RM
মাথা থেকে পা পর্যন্ত হাঁ করে চেয়ে থাকি, অদ্ভুত সুন্দর দেখাচ্ছে ওকে। দামী তুঁতে রঙের লেহেঙ্গা চোলি পড়েছে, সারা শরীরে রূপলি সুতোর ভারী কাজ করা। হাসলে যেন মুক্ত ঝরে পড়ছে আর গালে টোল পড়ে হাসির মাধুর্য যেন দ্বিগুন হয়ে গেছে। কাজল কালো ডাগর নয়নে আমার দিকে তাকিয়ে হাসে আমার প্রণয়িনী। আমি ওর বিমুগ্ধ সৌন্দর্য দেখে উন্মাদ প্রায় হয়ে উঠি। বাকরুদ্ধ হয়ে যাই আমি।
একবার চক্কর খেয়ে আমায় জিজ্ঞেস করে “কেমন দেখাচ্ছে আমাকে?”
আমি ওর সৌন্দর্য বিবরণ করার ভাষা খুঁজে পাই না, হাঁ করে তাকিয়ে বলি “আমার হার্ট অ্যাটাক এসে যাবে যে।”
ফিসফিস করে জিজ্ঞেস করে “অরুনিমার চেয়ে ভালো দেখতে লাগছি?”
ওর টোল পরা গালে আঙ্গুল দিয়ে টোকা মেরে বলি “হুম, আমি কি কোথাও কোন কিছু জ্বলার গন্ধ পাচ্ছি?”
আমার দিকে আঙ্গুল উচিয়ে বলে “ভুলেও ভাববে না অন্য কারুর কথা।” আমি চট করে ওর আঙ্গুলে ঠোঁটের মধ্যে নিয়ে চুমু খেয়ে ফেলি।
মৃদু স্বরে চেঁচিয়ে ওঠে “বদমাশ ছেলে, সবাই দেখে ফেলবে যে।”
“সরি ম্যাডাম।”
“আমি একটু ছোটমার সাথে কথা বলব, আসবে আমার সাথে?”
আমার মা কাছেই দাঁড়িয়ে কয়েক জন আত্মীয়র সাথে কথা বলছিলেন। পরী দৌড়ে গিয়ে মাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে। মাকে দেখলাম পরীর কপালে আলতো করে একটা চুমু খেতে, আমি ওখান থেকে সরে পরি।
ইন্দ্রানি মাসি আমার কাছে এসে জিজ্ঞেস করলেন যে আমরা কখন বের হব। আমি উত্তর দিলাম যে আমি সঠিক জানিনা, মা বলতে পারবেন। মা আর পরীর দিকে একবার তাকিয়ে চোখের কোল মোছে মাসি।
“আজকে পরী কে সামলানো অনেক দুষ্কর হবে। আমি জানিনা তোরা চলে যাবার পড়ে কি হবে।” বলতে বলতে গলা ধরে আসে ইন্দ্রানি মাসির।
আমি ইন্দ্রানি মাসি কে নিয়ে একটা ঘরে ঢুকে পায়ের কাছে বসে ওনার দু’হাত নিজের হাতের মধ্যে নিয়ে বলি “তুমি না ওর বড়দি। তোমাকে কাঁদতে দেখলে ও আরও বেশি কেঁদে ফেলবে যে।”
দু’চোখের জল বাঁধ মানে না, ঝরে চলে অবিশ্রান্ত। কান্না ভেজান গলায় বলে ইন্দ্রানি মাসি “কোনদিন ভালো চোখে দেখিনি ওকে, চিরটা কাল শুধু বকে গেছি।”
আমি মাসি কে আসস্থ হবার জন্য বলি “চোখ মোছ, আমার জন্য অন্তত একবার হাসো। আজ তোমার ছোটো ভাইয়ের বউভাত।”
চোখ মুছে আমার কপালে ঠোঁট ঠেকিয়ে ধরা গলায় বলে “তুই সত্যি খুব ভালো ছেলে রে।”
ঠিক সেই সময়ে মেঘনা মামি ঘরের মধ্যে ঢুকে আমাদের দিকে তাকিয়ে চেঁচিয়ে বলে “কি হচ্ছে বাড়িতে, হ্যাঁ? ওদিকে উলুপিদি, শাশুড়ি মা, পরী তিন জনে কাঁদছে। এদিকে আবার তোমরা কান্না কাটি জুড়েছ। আমি সত্যি এবারে পাগল হয়ে যাবো। ঘর থেকে বের হও আর হ্যাঁ, ভুলেও যদি ওদিকের ঘরে ঢুকলে।”
আমি ইন্দ্রানিমাসি কে জানাই যে আমি পরীর খেয়াল রাখব। ঘর থেকে বেড়িয়ে দেখি, লোকজন খেতে বসতে শুরু করে দিয়েছে। রাত ক্রমে বেড়ে চলেছে। সময় যেন হাতের মুঠোর থেকে হুহু করে বেড়িয়ে যাচ্ছে। ঠিক যেন এক মুঠো বালি, যত চেপে ধরি তত বেড়িয়ে যায়।
উঠানে নেমে পরী কে দেখলাম বেশ হাসি খুশী, কিছু লোকের সাথে কথা বলছে। আমার খুশী হলাম ওর ঠোঁটে হাসি দেখে, যাক বাঁচা গেছে। আমাকে দেখে কাছে ডাকে, ওর দুই বান্ধবীর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় আমায়। দু’জনেই বিবাহিতা। আমি পরীকে জিজ্ঞেস করি যে ঠিক আছে কি না। আমার প্রশ্নের কোন উত্তর দেয় না।
আমি বললাম “বাবা মাকে এবারে খেতে ডাকা যাক।”
“এত তাড়াতাড়ি কেন, আমার সাথে খাবে না?” গলা একটু ধরে আসে ওর।
ঠিক সেই সময়ে, সুব্রত ডাক দেয় আমাদের, ফটো তলার জন্য।
ঠিক সেই সময়ে, সুব্রত ডাক দেয় আমাদের, ফটো তলার জন্য।
ফটো তোলার পরে আমি পরী কে জিজ্ঞেস করি, হাঁটবে একটু আমার সাথে?
হাঁটতে হাঁটতে বাড়ির পেছন দিকে যায় আমরা। নিস্তব্ধ অন্ধকার বাগানের মধ্যে দিয়ে হাঁটতে থাকি দু’জনে পাশা পাশি। আমাদের ঘিরে ঘন কালো রাত চারদিকে ছড়িয়ে। সুপ করে হাঁটতে থাকি আমরা, পরী আমার বাঁ হাত শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছে। হাঁটতে হাঁটতে, পুকুর পাড়ের শেষ প্রান্তে আমার পোঁতা সেই আমের গাছের কাছে চলে যাই। অনুজ্বল আকাশের আলোয় পরী যেন ঠিক স্বর্গ থেকে নেমে আসা অপ্সরার মতন সুন্দরী দেখায়।
হাঁটতে হাঁটতে বাড়ির পেছন দিকে যায় আমরা। নিস্তব্ধ অন্ধকার বাগানের মধ্যে দিয়ে হাঁটতে থাকি দু’জনে পাশা পাশি। আমাদের ঘিরে ঘন কালো রাত চারদিকে ছড়িয়ে। সুপ করে হাঁটতে থাকি আমরা, পরী আমার বাঁ হাত শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছে। হাঁটতে হাঁটতে, পুকুর পাড়ের শেষ প্রান্তে আমার পোঁতা সেই আমের গাছের কাছে চলে যাই। অনুজ্বল আকাশের আলোয় পরী যেন ঠিক স্বর্গ থেকে নেমে আসা অপ্সরার মতন সুন্দরী দেখায়।
কিছুক্ষণ পড়ে আমাকে জিজ্ঞেস করে “আজকেই তোমাকে চলে যেতে হবে?”
“হ্যাঁ।”
কান্না ভেজা কাতর স্বরে বলে “একটা রাত বেশি থাকতে পারনা, তুমি।”
“কালকে তুমি এই কথা আবার বলবে, সোনা।”
মাঝপথে দাঁড়িয়ে আমার দিকে মুখ করে আমাকে জড়িয়ে ধরে বুকে মাথা রাখে। গভীর আলঙ্গনে বদ্ধ করে নেই আমার প্রেয়সীর কোমল দেহ। বুক ভরে টেনে নেই প্রেয়সীর সুবাস।
আমার দিকে মাথা উঁচু করে বলে “এত দিন আমি কিছু জানতাম না। যে রকমি ছিলাম, ভালো ছিলাম। তুমি এলে আর……”
মুখের কথা ঠোঁটে থেকে যায়, চেপে ধরি ওর লাল অধর ওষ্ঠ নিজ অধরের মাঝে। প্রগার প্রেমের চুম্বনে বদ্ধ হয়ে যায় দু’জোড়া অধর। ধিরে ধিরে চোখ খোলে পরী, যেন পদ্ম পাপড়ি মেলে ধরেছে আমার সামনে। , কপালে চুমু খাই আমি। দুহাতে আমার গলা জড়িয়ে ধরে।
প্রগাড় আলিঙ্গনে বদ্ধ হয়ে বসে থাকি দু’জনে অনেকক্ষণ ধরে। প্রেমঘন আলিঙ্গনে ভাসিয়ে দেই আমাদের দুইপ্রান। শুধু মাত্র স্বাসের আওয়াজ ছাড়া কারুর মুখে কোন কথা নেই। জীবনের প্রথমবার আমার মনে হয় যে নিশ্চল নিস্তধতা কত মধুময় হতে পারে।
সময় যেন থমকে দাঁড়িয়ে পড়ে আমাদের চারপাশে। অনেকক্ষণ পড়ে আমার দিকে তাকিয়ে বলে “সোনা, এবারে আমাদের ফিরতে হবে। কেউ আমাদের খুঁজতে পারে।”
সময় যেন থমকে দাঁড়িয়ে পড়ে আমাদের চারপাশে। অনেকক্ষণ পড়ে আমার দিকে তাকিয়ে বলে “সোনা, এবারে আমাদের ফিরতে হবে। কেউ আমাদের খুঁজতে পারে।”
“হ্যাঁ কিন্তু আর একটু……”
“না সোনা আর নয়, এবারে ওঠ।” আমার দিকে মিষ্টি হেসে বলে।
বাড়ির দিকে ফিরে যাই আমরা, হাতে হাত ধরে। বাড়ি পৌঁছেই হাত ছেড়ে দেয় পরী, আমাকে বলে যে ওর বান্ধবীদের কাছে যাচ্ছে গল্প করতে।
সময় খুব দ্রুত অগ্রসর হয়ে চলেছে। বাবা খেতে যাওয়ার জন্য ডাক দিলেন। আমাদের খাবার জায়গা আলাদা করা হয়েছে, বাড়ির ভেতরে খাবার ঘরে। খাওয়ার সময়, ইন্দ্রানি মাসি আর চন্দ্রানি মাসি মায়ের কাছে এসে জিজ্ঞেস করল যে আর একটা দিন থাকা যায়না। মা হেসে বললেন যে আগামি কাল, বাবার অফিস আর আমার কলেজ, তাই ফিরে যেতে হবে।
খাওয়ার পরে উঠানে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে আমি আর বাবা। বাব জিজ্ঞেস করলেন কেমন কাটল আমার একি কটা দিন, আমি বললাম যে খুব আনন্দ করেছি।
বাবা আমাকে বললেন “তিন তলার ঘরে তুই শিফট হয়ে যাস। পরীর জন্য আমাদের বেডরুমের পাশের ঘর ছেড়ে দিস।” আমি মাথা নাড়িয়ে জানিয়ে দিলাম ঠিক আছে।
ধিরে ধিরে রাত বাড়ছে, বিয়েবাড়ির লোকজন কমে এসেছে ক্রমে ক্রমে। বাবা বললেন যে গাড়ি তৈরি আমাদের এবারে বাড়ি ফিরতে হবে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলাম যে রাত প্রায় এগারটা বাজে। বাবা আমাকে বললেন যে বাড়ির ভেতর থেকে সুটকেস এনে গাড়িতে উঠাতে। মন খুব খারাপ লাগছিল, অনেক কিছু পাওয়া অনেক কিছু ছেড়ে যাওয়া। মাথা নিচু করে জুতোর দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে, আমি ভেতরে ঢুকে যাই।
খাবার ঘরে সবাই চুপ করে বসে। দিদা মায়ের হাত দুটি নিজের হাতে নিয়ে চুপ করে বসে আছেন। ইন্দ্রানি মাসি, মেঘনা মামি আর সবার চোখে জল। আমি সুব্রতর দিকে তাকালাম, ও আমাদের সুটকেস নিচে নামিয়ে চাকর দিয়ে গাড়িতে উঠিয়ে দিয়েছে। মৈথিলী তার নতুন শাশুড়ির পাশে বসে পিঠে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে প্রবোধ দেবার জন্য। কারুর মুখে কোন কথা নেই। আমি চারদিক তাকিয়ে পরী কে খুঁজতে চেষ্টা করি, কোথাও দেখা নেই আমার প্রেয়সীর।
বাবা আমাকে বললেন “তিন তলার ঘরে তুই শিফট হয়ে যাস। পরীর জন্য আমাদের বেডরুমের পাশের ঘর ছেড়ে দিস।” আমি মাথা নাড়িয়ে জানিয়ে দিলাম ঠিক আছে।
ধিরে ধিরে রাত বাড়ছে, বিয়েবাড়ির লোকজন কমে এসেছে ক্রমে ক্রমে। বাবা বললেন যে গাড়ি তৈরি আমাদের এবারে বাড়ি ফিরতে হবে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলাম যে রাত প্রায় এগারটা বাজে। বাবা আমাকে বললেন যে বাড়ির ভেতর থেকে সুটকেস এনে গাড়িতে উঠাতে। মন খুব খারাপ লাগছিল, অনেক কিছু পাওয়া অনেক কিছু ছেড়ে যাওয়া। মাথা নিচু করে জুতোর দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে, আমি ভেতরে ঢুকে যাই।
খাবার ঘরে সবাই চুপ করে বসে। দিদা মায়ের হাত দুটি নিজের হাতে নিয়ে চুপ করে বসে আছেন। ইন্দ্রানি মাসি, মেঘনা মামি আর সবার চোখে জল। আমি সুব্রতর দিকে তাকালাম, ও আমাদের সুটকেস নিচে নামিয়ে চাকর দিয়ে গাড়িতে উঠিয়ে দিয়েছে। মৈথিলী তার নতুন শাশুড়ির পাশে বসে পিঠে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে প্রবোধ দেবার জন্য। কারুর মুখে কোন কথা নেই। আমি চারদিক তাকিয়ে পরী কে খুঁজতে চেষ্টা করি, কোথাও দেখা নেই আমার প্রেয়সীর।
ঠিক সেই সময়ে চন্দ্রানি মাসি হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এসে আমাকে জানালেন যে পরী নিজের ঘরে দরজা বন্দ করে দিয়েছে, খুলছেনা।
দিদা মাকে অনুরোধ জানালেন আর একটা রাত থেকে যেতে। মা জানালেন যে যদি আগামি কাল যায়, তাহলে আগামি কাল রাতে ও এই কান্না কাটি শুরু হবে।
চন্দ্রানি মাসি মায়ের কাছে গিয়ে বলল যে, পরী ঘরের দরজা বন্দ করে নিজেকে আটকে দিয়েছে, দরজা খুলছে না। ইন্দ্রানি মাসি কে নিয়ে মা দৌড়ে গেলেন পরীর ঘরের দিকে, পেছন পেছন আমি আর সুব্রত। দুজনে দরজা ধাক্কাতে শুরু করে, কিন্তু ভেতর থেকে কোন আওউয়াজ আসে না। মা আমার দিকে ভয়ে ভয়ে তাকিয়ে দেখে।
চন্দ্রানি মাসি মায়ের কাছে গিয়ে বলল যে, পরী ঘরের দরজা বন্দ করে নিজেকে আটকে দিয়েছে, দরজা খুলছে না। ইন্দ্রানি মাসি কে নিয়ে মা দৌড়ে গেলেন পরীর ঘরের দিকে, পেছন পেছন আমি আর সুব্রত। দুজনে দরজা ধাক্কাতে শুরু করে, কিন্তু ভেতর থেকে কোন আওউয়াজ আসে না। মা আমার দিকে ভয়ে ভয়ে তাকিয়ে দেখে।
মা বলেন “পরী, সোনা মা আমার দরজা খোল।”
কোন আওয়াজ নেই ভেতর থেকে। দিদা দৌড়ে আসেন পেছন পেছন। দিদাও দরজা ধাক্কা দিয়ে প্রায় কেঁদে ওঠেন “সোনা মা আমার দরজা খোল।”
দরজার ওপাশ থেকে কোন আওয়াজ আসেনা। আমি আর সুব্রত মুখ চাওয়া চাওয়ি করি, প্রমাদ গুনতে শুরু করি, কিছু অঘটন না ঘটিয়ে ফেলে মেয়েটা। সুব্রত ছাদের দিকে দৌড়ে যায়, পেছনে আমি। ছাদে উঠে আমাকে জিজ্ঞেস করে যে, কার্নিশে নেমে ওর ঘরের জানালা দিয়ে ওর ঘরে ঢুকতে পারবো কিনা। আমি বললাম সব পারবো। আমার ভেতরটা তখন উন্মাদ হয়ে উঠেছিল, পরীর জন্য সব কিছু করতে রাজী আমি। ওর কিছু হয়ে গেলে, নিজেকে ক্ষমা করতে পারবো না আমি। দু’জনে ছাদের কার্নিশ দিয়ে নেমে, জানালা দিয়ে ঘরে ঢুকলাম। ঘরে ঢুকে, বিছানার ওপরে তাকিয়ে আমরা হতভম্ব হয়ে যাই। বিছানার ওপরে লুটিয়ে পরী, অনড় অচল। আমরা ভয়ে মুখ চাওয়া চাওয়ি করি, কি হল মেয়েটার। পরী অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে। সুব্রত দৌড়ে গিয়ে দরজা খোলে। আমি পাশে বসে ওর মাথা আমার কোলে তুলে নিলাম, গালে থাপ্পর মেরে ওকে জাগানর চেষ্টা করি। চোখ খোলে না পরী। সবাই ছুটে এসে আমাদের ঘিরে দাঁড়িয়ে। দিদা আর মায়ের কান্না জুরে যায়। ভিড়ের মধ্যে থেকে কেউ একজন এক গ্লাস জল ধরায় আমাকে। আমি ওর মুখে চোখে জলের ছিটা মারতে, চোখ খোলে পরী।
চোখ খুলতেই মা ওর মাথা কোলে নিয়ে কাঁদতে শুরু করে, বলে “পাগলী মেয়ে, আর কোনদিন আমার মুখের সামনে দরজা বন্দ করবি না।”
নিচু স্বরে বলে “আর একটা দিন থেকে যাও।”
“সোনা মা আমার, তুই বড় হয়ে গেছিস, তুই সব বুঝিস তো। একটু হাস মা আমার।”
আমি সুব্রতর দিকে তাকিয়ে বললাম, হয়েছে অনেক, বাইরে চলো। আবার একবার কান্নার রোলে বাড়িটা কেঁদে ওঠে। নিচে নেমে দেখি, মৈথিলী চুপ করে বসে আছে ওর কিছু আত্মীয় সজ্জনের সাথে। কিছু পরে সবাই আমাদের বিদায় জানাতে উঠানে আসে। পরী তখন পর্যন্ত মাকে আঁকড়ে ধরে।
আমি সুব্রতর দিকে তাকিয়ে বললাম, হয়েছে অনেক, বাইরে চলো। আবার একবার কান্নার রোলে বাড়িটা কেঁদে ওঠে। নিচে নেমে দেখি, মৈথিলী চুপ করে বসে আছে ওর কিছু আত্মীয় সজ্জনের সাথে। কিছু পরে সবাই আমাদের বিদায় জানাতে উঠানে আসে। পরী তখন পর্যন্ত মাকে আঁকড়ে ধরে।
মৈথিলী আমার দিকে উঠে এলো, আমি সুব্রত আর মৈথিলী কে জড়িয়ে ধরে বললাম “হুম, চূর্ণীকে ভালো ভাবে রাখবে আর এঞ্জয় কর হানিমুন।” কথা শুনে দু’জনে হেসে ফেলে।
অশ্রু ভরা নয়নে বিদায়। সবার চোখে জল, মা কাঁদছেন, দিদার চোখে জল। মাকে দেখে মনে হল যেন মায়ের হৃদয়টা কেউ খুবলে নিয়েছে। বাবা মাকে ধরে গাড়িতে উঠায়।
আমি নিচু হয়ে দিদার পা ছুঁয়ে প্রনাম করি, তারপরে নিচু হয়ে ইন্দ্রানি মাসির পা ছুঁতে যাই। মাসি আমার কপালে চুমু খেয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলে। আমি পরীর দিকে তাকাই, আমার দু’চোখ জ্বালা করে ওঠে, জল ফেলতে গিয়েও ফেলতে পারিনা আমি, পুরুষ মানুষ যে, সেটাই তো সব থেকে বড় বিড়ম্বনা। পরী আমার দিকে অশ্রু ভরা নয়নে তাকিয়ে, চোখ দুটি জবা ফুলের মতন লাল। মৈথিলী ওকে জড়িয়ে ধরে দাঁড়িয়ে আছে।
আমি নিচু হয়ে দিদার পা ছুঁয়ে প্রনাম করি, তারপরে নিচু হয়ে ইন্দ্রানি মাসির পা ছুঁতে যাই। মাসি আমার কপালে চুমু খেয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলে। আমি পরীর দিকে তাকাই, আমার দু’চোখ জ্বালা করে ওঠে, জল ফেলতে গিয়েও ফেলতে পারিনা আমি, পুরুষ মানুষ যে, সেটাই তো সব থেকে বড় বিড়ম্বনা। পরী আমার দিকে অশ্রু ভরা নয়নে তাকিয়ে, চোখ দুটি জবা ফুলের মতন লাল। মৈথিলী ওকে জড়িয়ে ধরে দাঁড়িয়ে আছে।
আমি শেষ বারের মতন সবার দিকে তাকিয়ে গাড়িতে উঠে পরি।
কনকনে ঠাণ্ডার রাত। নিশুতি রাতে স্তব্ধতা ভেঙে আমাদের গাড়ি স্টার্ট নেয়। সামনের সিটে বসে আমি, গাড়ির মধ্যে এক অদ্ভুত ঠাণ্ডা নিস্তব্ধতায় ভরা। কারুর মুখে কোন কথা নেই। আঁধার রাতের কালো পর্দা কেটে গাড়ি এগিয়ে চলে আমাদের গন্তব্য স্থলের দিকে। চোখ বন্ধ করে চুপ করে বসে থাকি আমি। আমার বন্ধ চোখের সামনে ভেসে ওঠে, পরীর ডাগর কালো জলে ভরা চোখ দুটি। লাল ঠোঁট দুটি কেঁপে ওঠে, যেন আমাকে বলতে চায় যে, প্রত্যেক হৃদয় কম্পনের সাথে আমার অনুপস্থিতি ওকে তাড়িয়ে বেড়াবে। আমার ভেতরটা পরীর চোখের জলে ভিজে যায়।
কনকনে ঠাণ্ডার রাত। নিশুতি রাতে স্তব্ধতা ভেঙে আমাদের গাড়ি স্টার্ট নেয়। সামনের সিটে বসে আমি, গাড়ির মধ্যে এক অদ্ভুত ঠাণ্ডা নিস্তব্ধতায় ভরা। কারুর মুখে কোন কথা নেই। আঁধার রাতের কালো পর্দা কেটে গাড়ি এগিয়ে চলে আমাদের গন্তব্য স্থলের দিকে। চোখ বন্ধ করে চুপ করে বসে থাকি আমি। আমার বন্ধ চোখের সামনে ভেসে ওঠে, পরীর ডাগর কালো জলে ভরা চোখ দুটি। লাল ঠোঁট দুটি কেঁপে ওঠে, যেন আমাকে বলতে চায় যে, প্রত্যেক হৃদয় কম্পনের সাথে আমার অনুপস্থিতি ওকে তাড়িয়ে বেড়াবে। আমার ভেতরটা পরীর চোখের জলে ভিজে যায়।
to be continue.............🧐
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন