সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

চলে যাবে কোথায় তুমি!



আদিবের বিয়ে হল কিছুদিন আগে। বিয়েটা পারিবারিক ভাবেই হয়েছে। পরিবারের কোন চাপ ছাড়াই আদিব ও কনা বিয়েতে রাজি হয়েছিল।

..........

কনার মন ভয়ানক খারাপ। হঠাত্‍ করে খারাপ হয় নি। প্রতিদিন একটু একটু করে খারাপ হয়েছে। কিন্তু প্রতিদিনের মন খারাপগুলোকে সে মুছে ফেলতে পারে নি। তাই সেই ছোট ছোট মন খারাপগুলো একত্রিত হয়ে এক বিশাল মন খারাপের তৈরি করেছে।

তারপরও সে স্বাভাবিকভাবে চলার চেষ্টা করে। নতুন বউ সে... তার আচার ব্যবহার সবাই লক্ষ্য করবে... একথাটা কনা বুঝে। তাই সে তার মন খারাপটা কাউকে বুঝতে দেয় না। লুকিয়ে রাখে।

একজন হয়তো বুঝতে পারে। সে আদিব। এই আদিবের জন্যই কনার মন খারাপ। বিয়ের ১৫ দিন হলো অথচ আদিব কনার সাথে তেমন কথাই বলে না...

এ বিষয়টা কনাকে প্রতি মুহুর্তেই কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে। সংসার নিয়ে কতই না স্বপ্ন দেখত সে.... ছোটবেলায় যখন সে পুতুলের বিয়ে দিত তখনই এই স্বপ্নের বীজ রোপণ করে সে। এই স্বপ্নটাকে পরিচর্যা করতে গিয়ে বান্ধবীদের মত আর প্রেম করা হয়ে উঠেনি কনার। কিন্তু এত যত্নে পালিত হওয়া স্বপ্নটার সাথে কিছুই যে মিলছেনা.....

সে এখন প্রায়ই একটা কথা চিন্তা করে। আদিব কি তাহলে এ বিয়ে মেনে নিতে পারে নি? তার পছন্দ কি অন্য কেউ ছিল? কনাকে কি আদিবের পছন্দ হয় নি? এই প্রশ্নগুলো প্রতিক্ষণেই কনার মনে তীরের মত বিঁধছে। তার হৃদয় নামের বস্তুটা থেকে যে পরিমাণ রক্ত ক্ষরিত হচ্ছে ঠিক একই পরিমাণ নোনতা পানি বের হচ্ছে তার চোখ থেকে। কিন্তু সেই রক্তক্ষরণ ও চোখের পানির খবর কাউকেই পেতে দেয় না সে....

...................

আদিব একটা নামীদামী ব্যাংকে উচ্চপদে চাকরি করে। রেজাল্ট ভালো হওয়ায় খুব কম সময়েই চাকরিটা পায় সে। আর চাকরি পাওয়ার পরপরই বাড়ি থেকে বিয়ের চাপ দিতে থাকে। প্রথমে না বললেও পরে আর পরিবারের সাথে জেদাজেদি করে না আদিব। ..... বিয়ে ও বউ এই দুটো নিয়ে ফিলিংসের শেষ নেই আদিবের। কলেজ লাইফ থেকেই সে বন্ধুদের প্রেম নিয়ে ফিলিংস দেখে আসছে। তাদের প্রেম ও প্রেমঘটিত বিষয়গুলো খুব কাছে থেকে লক্ষ্য করেছে আদিব। এগুলো দেখে তারও প্রেম করতে ইচ্ছে করত। কিন্তু কেউ তার মনে তখন প্রেমধনুর একটি রংয়ের ছাপও ফেলতে পারে নি। তাছাড়া পড়াশুনা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় ছাত্রজীবনে আর প্রেম করা হয়ে ওঠেনা আদিবের। তবে প্রেম না করেও প্রেমানুভূতিগুলো সে বুঝতে পারত। নিজের মনের রং দিয়ে সে তার মনের দেয়ালে একটি অবয়ব আঁকত। যে অবয়বটি সে কখনো দেখেনি। অবয়বটি মনের দেয়ালে থাকলেও সে এটিকে ছুঁতে পারত। প্রতিদিন ভিন্ন ভিন্ন রংয়ে রাঙাত। ............. আদিব আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করে সেই অবয়বের সাথে কনার কি আশ্চর্য মিল। কনার মুখখানার প্রতিচ্ছবি নদীর স্বচ্ছ্ব পানির ঢেউয়ের মধ্যে যেমন দেখাবে অবয়বটি যেন ঠিক সেরকমই ছিল। নিজের কল্পনার চেহারাটির মানুষটিকে এত কাছে পেয়েও আদিব কথা বলত না। আদিব মনের দিক থেকে বেশ স্মার্ট ছেলে। সে মেয়েদের সাথে কথা বলতে পারত না, এমন নয়। তারপরও সে কনার সাথে কথা বলে না.....

বাইরে অবশ্য মানুষকে দেখানোর জন্য ওরা দুজনই ভালোই অভিনয় করে। এই অভিনয়টুকুতেই কনা যা একটু কাছে পায় আদিবকে। অভিনয়টা শেষ হয়ে গেলেই তার মন খারাপের পাহাড়টা বড় হতে থাকে।

এই অভিনয়ের বাইরে যখন কনা আদিবের সামনে থাকে তখন সে ভয়ে, আতংকে রীতিমত কাঁপতো। এসবের কোন কিছুই এড়াত না আদিবের চোখকে। কিন্তু তারপরও সে কথা বলত না......

........................

একদিনের ঘটনা..... আদিব সেদিন বেশ আগেই অফিস থেকে বাসায় ফিরল। ফিরে দেখল কনা লুকিয়ে লুকিয়ে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে। আদিব কর্কশ গলায় ডাকল, "কনা...." কনা চমকে উঠে ঘুরে দেখে আদিব দাড়িয়ে আছে। সেই মুহুর্তে কনার চেহারা ভয়ে, আতংকে, লজ্জায়, আকস্মিয়তায় যে রূপ ধারণ করল তা আদিবের মনের সেই দেয়ালে গিয়ে ঘা মারল। আদিবের কলিজার কাছ দিয়ে মৃদু একটা বাতাস বয়ে গেল। কলিজায় এরকম বাতাস লাগলে মানুষ নরম হয়ে যায়। কিন্তু আদিব হল না। সে আগের মতই দাড়িয়ে আছে। কিন্তু কনা আর সেখানে দাড়িয়ে থাকতে পারল না। সে চোখের পানি আড়াল করতে দ্রুত পদে সরে পড়ল।

কনা আদিবকে প্রচণ্ড ভয় পায়, সেই সাথে প্রচণ্ড ভালবাসে এবং শ্রদ্ধাও করে।

.....................

সেদিন বিকেলে আদিবকে চা দিয়ে গেল ওর মা রাহেলা বেগম। আদিব চা শেষ করে বলল, "আম্মা আজকের চা'টা কিন্তু অসাধারণ বানিয়েছো"। মা বলল, "আমি কি এখনও চা বানাইরে.... চা তো বানিয়েছে তোর বউ।" আদিব শুধু আস্তে করে বলল, "ও...আচ্ছা "

এই "ও আচ্ছা" টাইপের শব্দগুলো শুনেই আদিবের প্রেমে পড়ে কনা। পরম আরাধ্য মানুষটির কাছ থেকে যখন খুব সামান্য পরিমাণ প্রশংসা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পাওয়া যায়, তখন সেই সামান্য প্রশংসাই ব্যাপক ভালবাসার যোগান দেয়। কনার ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হয় না।

..............

আরও একদিনের ঘটনা...... কনা কাঁদতে গিয়ে ধরা পড়ে যায় আদিবের কাছে। আদিব জানে, কনা কেন কাঁদছে। আজও আদিব দাঁড় হয় কনার সামনে। তবে আজ আর তেমন কঠিনভাবে দাঁড়াতে পারল না... সে আজ অনেক নার্ভাস... তার পা আজ কাঁপছে... কিন্তু এসবের কিছুই দেখতে পেল না কনা। সে চোখের পানি মুছে সেদিনের মত সরে পড়তে চাইল।

কিন্তু আদিব কনাকে যেতে দিল না। তার হাতটি ধরে অন্য পাশে মুখ করে আছে আদিব। বিস্ময়ে শিহরিত হয়ে উঠল কনা.... আদিব কনা দুজনই কাঁপছে...

...আদিব অনেক কষ্টে বলা শুরু করল। "কনা... , না জানি তুমি কত কষ্ট পেয়েছ এই এক মাস। তুমি হয়তো ভেবেছিলে আমি তোমাকে মেনে নিতে পারিনি। কিন্তু বিশ্বাস কর তুমিই আমার একমাত্র কল্পনা চারিণী। সেই কলেজ জীবন থেকেই আমি তোমাকে কল্পনা করে আসছি..." এটুকু বলার পর একটু থামে আদিব। আর কনা বিস্ময়ে, ভয়ে শুধু ঠকঠক করে কাঁপছে। চারদিকে কি ঘটছে সে কিছুই জানেনা। সে কার সামনে দাড়িয়ে আছে সেটা সে জানে কিন্তু ভাবতে পারছে না। সে পাথরের মত দাড়িয়ে শুধু কথাগুলো শুনছে....

"আমি আসলে এই একমাস মিলিয়ে দেখছিলাম। তুমিই আমার সেই কল্পনার মানুষ কিনা। কিন্তু কি জান, তুমি আমার কল্পনার মানুষটির চেয়ে একটু ব্যতিক্রম।" এটা শুনে কনার চোখগুলো বড় হয়ে উঠল। তার হৃদয়ে যেন আরেকটা বিষে মাখা তীর ঢুকল। 'ব্যতিক্রম' শব্দটা তাকে অনেক ভয় পাইয়ে দিল....

আদিব আবারো কথা বলা শুরু করে। কিন্তু তার এতদিনের জমানো সব কথাগুলো একসাথে বেরিয়ে আসতে চাইছে। ফলে তার মুখে একটা বড় ধরনের "কথাজ্যাম" লেগে গেল। এক বোতল মার্বেলকে একসাথে বোতলের মুখ দিয়ে বের করতে চাইলে যেমন একটি মার্বেলও বের হয়না তেমনি অবস্থা এখন আদিবের। কিন্তু তারপরও সে অনেক কষ্টে আবার বলা শুরু করল.... "তুমি আমার কল্পনার মানুষের চেয়ে একটু ব্যতিক্রম। কারণ আমার কল্পনার মানুষটা অপূর্ণ ছিল। আমি তাকে পুরোপুরি সাজাতে পারিনি। কিন্তু তোমাকে দেখার পর আমি ঐ মানুষটিকে আর সাজাতে যাইনি। সাজাবো কি করে। সে তো নিজেই আমার সামনে সেজে আছে...."

কনা এখন পুরো গুমোট অবস্থায় আছে। তার চোখমুখ ১০ নম্বর মহাসুখ সংকেত ঘোষণা দিচ্ছে। মনের মধ্যে ঝড় শুরু হয়েছে। ঝড়টা একটু কমলেই চোখ দিয়ে বৃষ্টি পড়া শুরু করবে...

আদিব আর কিছু বলতে পারছেনা। মুখে একরাশ জড়তা নিয়ে সে কনাকে বলল, "আই লাভ ইউ"
নিজের বিয়ে করা বউকে কেউ এত জড়তা নিয়ে 'আই লাভ ইউ' বলেছিল কিনা তা আদিব জানে না...

আদিবের এই তিন শব্দবিশিষ্ট বাক্যটা কনার মনে বিদ্যুতের ঝলক হিসেবে কাজ করে। সাথে সাথেই শুরু হয়ে যায় অশ্রুবৃষ্টি। ছোট বাচ্চার মত কাঁদতে কাঁদতে সে আদিবকে ঘুষি মারতে শুরু করল। আদিব পুরা হতভম্ব হয়ে গেল। আবেগে মানুষের আচরণের পরিবর্তন ঘটে তা আদিব জানে। কিন্তু তাই বলে এতটা...! যে মানুষটা তাকে দেখলে ভয়ে কাঁপত সেই মানুষটাই এখন তাকে ঘুষি মারছে...! এটা নিয়ে গবেষণার সময় কনা আদিবকে দিল না। কনা কাঁদতে কাঁদতে আদিবের বুকে মাথা রেখে বলল, "এত দেরি করলে কেন...? আমি যদি চলে যেতাম... কি হত তাহলে... ?" আদিব কনাকে শক্তভাবে জড়িয়ে ধরে বলল, "তুমি যেতে পারতেনা তা আমি ভালভাবেই জানি। আমি এও জানতাম তুমি আমাকে ভালবাসো। আর তারপরও যদি ভালোবাসার অধিকারে অভিমান করে চলে যেতে, তাহলে আমিও তোমার মান ভাঙাতাম, তোমাকে এমনি করে কষ্ট দেয়ার পর নিজের ভালবাসার সমস্ত সত্ত্বা দিয়ে চমকে দিতাম। আর তুমি এমনি করে আমার বুকে মাথা রেখে কাঁদতে। কোথায় চলে যাবে তুমি... তোমাকে তো আমি সেই কবে থেকেই বেঁধে রেখেছি। এ বাঁধন ছেড়ার ক্ষমতা তোমার নেই। এ বাঁধন গড়তে যে স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা আমাকে সাহায্য করেছেন। কোথায় চলে যাবে তুমি...... তুমি যে আমার স্বপ্নচারিণী... তুমি যে আমার বউ..."।

......রাত গভীর হচ্ছে। আর এভাবেই ওদের কথোপকথন এগিয়ে চলছে.... এক মাসের জমানো কথোপকথন এক রাতেই শেষ করতে চাচ্ছে ওরা.....

....রাত শেষ হয়ে যায়, দিন চলে যায়, ক্যালেণ্ডারের পাতা বদলাতে থাকে, নতুন বছরের ক্যালেণ্ডার স্থান পায় ওদের ঘরে। কিন্তু তাদের কথা শেষ হয় না। আরো নতুন করে জমা হতে শুরু করে।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

নিষিদ্ধ ভালোবাসা(পর্ব ০৯)

RM ,,পূর্ববর্তী পার্ট গুলি পেতে অমার টাইমলাইন  ভিজিট করুন,, কতক্ষণ ঘুমিয়ে ছিলাম সেটা মনে নেই। চোখ খোলে যখন মাথার পেছনে সজোরে এক থাপ্পর খাই। ঘুম ঘুম চোখে চারদিকে তাকিয়ে দেখি যে কে আমাকে চড়টা মারল। আমি দেখলাম যে আমি উঠানের মাটিতে পড়ে আছি, পায়ের কাছে মাটিতে সুব্রত পড়ে আছে। আমি ওপর দিকে তাকিয়ে দেখতে চেষ্টা করি যে কে আমাকে চড়টা মারল, আমি অবাক হয়ে দেখি যে ইন্দ্রানি মাসি আমাদের দিকে কটমট করে তাকিয়ে আছে। আমার দিকে তাকিয়ে চেঁচিয়ে বলে ওঠেন “শুয়োর গুলো এখানে শুয়ে? আর আমারা তোদের দু’জনকে সারা বাড়িতে হন্যে হয়ে খুঁজছি। তোদের কি কোন বোধ বুদ্ধি নেই?” আমি সুব্রতর কাঁধ ঝাঁকিয়ে উঠিয়ে দিলাম, সুব্রত আর আমি দুজনেই উঠে পড়লাম মাটি থেকে। আমি কাতর চোখে ইন্দ্রানি মাসির দিকে চেয়ে বললাম “সরি মাসি। ভুল হয়ে গেছে, কাল রাতে একটু বেশি হয়ে গেছিল।” চেয়ারের ওপরে মদের বোতল আর গ্লাসের দিকে ইন্দ্রানি মাসির চোখ পড়ে যায়, তাড়াতাড়ি করে চেয়ারের ওপরে নিজের শাল ফেলে দিয়ে ঢেকে দেয় গ্লাস আর বোতল। ঠিক সেই সময়ে পেছন থেকে অনেক গুলো পায়ের আওয়াজ পাই। মাসি সবাই কে বলে “এই ছেলে দুটো সারা রাত...

নিষিদ্ধ ভালোবাসা(শেষ পর্ব)

RM কিছুদূর যেতেই  একটি জায়গায় গাড়ি দাঁড় করায় বল্বিন্দার, বলল যে গাড়িতে তেল ভরতে হবে। গাড়ি থামার সঙ্গে সঙ্গে পরীর ঘুম ভেঙে যায়, আমার দিকে তাকিয়ে বলে “কতক্ষণ ঘুমিয়েছি আমি?” আমি বললাম “বেশীক্ষণ ঘুময়নি তুমি” “আমরা থামলাম কেন?” “তেল ভরার জন্য।” “আর কত দেরি পৌঁছতে?” আমি পেট্রল পাম্পের লোকটাকে জিজ্ঞেস করলাম যে জিওরি থেকে চিতকুল কতক্ষণ লাগবে পৌঁছতে। লোকটা আমায় জানাল যে আরও ঘন্টা চারেকের রস্তা বাকি। লোকটা আরও জানাল যে কারছাম ব্রিজের পরে রাস্তা খুব খারাপ। বল্বিন্দার আমাকে বলল যে ও রাস্তা জানে, কোন চিন্তা করতে বারণ করল আমাকে। পরী হিন্দি বিশেষ ভালো করে বোঝেনা তাই আমাকে জিজ্ঞেস করে যে বল্বিন্দার কি বলল। আমি রাস্তার কথাটা চেপে গেলাম, জানালাম যে কোন কিছুর জন্য চিন্তা না করতে। ঘড়ির দিকে তাকালাম, আড়াইটে বাজে তখন, তারমানে চিতকুল পৌঁছতে সন্ধ্যে হয়ে যাবে। একে শীতকাল তায় আবার পাহাড়, এখানে রাত সমতলের চেয়ে একটু তাড়াতাড়ি নামে। জিওরি ছাড়ার কিছু পরেই পরী বলল যে ও আর ঘুমোতে চায় না, বাইরের দৃশ্য দেখবে। আমি বললাম ঠিক আছে। কিছু পরেই সূর্য পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়ে। যখন আ...

"এক অপরিচিতা"(পর্ব: ছয়)

লেখক:আসিফ ইকবাল! "আগের পর্ব গুলো আমার টাইমলাইনে বিদ্যমান" পঞ্চম পর্বের পর থেকে..... ___আরে বাহ, আপনি নিজের বউ কেই চিনতে পারছেন না!       এবার তো বলবেন গতকাল আপনি আমাকে বিয়েই করেন              নি। হম,সেটাও বলে ফেলেন না! দেরি কেনো? ওর এতগুলি কথার পর বুঝতে পারলাম,এটাই আমার অপরিচিতা,কিন্তু ও আজকে নিকাব পড়েনি। হিজাব পড়েছে। তাই চিনতে পারিনি। মুখ দিয়ে কিছু বের হচ্ছেনা। শুধু ওর দিকে তাকিয়ে আছি। আমার বউটা অনেক কিউট। সকাল বেলা যে আমার জন্য এরকম একটা সারপ্রাইজ আছে সেটা ভাবিনি!      ____কি!আপনি কি এভাবেই তাইকে থাকবেন? নাকি উঠেবেন। জলদি উঠে ফ্রেশ হোন।(তাফা) ____তুমি আজকে নিকাব পরোনি যে! ____আপনি তো আমার বর!আপনার সামনে নিকাব পড়তে হবে কেনো?(তাফা) বলে.....একটা হাসি দিয়ে চলে গেলো। এই প্রথম ওর হাসি দেখলাম। আর সেটা আমাকে রীতিমতো পাগল করে দিয়েছে। আর দেরি করলাম না। জলদি বিছানা ছেড়ে ফ্রেশ হতে চললাম। তাফা,,, তাফা! কই তুমি?........ "এইতো কিচেনে,কি হোয়েছে..... তাফা কিচ...