,,,নিষিদ্ধ
আমার ডান পাশে সুব্রত বসে ছিল, কাঁধ চাপড়ে কানে কানে বললাম যে “গুরু, বেড়ে প্রেমে করেছ তুমি। মৈথিলী সত্যি খুব সুন্দরী দেখতে।”
আমার দিকে তাকিয়ে হেসে বলে “অয়ে ব্যাটা, ও তোমার মামি হয়। ওর দিকে দেখা বারন।”
আমার দুজনে হেসে ফেলি। আমি বললাম “তুমি আবার মামা হলে কখন থেকে, সারা বিকেল তো সাথে মিলে গলায় ঢাললাম।”
আমি ভুলে গেছিলাম যে ইন্দ্রানি মাসি আমার বাঁ দিকে বসে। আমার কান ধরে, কটমট করে তাকিয়ে বললেন “কি? তোরা ছাদে বসে মদ গলায় ঢাল ছিলিস?”
“আরে না না, মাসি, আমরা কফি খাচ্ছিলাম।”
হেসে বললেন আমাকে “হুম, আমার নাক কুকুরের মতন বুঝলি।”
মা মৈথিলী কে নিয়ে টেবিলে বসে। মায়ের সামনে ইন্দ্রানি মাসি বসে, আমার উলটো দিকে পরী আর তার পাশে মৈথিলী, সুব্রতর উলটো দিকে বসে।
মা সুব্রতর দিকে তাকিয়ে বললেন “তোরা দুজনে আজ রাতে একসাথে শুতে পারবি না।”
খাওয়া শুরু হতেই আমার পায়ে কেউ সুড়সুড়ি দিতে শুরু করে, আমি ঠিক জানতাম যে এটা পরীর কাজ। আমার দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি করে হাসছে কিন্তু মুখে কিছু বলছে না। পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের লম্বা নখ দিয়ে, টেবিলের নিচে আমার পায়ে সুড়সুড়ি দিচ্ছে আর হেসে চলেছে। আমার সারা শরীরে এক শিহরণ খেলে বেড়ায়। একবারে হাঁটুর থেকে পায়ের গোড়ালি অবধি নখ দিয়ে আঁচড় কাটে মেয়েটা। আমি প্রানপনে নিজেকে সামলে রাখার চেষ্টা করি। মুখে কিছু বোঝাতে চাইনা যে টেবিলের নিচে কি খেলা চলছে।
খাওয়া শুরু হতেই আমার পায়ে কেউ সুড়সুড়ি দিতে শুরু করে, আমি ঠিক জানতাম যে এটা পরীর কাজ। আমার দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি করে হাসছে কিন্তু মুখে কিছু বলছে না। পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের লম্বা নখ দিয়ে, টেবিলের নিচে আমার পায়ে সুড়সুড়ি দিচ্ছে আর হেসে চলেছে। আমার সারা শরীরে এক শিহরণ খেলে বেড়ায়। একবারে হাঁটুর থেকে পায়ের গোড়ালি অবধি নখ দিয়ে আঁচড় কাটে মেয়েটা। আমি প্রানপনে নিজেকে সামলে রাখার চেষ্টা করি। মুখে কিছু বোঝাতে চাইনা যে টেবিলের নিচে কি খেলা চলছে।
সুব্রত এমন সময়ে মজা করে বলে উঠল “কাল অভিমন্যু কে ধুতি পাঞ্জাবীতে যা দারুন দেখতে লাগছিল যে আমার হিংসে হচ্ছিল ওকে দেখে। আমি তো এক সময়ে ভাবলাম মৈথিলী আমার গলায় মালা না দিয়ে হয়তো ওর গলায় মালা দিয়ে দিলো।”
কথা শুনে মৈথিলী লজ্জায় লাল হয়ে গেল, চারপাশে বাড়ির লোকজন, তার মধ্যে এই রকম ভাবে কেউ বললে সত্যি লজ্জায় পরে যেতে হয় নতুন বউকে। মৈথিলী মায়ের দিকে তাকিয়ে থাকে। আমার অবস্থা তথৈবচ।
এর মাঝে পরী হেসে বলে “বউদি, আর দেখে লাভ নেই, কাল রাত পর্যন্ত তোমার কাছে সময় ছিল।”
কথায় আর গল্পে মেতে ওঠে খাওয়ার টেবিলে, আমরা সবাই বেশ মজা করে খেয়ে দেয়ে উঠে পরি। খাওয়া শেষ হতে না হতে, ইন্দ্রানি মাসি মায়ের কাছে এসে, মায়ের হাত ধরে একটি ঘরের মধ্যে ঢুকে পরে। আমি বুঝে গেলাম যে আর এক চোট কান্না শুরু হবে, অবশ্য এখন যা হবে সেটা মান অভিমানের খেলা। হা ভগবান, চারদিকে কি যে হচ্ছে, এবারে তো অভিমান ভাঙানোর খেলা শুরু হবে আর বাঙালি মেয়েদের চোখে যেন এক একটা গঙ্গা নদী আছে।
আমি বাথরুমে ঢুকে হাত ধুচ্ছিলাম, এমন সময়ে পরী বাথরুমে ঢুকে আমার কানে কানে বলে যে আধ ঘন্টা পরে ছাদে ওর সাথে দেখা করতে। আমি একবার চারদিকে তাকিয়ে দেখে নেই যে কেউ আমাদের দেখছে কিনা। না, কেউ আমাদের দেখছে না। আমি ঘুরে দাঁড়িয়ে বাঁ হাথ ওর ঘাড়ের পেছনে দিয়ে ওর মুখ আমার দিকে টেনে আনি। হটাৎ করে টানার ফলে, পরী হকচকিয়ে যায়। দু’হাত আমার বুকের ওপরে দিয়ে আমাকে ঠেলার চেষ্টা করে নিজেকে ছাড়ানর জন্য। আমি বাঁ হাত দিয়ে ওর ঘাড় শক্ত করে ধরে থাকি আর ডান হাত দিয়ে ওর কোমর জড়িয়ে ধরে ওকে আরও নিবিড় করে টেনে নেই আমার ওপরে।
আমি ওর সুন্দর মুখের দিকে তাকিয়ে মিনতি করে বলি “প্লিস, একটা daw। দেখ অনেকক্ষণ ধরে তোমাকে কাছে পাইনি। প্লিস খালি একটা, ব্যাস।”
পরী মৃদু স্বরে চিৎকার করে ওঠে “করছ টা কি? ছাড়ো আমাকে, কেউ এসে যাবে।”
“একটা ছোট্ট কিস, ব্যাস আর কিছু না।”
মাথা নাড়িয়ে বলে “না না, এখন নয়। ছাদে ওয়েট করো।”
আমি মিনতি করি “শুধু একখানা, ছোট্ট করে। আধ ঘন্টা তো কাটাতে হবে, তার খোরাক দিয়ে যাও”
হেসে বলে “তুমি না, একদম অবাধ্য, বেয়াড়া ছেলে। সবুর করো, সবুরে ফল মধুময় হয়, সোনা।”(হাইরে আর কত সবুর করবো😭)
আমি কোমর জড়িয়ে ধরি আরও নিবিড় করে কাছে টেনে নেই,আমার বুকের ওপরে আমি ওর হৃৎপিণ্ডের ধুকপুকানি অনুভব করি। ক্রমে ওর বুকের ধুকপুকানি তীব্র থেকে তিব্রতর হয়ে ওঠে। দুই চোখ যেন দুই পদ্মফুল, চোখের পাতা যেন পদ্মের পাপড়ি, কাজল আঁকা ভুরু যেন ধনুকের মতন বাঁকা। গভীর কালো চোখে আমার দিকে আবেগ নিয়ে তাকিয়ে থাকে, ঐ দু’চোখের চাহনি মাঝে আমি হারিয়ে যাই। প্রগাড় বাহুবন্ধনী মাঝে আমরা দু’জনে সারা পৃথিবী ভুলে একে ওপরের মাঝে হারিয়ে যাই। আলিঙ্গনকে আর নিবিড় করে নেই। আমার নাকের ওপরে আলতো করে নাকের ডগা ঘষে দেয়। আমার সারা মুখে পরীর উষ্ণ প্রশ্বাস ঢেউ খেলে বেড়ায়।
পরীর ঠোঁট দুটি অল্প ফাঁক করা, যেন আমায় ডাকছে, “এত দেরি লাগে নাকি চুমু খেতে?”
ঠিক সেই সময়ে মেঘনা মামি ডাক দেয় পরীকে “পরী, কোথায় তুই?”
মনে হল যেন আমাদের ওপরে বজ্রপাত হয়েছে, ছিটকে আলঙ্গন মুক্ত হয়ে পড়ি আমরা। আমার বাহুবন্ধনী থেকে ছাড়া পেয়ে আমার দিকে আলতো করে হেরে যাওয়ার হাসি হাসে। ভগ্ন হৃদয়ে, দুঃখিত মনে আমাকে ছেড়ে দিতে হয় পরীর কোমর। পরী বাথরুম থেকে বেড়িয়ে যায় আর বের হবার আগে আমার হাতে কিছু একটা গুঁজে দিয়ে চলে যায়। আমি হাতের মুঠি খুলে দেখি একটা সিল্কের সাদা মেয়েলি রুমাল।
ফিসফিস করে বলে আমায় “যতক্ষণ না আমি আসছি, ততক্ষণ আমার গন্ধ নিয়ে থাক।” তারপরে মেঘনা মামির উদেশ্যে চেঁচিয়ে ওঠে “হ্যাঁ কি হল, কেন খুঁজছ আমায়?”
ওর পেছন পেছন আমি বেড়িয়ে পড়ি বাথরুম থেকে, আমাদের দু’জনকে একসাথে বের হতে দেখে আমাদের দিকে শ্যেন দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে মেঘনা মামি।
পরী বলে “কি দেখছ তুমি ওরকম ভাবে? আমরা তো শুধু হাত ধুতে গেছিলাম।”
মেঘনা মামি জানাল যে, পরীকে আজ মৈথিলীর সাথে শুতে হবে সেজন্যে মৈথিলী কে নিয়ে ওর ঘরে যেতে। দুই সুন্দরী মহিলা সিঁড়ি দিয়ে ওপরে চড়ে, আমি পেছন থেকে দেখি। চড়ার সময়ে আমার দিকে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকিয়ে চোখ টিপে ইশারা করে বলে, ছাদে আমার জন্য অপেক্ষা কর। সবার নজর এড়িয়ে মাথা নাড়িয়ে জানিয়ে দেই যে আমি থাকব। ওপরে চড়ার সময়ে, পেছন হতে সুন্দরী রমণীর চালে দুলুনি দেয় আমার হৃদয়, দুজনার চালে যেন অধভুত এক মাদকতা মিশে আছে। দুই সুন্দরীর মত্ত চলন দেখে আমি বুকের ভেতরে দোলা লাগে।
এদক ওদিকে তাকিয়ে সুব্রত কে খুঁজি, তারপরে চন্দ্রানি মাসি কে জিজ্ঞেস করি যে সুব্রত কোথায়। চন্দ্রানি মাসি বলে যে কিছু আগে মৃগাঙ্ক এসে ডেকে নিয়ে গেছে সুব্রতকে।
এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখি মোটামুটি সবার খাওয়া দাওয়া শেষ, সবাই ঘুমোতে যাবে। ভেবে দেখলাম যে আমার এখন কিছু করার নেই শুধু মাত্র অপেক্ষা করা ছাড়া, তাই ছাদের দিকে পা বাড়ালাম। দোতলা দিয়ে যাওয়ার সময় দেখি যে ঘরে মৈথিলী আছে সে ঘর থেকে অনেক গুলো মহিলার কণ্ঠস্বর ভেসে আসছে। সিঁড়ি জায়গায় অন্ধকার, আমার ভেতরে বদ বুদ্ধি জেগে ওঠে। আমি যদি উঁকি মেরে দেখি তাহলে কেউ আমাকে দেখতে পাবেনা। এই ভেবে পর্দার পেছনে গিয়ে ঘরের মধ্যে উঁকি মেরে তাকালাম আমি।
এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখি মোটামুটি সবার খাওয়া দাওয়া শেষ, সবাই ঘুমোতে যাবে। ভেবে দেখলাম যে আমার এখন কিছু করার নেই শুধু মাত্র অপেক্ষা করা ছাড়া, তাই ছাদের দিকে পা বাড়ালাম। দোতলা দিয়ে যাওয়ার সময় দেখি যে ঘরে মৈথিলী আছে সে ঘর থেকে অনেক গুলো মহিলার কণ্ঠস্বর ভেসে আসছে। সিঁড়ি জায়গায় অন্ধকার, আমার ভেতরে বদ বুদ্ধি জেগে ওঠে। আমি যদি উঁকি মেরে দেখি তাহলে কেউ আমাকে দেখতে পাবেনা। এই ভেবে পর্দার পেছনে গিয়ে ঘরের মধ্যে উঁকি মেরে তাকালাম আমি।
বিছানায় বসে পরী, কিছু একটা আঁচ করে দরজার দিকে তাকাল। মেরেছে রে, এই বুঝি ধরা পরে গেলাম। পর্দা একটু নড়ে উঠলো আর পরী বিছানা ছেড়ে দরজার দিকে এগিয়ে এলো। আমি তড়িঘড়ি করে ওখান থেকে পালিয়ে ছাদে উঠে গেলাম।
ছাদে উঠে এক কোনায় চুপ করে রেলিঙের ওপরে বসে পড়ি আমি। শীত কালের কনকনে ঠাণ্ডা হাওয়া বইছে ফাঁকা মাঠের দিক থেকে। বাড়ির পেছন আম বাগানের আম গাছ গুলো যেন ন্যাড়া ভুতের মতন দেখাচ্ছে। উঁচু উঁচু তাল আর নারকেল গাছ গুলো ভুতের মতন হাওয়ায় দুলছে আর যেন আমাকে হাতছানি দিয়ে কাছে ডাকছে। আমি আকাশের দিকে তাকাই, ঘন গাড় নীল আকাশ কেউ যেন এক বিশাল পর্দার ওপরে শত সহস্র হীরের টুকরো ছড়িয়ে দিয়েছে। আম বাগানের ওপরে বাঁকা চাঁদ ঠিক যেন ছোট্ট একটি ছিপ নৌকা, গাড় নীল আকাশের বুকে বাইছে।
আমি রেলিঙ্গের ওপরে বাইরের দিকে পা ঝুলিয়ে বসে পড়ি। নিশীথ রাতের বিমুগ্ধ সৌন্দর্য সুধা দু’চোখে ভরে নেই।
আমি পকেট থেকে ওর রুমাল বের করে মুখের ওপরে মেলে ধরি। বুক ভরে শ্বাস নিয়ে ওর শরীরে মধুর সুবাসে ভরিয়ে নেই নিজের বুক। চোখ বন্ধ করে মাথা পেছনে হেলিয়ে চুপ করে বসে থাকি আমি, হারিয়ে যাই এক অজনায়।
আমার ভাবনার জালে ছেদ পরে, আমার পেছন হতে কেউ ঘাড়ের দুপাশ দিয়ে হাত বাড়িয়ে আমায় জড়িয়ে ধরে। আমার স্বপ্ন নয়, আমার স্বপ্নের রাজকন্যে আমার পেছনে এসে দাঁড়ায়ে।
আমার ভাবনার জালে ছেদ পরে, আমার পেছন হতে কেউ ঘাড়ের দুপাশ দিয়ে হাত বাড়িয়ে আমায় জড়িয়ে ধরে। আমার স্বপ্ন নয়, আমার স্বপ্নের রাজকন্যে আমার পেছনে এসে দাঁড়ায়ে।
কানের কাছে ফিসফিস করে বলে “আমার কথা ভাবছিলে, সোনা?”
আমি মাথা পেছনে হেলিয়ে দেই, পরী আমার চুলে বিলি কেটে দেয় আর কপালে ছোটো করে চুমু খায়। আমি প্রেমঘনে স্বরে বলি “তোমার কথা ভাবছিলাম আমি।”
পরী মাথা নিচু করে, আমার গালে গাল ঠেকিয়ে আদর করে। গালের কোমল স্পর্শে মনে হয় যেন আমার গালে কেউ চন্দনের প্রলেপ লাগিয়ে দিয়েছে। আমার কানে ফিসফিস কর বলে “এই রাত যদি না শেষ হয়, তবে কেমন হত। তুমি আর আমি সারা রাত এইরকম ভাবে একে ওপর কে জড়িয়ে ধরে বসে থাকতাম।”
আমি ঘুরে বসে দুহাতে ওর পাতলা কোমর জড়িয়ে ধরি, পা ফাঁক করে ওকে টেনে নেই আমার কাছে।
সর্পিল নরম আঙ্গুল দিয়ে আমার মাথার চুলে বিলি কেটে বলে “তোমার নাম জপছে আমার বুক, শুনতে পাচ্ছ?”
“হুমমমম……” আমি আমার গাল চেপে ধরি ওর বুকের ওপরে।
গভীর স্বরে বলল আমায় “প্রত্যেক ধুকপুকে তোমার নামে আঁকা…”
আমি বুকের ওপরে গাল ঘষে জিজ্ঞেস করি “সব সময়ে কেন আমার শালটা জড়িয়ে থাকো তুমি?”
নিচু স্বরে বলে আমায় “তোমার শাল গায়ে থাকলে মনে হয় যেন তুমি আমায় সারাক্ষণ ধরে জড়িয়ে আছো। আমার ভেতরে এক অনাবিল শান্তিতে ভরে যায়, আমি নিশ্চিন্ত হয়ে থাকতে পারি। সেইজন্যে আমি সবসময়ে এটা জড়িয়ে থাকি।”
গলার দিকে তাকিয়ে দেখি, একটা মোটা সোনার হার ঝুলছে। দেখেই চিনতে পারলাম যে সোনার হার খানি আমার মায়ের। আমি তাও ওকে প্রশ্ন করি “এই হার কোথা থেকে পেয়েছ তুমি?”
অগাধ ভালবাসা নিয়ে আমার পানে তাকিয়ে বলে “ছোটো মা দিয়েছে আমাকে।”
তাহলে কি পরী আমার মাকে “ছোটমা” বলে ডাকতে শুরু করেছে? আমি ভেবে কুল পাইনা কি যে হচ্ছে, আমার জীবনের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ দুই নারীর মাঝে।
আবেশ মাখানো গলায় বলে “জড়িয়ে ধর আমায়, আমি কোথাও যেতে চাইনা। জীবনের প্রথম বার মনে হল কেউ আমার জন্য আছে, আমায় আমার মতন করে ভালবাসে।”
“এই রকম কেন বলছ, তোমার ফ্যামিলির সবাই তোমাকে ভালবাসে। তুমি বাড়ির সব থেকে ছোটো মেয়ে।”
“এই রকম কেন বলছ, তোমার ফ্যামিলির সবাই তোমাকে ভালবাসে। তুমি বাড়ির সব থেকে ছোটো মেয়ে।”
“আমাকে আর বোঝাতে চেষ্টা করো না, অভি। আমি সব জেনে গেছি, কে আপন কে পর।”
“আমি থাকবো চিরকাল তোমার জন্য।”
“আমি ভবিষ্যৎ দেখিনি, অভি। আমাকে ভুলিয় না প্লিস। আমাকে আমার মতন থাকতে দাও, বর্তমান নিয়ে।”
মাথা নিচু করে কপালে কপাল ঠেকায় পরী, আলতো করে নাকের ডগা দিয়ে আমার নাক ঘষে। চোখের কোনে জলের আভাস। আলতো করে আমার ঠোঁট দুটি নিজের ঠোঁটের মধ্যে চেপে ধরে, এই চুম্বন অতীব আবেগের, এতে কামনা বাসনার কোন আঘ্রাণ নাই, আছে শুধু চিরন্তন প্রেমের মধুর সুবাস। অনন্ত প্রেমের এক অনাবিল সুগন্ধে বুকের ভেতরটা ভরে ওঠে। ঠোঁটে ঠোঁট চেপে ধরে দাঁড়িয়ে থাকে অনেকক্ষণ, আমাদের চারপাশে সময় যেন থমকে দাঁড়িয়ে পরে। নিবিড় প্রেমের প্রগাড় আলঙ্গনে বদ্ধ দুই প্রাণী, যেন স্থানুবত নিশ্চল হয়ে যায়।(me,😭😭😭😭😭😭😭😭)
কতক্ষণ ঠিক ঠাহর পাইনা, কিছু পরে যেন আমরা সম্বিৎ ফিরে পাই। ঠোঁট ছেড়ে আমার কাঁধে মাথা গুঁজে দাঁড়িয়ে থাকে পরী। আমি পিঠে হাত বুলিয়ে অনুভব করি যে পরীর শরীরে মৃদু কম্পন জেগে উঠেছে, কাঁদছে।
আমি আসস্থ করার জন্য বলি “কাঁদে না, এই রকম করে। দেখো, কাল তুমি আমার সাথে আমাদের বাড়ি যাবে, সেখানে তোমার ছোটমা আর আমি তোমার সঙ্গে সব সময়ে থাকবো।”
মাথা উঠিয়ে আমার দিকে অশ্রু ভরা নয়নে তাকায়। আমি ওর মুখখানি দু’হাতে নিয়ে বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে গালের অশ্রু রেখা মুছিয়ে দেই। পরী অল্প হেসে বলে “আমি আরও কিছু দিন এখানে থাকবো। আমার মা আর মৈথিলী মিলে ছোটমা কে অনুরোধ করেছে যাতে আর কয়েক মাস আমি এখানে থাকি। আমি কাল তোমাদের সাথে যাচ্ছিনা।"
😞😞😞😞
😞😞😞😞
to be continue............🧐
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন