলাম, উফ, অনেকক্ষণ পরে দেখা দিলে, হে প্রান প্রিয়ে। আমি ওর দিকে তাকিয়ে থাকি। মাথার চুল ছাড়া, ঢেউ খেলে নেমে গেছে কোমর পর্যন্ত। চোখে মুখে সেই উজ্জ্বল প্রদিপ্ত ভাব ফুটে উঠেছে আবার।
to be continue............🧐

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

নিষিদ্ধ ভালোবাসা(পর্ব ০৯)

RM ,,পূর্ববর্তী পার্ট গুলি পেতে অমার টাইমলাইন  ভিজিট করুন,, কতক্ষণ ঘুমিয়ে ছিলাম সেটা মনে নেই। চোখ খোলে যখন মাথার পেছনে সজোরে এক থাপ্পর খাই। ঘুম ঘুম চোখে চারদিকে তাকিয়ে দেখি যে কে আমাকে চড়টা মারল। আমি দেখলাম যে আমি উঠানের মাটিতে পড়ে আছি, পায়ের কাছে মাটিতে সুব্রত পড়ে আছে। আমি ওপর দিকে তাকিয়ে দেখতে চেষ্টা করি যে কে আমাকে চড়টা মারল, আমি অবাক হয়ে দেখি যে ইন্দ্রানি মাসি আমাদের দিকে কটমট করে তাকিয়ে আছে। আমার দিকে তাকিয়ে চেঁচিয়ে বলে ওঠেন “শুয়োর গুলো এখানে শুয়ে? আর আমারা তোদের দু’জনকে সারা বাড়িতে হন্যে হয়ে খুঁজছি। তোদের কি কোন বোধ বুদ্ধি নেই?” আমি সুব্রতর কাঁধ ঝাঁকিয়ে উঠিয়ে দিলাম, সুব্রত আর আমি দুজনেই উঠে পড়লাম মাটি থেকে। আমি কাতর চোখে ইন্দ্রানি মাসির দিকে চেয়ে বললাম “সরি মাসি। ভুল হয়ে গেছে, কাল রাতে একটু বেশি হয়ে গেছিল।” চেয়ারের ওপরে মদের বোতল আর গ্লাসের দিকে ইন্দ্রানি মাসির চোখ পড়ে যায়, তাড়াতাড়ি করে চেয়ারের ওপরে নিজের শাল ফেলে দিয়ে ঢেকে দেয় গ্লাস আর বোতল। ঠিক সেই সময়ে পেছন থেকে অনেক গুলো পায়ের আওয়াজ পাই। মাসি সবাই কে বলে “এই ছেলে দুটো সারা রাত...

নিষিদ্ধ ভালোবাসা(শেষ পর্ব)

RM কিছুদূর যেতেই  একটি জায়গায় গাড়ি দাঁড় করায় বল্বিন্দার, বলল যে গাড়িতে তেল ভরতে হবে। গাড়ি থামার সঙ্গে সঙ্গে পরীর ঘুম ভেঙে যায়, আমার দিকে তাকিয়ে বলে “কতক্ষণ ঘুমিয়েছি আমি?” আমি বললাম “বেশীক্ষণ ঘুময়নি তুমি” “আমরা থামলাম কেন?” “তেল ভরার জন্য।” “আর কত দেরি পৌঁছতে?” আমি পেট্রল পাম্পের লোকটাকে জিজ্ঞেস করলাম যে জিওরি থেকে চিতকুল কতক্ষণ লাগবে পৌঁছতে। লোকটা আমায় জানাল যে আরও ঘন্টা চারেকের রস্তা বাকি। লোকটা আরও জানাল যে কারছাম ব্রিজের পরে রাস্তা খুব খারাপ। বল্বিন্দার আমাকে বলল যে ও রাস্তা জানে, কোন চিন্তা করতে বারণ করল আমাকে। পরী হিন্দি বিশেষ ভালো করে বোঝেনা তাই আমাকে জিজ্ঞেস করে যে বল্বিন্দার কি বলল। আমি রাস্তার কথাটা চেপে গেলাম, জানালাম যে কোন কিছুর জন্য চিন্তা না করতে। ঘড়ির দিকে তাকালাম, আড়াইটে বাজে তখন, তারমানে চিতকুল পৌঁছতে সন্ধ্যে হয়ে যাবে। একে শীতকাল তায় আবার পাহাড়, এখানে রাত সমতলের চেয়ে একটু তাড়াতাড়ি নামে। জিওরি ছাড়ার কিছু পরেই পরী বলল যে ও আর ঘুমোতে চায় না, বাইরের দৃশ্য দেখবে। আমি বললাম ঠিক আছে। কিছু পরেই সূর্য পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়ে। যখন আ...

"এক অপরিচিতা"(পর্ব: ছয়)

লেখক:আসিফ ইকবাল! "আগের পর্ব গুলো আমার টাইমলাইনে বিদ্যমান" পঞ্চম পর্বের পর থেকে..... ___আরে বাহ, আপনি নিজের বউ কেই চিনতে পারছেন না!       এবার তো বলবেন গতকাল আপনি আমাকে বিয়েই করেন              নি। হম,সেটাও বলে ফেলেন না! দেরি কেনো? ওর এতগুলি কথার পর বুঝতে পারলাম,এটাই আমার অপরিচিতা,কিন্তু ও আজকে নিকাব পড়েনি। হিজাব পড়েছে। তাই চিনতে পারিনি। মুখ দিয়ে কিছু বের হচ্ছেনা। শুধু ওর দিকে তাকিয়ে আছি। আমার বউটা অনেক কিউট। সকাল বেলা যে আমার জন্য এরকম একটা সারপ্রাইজ আছে সেটা ভাবিনি!      ____কি!আপনি কি এভাবেই তাইকে থাকবেন? নাকি উঠেবেন। জলদি উঠে ফ্রেশ হোন।(তাফা) ____তুমি আজকে নিকাব পরোনি যে! ____আপনি তো আমার বর!আপনার সামনে নিকাব পড়তে হবে কেনো?(তাফা) বলে.....একটা হাসি দিয়ে চলে গেলো। এই প্রথম ওর হাসি দেখলাম। আর সেটা আমাকে রীতিমতো পাগল করে দিয়েছে। আর দেরি করলাম না। জলদি বিছানা ছেড়ে ফ্রেশ হতে চললাম। তাফা,,, তাফা! কই তুমি?........ "এইতো কিচেনে,কি হোয়েছে..... তাফা কিচ...