সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

একটি ভেজা সপ্ন

সজিব ভাইয়া একটু শুনে যাবেন? রীমতি, কাচুমাচু হয়ে গ্রুপ আড্ডা থেকে ডাক দিল সজিবকে। -হুম বল রীমতি। -ভাইয়া সাগর কোথায়? ওকে কিছুদিন হলো ক্যাম্পাসে দেখছিনা যে? -আজ হঠাৎ ঐ ননসেন্স এর কথা তোমার মনে হল যে? ভাইয়া সেদিনের ব্যাপারে সত্যি-ই আমি দুঃখিত… -ও আছে ভালোই আছে! কিছু বলতে হবে? -ওকে সরি বলবেন প্লিজ… -হুম বলব, আর কিছু? -আর…না আর কিছু না। কথা শেষে রীমতি ওর ডিপার্টমেন্টে চলে গেল। গত ৫দিন ধরে রীমতি সাগরের জন্যে অপেক্ষা করছে অথচ সাগরের দেখা মিলছেই না ।রীমতির কেন জানি মনে হচ্ছে ,যেন রীমতির আকাশটা মেঘে ঢাকা আর  সাগর সেই আলোক ছটা, সত্যিকারের দিনের সূর্য কিন্তু সেই সূর্যের দেখা কেবল সাগরকে পেলেই আসবে।রীমতি কি তাহলে সাগরের মায়াজালে পরেই গেল? কিন্তু কেন! কিছুদিন আগেও তো সাগরের নামটা শুনলে রীমতির মাথা ভন ভন করত রাগে! মাথার রগ ফুলে যেত তবে ৫ দিন আগের সন্ধ্যাটা সব উলট পালট করে দিল। এখন শুধু সাগর আর সাগর এই নামটাই মাথার চারপাশে ঘুর ঘুর করছে। ৫ দিন আগের দিনটা এমন ছিল.… বিকেলে ভার্সিটির ক্যান্টিনে  রীমতি আর তার বান্ধবীরা বসে আড্ডা দিচ্ছিল। হঠাৎ সাগর এসে হাজির, মনে হচ্ছে দৌড়াতে দ...

মুখোমুখি দুজনে

 বনানীতে আমরা আছি প্রায় পাঁচ বছর। এই যান্ত্রিক নগরীর, যান্ত্রিক জীবনে প্রতিবেশী বলতে আমি শুধু বুঝি আমাদের পাশের বাসা। এছাড়া নিজেদের বা মুখোমুখি দাঁড়িয়ে থাকা বিল্ডিং এর অনেকের চেহারা চিনলেও জানাশোনা নেই কার সাথে। আমার রুমটা এবং তাঁর একটি মাত্র জানালা ঐ বিল্ডিংটার দিকে। দু'বিল্ডিং এর মাঝখানে বিশ ফুট চওড়া রাস্তা ও রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা গাছপালা ভেদ করে ২ বছর ধরেই মনে হয় মুখোমুখি বাসার কেউ আমার উপর নজর রাখছে। কিন্তু আমার ভাইয়ের মন্তব্য এই ডালপালার মধ্য দিয়ে দেখা অসম্ভব, তাছাড়া আমদের বাসা থেকেও ঐ বাসা দেখা যায় না। ভাইয়ার কথা আমি অন্ধভাবে বিশ্বাস করি। তবু মনের মধ্যে কোন কল্পিত দৃষ্টি জোড়া যেন রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটাতে থাকে। এখন আর আমি কাউকে বিদায় দেয়ার জন্য ছাড়া জানালায় দাঁড়াই না, সন্ধ্যা হলেই পর্দা টেনে দেই। ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে সবে ভর্তি হয়েছি, রুটিন মাফিকই আমাদের প্রায় সকল ক্লাস হয়। ০২ ফেব্রুয়ারি আমার জন্মদিন ছিল। ক্লাস শেষে ফিরে দেখলাম একটা ছেলে কিছু লাল গোলাপ হাতে আমাদের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে আছে, সাথে একটি কাগজের ব্যাগ। ছেলেটির চেহারা আমার খুবই পরিচ...

জুলেখার কান্না

 জুলেখা কাঁদিতেছে । রাত নয়টা, কর্মচঞ্চল এই শহরে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সময় । আর আকাশে গোল থালার মতো একটি বিশাল স্বচ্ছ চাঁদ এই গুরুত্বটাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে উঠতি স...

খোলা জানালা

  রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা এক পাগলের যন্ত্রনায় মেয়েদের হোষ্টেলটিকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হল কর্তৃপক্ষ। ২৪ ঘন্টা একঝুড়ি বেলীফুল নিয়ে রাস্তার ওপাশে দাড়িঁয়ে থাকে আর ...

জীবন! সেতো স্রোতে ভাসা নৌকা!!

RM মেয়েটাকে এই নিয়ে আজ তিনবার দেখলাম। সেই সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। কখনও ইলশেগুঁড়ি আবার কখনও মুশলধারে। ছাতাহীন আমি একটা যাত্রী ছাউনির নীচে দাড়িয়ে। ছাউনীর নীচে আমার ...